পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৪৬৪। আবূ যার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন কোন তরকারী রান্না করবে তখন তাতে পানি বেশি দিয়ে প্রতিবেশীর খবরগিরি করবে। (অর্থাৎ প্রতিবেশীকে দিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে সর্বদা সচেতন ও সচেষ্ট থাকবে।)[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا طَبَخْتَ مَرَقَةً, فَأَكْثِرْ مَاءَهَا, وَتَعَاهَدْ جِيرَانَكَ». أَخْرَجَهُمَا مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2625) (142) أوله: يا أبا ذر
Abu Dharr (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When you make some soup, make a good amount by adding plenty of liquid, and give some to your neighbors.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৩৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ বলেনঃ আমি আমার বান্দার সাথে থাকি যতক্ষণ বান্দা আমাকে স্মরণ করে ও আমার যিকরে তার দু’টো ঠোঁট নড়তে থাকে।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «يَقُولُ اللَّهُ -تَعَالَى: أَنَا مَعَ عَبْدِي مَا ذَكَرَنِي, وَتَحَرَّكَتْ بِي شَفَتَاهُ». أَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ تَعْلِيقًا
-
صحيح. رواه ابن ماجه (3792)، وابن حبان (815) موصولا بسند صحيح، وعلَّقه البخاري (13/ 499 / فتح) بصيغة الجزم
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah, the Most High says: ‘l am with my slave when he remembers me and his lips move with my mention.” Related by Ibn Majah and Ibn Hibban graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৩৯। মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন আদম সন্তান আল্লাহর যিকর থেকে এমন কোন বড় ’আমল করেনি যা আল্লাহর আযাব থেকে অধিক ত্ৰাণকারী।[1]
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ عَمَلًا أَنْجَى لَهُ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ». أَخْرَجَهُ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ, وَالطَّبَرَانِيُّ بِإِسْنَادٍ حَسَنٍ
-
ضعيف. رواه ابن أبي شيبة في» المصنف» (10/ 300)، والطبراني في «الكبير» (20/ 166 / 167) حدثنا أبو خالد الأحمر، عن يحيي بن سعيد، عن أبي الزبير، عن طاووس، عن معاذ، به. وزاد: «قالوا ولا الجهاد في سبيل الله؟ قال: ولا الجهاد في سبيل الله. إلا أن تضرب بسفك حتى ينقطع». قلت: وأبو الزبير مدلس، وقد عنعنه، وطاووس لم يسمع من معاذ كما في «المراسيل» لابن أبي حاتم، وإنما حسَّن الحافظ إسناده من أجل سليمان بن حيان أبي خالد الأحمر، فقد قال عنه في «التقريب»: «صدوق يخطئ» وإنما علة الحديث ما سبق من الانقطاع، ولا ينفي ذلك أن يكون قد أخطأ فيه أبو خالد الأحمر، فقد رواه الطبراني في «الصغير» (209) من طريقه، عن يحيي بن سعيد الأنصاري، عن جابر، به
Mu’adh Ibn Jabal (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A man does nothing to rescue himself from Allah’s punishment better than remembering Allah.” Related by Ibn Abi Shaibah and At-Tabarani with a good chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মানবমণ্ডলী কোন মাজলিসে বসে তাতে আল্লাহর যিকর করলে আল্লাহর ফেরেশতাগণ তাদেরকে ছেয়ে ফেলেন ও আল্লাহর রহমত তাদেরকে ঢেকে ফেলে, আর আল্লাহ তাঁর নিকটতম ফেরেশতাদের মধ্যে তাদের সুখ্যাতি বর্ণনা করেন।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا, يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلَّا حَفَّتْ بِهِمُ الْمَلَائِكَةُ, وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ, وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2700) عن أبي هريرة وأبي سعيد، بلفظ: «لا يقعد قوم يذكرون الله -عز وجل-، إلا حفتهم ... ». والباقي مثله
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“People will not sit in an assembly in which they remember Allah without the angels surrounding them, mercy covering them, and Allah mentioning them among those who are with Him.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে মানব দল কোন বৈঠকে বসে কিন্তু তাতে আল্লাহর যিকর করে না আর নবীর উপর দরূদও পাঠ করে না, এদের জন্য কিয়ামতের দিন আফসোস ও মনোবেদনা রয়েছে।[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَا قَعَدَ قَوْمٌ مَقْعَدًا لَمْ يَذْكُرُوا اللَّهَ, وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - إِلَّا كَانَ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ». أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَقَالَ: «حَسَنٌ
-
صحيح. رواه الترمذي (3380)، لكن بلفظ: «ما جلس قوم مجلسا لم يذكروا الله فيه، ولم يصلوا على نبيهم، إلا كان عليهم ترة، فإن شاء عذبهم وإن شاء غفر لهم»، وقال: «هذا حديث حسن صحيح»، واللفظ الذي ذكره الحافظ هنا هو لأحمد في «المسند» (2/ 463) حرفا حرفا، وزاد: «وإن دخلوا الجنة للثواب
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“If people sit in an assembly in which they do not remember Allah or invoke blessings on the Prophet it will be a cause of grief to them on the Day of Resurrection.” Related by At-Tirmidhi who graded it as Hasan.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪২। আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি ১০ বার এ দু’আটি পাঠ করবে-
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া-লাহুল হামদু বি-ইয়াদিহিল খাইরু ইউহয়ী ওয়া-ইউমীতু ওয়া-হুয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
(অৰ্থ) আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে আর কোন উপাস্য নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁর জন্যেই রাজত্ব ও তাঁর জন্য প্রশংসা, তাঁর হাতেই কল্যাণ, তিনিই জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান, তিনি সমস্ত জিনিসের উপর ক্ষমাতাবান- সে ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশের চারজন লোকের দাসত্ব মুক্তির সমপরিমাণ পুণ্য অর্জন করবে।[1]
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ, وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ... ، عَشْرَ مَرَّاتٍ, كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ أَرْبَعَةَ أَنْفُسٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6404)، ومسلم (2693)، وفي قول الحافظ: «متفق عليه» نظر، فهذا اللفظ لمسلم، وعنده زيادة: «له الملك، وله الحمد، وهو على كل شيء قدير»، وأما البخاري فقد ساقه مختصرا تحت باب فضل التهليل. بلفظ: «من قال عشرا كما كان أعتق رقبة من ولد إسماعيل
Abu Aiyub al-Ansari (RAA) narrated, ‘The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever says ten times: ‘None has the right to be worshipped except Allah alone, without partner, to Him belongs all sovereignty and praise. He gives life and causes death. He is over all things, Omnipotent will have a reward equivalent to that of emancipating four of the descendants of lsma'il from slavery.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক প্রতিদিন একশ’বার সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহ বলবে তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ مِائَةَ مَرَّةٍ حُطَّتْ خَطَايَاهُ, وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6405)، وهو قطعة من حديث عند مسلم (2691)، وعندهما تقييد ذلك بقوله -صلى الله عليه وسلم: في يوم
Abu Hurairah (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever says a hundred times, ‘How perfect Allah is and I praise Him,’ his sins will be forgiven though they may be as much as the foam of the sea.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৪। হারিসের কন্যা জুওয়াইরিয়াহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আমি তোমার দু’আ পাঠের চারটি শব্দযুক্ত যে দু’আটি তিনবার বলেছি তা তোমার আজকের এ পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ দু’আ পাঠের পর থেকে বেশি ওজনের হবে, যদি তা ওজন করা হয়। (দু’আটি হচ্ছে) সুবহানাল্লাহি ওয়া-বিহামদিহী আদাদা খালক্বিহী, ওয়ারি যা নাফসিহী ওয়াযিনাত ’আরশিহী ওয়া-মিদাদা কালিমাতিহী। (অৰ্থ: আমি আল্লাহর সৃষ্টিসম, তাঁর সন্তুষ্টিসম, তাঁর আরশের ওজনসম, তাঁর অসীম কালিমা (মহত্ব)-সমস্ত প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা ঘোষণা করছি।)[1]
وَعَنْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَقَدْ قُلْتُ بَعْدَكِ أَرْبَعَ كَلِمَاتٍ, لَوْ وُزِنَتْ بِمَا قُلْتِ مُنْذُ الْيَوْمِ لَوَزَنَتْهُنَّ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ, عَدَدَ خَلْقِهِ, وَرِضَا نَفْسِهِ, وَزِنَةَ عَرْشِهِ, وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2726) عن جويرية أن النبي -صلى الله عليه وسلم- خرج من عندها بكرة حين صلى الصبح، وهي في مسجدها، ثم رجع بعد أن أضحى، وهي جالسة، فقال: «ما زلت على الحال التي فارقتك عليها؟» قالت: نعم. قال النبي -صلى الله عليه وسلم: «لقد قلت ... ». الحديث
Juairiyah bint al-Harith (RAA) narrated, ‘The Messenger of Allah (ﷺ) said to me, “Since leaving you have said four phrases which if weighed against all you have said today, would prove to be heavier:
‘How perfect Allah is and I praise Him by the amount of His creation and His pleasure, and by the weight of His throne, and the ink of His words.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৫। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: স্থায়ী সৎকাজ বা যে সৎকাজের পুণ্য স্থায়ী হবে, সে দু’আটি হচ্ছে এই- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়া-সুবহানাল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। (অৰ্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, আল্লাহর জন্যই পবিত্রতা, আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ট, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা, পাপ কাজ হতে দূরে থাকার ও পুণ্য কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কারো নেই)।[1]
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ: لَا إِلهَ إِلَّا اللَّهُ, وَسُبْحَانَ اللَّهِ, وَاللَّهُ أَكْبَرُ, وَالْحَمْدُ لِلَّهِ, وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ». أَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
-
ضعيف. رواه النسائي في «عمل اليوم والليلة» كما في «التحفة» (3/ 362)، وابن حبان (840)، والحاكم (1/ 512)، وهو ضعيف؛ لأنه من رواية دارج، عن أبي الهيثم
Abu Sa'id al-Khudri (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The lasting good deeds are: (the saying of) ‘None has the right to be worshipped except Allah alone, How perfect Allah is and Allah is great and all praise is for Allah, There is no might nor power except with Allah.” Related by An-Nasa’i. Ibn Hibban and Al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৬। সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিকটে অধিক প্রিয় হচ্ছে চারটি কালিমা সম্বলিত এ দু’আটি। এর মধ্যে যে কোন একটি দ্বারা তুমি আরম্ভ করবে তাতে তোমার কিছু আসে যায় না।
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি, ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
অর্থ: আল্লাহ পবিত্র, আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। আল্লাহ সর্বশ্ৰেষ্ঠ।[1]
وَعَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَحَبُّ الْكَلَامِ إِلَى اللَّهِ أَرْبَعٌ, لَا يَضُرُّكَ بِأَيِّهِنَّ بَدَأْتَ: سُبْحَانَ اللَّهِ, وَالْحَمْدُ لِلَّهِ, وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ, وَاللَّهُ أَكْبَرُ». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (2137) وزاد: «ولا تسمين غلامك: يسارا ولا رباحا ولا نجيحا ولا أفلح، فإنك تقول، أثم هو؟ فلا يكون، فيقول: لا
Samurah bin Jundub (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The words dearer to Allah are four: ‘How perfect Allah is and all praise is for Allah. None has the right to be worshipped except Allah alone and Allah is great It does not matter which you say first.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৭। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আব্দুল্লাহ ইবনু কাইস! আমি কি তোমাকে এমন একটি কথার সন্ধান দেব না যে কথাটি জান্নাতের রত্ন ভাণ্ডার? তাথেকে একটি রত্নভাণ্ডার হলো ’লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’।
নাসায়ীতে আরো আছে, ’লা মালযায়া মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি’- ’আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নেই।[1]
وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ، أَلَّا أَدُلُّكَ عَلَى كَنْزٍ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
زَادَ النَّسَائِيُّ: وَلَا مَلْجَأَ مِنَ اللَّهِ إِلَّا إِلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (6384)، ومسلم (2704)، والنسائي في «عمل اليوم والليلة» (356) والسياق للنسائي
Abu Musa al-Ash'ari (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said to me, “O 'Abdullah bin Qais, would you like to be guided to one of the treasures of Paradise.” l here is no might nor power except with Allah.’ Agreed upon. An-Nasa’i added in his version, “there is no refuge from Allah except by turning to Him.’
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৮। নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দু’আ-ই ইবাদাত।[1]
وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِنَّ الدُّعَاءَ هُوَ الْعِبَادَةُ». رَوَاهُ الْأَرْبَعَةُ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ
-
صحيح. رواه أبو داود (1479)، والنسائي في «الكبرى» (6/ 450) والترمذي (3247)، وابن ماجه (3828)، وزادوا ثم قرأ: «وقال ربكم ادعوني استجب لكم إن الذين يستكبرون عن عبادتي سيدخلون جهنم داخرين» غافر: 60، وقال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح
An-Nu’man bin al-Bashir (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Verily supplication is worship.” Related by the four Imams and At-Tirmidhi graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৪৯। তিরমিযীতে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত: মারফূ’ সূত্রে এরূপ শব্দেও বর্ণিত হয়েছে, দু’আ ইবাদাতের মগজ (মূল বস্তু)।[1]
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ بِلَفْظِ: «الدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ
-
ضعيف رواه الترمذي (3271) وقال: «هذا حديث غريب من هذا الوجه، لا نعرفه إلا من حديث ابن لهيعة». قلت: وهو صحيح بلفظ الحديث السابق، وأما بهذا اللفظ: «مخ» فهو ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫০। এ কিতাবে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে মারফূ’ সূত্রে (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ দু’আর থেকে আল্লাহর কাছে আর কোন বস্তু (ইবাদত) অধিক মর্যাদাসম্পন্ন নয়।[1]
وَلَهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَفَعَهُ: «لَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللَّهِ مِنَ الدُّعَاءِ». وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
-
حسن. رواه الترمذي (3370)، وابن حبان (870) والحاكم (1/ 490)
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫১। আনাস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আযান ও ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ের মধ্যবতী দু’আ (প্রার্থনা) আল্লাহর দরবার হতে ফিরিয়ে দেয়া হয় না।[1]
وَعَنْ أَنَسٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الدُّعَاءُ بَيْنَ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ لَا يُرَدُّ». أَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ, وَغَيْرُهُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَغَيْرُهُ
-
صحيح. رواه النسائي في «عمل اليوم والليلة»، ص (168)، وابن حبان (1696)، وفي الأصل زيادة تخريجه مع الكلام على ألفاظه
Anas (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“A supplication made between the Adhan and Iqamah is never rejected.” Related by An-Nasa’i and others, Ibn Hibban and others graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫২। সালমান (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক চিরঞ্জীব, দানশীল। তাঁর কোন বান্দা নিজের দু’ হাত তুলে তাঁর নিকট দু’আ করলে তিনি তার শূন্যহাত বা তাকে নিরাশ করে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।[1]
وَعَنْ سَلْمَانَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ رَبَّكُمْ حَيِيٌّ كَرِيمٌ, يَسْتَحِي مِنْ عَبْدِهِ إِذَا رَفَعَ إِلَيْهِ يَدَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفَرًا». أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أبو داود (1488)، والترمذي (3556)، وابن ماجه (3865)، والحاكم (1/ 497)
Salman (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Your Rabb (Lord of the Universe) is Modest and Generous, and would never turn the hands of a slave without gain when he raises them to Him (in supplication).” Related by the four lmams except An-Nasa’i. Al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫৩। ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দু’আ করার জন্য দু’হাত উঠাতেন তখন তাঁর মুখমণ্ডলে হাত ফেরানোর আগে তা নামাতেন না।[1]
وَعَنْ عُمَرَ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا مَدَّ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ, لَمْ يَرُدَّهُمَا, حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ. أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ
-
منكر. رواه الترمذي (3386) وقال: «هذا حديث صحيح غريب، لا نعرفه إلا من حديث حماد بن عيسى، وقد تفرَّد به، وهو قليل الحديث، وقد حدث عنه الناس». قلت: وهو ضعيف، كما ذهب إلى ذلك الحافظ نفسه في «التقريب»، وقال أبو داود: «ضعيف، روى أحاديث مناكير». قلت: وهذا الحديث لا شك أنه من تلك المناكير، إذ رفع اليدين في الدعاء ثابتة برواية الثقات، ولم يرد في شيء من ذلك مسح الوجه
'Umar (RAA) narrated, ‘When the Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands in supplication, he did not lower them till he wiped his face with them.’ Related by At-Tirmidhi.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫৪। এ হাদীসের অনেক পৃষ্ঠপোষক হাদীস রয়েছে, তার মধ্যে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত; হাদীসটি আবূ দাউদে রয়েছে। ঐগুলোর সানাদের সমষ্টির অবস্থা দেখে বলা যায় হাদীসটি হাসান।[1]
وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْهَا
حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ: عَنْ أَبِي دَاوُدَ. وَمَجْمُوعُهَا يَقْتَضِي أَنَّهُ حَدِيثٌ حَسَنٌ
-
منكر كسابقه. رواه أبو داود، ولفظه: «لا تستروا الجدر، من نظر في كتاب أخيه بغير إذنه فإنما ينظر في النار، سلوا الله ببطون أكفكم، ولا تسألوه بظهورها، فإذا فرغتم فامسحوا بها وجوهكم». وقال أبو داود:» روى هذا الحديث من غير وجه عن محمد بن كعب، كلها واهية، وهذا الطريق أمثلها، وهو ضعيف -أيضا-»، وقال أبو حاتم في: «العلل» (2/ 351): «هذا حديث منكر
There are other traditions, which support this narration, of which are: The Hadith narrated by Ibn ’Abbas (RAA) related by Abu Dawud and others. Put together, they confirm that it is Hasan
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫৫। ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উপর অধিক দরূদ পাঠকারী কিয়ামতের দিনে আমার বেশি সান্নিধ্য অর্জনকারী হবে।[1]
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ, أَكْثَرُهُمْ عَلَيَّ صَلَاةً». أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
ضعيف. رواه الترمذي (484)، وابن حبان (911) وقال الترمذي:» هذا حديث حسن غريب». قلت: في سنده مجهول، وآخر سيئ الحفظ
Ibn Mas'ud (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Those who are nearest to me on the Day of Resurrection are those who invoke many blessings on me.” Related by At-Tirmidhi and Ibn Hibban graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্র যিকর ও দু'আ
১৫৫৬। শাদ্দাদ ইবনু আউস (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলো বান্দার এ দু’আ পড়া- আল্লা-হুম্মা আন্তা রাব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা খালাক্বতানী, ওয়া আনা আব্দুকা ওয়া আনা আল আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাত্বাতু, আউযুবিকা মিন শাররি মা স্বানা’তু, আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযামবী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা য়্যাগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।
“হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা, তুমি ব্যতীত আর কোন ক্ষমাকারী নেই।[1]
وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «سَيِّدُ الِاسْتِغْفَارِ, أَنْ يَقُولَ الْعَبْدُ: اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي, لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ, خَلَقْتَنِي, وَأَنَا عَبْدُكَ, وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ, أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ, أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ, وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي, فَاغْفِرْ لِي; فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ». أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (6306) وليس عنده لفظ:» العبد» وإن كان عند غير، وزاد: «من قالها من النهار، موقنا بها، فمات من يومه قبل أن يمسي، فهو من أهل الجنة، ومن قالها من الليل، وهو موقن بها، فمات قبل أن يصبح، فهو من أهل الجنة»، و «أبوء»: أعترف
Shaddad bin Aus (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The best manner of asking for forgiveness is to say: “O Allah! You are my Lord. None has the right to be worshipped except You. You created me and I am your servant and I abide by your covenant and promise as best I can. I seek refuge in you from the evil, which I have committed. I acknowledge your favor upon me and I knowledge my sins, so forgive me, for verily none can forgive sin except you.” Related by Al-Bukhari.