পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৩। সালামাহ ইবনু সাখর আল-বায়দী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নারীদের প্রতি এতো অধিক আসক্ত প্রবণ ব্যক্তি যে অন্য কেউ এরূপ আসক্ত নয়। যখন রমাযান মাস সমাগত হলো তখন আমার ভয় হলো যে, হয় তো আমি ভোর বেলায়ও স্ত্রীসঙ্গমে লিপ্ত থাকবো। তাই রমাযান মাস অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত আমি তার সাথে ’যিহার’ করি। এক রাতে সে আমার খেদমত করছিলো। এমন সময় তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে খুলে গেলো যে, আমি স্থির থাকতে পারলাম না। আমি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পড়লাম। ভোর হলে আমি আমার বংশের লোকদের কাছে গিয়ে তাদেরকে আমার ঘটনা জানিয়ে বললাম, তোমরা আমার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে চলো। তারা বললো, না আল্লাহর শপথ! আমরা যাবো না। কাজেই আমি একাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানালাম।
তিনি বললেনঃ এরূপ কান্ড কি তুমি করেছো হে সালামাহ? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমিই করেছি, হে আল্লাহর রাসূল! এভাবে দুইবার বলি। আর আপনি মহান আল্লাহর বিধান আমার উপর কার্যকর করুন আমি ধৈর্যশীল হবো। তিনি বললেনঃ তুমি একটি দাস মুক্ত করো। আমি বলি, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন তাঁর শপথ! আমার কোনো দাস নেই, আমার নিজকে ছাড়া। এ কথা বলে আমি আমার গর্দানের উপর হাত রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একাধারে দু’মাস সওম পালন করো। সে বললো, সওম পালনের কারণেই তো এ সমস্যায় পড়েছি। তিনি বললেনঃ ’এক ওয়াসক’ খেজুর ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াও। সে বললো, সেই সত্ত্বার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছে! গত রাত আমি এবং আমার পরিবার উপোস কাটিয়েছি। কারণ আমাদের কাছে খাবার নেই।
অতঃপর তিনি বললেনঃ তুমি বনু যুরাইকের যাকাত আদায়কারীর নিকট গিয়ে বলো, সে যেন তোমাকে তাদের সাদাকাহ দেয়। তা থেকে ’এক ওয়াসক’ খেজুর ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াবে। আর যা বাকী থাকবে তা তুমি ও তোমার পরিবার খাবে। অতঃপর আমি আমার কওমের লোকদের নিকট ফিরে এসে বলি, আমি তোমাদের কাছে পেয়েছি সংকীর্ণতা ও মন্দ ব্যবহার, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেয়েছি উদারতা ও উত্তম ব্যবহার। তিনি আমাকে তোমাদের সাদাকাহ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। ইবনুল ’আলা অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, ’বায়দাহ’ বনু যুরাইকের একটি শাখা।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلَاءِ: ابْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ عَيَّاشٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ قَالَ: ابْنُ الْعَلَاءِ الْبَيَاضِيُّ قَالَ: كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنَ النِّسَاءِ مَا لَا يُصِيبُ غَيْرِي، فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ مِنَ امْرَأَتِي شَيْئًا يُتَابَعُ بِي حَتَّى أُصْبِحَ، فَظَاهَرْتُ مِنْهَا حَتَّى يَنْسَلِخَ شَهْرُ رَمَضَانَ، فَبَيْنَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ، إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ، فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ، وَقُلْتُ امْشُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: لَا وَاللَّهِ، فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: أَنْتَ بِذَاكَ يَا سَلَمَةُ؟، قُلْتُ: أَنَا بِذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ وَأَنَا صَابِرٌ لِأَمْرِ اللَّهِ، فَاحْكُمْ فِيَّ مَا أَرَاكَ اللَّهُ، قَالَ: حَرِّرْ رَقَبَةً، قُلْتُ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا، وَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِي، قَالَ: فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ، قَالَ: وَهَلْ أَصَبْتُ الَّذِي أَصَبْتُ إِلَّا مِنَ الصِّيَامِ، قَالَ: فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا، قُلْتُ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا وَحْشَيْنِ مَا لَنَا طَعَامٌ، قَالَ: فَانْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ، فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ أَنْتَ وَعِيَالُكَ بَقِيَّتَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي، فَقُلْتُ: وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ، وَسُوءَ الرَّأْيِ، وَوَجَدْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّعَةَ، وَحُسْنَ الرَّأْيِ، وَقَدْ أَمَرَنِي أَوْ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ، زَادَ ابْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ: بَيَاضَةُ بَطْنٌ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ
حسن
Narrated Salamah ibn Sakhr al-Bayadi:
I was a man who was more given than others to sexual intercourse with women. When the month of Ramadan came, I feared lest I should have intercourse with my wife, and this evil should remain with me till the morning. So I made my wife like my mother's back to me till the end of Ramadan. But one night when she was waiting upon me, something of her was revealed. Suddenly I jumped upon her. When the morning came I went to my people and informed them about this matter.
I said: Go along with me to the Messenger of Allah (ﷺ).
They said: No, by Allah. So I went to the Prophet (peace be upon him and informed him of the matter.
He said: Have you really committed it, Salamah? I said: I committed it twice, Messenger of Allah. I am content with the Commandment of Allah, the Exalted; so take a decision about me according to what Allah has shown you.
He said: Free a slave. I said: By Him Who sent you with truth, I do not possess a neck other than this: and I struck the surface of my neck.
He said: Then fast two consecutive months. I said: Whatever I suffered is due to fasting.
He said: Feed sixty poor people with a wasq of dates.
I said: By Him Who sent you with truth, we passed the night hungry; there was no food in our house.
He said: Then go to the collector of sadaqah of Banu Zurayq; he must give it to you. Then feed sixty poor people with a wasq of dates; and you and your family eat the remaining dates. Then I came back to my people, and said (to them): I found with you poverty and bad opinion; and I found with the Prophet (ﷺ) prosperity and good opinion. He has commanded me to give alms to you.
Ibn al-Ala' added: Ibn Idris said: Bayadah is a sub-clan of Banu Zurayq.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৪। খুওয়ইলাহ বিনতু মালিক ইবনু ইবনু সা’লাবাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার সাথে আমার স্বামী আওস ইবনুস সামিত (রাযি.) যিহার করলেন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে অভিযোগ করলাম। তিনি আমার স্বামীর পক্ষ থেকে আমার সাথে বিতর্ক করলেন এবং বললেনঃ আল্লাহকে ভয় করো, সে তো তোমার চাচার ছেলে। মহিলাটি বলেন, আমি সেখান থেকে চলে না আসতেই কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’’নিশ্চয় আল্লাহ ঐ মহিলার কথা শুনতে পেয়েছেন, যে তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বিতর্ক করছে’’ (সূরা আল-মুজাদালাঃ ১) এখান থেকে কাফফারাহ পর্যন্ত অবতীর্ণ হলো। অতঃপর তিনি বললেনঃ সে একটি দাস মুক্ত করবে। মহিলাটি বলেন, তার সে সামর্থ নেই। তিনি বললেনঃ সে একাধারে দু’মাস সওম পালন করবে। মহিলাটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! সে খুবই বৃদ্ধ, সওম পালন করতে অক্ষম। তিনি বললেনঃ তবে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাবে। মহিলাটি বললেন, সাদাকাহ করার মতো পয়সা তার নেই।
মহিলাটি বলেন, এ সময় সেখানে এক ঝুড়ি খুরমা আসলো। তখন আমি (মহিলা) বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ পরিমাণ আর এক ঝুড়ি খুরমা আমি তাকে সহযোগিতা করবো। তিনি বললেনঃ তুমি ভালই বলেছো। তুমি এর দ্বারা তার পক্ষ থেকে ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াও এবং তোমার চাচাতো ভাইয়ের কাছে ফিরে যাও। ইয়াহইয়া ইবনু আদম বলেন, ষাট সা’তে এক ’আরাক হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, মহিলাটি তার স্বামীর নির্দেশ ছাড়াই তার পক্ষ থেকে কাফফারাহ আদায় করেছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, আওস (রাযি.) ছিলেন ’উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাযি.)-এর ভাই।[1]
হাসান, তার এ কথাটি বাদেঃ ’’ষাট সা’তে এক ’আরাক।’’ ইরওয়া (২০৮)।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مَعْمَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ خُوَيْلَةَ بِنْتِ مَالِكِ بْنِ ثَعْلَبَةَ قَالَتْ: ظَاهَرَ مِنِّي زَوْجِي أَوْسُ بْنُ الصَّامِتِ، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْكُو إِلَيْهِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجَادِلُنِي فِيهِ، وَيَقُولُ: اتَّقِي اللَّهَ فَإِنَّهُ ابْنُ عَمِّكِ، فَمَا بَرِحْتُ حَتَّى نَزَلَ الْقُرْآنُ: (قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا) [المجادلة: ١]، إِلَى الْفَرْضِ، فَقَالَ: يُعْتِقُ رَقَبَةً قَالَتْ: لَا يَجِدُ، قَالَ: فَيَصُومُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ شَيْخٌ كَبِيرٌ مَا بِهِ مِنْ صِيَامٍ، قَالَ: فَلْيُطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا، قَالَتْ: مَا عِنْدَهُ مِنْ شَيْءٍ يَتَصَدَّقُ بِهِ، قَالَتْ: فَأُتِيَ سَاعَتَئِذٍ بِعَرَقٍ مِنْ تَمْرٍ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَإِنِّي أُعِينُهُ بِعَرَقٍ آخَرَ، قَالَ: قَدْ أَحْسَنْتِ، اذْهَبِي فَأَطْعِمِي بِهَا عَنْهُ سِتِّينَ مِسْكِينًا، وَارْجِعِي إِلَى ابْنِ عَمِّكِ، قَالَ: وَالْعَرَقُ: سِتُّونَ صَاعًا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: فِي هَذَا إِنَّهَا كَفَّرَتْ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ تَسْتَأْمِرَهُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا أَخُو عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِت
حسن، دون قوله : و العرق ... //، الإرواء (٢٠٨٧)
Narrated Khuwaylah, daughter of Malik ibn Tha'labah:
My husband, Aws ibn as-Samit, pronounced the words: You are like my mother. So I came to the Messenger of Allah (ﷺ), complaining to him about my husband.
The Messenger of Allah (ﷺ) disputed with me and said: Remain dutiful to Allah; he is your cousin.
I continued (complaining) until the Qur'anic verse came down: "Certainly has Allah heard the speech of the one who argues with you, [O Muhammad], concerning her husband..." [58:1] till the prescription of expiation.
He then said: He should set free a slave. She said: He cannot afford it. He said: He should fast for two consecutive months. She said: Messenger of Allah, he is an old man; he cannot keep fasts. He said: He should feed sixty poor people. She said: He has nothing which he may give in alms. At that moment an araq (i.e. date-basket holding fifteen or sixteen sa's) was brought to him.
I said: I shall help him with another date-basked ('araq). He said: You have done well. Go and feed sixty poor people on his behalf, and return to your cousin. The narrator said: An araq holds sixty sa's of dates.
Abu Dawud said: She atoned on his behalf without seeking his permission.
Abu Dawud said: This man (Aws b. al-Samit) is the brother of 'Ubadah b. al-Samit.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৫। ইবনু ইসহাক (রহ.) থেকে এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে আরো আছে, ’আরাক হলো তিরিশ সা’-এর সমান। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু আদমের বর্ণিত হাদীসের চেয়ে অধিকতর বিশুদ্ধ।[1]
হাসান, তার এ কথাটি বাদেঃ ’’ষাট সা’তে এক ’আরাক।’’
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى أَبُو الْأَصْبَغِ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِهَذَا الْإِسْنَادِ نَحْوَهُ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: وَالْعَرَقُ مِكْتَلٌ يَسَعُ ثَلَاثِينَ صَاعًا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ آدَم
حسن، دون قوله (و العرق ...)
A similar tradition has been transmitted by Ibn Ishaq with a different chain of narrators. But in this version he said ‘Araq is a date-basket holding thirty sa’s.
Abu Dawud said “This version is sounder than that of Yahya bin Adam.”
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৬। আবূ সালামাহ ইবনু ’আব্দুর রহমান (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আরাক এমন থলে, যাতে পনের সা’ পরিমাণ ধারণ হয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: يَعْنِي بِالْعَرَقِ: زِنْبِيلًا يَأْخُذُ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا
صحيح
Another version transmitted by Abu Salamah bin ‘Abd Al Rahman has ‘Araq is a date-basket holding fifteen sa’s.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৭। সুলাইমান ইবনু ইয়াসার (রহ.) থেকে উক্ত হাদীস এভাবে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কিছু খেজুর আসে তিনি সবগুলো খেজুর ঐ ব্যক্তিকে দিয়ে দেন, যার পরিমাণ ছিলো প্রায় পনের সা’। তিনি বললেনঃ এগুলো দান করে দাও। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ও আমার পরিবারের লোকদের চাইতে অধিক নিঃস্ব কেউ নেই। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি ও তোমার পরিবারের লোকেরা তা খাও।[1]
হাসান।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، بِهَذَا الْخَبَرِ، قَالَ: فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَمْرٍ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ، وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْ خَمْسَةِ عَشَرَ صَاعًا، قَالَ: تَصَدَّقْ بِهَذَا، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، عَلَى أَفْقَرَ مِنِّي وَمِنْ أَهْلِي؟، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلْهُ أَنْتَ وَأَهْلُكَ
حسن
The tradition mentioned above has been transmitted by Sulaiman bin Yasar. This version has “Then some dates were brought to the Apostle of Allaah(ﷺ) and he gave it him. They measured about fifteen sa’s “. He said “Give them in alms”. He said “Is there anyone needier than I and my family. Apostle of Allaah(ﷺ)?” The Apostle of Allaah(ﷺ) said “Eat them, you and your family.”
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৮। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনু ওয়াযীর আল-মিসরী থেকে ’উবাদাহ ইবনুস সামিতের ভাই আওস (রাযি.) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে পনের সা’ যব দিলেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, বর্ণনাকারী ’আতা’র সাথে আওসের সাক্ষাৎ ঘটেনি। কারণ ’আওস’ (রাযি.) বদরী সাহাবী, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। সুতরাং হাদীসটি মুরসাল।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قَرَأْتُ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ وَزِيرٍ الْمِصْرِيِّ، قُلْتُ لَهُ: حَدَّثَكُمْ بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، عَنْ أَوْسٍ، أَخِي عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ خَمْسَةَ عَشَرَ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ إِطْعَامَ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَعَطَاءٌ لَمْ يُدْرِكْ أَوْسًا، وَهُوَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ قَدِيمُ الْمَوْتِ، وَالْحَدِيثُ مُرْسَلٌ، وَإِنَّمَا رَوَوْهُ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ عَطَاءٍ، أَنَّ أَوْسًا
صحيح
Abu Dawud said “I recited to Muhammad bin Wazir Al Misri and said to him Bishr bin Bakr narrated it to you and Al Auza’i narrated it to us. And he said “At’a narrated it to us on the authority of Aus brother of ‘Ubadah bin Al Samit. The Prophet (ﷺ) gave him fifteen sa’s of wheat to feed sixty poor people.
Abu Dawud said At’a did not meet Aws (bin Al Samit) who was one of the people of Badr and died in the early days of Islam. This version is therefore, mursal (i.e., a successor narrated it directly from the Prophet (ﷺ), the link of the Companions is missing). This has been narrated by Al Auza’i from At’a from Aus.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২১৯। হিশাম ইবনু ’উরওয়াহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। খাওলাহ ছিলেন আওস ইবনুস সামিতের স্ত্রী। আর আওস (রাযি.) সঙ্গমে অধিক সক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। এক সময় তার এ আসক্তি বৃদ্ধি পেলে তিনি তার স্ত্রীর সাথে ’যিহার’ করেন। এই প্রসঙ্গে মহান শক্তিশালী আল্লাহ যিহারের কাফফারাহ সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ করলেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، أَنَّ جَمِيلَةَ كَانَتْ تَحْتَ أَوْسِ بْنِ الصَّامِتِ، وَكَانَ رَجُلًا بِهِ لَمَمٌ، فَكَانَ إِذَا اشْتَدَّ لَمَمُهُ ظَاهَرَ مِنَ امْرَأَتِهِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ كَفَّارَةَ الظِّهَارِ
صحيح
Narrated Hisham b. 'Urwah:
Khawlah was the wife of Aws ibn as-Samit; he was a man immensely given to sexual intercourse. When his desire for intercourse was intensified, he made his wife like his mother's back. So Allah, the Exalted, sent down Qur'anic verses relating to expiation for zihar.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২২০। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকেও এ সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَهُ
صحيح
A similar tradition has been transmitted by A’ishah through a different chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২২১। ইকরিমা (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে যিহার করে তার কাফফারাহ আদায়ের আগেই সহবাসে লিপ্ত হয়। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে বিষয়টি অবতি করলো। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসে তোমাকে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে? সে বললো, চাঁদের আলোয় আমি তার দুই ঊরুর সৌন্দর্য দেখে। তিনি বললেনঃ তোমার যিহারের কাফফারাহ আদায় না করা পর্যন্ত তার থেকে দূরে থাকো।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الطَّالَقَانِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ رَجُلًا ظَاهَرَ مِنَ امْرَأَتِهِ، ثُمَّ وَاقَعَهَا قَبْلَ أَنَّ يُكَفِّرَ، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ؟، قَالَ: رَأَيْتُ بَيَاضَ سَاقِهَا فِي الْقَمَرِ، قَالَ: فَاعْتَزِلْهَا حَتَّى تُكَفِّرَ عَنْكَ
صحيح
Narrated Ikrimah:
A man made his wife like the back of his mother. He then had intercourse with her before he atoned for it. He came to the Prophet (ﷺ) and informed him of this matter. He asked (him): What moved you to the action you have committed? He replied: I saw the whiteness of her shins in moon light. He said: Keep away from her until you expiate for your deed.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২২২। ইকরিমা (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে যিহার করলো। সে চাঁদের আলোয় স্ত্রীর ঊরুর উজ্জলতা দেখতে পেয়ে তার সাথে সঙ্গম করে। অতঃপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলে তিনি তাকে কাফফারাহ দেয়ার নির্দেশ দেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ رَجُلًا ظَاهَرَ مِنَ امْرَأَتِهِ، فَرَأَى بَرِيقَ سَاقِهَا فِي الْقَمَرِ فَوَقَعَ عَلَيْهَا، فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ أَنْ يُكَفِّرَ
صحيح
‘Ikrimah said “A man made his wife like the back of his mother. When he saw the illumination of her shin in the moonlight, he had intercourse with her. He came to the Prophet (ﷺ). He ordered him to atone for it.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২২৩। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। অবশ্য তিনি ’ঊরু’ কথাটি উল্লেখ করেননি।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ، وَلَمْ يَذْكُرِ السَّاقَ
صحيح
A similar tradition has been transmitted by Ibn ‘Abbas from the Prophet (ﷺ) through a different chain of narrators. This version does not mention the word “shin”.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২২৪। ইকরিমা (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে সুফিয়ান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، أَنَّ عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ الْمُخْتَارِ حَدَّثَهُمْ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، حَدَّثَنِي مُحَدِّثٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سُفْيَانَ
صحيح
A tradition similar to that of Sufyan has been transmitted by ‘Ikrimah from the Prophet(ﷺ) through a different chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার
২২২৫। আল-হাকাম ইবনু আবান (রহ.) থেকে এই সনদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনাকারী এই সনদে ইবনু ’আব্বাস (রাযি.)-এর নাম উল্লেখ করেননি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, ইবনু মূসা মা’মার থেকে ... ইকরিমাহর মাধ্যমে ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي الظِّهَارِ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وسَمِعْت مُحَمَّدَ بْنَ عِيسَى يُحَدِّثُ بِهِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ قَالَ: سَمِعْتُ الْحَكَمَ بْنَ أَبَانَ يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَلَمْ يَذْكُرْ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: كَتَبَ إِلَيَّ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، بِمَعْنَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صحيح
Abu Dawud said “I heard Muhammad bin Isa narrating this tradition who said Mu’tamar narrated it to us. And he (Mu’tamar) said “ I heard Al Hakam bin Aban narrating this tradition. He did not mention the name of Ibn ‘Abbas.
Abu Dawud said “Al Hussain bin Huraith wrote to me saying “Al Fadl bin Musa narrated from Ibn ‘Abbas to the same effect from the Prophet(ﷺ).