পরিচ্ছেদঃ সফরে রোযা রাখার বিধান
৬৭২. জাবির বিন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়কালে রমযান মাসে (মদীনা থেকে মক্কাভিমুখে) যাত্রা করেন। তিনি ও তাঁর সঙ্গীগণ সওম পালন করছিলেন। যখন তিনি ’কুরা’আল গামীম’ নাম স্থানে পৌঁছলেন তখন এক পেয়ালা পানি নিয়ে ডাকলেন ও ঐ পানির পেয়ালা এমন উঁচু করে ধরলেন যাতে লোকেরা তা দেখতে পেলো। তারপর তিনি তা পান করলেন। অতঃপর তাঁকে বলা হলো এরপরও কিছু লোক রোযা রেখেছে। তিনি কিছু বললেন, ওরা অবাধ্য, ওরা অবাধ্য!
ভিন্ন একটি বর্ণনায় এ শব্দ রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলা হল, লোকেদের উপর (আজ) সওম পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। আপনি কি করেন এরই অপেক্ষায় তারা আছে। তারপর ’আসরের পরে পানির পেয়ালা নিয়ে ডাকলেন ও অতঃপর তিনি পানি পান করলেন।[1]
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ إِلَى مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ, فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ كُرَاعَ الْغَمِيمِ, فَصَامَ النَّاسُ, ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ فَرَفَعَهُ, حَتَّى نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ, ثُمَّ شَرِبَ, فَقِيلَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ: إِنَّ بَعْضَ النَّاسِ قَدْ صَامَ. قَالَ: أُولَئِكَ الْعُصَاةُ, أُولَئِكَ الْعُصَاةُ
وَفِي لَفْظٍ: فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَقَّ عَلَيْهِمُ الصِّيَامُ, وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ فِيمَا فَعَلْتَ، فَدَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ بَعْدَ الْعَصْرِ، فَشَرِبَ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1114) (90)
Jabir (RAA) narrated, ‘The Messenger of Allah (ﷺ) left for Makkah during the year of the conquest (of Makkah) in Ramadan and he and the people with him fasted until he reached the valley of Kura Al-Ghamim. He then called for a cup of water, which he elevated so that the people could see it, and then he drank. After-wards, he was told that some people had continued to fast, and he then said, "Those are the disobedient ones! Those are the disobedient ones!”
In another narration, ‘He was told that people are finding it difficult to fast (during the journey) and they are waiting to see what the Prophet (ﷺ) will do. So he called for a cup of water after the Asr (afternoon) prayer and drank it.’ Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ সফরে রোযা রাখার বিধান
৬৭৩. হামযাহ বিন ’আমর আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি সফরের অবস্থায় সওম পালনের মত ক্ষমতা রাখি। রোযা পালন আমার জন্য কি কোন দূষনীয় হবে। তদুত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন—এটা আল্লাহ প্রদত্ত অবকাশ, যে তা গ্রহণ করবে। সে তাতে উত্তম করবে, আর যে সওম পালন পছন্দ করবে তারও কোন ক্ষতি নেই।[1]
وَعَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ رِضَى اللَّهُ عَنْهُ; أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! أَجِدُ بِي قُوَّةً عَلَى الصِّيَامِ فِي السَّفَرِ, فَهَلْ عَلَيَّ جُنَاحٌ? فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - «هِيَ رُخْصَةٌ مِنَ اللَّهِ, فَمَنْ أَخَذَ بِهَا فَحَسَنٌ, وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَصُومَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1121) (107)
Hamzah bin ’Amro Al-Aslami (RAA) narrated, ‘I said to the Messenger of Allah (ﷺ) ‘O Messenger of Allah (ﷺ)! I find within me the strength to fast while traveling. Would there be any blame upon me if I were to do so?’ The Messenger of Allah (ﷺ) said to him, "It is a concession from Allah. Whoever takes it has done well. Whoever likes to fast, there is no blame upon him."Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ সফরে রোযা রাখার বিধান
৬৭৪. ’আয়িশা (রাঃ) হতে এ হাদীসটির মূল মুত্তাফাকুন ’আলাইহি (বুখারী ও মুসলিমে) রয়েছে। তাতে আছে: ’হামযাহ বিন আমার জিজ্ঞেস করলেন।[1]
পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি হচ্ছে, أن حمزة بن عمر سأل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الصيام في السفر، فقال: إن شئت فصم، وإن شئت فافطر হামযা বিন আমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সফরে রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলেন, তদুত্তরে তিনি বললেন, যদি রোযা রাখতে চাও তাহলে রাখ। আর যদি না রাখতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেল।
وَأَصْلُهُ فِي «الْمُتَّفَقِ» مِنْ حَدِيثِ عَائِشَةَ: أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَمْرٍو سَأَلَ
-
صحيح. رواه البخاري (4/ 179 / فتح)، ومسلم (2/ 789) وتمامه: رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الصيام في السفر، فقال: إن شئت فصم، وإن شئت فافطر