পরিচ্ছেদঃ ৫. সমাজপতি সম্পর্কে

২৯৩৩। আল-মিকদাদ ইবনু মা’দিকারিব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাঁধে হাত রেখে বললেনঃ হে খুদাইম! তুমি যদি মৃত্যু পর্যন্ত শাসক, সচিব এবং সমাজপতি না হও তাহলে তুমি নাজাত পাবে।[1]

بَابٌ فِي الْعِرَافَةِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ سُلَيْمَانَ بْنِ سُلَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ جَابِرٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ يَحْيَى بْنِ الْمِقْدَامِ، عَنْ جَدِّهِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِي كَرِبَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَرَبَ عَلَى مَنْكِبِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: أَفْلَحْتَ يَا قُدَيْمُ إِنْ مُتَّ وَلَمْ تَكُنْ أَمِيرًا، وَلَا كَاتِبًا وَلَا عَرِيفًا

ضعيف

حدثنا عمرو بن عثمان، حدثنا محمد بن حرب، عن ابي سلمة سليمان بن سليم، عن يحيى بن جابر، عن صالح بن يحيى بن المقدام، عن جده المقدام بن معدي كرب، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ضرب على منكبه، ثم قال له: افلحت يا قديم ان مت ولم تكن اميرا، ولا كاتبا ولا عريفا ضعيف


Narrated Al-Miqdam ibn Ma'dikarib:

The Messenger of Allah (ﷺ) struck him on his shoulders and then said: You will attain success, Qudaym, if you die without having been a ruler, a secretary, or a chief.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)

পরিচ্ছেদঃ ৫. সমাজপতি সম্পর্কে

২৯৩৪। গালিব আল-কাত্তান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি পর্যায়ক্রমে জনৈক ব্যক্তি, তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তারা কোনো এক ঝর্ণার পাশে বাস করতো। তাদের নিকট ইসলামের দা’ওয়াত পৌঁছলে ঝর্ণার মালিক তার অধিনস্ত লোকদেরকে বললেন, তারা যদি ইসলাম কবূল করে তাহলে তিনি তাদেরকে একশো উট দিবেন। তারা ইসলাম কবূল করলো। ওয়াদা মোতাবেক তিনি তাদের মধ্যে উট বণ্টন করে দিলেন। অতঃপর তিনি তাদের কাছ থেকে উটগুলো ফেরত নেয়ার ইচ্ছা করলেন। তিনি তার ছেলেকে ডেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পাঠালেন। তিনি তাকে বলে দিলেন, তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে তাঁকে বলবে, আমার পিতা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন।

তিনি তার সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ইসলাম কবূলের শর্তে একশো উট প্রদানের ওয়াদা করেছিলেন। তারা ইসলাম কবূল করলে তিনি উটগুলো তাদের মধ্যে বণ্টন করে দেন। তিনি এখন তাদের কাছ থেকে উটগুলো ফেরত নিতে চাইছেন। তিনি কি এগুলো ফেরত নিতে পারেন, না কি সেগুলো তাদেরই প্রাপ্য? তিনি তোমাকে হ্যাঁ কিংবা না বললে তাঁকে আবার বলবে, আমার পিতা খুব বৃদ্ধ এবং তিনি ঐ কূপের তত্ত্বাবধায়ক। তিনি আপনার নিকট আবেদন করেছেন তার মৃত্যুর পর আমাকে সেখানকার তত্ত্বাবধায়ক বানাতে।

আর সে (ছেলেটি) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললো, আমার পিতা আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমার এবং তোমার পিতার প্রতি সালাম! সে বললো, আমার পিতা তার গোত্রের লোকদের ইসলাম কবূলের শর্তে একশো উট প্রদানের ওয়াদা করেন, অতঃপর তারা ইসলাম কবূল করে তাদের ইসলামী জীবনকে সুন্দর করেছে। এখন তিনি উটগুলো তাদের কাছ থেকে ফেরত নিতে চাইছেন। সুতরাং তিনি এসবের হকদার না কি তারা?

তিনি বললেনঃ সে যদি উটগুলো তাদেরকেই দিতে চায় তবে তাই করুক। আর ফিরিয়ে নিতে চাইলে সে তাদের চেয়ে এর অধিক হকদার। তারা ইসলাম কবূল করে এর উপকারিতা তারাই পাবে। তারা যদি ইসলাম গ্রহণ না করতো তবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদেরকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হতো। সে পুনরায় বললো, আমার পিতা খুব বৃদ্ধ। তিনি ওখানকার ঝর্ণার তত্ত্বাবধায়ক। তিনি তার অবর্তমানে আমাকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করতে আপনার নিকট আবেদন জানিয়েছেন। জবাবে তিনি বললেনঃ নিশ্চয় তত্ত্বাবধায়ক দরকার আছে। জনসাধারণের তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া চলে না। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক (পক্ষপাতিত্বের কারণে) জাহান্নামে যাবে। [1]

بَابٌ فِي الْعِرَافَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا غَالِبٌ الْقَطَّانُ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُمْ كَانُوا عَلَى مَنْهَلٍ مِنَ المَنَاهِلِ، فَلَمَّا بَلَغَهُمُ الْإِسْلَامُ جَعَلَ صَاحِبُ الْمَاءِ لِقَوْمِهِ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ عَلَى أَنْ يُسْلِمُوا فَأَسْلَمُوا، وَقَسَمَ الْإِبِلَ بَيْنَهُمْ وَبَدَا لَهُ أَنْ يَرْتَجِعَهَا مِنْهُمْ، فَأَرْسَلَ ابْنَهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: ائْتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْ لَهُ: أَبِي يُقْرِئُكَ السَّلَامَ، وَإِنَّهُ جَعَلَ لِقَوْمِهِ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ عَلَى أَنْ يُسْلِمُوا فَأَسْلَمُوا، وَقَسَمَ الْإِبِلَ بَيْنَهُمْ، وَبَدَا لَهُ أَنْ يَرْتَجِعَهَا مِنْهُمْ، أَفَهُوَ أَحَقُّ بِهَا أَمْ هُمْ؟ فَإِنْ قَالَ لَكَ: نَعَمْ، أَوْ لَا، فَقُلْ لَهُ: أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ، وَهُوَ عَرِيفُ الْمَاءِ، وَإِنَّهُ يَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ لِي الْعِرَافَةَ بَعْدَهُ، فَأَتَاهُ فَقَالَ: أَبِي يُقْرِئُكَ السَّلَامَ، فَقَالَ: وَعَلَيْكَ وَعَلَى أَبِيكَ السَّلَامُ، فَقَالَ: أَبِي جَعَلَ لِقَوْمِهِ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ عَلَى أَنْ يُسْلِمُوا فَأَسْلَمُوا وَحَسُنَ إِسْلَامُهُمْ، ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَرْتَجِعَهَا مِنْهُمْ، أَفَهُوَ أَحَقُّ بِهَا أَمْ هُمْ؟ فَقَالَ: إِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يُسْلِمَهَا لَهُمْ فَلْيُسْلِمْهَا، وَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يَرْتَجِعَهَا فَهُوَ أَحَقُّ بِهَا مِنْهُمْ، فَإِنْ هُمْ أَسْلَمُوا فَلَهُمْ إِسْلَامُهُمْ، وَإِنْ لَمْ يُسْلِمُوا قُوتِلُوا عَلَى الْإِسْلَامِ، فَقَالَ: إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ، وَهُوَ عَرِيفُ الْمَاءِ، وَإِنَّهُ يَسْأَلُكَ أَنْ تَجْعَلَ لِي الْعِرَافَةَ بَعْدَهُ، فَقَالَ: إِنَّ الْعِرَافَةَ حَقٌّ، وَلَا بُدَّ لِلنَّاسِ مِنَ العُرَفَاءِ، وَلَكِنَّ الْعُرَفَاءَ فِي النَّارِ

ضعيف

حدثنا مسدد، حدثنا بشر بن المفضل، حدثنا غالب القطان، عن رجل، عن ابيه، عن جده، انهم كانوا على منهل من المناهل، فلما بلغهم الاسلام جعل صاحب الماء لقومه ماىة من الابل على ان يسلموا فاسلموا، وقسم الابل بينهم وبدا له ان يرتجعها منهم، فارسل ابنه الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال له: اىت النبي صلى الله عليه وسلم فقل له: ابي يقرىك السلام، وانه جعل لقومه ماىة من الابل على ان يسلموا فاسلموا، وقسم الابل بينهم، وبدا له ان يرتجعها منهم، افهو احق بها ام هم؟ فان قال لك: نعم، او لا، فقل له: ابي شيخ كبير، وهو عريف الماء، وانه يسالك ان تجعل لي العرافة بعده، فاتاه فقال: ابي يقرىك السلام، فقال: وعليك وعلى ابيك السلام، فقال: ابي جعل لقومه ماىة من الابل على ان يسلموا فاسلموا وحسن اسلامهم، ثم بدا له ان يرتجعها منهم، افهو احق بها ام هم؟ فقال: ان بدا له ان يسلمها لهم فليسلمها، وان بدا له ان يرتجعها فهو احق بها منهم، فان هم اسلموا فلهم اسلامهم، وان لم يسلموا قوتلوا على الاسلام، فقال: ان ابي شيخ كبير، وهو عريف الماء، وانه يسالك ان تجعل لي العرافة بعده، فقال: ان العرافة حق، ولا بد للناس من العرفاء، ولكن العرفاء في النار ضعيف


Narrated Ghalib al-Qattan:

Ghalib quoted a man who stated on the authority of his father that his grandfather reported: They lived at one of the springs. When Islam reached them, the master of the spring offered his people one hundred camels if they embraced Islam. So they embraced Islam, and he distributed the camels among them. But it occurred to him that he should take the camels back from them.

He sent his son to the Prophet (ﷺ) and said to him: Go to the Prophet (ﷺ) and tell him: My father extends his greetings to you. He asked his people to give them one hundred camels if they embraced Islam, and they embraced Islam. He divided the camels among them. But it occurred to him then that he should withdraw his camels from them. Is he more entitled to them or we? If he says: Yes or no, then tell him: My father is an old man, and he is the chief of the people living at the water. He has requested you to make me chief after him.

He came to him and said: My father has extended his greetings to you. He replied: On you and you father be peace. He said: My father asked his people to give them one hundred camels if they embraced Islam. So they embraced Islam, and their belief in Islam is good. Then it occurred to him that he should take his camels back from them. Is he more entitled to them or are they?

He said: If he likes to give them the camels, he may give them; and if he likes to take them back, he is more entitled to them than his people. If they embraced Islam, then for them is their Islam. If they do not embrace Islam, they will be fought against in the cause of Islam.

He said: My father is an old man; he is the chief of the people living at the spring. He has asked you to appoint me chief after him.

He replied: The office of a chief is necessary, for people must have chiefs, but the chiefs will go to Hell.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
১৪/ কর, ফাই ও প্রশাসক (كتاب الخراج والإمارة والفىء) 14. Tribute, Spoils, and Rulership (Kitab Al-Kharaj, Wal-Fai' Wal-Imarah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে