পরিচ্ছেদঃ ২৮১. সালাতুল খাওফ (ভয়কালীন সালাত) প্রসঙ্গে

সালাতুল খাওফ (ভয়কালীন সালাত) প্রসঙ্গে

مَنْ رَأَى أَنْ يُصَلِّيَ بِهِمْ وَهُمْ صَفَّانِ فَيُكَبِّرُ بِهِمْ جَمِيعًا، ثُمَّ يَرْكَعُ بِهِمْ جَمِيعًا، ثُمَّ يَسْجُدُ الإِمَامُ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَالآخَرُونَ قِيَامٌ يَحْرُسُونَهُمْ، فَإِذَا قَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ الَّذِينَ كَانُوا خَلْفَهُمْ، ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ إِلَى مَقَامِ الآخَرِينَ وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الأَخِيرُ إِلَى مَقَامِهِمْ، ثُمَّ يَرْكَعُ الإِمَامُ وَيَرْكَعُونَ جَمِيعًا، ثُمَّ يَسْجُدُ وَيَسْجُدُ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ، وَالآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ، فَإِذَا جَلَسَ الإِمَامُ وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَلَّمَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ : هَذَا قَوْلُ سُفْيَانَ

কারো মতে, এ সালাতের পদ্ধতি হচ্ছেঃ ইমাম সকলকে দুই কাতারে ভাগ করে সালাত আরম্ভ করবেন। তারপর তিনি সবাইকে নিয়ে তাকবীর বলবেন, অতঃপর রুকূ’ করবেন। অতঃপর ইমাম তার নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে সিজদা্ করবেন, তখন দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা তাদেরকে পাহারা দিবে। অতঃপর প্রথম কাতারের লোকেরা উঠে দাঁড়ালে দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা সিজদা্ করবে, যারা তাদের পিছনে ছিল। অতঃপর ইমামের নিকটবর্তী কাতারের লোকেরা পিছনে সরে সেই স্থানে যাবে যেখানে দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা দাঁড়িয়েছে। এ সময় পিছনের কাতারের লোকেরা প্রথম কাতারের লোকদের স্থানে আসবে। এরপর সকলে একত্রে রুকূ’ করবে। অতঃপর ইমাম তার নিকটবর্তী কাতারের লোকদের নিয়ে সিজদা্ করবেন। তখন অপর দল তাদেরকে পাহারা দিবে। অতঃপর ইমাম ও তার নিকটবর্তী কাতার বসলে অন্য কাতার সিজদা্ করবে। অতঃপর সকলে একত্রে বসে একসঙ্গে সালাম ফিরাবে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ’সালাতুল খাওফ’ এ পদ্ধতিতে আদায় করা সুফয়ান সওরীর অভিমত।


১২৩৬। আবূ ’আইয়াশ আয-যুরাক্বী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ’উসফান নামক স্থানে ছিলাম। তখন খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ মুশরিকদের সেনাধিনায়ক ছিলেন। আমরা যুহরের সালাত আদায় করলে মুশরিকরা পরস্পর বলাবলি করলো, নিশ্চয় আমরা ধোঁকার মধ্যে আছি, আমরা তো একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছি। তাদের সালাতরত অবস্থায় আক্রমণ করতে পারলে তো (আমাদের নিশ্চিত বিজয়)। এমন সময় যুহর ও ’আসর সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে সালাত ক্বসর সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ হয়। কাজেই ’আসরের ওয়াক্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলামুখী হয়ে সালাতে দাঁড়ান। তখন মুশরিকরা তাঁর সম্মুখে অবস্থান করছিল। (মুসলিমদের) এক জামা’আত কাতারবদ্ধভাবে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে দাঁড়ালো, এবং তার পিছনে দাঁড়ালো দ্বিতীয় কাতার।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ করলে তারাও একসাথে রুকূ’ করলো। অতঃপর তিনি সিজদা্ করলে যে কাতার তাঁর কাছাকাছি ছিল, তারাও সিজদা্ করলো, আর পিছনের কাতার এদেরকে পাহারা দিতে লাগলো। যখন প্রথম কাতার দু’টি সিজদা্ করে দাঁড়ালো তখন তাদের পিছনের কাতারের লোকেরা সিজদা্ করলো। এ পর্যন্ত প্রত্যেক কাতারের লোকদের একটি রুকূ’ ও দু’টি করে সিজদা্ পূর্ণ হলো। অতঃপর প্রথম কাতারের লোকেরা দ্বিতীয় কাতারে সরে এলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ করলে সকলে একত্রে রুকূ’ করলো এবং পিছনের কাতারের লোকেরা তাদেরকে পাহারা দিল। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর কাছাকাছি কাতারের লোকেরা বসলেন, তখন দ্বিতীয় কাতারের লোকেরা সিজদা্ করলো। অতঃপর তারা সবাই বসে পড়লো, এরপর তিনি সবাইকে নিয়ে একত্রে সালাম ফিরালেন। এভাবে তিনি ’উসফান নামক স্থানে সালাত আদায় করলেন। আর এটা ছিল বনূ সুলাইম গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযানকালে তাঁর সালাতুল খাওফ আদায়ের পদ্ধতি।[1]

সহীহ।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আইয়ূব বর্ণনা করেন, হিশাম আবুয যুবাইর হতে জাবির সূত্রে এরূপ অর্থের হাদীস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

সহীহ : মুসলিম।

অনুরূপ বর্ণনা করেছেন দাউদ ইবনু হুসাইন, ’ইকরিমাহ হতে ইবনু ’আব্বাস সূত্রে।

হাসান সহীহ।

অনুরূপভাবে ’আবদুল মালিক ’আত্বা হতে জাবির সূত্রে। একইভাবে ক্বাতাদাহ, হাসান হতে হিত্তান সূত্রে আবূ মূসার কর্মমূলক বর্ণনা।

সহীহ : মুসলিম।

অনুরূপভাবে ’ইকরিমা ইবনু খালিদ বর্ণনা করেছেন মুজাহিদ হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে।

আমি এটি পাইনি।

একইভাবে হিশাম ইবনু ’উরওয়াহ তার পিতা হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে।

সহীহ মুরসাল।

এ নিয়মে সালাতুল খাওফ আদায় করা সুফয়ান সাওরীর অভিমত।

باب صَلَاةِ الْخَوْفِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي عَيَّاشٍ الزُّرَقِيِّ، قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم بِعُسْفَانَ وَعَلَى الْمُشْرِكِينَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فَصَلَّيْنَا الظُّهْرَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ : لَقَدْ أَصَبْنَا غِرَّةً لَقَدْ أَصَبْنَا غَفْلَةً، لَوْ كُنَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمْ وَهُمْ فِي الصَّلَاةِ فَنَزَلَتْ آيَةُ الْقَصْرِ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، فَلَمَّا حَضَرَتِ الْعَصْرُ قَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ وَالْمُشْرِكُونَ أَمَامَهُ، فَصَفَّ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم صَفٌّ وَصَفَّ بَعْدَ ذَلِكَ الصَّفِّ صَفٌّ آخَرُ، فَرَكَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِينَ يَلُونَهُ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا صَلَّى هَؤُلَاءِ السَّجْدَتَيْنِ وَقَامُوا سَجَدَ الآخَرُونَ الَّذِينَ كَانُوا خَلْفَهُمْ ثُمَّ تَأَخَّرَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ، إِلَى مَقَامِ الآخَرِينَ، وَتَقَدَّمَ الصَّفُّ الأَخِيرُ إِلَى مَقَامِ الصَّفِّ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكَعُوا جَمِيعًا، ثُمَّ سَجَدَ وَسَجَدَ الصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ وَقَامَ الآخَرُونَ يَحْرُسُونَهُمْ، فَلَمَّا جَلَسَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالصَّفُّ الَّذِي يَلِيهِ سَجَدَ الآخَرُونَ ثُمَّ جَلَسُوا جَمِيعًا فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ جَمِيعًا، فَصَلَاهَا بِعُسْفَانَ وَصَلَاهَا يَوْمَ بَنِي سُلَيْمٍ ‏.
- صحيح

‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ : رَوَى أَيُّوبُ وَهِشَامٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ هَذَا الْمَعْنَى عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم
- صحيح : م

وَكَذَلِكَ رَوَاهُ دَاوُدُ بْنُ حُصَيْنٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
- حسن صحيح

وَكَذَلِكَ عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ وَكَذَلِكَ قَتَادَةُ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ حِطَّانَ عَنْ أَبِي مُوسَى فِعْلَهُ
- صحيح : م

وَكَذَلِكَ عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم
لم أجده

وَكَذَلِكَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم
- صحيح مرسل

وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ

حدثنا سعيد بن منصور، حدثنا جرير بن عبد الحميد، عن منصور، عن مجاهد، عن ابي عياش الزرقي، قال : كنا مع رسول الله صلي الله عليه وسلم بعسفان وعلى المشركين خالد بن الوليد فصلينا الظهر فقال المشركون : لقد اصبنا غرة لقد اصبنا غفلة، لو كنا حملنا عليهم وهم في الصلاة فنزلت اية القصر بين الظهر والعصر، فلما حضرت العصر قام رسول الله صلى الله عليه وسلم مستقبل القبلة والمشركون امامه، فصف خلف رسول الله صلي الله عليه وسلم صف وصف بعد ذلك الصف صف اخر، فركع رسول الله صلى الله عليه وسلم وركعوا جميعا ثم سجد وسجد الصف الذين يلونه وقام الاخرون يحرسونهم، فلما صلى هولاء السجدتين وقاموا سجد الاخرون الذين كانوا خلفهم ثم تاخر الصف الذي يليه، الى مقام الاخرين، وتقدم الصف الاخير الى مقام الصف الاول ثم ركع رسول الله صلى الله عليه وسلم وركعوا جميعا، ثم سجد وسجد الصف الذي يليه وقام الاخرون يحرسونهم، فلما جلس رسول الله صلى الله عليه وسلم والصف الذي يليه سجد الاخرون ثم جلسوا جميعا فسلم عليهم جميعا، فصلاها بعسفان وصلاها يوم بني سليم ‏. - صحيح ‏ قال ابو داود : روى ايوب وهشام عن ابي الزبير عن جابر هذا المعنى عن النبي صلي الله عليه وسلم - صحيح : م وكذلك رواه داود بن حصين عن عكرمة عن ابن عباس - حسن صحيح وكذلك عبد الملك عن عطاء عن جابر وكذلك قتادة عن الحسن عن حطان عن ابي موسى فعله - صحيح : م وكذلك عكرمة بن خالد عن مجاهد عن النبي صلي الله عليه وسلم لم اجده وكذلك هشام بن عروة عن ابيه عن النبي صلي الله عليه وسلم - صحيح مرسل وهو قول الثوري


Narrated AbuAyyash az-Zuraqi:

We accompanied the Messenger of Allah (ﷺ) at Usfan, and Khalid ibn al-Walid was the chief of unbelievers. We offered the noon prayer.

Thereupon, the unbelievers said: We suffered from negligence; we became careless. We should have attacked them while they were praying. Thereupon the verse was revealed, relating to the shortening of the prayer (in time of danger) between the noon and afternoon (prayer).

When the time of the afternoon prayer came, the Messenger of Allah (ﷺ) stood facing the qiblah, and the unbelievers were standing in front of him. The people stood in a row behind the Messenger of Allah (ﷺ) and there was another row behind this row. The Messenger of Allah (ﷺ) bowed and all of them bowed. He then prostrated and also the row near him prostrated. The other people in the second row remained standing and stood guard over them. When they performed two prostrations and stood up, those who were behind them prostrated. The people in the front row near him then stepped backward taking the place of the people in the second row and the second row took the place of the first row.

The Messenger of Allah (ﷺ) then bowed and all of them bowed together. Then he and the row near him prostrated themselves. The other people in the second row remained standing and stood guard over them. When the Messenger of Allah (ﷺ) and the row near him (i.e. the front row) were seated, the people in the second row behind them prostrated themselves. Then all of them were seated. (He (the Prophet) then uttered the salutation upon all of them. He prayed in his manner at Usfan as well as at the territory of Banu Sulaym.

Abu Dawud said: This tradition has been narrated by Ayyub and Hisham from Abu al-Zubair on the authority of Jabir to the same effect from the Prophet (ﷺ). Similarly, this has been transmitted by Dawud b. Husain from 'Ikrimah, on the authority of Ibn 'Abbas. This has also been reported by 'Abd al-Malik, from 'Ata' from Jabir in like manner. This has also been narrated by Qatadah from al-Hasan from Hittan on the authority of Abu Musa in a similar way. Similarly, this has been reported by 'Ikrimah b. Khalid from Mujahid from the Prophet (ﷺ). This has also been reported by Hisham b. 'Urwah from his father from the Prophet (ﷺ). This is the opinion of al-Thawri.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২/ সালাত (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)