পরিচ্ছেদঃ ৫. সালাতে খুশূ বা বিনয় নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্ৰদান - সালাতে এদিক সেদিক দৃষ্টি নিক্ষেপ করা নিষেধ
২৪৩. ’আয়িশা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতে এদিক ওদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন: এটা এক ধরনের ছিনতাই, যার মাধ্যমে শয়তান বান্দার সালাত হতে অংশ বিশেষ ছিনিয়ে নেয়’।[1]
عَنْ عَائِشَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - قَالَتْ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنْ الِالْتِفَاتِ فِي الصَّلَاةِ? فَقَالَ: «هُوَ اخْتِلَاسٌ يَخْتَلِسُهُ الشَّيْطَانُ مِنْ صَلَاةِ الْعَبْدِ». رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
-
صحيح. رواه البخاري (751)
পরিচ্ছেদঃ ৫. সালাতে খুশূ বা বিনয় নম্রতার প্রতি উৎসাহ প্ৰদান - সালাতে এদিক সেদিক দৃষ্টি নিক্ষেপ করা নিষেধ
২৪৪. তিরমিযীতে আনাস (রাঃ) হতে এ হাদীস রয়েছে এবং তিনি একে সহীহও বলেছেন। তাতে আছে- ’সালাতে এদিক ওদিক দৃষ্টি দেয়া হতে অবশ্য বিরত থাকবে; কেননা এটা একটা সর্বনাশকর কর্ম। তবে আবশ্যক হলে তা নফল সালাতে (বৈধ)।[1]
ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে সুনানুত তিরমিযী (৫৮৯) গ্রন্থে হাসান গরীব হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ইমাম ইবনুল কাইয়ূম যাদুল মায়াদ (১/২৪১) গ্রন্থে হাদীসটির দু’টি দোষের কথা উল্লেখ করেছেন। ইবনু রজব ফাতহুল বারী (৪/৪০৫) গ্রন্থে বলেন, এর সনদ সহীহ নয়। দারাকুতনীও অনুরূপ বলেছেন। এর সনদে ইযতিরাব সংঘঠিত হয়েছে। নাসিরুদ্দীন আলবানী মিশকাতুল মাসাবীহ (হাঃ ৯৬৫) গ্রন্থে বলেন, এর সনদ দুর্বল ও মুনকাতে। তিরমিযী (হাঃ ৫৮৯) তারগীব ওয়াত তারহীব ২৯, তামামুল মিন্নাহ গ্ৰন্থত্ৰয়েও হাদীসটিকে দুর্বল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিন বায তার হাশিয়া বুলুগুল মারাম (১৯০) গ্রন্থে বলেন, এর সনদে আলী বিন জাদয়ান সে হাদীস বিষয়ে দুর্বল। আবার এর সনদে আরেক জন রাবী আব্দুল্লাহ বিন মুসান্না আল আনসারী। তিনি অধিক ভুল বর্ণনাকারী হিসেবে চিহ্নিত।
وَلِلتِّرْمِذِيِّ: عَنْ أَنَسٍ - وَصَحَّحَهُ: «إِيَّاكَ وَالِالْتِفَاتَ فِي الصَّلَاةِ, فَإِنَّهُ هَلَكَةٌ, فَإِنْ كَانَ فَلَا بُدَّ فَفِي التَّطَوُّعِ
-
ضعيف. رواه الترمذي (589)، وللحديث تتمة طويلة، ولئن نقل الحافظ هنا عن الترمذي تصحيحه، فإن النقل عن الترمذي في ذلك مختلف باعتراف الحافظ نفسه، وبيان ذلك «بالأصل