পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৩। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা রাস্তা নিয়ে মতভেদ করলে তা সাত গজ পরিমাণ চ্যাপ্টা করো।[1]
সহীহ।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ كَعْبٍ الْعَدَوِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا تَدَارَأْتُمْ فِي طَرِيقٍ فَاجْعَلُوهُ سَبْعَةَ أَذْرُعٍ
صحيح
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: If you dispute over a pathway, leave the margin of seven yards.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ তার অপর ভাইয়ের নিকট তার দেয়ালের সাথে খুঁটি গাড়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে সে যেন তাকে নিষেধ না করে। এ হাদীস শুনে লোকেরা ঘাড় নীচু করলো। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বললেন, কী ব্যাপার! তোমরা এ হাদীস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো? আমি তোমাদের জন্য এ হাদীস শিরোধার্য করে দিবো।[1]
সহীহ।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا اسْتَأْذَنَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ، أَنْ يَغْرِزَ خَشَبَةً فِي جِدَارِهِ، فَلَا يَمْنَعُهُ فَنَكَّسُوا، فَقَالَ: مَا لِي أَرَاكُمْ قَدْ أَعْرَضْتُمْ؟ لَأُلْقِيَنَّهَا بَيْنَ أَكْتَافِكُمْ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا حَدِيثُ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ وَهُوَ أَتَمُّ
صحيح
Abu Hurairah reported the Holy Prophet(ﷺ) as saying:
When one of you asks permission for inserting a wooden peg in his wall, he should not prevent him. So they (the people) lowered down their heads. Then he (Abu Hurairah) said: What is the matter ? I am seeing you are neglecting (to hear this tradition), I shall spread it among you.
Abu Dawud said:This is the tradition of Ibn Abi Khalaf is more perfect.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৫। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথী আবূ সিরমাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ অপরের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারো বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন।[1]
হাসান।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ لُؤْلُؤَةَ، عَنْ أَبِي صِرْمَةَ، قَالَ: غَيْرَ قُتَيْبَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ، عَنْ أَبِي صِرْمَةَ - صَاحِبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: مَنْ ضَارَّ أَضَرَّ اللَّهُ بِهِ، وَمَنْ شَاقَّ شَاقَّ اللَّهُ عَلَيْهِ
حسن
Narrated AbuSirmah:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone harms (others), Allah will harm him, and if anyone shows hostility to others, Allah will show hostility to him.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৬। সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক আনসারীর বাগানে তার কিছু খেজুর গাছ ছিলো। আনসারী তার পরিবারসহ এখানে বাস করতেন। সামুরাহ (রাঃ) বাগানে আসা-যাওয়া করতেন। এতে আনসারী অসুবিধাবোধ করতেন। তিনি তার খেজুর গাছগুলো ক্রয় করতে চাইলেন, কিন্তু সামুরাহ (রাঃ) এতে সম্মত হলেন না। আনসারী তাকে এটা বদল করার জন্য প্রস্তাব দিলেন, কিন্তু তিনি এ প্রস্তাবেও সম্মত হলেন না। আনসারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে ঘটনাটি জানালেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে এনে এটা বিক্রি করে দেয়ার কথা বললেন, কিন্তু তিনি সম্মত হলেন না। তিনি এটা বদল করার প্রস্তাব দিলেন, সামুরাহ তাও মানলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে এটা দান করো। তিনি তাকে উৎসাহিত করে বললেনঃ তোমার জন্য এই এই জিনিস রয়েছে। কিন্তু তাতেও তিনি সম্মত হলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কষ্টদানকারী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারীকে বললেনঃ যাও, তুমি তার খেজুর গাছগুলো উপড়ে ফেলে দাও।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (৩০০৬)।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ، مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا جَعْفَرٍ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ، يُحَدِّثُ عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، أَنَّهُ كَانَتْ لَهُ عَضُدٌ مِنْ نَخْلٍ فِي حَائِطِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، قَالَ: وَمَعَ الرَّجُلِ أَهْلُهُ، قَالَ: فَكَانَ سَمُرَةُ يَدْخُلُ إِلَى نَخْلِهِ فَيَتَأَذَّى بِهِ وَيَشُقُّ عَلَيْهِ، فَطَلَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَبِيعَهُ فَأَبَى، فَطَلَبَ إِلَيْهِ أَنْ يُنَاقِلَهُ فَأَبَى، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَطَلَبَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ يَبِيعَهُ فَأَبَى فَطَلَبَ إِلَيْهِ أَنْ يُنَاقِلَهُ فَأَبَى، قَالَ: فَهِبْهُ لَهُ وَلَكَ كَذَا وَكَذَا أَمْرًا رَغَّبَهُ فِيهِ فَأَبَى، فَقَالَ: أَنْتَ مُضَارٌّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْأَنْصَارِيِّ: اذْهَبْ فَاقْلَعْ نَخْلَهُ
ضعيف، المشكاة (٣٠٠٦/التحقيق الثاتي)
Abu Ja'far Muhammad bin 'Ali reported from Samurah ibn Jundub that he had a row of palm-trees in the garden of a man of the Ansar. The man had his family with him. Samurah used to visit his palm-trees, and the man was annoyed by that and felt it keenly. So he asked him (Samurah) to sell them to him, but he refused. He then asked him to take something else in exchange, but he refused.
So he came to the Holy Prophet (ﷺ) and mentioned it to him. The Holy Prophet (ﷺ) asked him to sell it to him, but he refused. He asked him to take something else in exchange, but he refused.
He then said:
Give it to him and you can have such and such, mentioning something with which he tried to please him, but he refused. He then said: You are a nuisance. The Messenger of Allah (ﷺ) then said to the Ansari: Go and uproot his palm-trees.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৭। আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। হাররা নামক স্থান থেকে প্রবাহিত পানির বণ্টন নিয়ে যুবায়র (রাঃ)-এর সাথে এক ব্যক্তির বিবাদ হলো। আনসারী লোকটি বললো, পানিকে প্রবাহিত হয়ে আসতে দাও। কিন্তু যুবায়র (রাঃ) এতে সম্মত হলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র (রাঃ)-কে বললেনঃ হে যুবায়র! তোমার জমিতে পানি দাও; অতঃপর তোমার প্রতিবেশীর জমির দিকে তা ছেড়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথায় আনসারী রাগান্বিত হয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সে আপনার ফুফাতো ভাই সেজন্য পক্ষপাতিত করছেন? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেলো।
তিনি বললেনঃ তোমার জমিতে পানি দাও, অতঃপর তা আটকে রাখো যাতে আইল পর্যন্ত পৌঁছে। যুবায়র (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমার মতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছেঃ ’’না, হে মুহাম্মাদ! আপনার রবের কসম, এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারে না, যতক্ষণ তারা তাদের পারস্পারিক বিবাদে আপনাকে বিচারপতিরূপে মেনে না নিবে। অতঃপর আপনি ফায়সালা করবেন, সে সম্পর্কে তারা নিজেদের মনে কোনরূপ কুণ্ঠাবোধ করবে না; বরং তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সোপর্দ করবে।’’ (সূরা আন-নিসাঃ ৬৫)।[1]
সহীহ।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلًا خَاصَمَ الزُّبَيْرَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِ الزُّبَيْرُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلزُّبَيْرِ: اسْقِ يَا زُبَيْرُ، ثُمَّ أَرْسِلْ إِلَى جَارِكَ، قَالَ: فَغَضِبَ الْأَنْصَارِيُّ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ، فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ، حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ» فَقَالَ الزُّبَيْرُ: فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَحْسَبُ هَذِهِ، الْآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ (فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ) [النساء: ٦٥] الْآيَةَ
صحيح
Narrated Abdullah ibn az-Zubayr:
A man disputed with az-Zubayr about streamlets in the lava plain which was irrigated by them. The Ansari said: Release the water and let it run, but az-Zubayr refused. The Holy Prophet (ﷺ) said to az-Zubayr: Water (your ground), Zubayr, then let the water run to your neighbour. The Ansari then became angry and said: Messenger of Allah! it is because he is your cousin! Thereupon the face of the Messenger of Allah (ﷺ) changed colour and he said: Water (your ground), then keep back the water till it returns to the embankment. Az-Zubayr said: By Allah! I think this verse came down about that: "But no , by thy Lord! they can have no (real) faith, until they make thee judge....."
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৮। সা’লাবা ইবনু আবূ মালিক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি তার মুরুব্বীদের আলৈাচনা করতে শুনেছেন, কুরাইশ বংশের এক ব্যক্তির ইয়াহুদী বনী কুরাইযাহর পানির সাথে অংশীদার ছিলো। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট মাহযূর মাঠ থেকে প্রবাহিত পানি সম্পর্কে অভিযোগ করলো, যাতে বৃষ্টির পানি এসে জমা হতো। এর পানি সবাই বণ্টনকরে নিয়ে যেতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে ফায়সালা দিলেনঃ প্রথম ব্যক্তি পায়ের গোছা পর্যন্ত জমিতে পানি জমা করবে। অতঃপর উচ্চ ভূমির মালিক নিম্ন ভূমির মালিকের দিকে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।[1]
সহীহ।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ يَعْنِي ابْنَ كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي مَالِكِ بْنِ ثَعْلَبَةَ، عَنْ أَبِيهِ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، أَنَّهُ سَمِعَ كُبَرَاءَهُمْ، يَذْكُرُونَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ كَانَ لَهُ سَهْمٌ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ، فَخَاصَمَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَهْزُورٍ يَعْنِي السَّيْلَ الَّذِي يَقْتَسِمُونَ مَاءَهُ: فَقَضَى بَيْنَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْمَاءَ إِلَى الْكَعْبَيْنِ لَا يَحْبِسُ الْأَعْلَى عَلَى الْأَسْفَلِ
صحيح
Narrated Tha'labah ibn AbuMalik:
Tha'labah heard his elders say that a man from the Quraysh had his share with Banu Qurayzah (in water). He brought the dispute to the Messenger of Allah (ﷺ) about al-Mahzur, a stream whose water they shared together. The Messenger of Allah (ﷺ) then decided that when water reached the ankles waters should not be held back to flow to the lower.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৩৯। আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহযূর মাঠের পানি সম্পর্কে এই ফায়সালা দিয়েছেনঃ পায়ের গোছা ডুবে যাওয়ার পরিমাণ হওয়া পর্যন্ত এর পানি আটকিয়ে রাখা যাবে। অতঃপর উচ্চ ভূমির মালিক নিম্ন ভূমির মালিকের দিকে পানি ছেড়ে দিবে।[1]
হাসান সহীহ।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي السَّيْلِ الْمَهْزُورِ أَنْ يُمْسَكَ حَتَّى يَبْلُغَ الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ يُرْسِلُ الْأَعْلَى عَلَى الْأَسْفَلِ
حسن صحيح
'Amr bin Shu'aib on his father's authority said that his grandfather told that the Messenger of Allah (ﷺ) decided regarding the stream al-Mahzur that its water should be held back till it reached the ankles, and that the upper waters should then be allowed to flow to the lower.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. বিচার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা
৩৬৪০। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’ ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি খেজুর গাছের পরিধি সম্পর্কিত ঝগড়া নিয়ে হাযির হলো। এক বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি তা পরিমপ করার আদেশ দিলেন। তদনুযায়ী মাপা হলো এবং পরিমাণে সাত গজ হলো। অপর বর্ণনা মোতাবেক এর পরিমাণ হলো পাঁচ গজ। তিনি তদনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলেন। ’আব্দুল আযীয (রহঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ খেজুর গাছের একটি ডাল দিয়ে মাপার আদেশ দিলে তা দিয়ে মাপা হয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ مِنَ الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عُثْمَانَ، حَدَّثَهُمْ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي طُوَالَةَ، وَعَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ: اخْتَصَمَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلَانِ فِي حَرِيمِ نَخْلَةٍ فِي حَدِيثِ أَحَدِهِمَا، فَأَمَرَ بِهَا فَذُرِعَتْ، فَوُجِدَتْ سَبْعَةَ أَذْرُعٍ، وَفِي حَدِيثِ الْآخَرِ، فَوُجِدَتْ خَمْسَةَ أَذْرُعٍ فَقَضَى بِذَلِكَ قَالَ عَبْدُ الْعَزِيزِ: فَأَمَرَ بِجَرِيدَةٍ مِنْ جَرِيدِهَا فَذُرِعَتْ
صحيح
Narrated AbuSa'id al-Khudri:
Two men brought their dispute about the precincts of a palm-tree to the Messenger of Allah (ﷺ). According to a version of this tradition, he ordered to measure and it was measured. It was found seven yards. According to another version, it was found five yards. He made a decision according to that. AbdulAziz said: He ordered to measure with a branch of its branches. It was then measured.