পরিচ্ছেদঃ ৩৫৭. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়া সম্পর্কে
১৪৭৫। ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনু হাকীম ইবনু হিযামকে সূরাহ আল-ফুরক্বান আমার পড়ার নিয়মের ব্যতিক্রম পড়তে শুনেছি। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে আমাকে তা পড়িয়েছেন। আমি তার উপর ঝাপিয়ে পড়তে চাইলাম। কিন্তু আমি তাকে পড়া শেষ করতে সুযোগ দিলাম। তার সালাত শেষ হলে আমি আমার চাদর দিয়ে তার গলা পেঁচিয়ে ধরে তাকে টেনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে এসে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তাকে সূরাহ আল-ফুরক্বান পড়তে শুনেছি আপনি আমাকে যেভাবে পড়িয়েছেন তার বিপরীতভাবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ আচ্ছা পাঠ করো তো! তখন সে ঐরূপে পড়লো যেভাবে আমি তাকে পড়তে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা এভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তিনি আমাকে বললেনঃ আচ্ছা তুমি পড়ো তো। তখন আমিও পাঠ করলাম। তিনি বললেনঃ এভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং যেভাবে পড়তে সহজ হয় পড়ো।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ : سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ : سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَقْرَأَنِيهَا، فَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ، فَجِئْتُ بِهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَأْ " . فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم "هَكَذَا أُنْزِلَتْ". ثُمَّ قَالَ لِي "اقْرَأْ ". فَقَرَأْتُ فَقَالَ "هَكَذَا أُنْزِلَتْ". ثُمَّ قَالَ " إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ " .
- صحيح : ق
'Umar b. al-Khattab said:
I heard Hisham b. Hakim (b. Hizam) reciting Surah al-Furqan in a different manner from my way of reciting, and the Messenger of Allah (ﷺ) had taught me to recite it. I nearly spoke sharply to him, but I delayed till he had finished. Then I caught his cloak at the neck, and I brought him to the Messenger of Allah (ﷺ). I said: Messenger of Allah, I heard this man reciting Surah al-Furqan in a manner different from that in which you taught me to recite it. The Messenger of Allah (ﷺ) the told him to recite it. He then recited in the manner I heard him recite. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Thus was it sent down. He then said to me: Recite, I recited (it). He then said: Thus was it sent down. He said: The Qur'an was sent down in seven modes of reading, so recite according to what comes most easily.
পরিচ্ছেদঃ ৩৫৭. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়া সম্পর্কে
১৪৭৬। মা’মার (রহঃ) বলেন, ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেছেন, উল্লেখিত বর্ণের পার্থক্য এক একটি বর্ণে সীমিত (অর্থাৎ তা কেবল আক্ষরিক পার্থক্য), এখানে হালাল-হারাম সম্পর্কে কোন বিভেদ নেই।[1]
সহীহ মাক্বতূ’ : মুসলিম।
باب أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ : قَالَ الزُّهْرِيُّ إِنَّمَا هَذِهِ الأَحْرُفُ فِي الأَمْرِ الْوَاحِدِ لَيْسَ تَخْتَلِفُ فِي حَلَالٍ وَلَا حَرَامٍ .
- صحيح مقطوع : م
Al-Zuhri said:
These modes of reading aimed at the same point, not different in respect of lawful and unlawful.
পরিচ্ছেদঃ ৩৫৭. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়া সম্পর্কে
১৪৭৭। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে উবাই! আমাকে কুরআন শিখানো হয়েছে। আমাকে বলা হলো, এক হরফে নাকি দু’ হরফে? তখন আমার সঙ্গী ফিরিশতা বললেন, বলুন, দু’ হরফে। আমি বললাম, দু’ হরফে। অতঃপর আমাকে বলা হলো, দু’ হরফে নাকি তিন হরফে? আমার সঙ্গী ফিরিশতা বললেন, বলুন, তিন হরফে। তখন আমি বললামঃ আমি তিন হরফে (রীতিতে) পাঠ করতে চাই। এভাবে পর্যায়ক্রমে সাত হরফে পৌঁছে। অতঃপর ফিরিশতা বললেন, এর যে কোনো রীতিতে পাঠ করা মুর্খতার নিরাময় এবং সালাতের জন্য যথেষ্ট। অতঃপর বললেন, আপনি সামী’আন, ’আলীমান, ’আযীযান, হাকীমান-এর স্থলে অন্য কোনো সিফাত পরিবর্তন করে পাঠ করলে দোষ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত ’আযাবের আয়াতকে রহমত দিয়ে এবং রহমতের আয়াতকে ’আযাবের আয়াত দিয়ে পরিবর্তন না করা হয়।[1]
সহীহ।
باب أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ الْخُزَاعِيِّ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " يَا أُبَىُّ! إِنِّي أُقْرِئْتُ الْقُرْآنَ فَقِيلَ لِي عَلَى حَرْفٍ أَوْ حَرْفَيْنِ فَقَالَ الْمَلَكُ الَّذِي مَعِي قُلْ : عَلَى حَرْفَيْنِ . قُلْتُ : عَلَى حَرْفَيْنِ. فَقِيلَ لِي عَلَى حَرْفَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ. فَقَالَ الْمَلَكُ الَّذِي مَعِي قُلْ : عَلَى ثَلَاثَةٍ. قُلْتُ عَلَى ثَلَاثَةٍ. حَتَّى بَلَغَ سَبْعَةَ أَحْرُفٍ ثُمَّ قَالَ : لَيْسَ مِنْهَا إِلَا شَافٍ كَافٍ إِنْ قُلْتَ : سَمِيعًا عَلِيمًا عَزِيزًا حَكِيمًا مَا لَمْ تَخْتِمْ آيَةَ عَذَابٍ بِرَحْمَةٍ أَوْ آيَةَ رَحْمَةٍ بِعَذَابٍ " .
- صحيح
Ubayy b. Ka'b reported:
The Prophet (ﷺ) said: "Ubayy, I was asked to recite the Qur'an and I was asked: 'In one mode or two modes?' The angel that accompanied me said: 'Say, in two modes', I said: 'In two modes', I was asked again: 'In two or three modes'. The matter reached up to seven modes. He then said: 'Each mode is sufficiently health-giving, whether you utter 'all-hearing and all-knowing' or instead 'all-powerful and all-wise'. This is valid until you finish the verse indicating punishment on mercy and finish the verse indicating mercy on punishment."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫৭. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়া সম্পর্কে
১৪৭৮। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু গিফারের কূপ বা ঝর্ণার নিকট অবস্থানকালে জিবরাঈল (আ) এসে বললেন, আল্লাহ আপনার উম্মাতকে এক হরফে (রীতিতে) কুরআন পড়ানোর জন্য আপনাকে আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর কাছে তাঁর ক্ষমা ও উদারতা কামনা করি যে, আমার উম্মাত (ভাষা ও আঞ্চলিকতার বিভিন্নতার দরুন) এই এক হরফে পাঠ করতে সক্ষম হবে না। অতঃপর জিবরাঈল দ্বিতীয়বার এসে আগের মতই বললেন। অবশেষে সাত হরফ পর্যন্ত পৌঁছে বললেন, আল্লাহ আপনার উম্মাতকে সাত হরফে কুরআন পড়াতে আপনাকে আদেশ করেছেন। আপনার উম্মাত এর যে কোনো হরফে পড়লেই তাদের পড়া নির্ভুল হবে।[1]
সহীহ।
باب أُنْزِلَ الْقُرْآنُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَ أَضَاةِ بَنِي غِفَارٍ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ: إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَأْمُرُكَ أَنْ تُقْرِئَ أُمَّتَكَ عَلَى حَرْفٍ . قَالَ " أَسْأَلُ اللهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ إِنَّ أُمَّتِي لَا تُطِيقُ ذَلِكَ". ثُمَّ أَتَاهُ ثَانِيَةً فَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا حَتَّى بَلَغَ سَبْعَةَ أَحْرُفٍ قَالَ : إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تُقْرِئَ أُمَّتَكَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ، فَأَيُّمَا حَرْفٍ قَرَءُوا عَلَيْهِ فَقَدْ أَصَابُوا .
- صحيح
Ubayy b. Ka'b said:
The Prophet (ﷺ) was present at the pool of Banu Ghifar, Gabriel came to him and said: "Allah has commanded you to make your community read (the Qur'an) in one harf. He (the Prophet) said: 'I beg Allah His pardon and forgiveness; my community has not strength to do so'. He then came for the second time and told him the same thing till he reached up to seven harfs. Finally, he said: 'Allah has commanded you to make your community read (the Qur'an) in seven harfs; in whichever mode they read, that will be correct.