পরিচ্ছেদঃ ৩২০. যারা বলেন, লাইলাতুল ক্বদর একুশ তারিখের রাতে

১৩৮২। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের মধ্যম দশকে ই’তিকাফ করতেন। এক বছর তিনি এভাবে ইতিকাফ করাকালে একুশ তারিখে তিনি ই’তিকাফ হতে বেরিয়ে বললেনঃ যে ব্যক্তি (মধ্যম দশকে) আমার সাথে ই’তিকাফে শরীক হয়েছে, সে যেন শেষ দশ দিনও ই’তিকাফ করে। আমি লাইলাতুল ক্বদর প্রত্যক্ষ করেছি কিন্তু আমাকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি নিজেকে ক্বদরের রাতের সকালে পানি ও কাদায় সিজদা্ করতে দেখেছি। কাজেই তোমরা শেষ দশকে এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তা অন্বেষণ করো। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, ঐ রাতে আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হলো, তখনকার মাসজিদ খেজুর পাতার চালনীর হওয়াতে ছাদ থেকে পানি পড়ছিলো। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, একুশ তারিখ সকালে আমার চোখ দিয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কপালে ও নাকে কাদামাটি লেগে থাকতে দেখেছি।[1]

সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।

باب فِيمَنْ قَالَ لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوْسَطَ مِنْ رَمَضَانَ فَاعْتَكَفَ عَامًا حَتَّى إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَهِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي يَخْرُجُ فِيهَا مِنَ اعْتِكَافِهِ قَالَ ‏"‏ مَنْ كَانَ اعْتَكَفَ مَعِي فَلْيَعْتَكِفِ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ، وَقَدْ رَأَيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا، وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ مِنْ صَبِيحَتِهَا فِي مَاءٍ وَطِينٍ، فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَالْتَمِسُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ : فَمُطِرَتِ السَّمَاءُ مِنْ تِلْكَ اللَّيْلَةِ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ‏.‏ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ : فَأَبْصَرَتْ عَيْنَاىَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ أَثَرُ الْمَاءِ وَالطِّينِ مِنْ صَبِيحَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ ‏

- صحيح : ق

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن يزيد بن عبد الله بن الهاد، عن محمد بن ابراهيم بن الحارث التيمي، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن ابي سعيد الخدري، قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعتكف العشر الاوسط من رمضان فاعتكف عاما حتى اذا كانت ليلة احدى وعشرين وهي الليلة التي يخرج فيها من اعتكافه قال ‏"‏ من كان اعتكف معي فليعتكف العشر الاواخر، وقد رايت هذه الليلة ثم انسيتها، وقد رايتني اسجد من صبيحتها في ماء وطين، فالتمسوها في العشر الاواخر والتمسوها في كل وتر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو سعيد : فمطرت السماء من تلك الليلة وكان المسجد على عريش فوكف المسجد‏.‏ فقال ابو سعيد : فابصرت عيناى رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى جبهته وانفه اثر الماء والطين من صبيحة احدى وعشرين ‏ - صحيح : ق


Narrated Abu Sa’id Al Khudri :
The Messenger of Allah (ﷺ) used to spend the middle ten days of Ramadan in retirement and devotion (i'tikaf) in the mosque. One year he had retirement and devotion in the mosque (as usual); when the twenty-first night came, and this night when he used to come out his devotion in the mosque, he said: He who has engaged himself in devotion along with me should do so during the last ten days; I saw that night, that was caused to forget it, but I have seen myself prostrating in water and mud on the morning following (that night), so seek it in the last ten days and seek it every night with an odd number. Abu sa'id said: Rain fell that night, the mosque that was thatched building dripped, and my eyes saw the Messenger of Allah (ﷺ) with the traces of water and mud, on his forehead on the morning following the twenty-first night.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২/ সালাত (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ৩২০. যারা বলেন, লাইলাতুল ক্বদর একুশ তারিখের রাতে

১৩৮৩। আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল ক্বদর অন্বেষণ করো এবং তা অন্বেষণ করো নয়, সাত এবং পাঁচের মধ্যে।[1]

আবূ নাদরাহ বলেন, আমি বললাম, হে আবূ সাঈদ! গণনার ব্যাপারে আপনারা আমাদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, তাতো বটেই! আমি জিজ্ঞেস করলাম, নয়, সাত এবং পাঁচ কি? তিনি বললেন, নয় হচ্ছে রমাযানের একুশ তারিখের রাত, সাত হলো তেইশের রাত এবং পাঁচ হলো পঁচিশ তারিখের রাত।

সহীহ : মুসলিম।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের কোন অংশ আমার নিকট অস্পষ্ট কিনা, আমি তা অবহিত নই।

باب فِيمَنْ قَالَ لَيْلَةُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ : وَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ : قُلْتُ يَا أَبَا سَعِيدٍ! إِنَّكُمْ أَعْلَمُ بِالْعَدَدِ مِنَّا ‏.‏ قَالَ أَجَلْ ‏.‏ قُلْتُ : مَا التَّاسِعَةُ وَالسَّابِعَةُ وَالْخَامِسَةُ؟ قَالَ : إِذَا مَضَتْ وَاحِدَةٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا التَّاسِعَةُ وَإِذَا مَضَى ثَلَاثٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا السَّابِعَةُ وَإِذَا مَضَى خَمْسٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا الْخَامِسَةُ ‏.‏

- صحيح : م

قَالَ أَبُو دَاوُدَ : لَا أَدْرِي أَخَفِيَ عَلَىَّ مِنْهُ شَىْءٌ أَمْ لَا

حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا عبد الاعلى، اخبرنا سعيد، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد الخدري، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ التمسوها في العشر الاواخر من رمضان : والتمسوها في التاسعة والسابعة والخامسة ‏"‏ ‏.‏ قال : قلت يا ابا سعيد! انكم اعلم بالعدد منا ‏.‏ قال اجل ‏.‏ قلت : ما التاسعة والسابعة والخامسة؟ قال : اذا مضت واحدة وعشرون فالتي تليها التاسعة واذا مضى ثلاث وعشرون فالتي تليها السابعة واذا مضى خمس وعشرون فالتي تليها الخامسة ‏.‏ - صحيح : م قال ابو داود : لا ادري اخفي على منه شىء ام لا


Narrated AbuSa'id al-Khudri:

The Prophet (ﷺ) said: Seek it (laylat al-Qadr) in the last ten days of Ramadan. Seek it on the ninth, seventh and fifth night. I (AbuNadrah) said: You know counting better than us, AbuSa'id. He said: Yes. I asked: What do you mean by the ninth, seventh and fifth night? He said: When the twenty-first night passes, the night which follows it is the night; when the twenty-third night passes, the night which follows it is the seventh; when the twenty-fifth passes, the night which follows it is the fifth.

Abu Dawud said: I do not know whether anything remained hidden from me or not.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২/ সালাত (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে