পরিচ্ছেদঃ ৩৮. চিকিৎসকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে

৩৪১৮। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবী কোনো এক সফরে বের হলেন। তারা এক আরবের একটি জনপদে যাত্রাবিরতি করে সেখানকার লোকদের নিকট মেহমান হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকৃতি জানালো। বর্ণনাকারী বলেন, ঘটনাক্রমে এই জনপদের সর্দারকে (বিষাক্ত প্রাণী) দংশন করলো। তারা তাকে আরোগ্য করতে অনেক কিছুই করলো, কিন্তু কোনই কাজ হলো না। তাদের মধ্যে কেউ বললো, তোমরা যদি এখানে যাত্রাবিরতীকারী দলের কাছে যেতে! হয় তো তাদের কারো কাছে এমন কিছু থাকতে পারে যা তোমাদের সর্দারের উপকারে আসতে পারে।

তাদের কতিপয় লোক এসে বললো, আমাদের সর্দারকে (বিষাক্ত প্রাণী) দংশন করেছে। তার আরোগ্যের জন্য ’আমরা সব ধরণের চেষ্টা করেও কোনো ফল পাইনি। তোমাদের কেউ কি ঝাড়ফুঁক জানে? দলের একজন বললেন, আমি ঝাড়ফুঁক জানি। কিন্তু ’আমরা তোমাদের নিকট মেহমানদারী চেয়েছিলাম, তোমরা আমাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলে। কাজেই তোমরা আমাকে পারিশ্রমিক দিতে রাজী না হলে আমি ঝাড়ফুঁক করবো না। তারা তাকে কিছু বকরী পারিশ্রমিক দেয়ার চুক্তি করলো।

তিনি রোগীর নিকট উপস্থিত হয়ে ’উম্মুল কিতাব’ (সূরা ফাতিহা) পড়লেন এবং (দংশিত স্থানে) থুথু লাগিয়ে দিলেন। এতেই সে রোগমুক্ত হলো এমনভাবে যে, সে যেন বন্ধনযুক্ত হয়ে গেলো। বর্ণনাকারী বলেন, তারা তাদের চুক্তির শর্ত পূরণার্থে তাকে তার প্রাপ্য প্রদান করলো। সাহাবীগণ বললেন, এগুলো আমাদের মধ্যে বণ্টন করো। ঝাড়ফুঁককারী বললেন, এরূপ করো না, বরং ’আমরা আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করে নেই। পরদিন সকালে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছলেন এবং তাঁকে ঘটনাটি জানালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কিভাবে জানলে যে, এটা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা ভালো কাজই করেছো। তোমাদের সাথে আমারও একটা ভাগ নির্ধারণ করো।[1]

بَابٌ فِي كَسْبِ الْأَطِبَّاءِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَهْطًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْطَلَقُوا فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا فَنَزَلُوا بِحَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمْ، قَالَ: فَلُدِغَ سَيِّدُ ذَلِكَ الْحَيِّ فَشَفَوْا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لَا يَنْفَعُهُ شَيْءٌ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَوْ أَتَيْتُمْ هَؤُلَاءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا بِكُمْ لَعَلَّ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ بَعْضِهِمْ شَيْءٌ يَنْفَعُ صَاحِبَكُمْ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ سَيِّدَنَا لُدِغَ فَشَفَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ، فَلَا يَنْفَعُهُ شَيْءٌ، فَهَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ شَيْءٌ يَشْفِي صَاحِبَنَا؟، يَعْنِي رُقْيَةً، فَقَالَ رَجُلٌ: مِنَ الْقَوْمِ إِنِّي لَأَرْقِي وَلَكِنِ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَأَبَيْتُمْ أَنْ تُضَيِّفُونَا مَا أَنَا بِرَاقٍ حَتَّى تَجْعَلُوا لِي جُعْلًا فَجَعَلُوا لَهُ قَطِيعًا مِنَ الشَّاءِ، فَأَتَاهُ فَقَرَأَ عَلَيْهِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيَتْفِلُ حَتَّى بَرِئَ كَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ، فَأَوْفَاهُمْ جُعْلَهُمُ الَّذِي صَالَحُوهُ عَلَيْهِ، فَقَالُوا: اقْتَسِمُوا، فَقَالَ الَّذِي رَقَى: لَا تَفْعَلُوا حَتَّى نَأْتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَسْتَأْمِرَهُ، فَغَدَوْا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مِنْ أَيْنَ عَلِمْتُمْ أَنَّهَا رُقْيَةٌ؟ أَحْسَنْتُمْ وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ بِسَهْمٍ

صحيح، اتن ماجة (٢١٥٦)

حدثنا مسدد، حدثنا ابو عوانة، عن ابي بشر، عن ابي المتوكل، عن ابي سعيد الخدري، ان رهطا من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم انطلقوا في سفرة سافروها فنزلوا بحي من احياء العرب فاستضافوهم فابوا ان يضيفوهم، قال: فلدغ سيد ذلك الحي فشفوا له بكل شيء لا ينفعه شيء، فقال بعضهم: لو اتيتم هولاء الرهط الذين نزلوا بكم لعل ان يكون عند بعضهم شيء ينفع صاحبكم، فقال بعضهم: ان سيدنا لدغ فشفينا له بكل شيء، فلا ينفعه شيء، فهل عند احد منكم شيء يشفي صاحبنا؟، يعني رقية، فقال رجل: من القوم اني لارقي ولكن استضفناكم فابيتم ان تضيفونا ما انا براق حتى تجعلوا لي جعلا فجعلوا له قطيعا من الشاء، فاتاه فقرا عليه بام الكتاب، ويتفل حتى برى كانما انشط من عقال، فاوفاهم جعلهم الذي صالحوه عليه، فقالوا: اقتسموا، فقال الذي رقى: لا تفعلوا حتى ناتي رسول الله صلى الله عليه وسلم فنستامره، فغدوا على رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكروا ذلك له، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من اين علمتم انها رقية؟ احسنتم واضربوا لي معكم بسهم صحيح، اتن ماجة (٢١٥٦)


Narrated Abu Sa’id Al Khudri :
Some of the Companions of Prophet (ﷺ) went on a journey. They encamped with a clan of the Arabs and sought hospitality from them, but they refused to provide them with any hospitality. The chief of the clan was stung by a scorpion or bitten by a snake. They gave him all sorts of treatment, but nothing gave him relied. One of them said: Would that you had gone to those people who encamped with you ; some of them might have something which could give you relief to your companion. (So they went and) one of them said: Our chief has been stung by a scorpion or bitten by a snake. We administered all sorts of medicine but nothing gave him relief. Has any of you anything, i.e. charm, which gives healing to our companion. One of those people said: I shall apply charm; we sought hospitality from you, but you refused to entertain us. I am not going to apply charm until you give me some wages. So they offered them a number of sheep. He then came to and recited Faithat-al-Kitab and spat until he was cured as if he were set free from a bond. Thereafter they made payment of the wages as agreed by them. They said: Apportion (the wages). The man who applied the charm said: Do not do until we come to the Messenger of Allah (ﷺ) and consult him. So they came to the Messenger of Allah (ﷺ) next morning and mentioned it to him. The Messenger of Allah (ﷺ) said: From where did you learn that it was a charm ? You have done right. Give me a share along with you.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৮/ ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়) (كتاب الإجارة) 18. Wages (Kitab Al-Ijarah)

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. চিকিৎসকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে

৩৪১৯। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]

بَابٌ فِي كَسْبِ الْأَطِبَّاءِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَخِيهِ مَعْبَدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْحَدِيثِ

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا هشام بن حسان، عن محمد بن سيرين، عن اخيه معبد بن سيرين، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا الحديث


This tradition has also been transmitted by Abu Sa'id al-Khudri form the Prophet (ﷺ).


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৮/ ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়) (كتاب الإجارة) 18. Wages (Kitab Al-Ijarah)

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. চিকিৎসকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে

৩৪২০। খারিজাহ ইবনুস সালাত (রহঃ) থেকে তার চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি একটি জনপদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সেখানকার কিছু লোক তার কাছে এসে বললো, আপনি এই ব্যক্তির (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) কাছ থেকে কল্যাণ নিয়ে এসেছেন। কাজেই আমাদের এই ব্যক্তিকে একটু ঝাড়ফুঁক করে দিন। এ বলে তারা একটি পাগলকে বাঁধা অবস্থায় তার কাছে আনলো। তিনি তিন দিন সকাল-বিকাল সূরা ফাতিহা পড়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করলেন। তিনি যখনই পাঠ শেষ করতেন তখন থুথু জমা করে তার শরীরে নিক্ষেপ করতেন। অতঃপর লোকটি যেন বন্ধনমুক্ত হয়ে গেলো। তারা তাকে কিছু বিনিময় দিলো। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে ঘটনাটি জানালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যা পেয়েছো তা খাও। আমার জীবনের শপথ! কিছু লোক তা বাতিল মন্ত্র দ্বারা উপার্জন করে খায়। আর তুমি উপার্জন করেছো সত্য মন্ত্র দ্বারা।[1]

بَابٌ فِي كَسْبِ الْأَطِبَّاءِ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي السَّفَرِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ الصَّلْتِ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ مَرَّ بِقَوْمٍ فَأَتَوْهُ، فَقَالُوا: إِنَّكَ جِئْتَ مِنْ عِنْدِ هَذَا الرَّجُلِ بِخَيْرٍ، فَارْقِ لَنَا هَذَا الرَّجُلَ فَأَتَوْهُ بِرَجُلٍ مَعْتُوهٍ فِي الْقُيُودِ، فَرَقَاهُ بِأُمِّ الْقُرْآنِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً، وَكُلَّمَا خَتَمَهَا جَمَعَ بُزَاقَهُ، ثُمَّ تَفَلَ فَكَأَنَّمَا أُنْشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَأَعْطَوْهُ شَيْئًا، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ لَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلْ فَلَعَمْرِي لَمَنْ أَكَلَ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ، لَقَدْ أَكَلْتَ بِرُقْيَةٍ حَقٍّ

صحيح

حدثنا عبيد الله بن معاذ، حدثنا ابي، حدثنا شعبة، عن عبد الله بن ابي السفر، عن الشعبي، عن خارجة بن الصلت، عن عمه، انه مر بقوم فاتوه، فقالوا: انك جىت من عند هذا الرجل بخير، فارق لنا هذا الرجل فاتوه برجل معتوه في القيود، فرقاه بام القران ثلاثة ايام غدوة وعشية، وكلما ختمها جمع بزاقه، ثم تفل فكانما انشط من عقال فاعطوه شيىا، فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكره له، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: كل فلعمري لمن اكل برقية باطل، لقد اكلت برقية حق صحيح


Kharijah b. al-Salt quoted his paternal uncle as saying that he passed by a clan (of the Arab) who came to him and said:
You have brought what is good from this man. Then they brought a lunatic in chains. He recited Surat al-Fatihah over him three days, morning and evening. When he finished, he collected his saliva and then spat it out, (he felt relief) as if he were set free from a bond. They gave him something (as wages). He then came to the Prophet (ﷺ) and mentioned it to him. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Accept it, for by my life, some accept it for a worthless charm, but you have done so far a genuine one.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৮/ ইজারা (ভাড়া ও শ্রম বিক্রয়) (كتاب الإجارة) 18. Wages (Kitab Al-Ijarah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে