পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৭৮। জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পুত্র ইবরাহীমের মৃত্যুর দিনে সূর্যগ্রহণ হলে লোকজন মন্তব্য করলো, ইবরাহীমের মৃত্যুর কারণেই গ্রহণ লেগেছে। অতঃপর তিনি লোকদেরকে নিয়ে চার সিজদা্ ও ছয় রুকু’সহ সালাত আদায় করেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর বলে সালাত আরম্ভ করে দীর্ঘক্ষণ ক্বিরাআত পড়েন। অতঃপর দাঁড়ানোর অনুরূপ সময় রুকূ’তে অতিবাহিত করেন।
অতঃপর মাথা উঠিয়ে প্রথমবারের চেয়ে কিছুটা কম সময় ক্বিরাআত পড়েন। অতঃপর দাঁড়ানোর অনুরূপ সময় রুকূ’তে অতিবাহিত করেন। অতঃপর মাথা উঠিয়ে তৃতীয়বারের ক্বিরাআত পড়েন যা ছিল দ্বিতীয়বারের চেয়ে কিছুটা কম। অতঃপর তিনি রুকূ’তে গিয়ে দাঁড়ানোর অনুরূপ সময় অতিবাহিত করে মাথা উঠান, অতঃপর সিজদা্ করেন। তিনি দু’টি সিজদা্ করার পর দ্বিতীয় রাক’আতের জন্য দাঁড়ান এবং এ রাক’আতেও তিনি সিজদার পূর্বে তিনটি রুকূ’ করেন। তাঁর দ্বিতীয় রাক’আতের দাঁড়ানোর সময়ও দীর্ঘ ছিল, তবে তা প্রথম রাক’আতের প্রত্যেকটি ক্বিয়ামের চেয়ে কম সময় ছিল এবং রুকু’তে অবস্থানের সময় ছিলো দাঁড়ানোর সমপরিমাণ।
অতঃপর তিনি সালাতের মধ্যেই পেছনের দিকে সরে আসেন, ফলে মুসল্লীদের কাতারগুলোও তাঁর সাথে সাথে সরে গেল। অতঃপর তিনি আবার সস্থানে আসলে সবগুলো কাতার সম্মুখে অগ্রসর হয়। এভাবে তিনি সালাত সমাপ্ত করলেন এবং এ সময়ের মধ্যে সূর্যও গ্রহণমুক্ত হয়ে যায়। অতঃপর তিনি বলেনঃ হে লোকেরা! নিশ্চয় সূর্য ও চন্দ্র মহাপরাক্রমশালী মহান আল্লাহ নিদর্শনসমূহের দু’টি নিদর্শন। কোন ব্যক্তির মত্যুর কারণে এ দু’টির গ্রহণ হয়না। অতএব তোমরা গ্রহণ হতে দেখলে তা গ্রাসমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে। হাদীসের অবশিষ্ট অংশও এভাবে বর্ণিত হয়েছে।[1]
সহীহ : মুসলিম। কিন্ত (ছয় রুকু) কথাটি শায। মাহফূয হচ্ছেঃ (চার রুকু)। যেমন সামনে আসছে।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَكَانَ ذَلِكَ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا كُسِفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ ابْنِهِ صلي الله عليه وسلم فَقَامَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ كَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الثَّالِثَةَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَانْحَدَرَ لِلسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلَا الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا إِلَا أَنَّ رُكُوعَهُ نَحْوٌ مِنْ قِيَامِهِ قَالَ ثُمَّ تَأَخَّرَ فِي صَلَاتِهِ فَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ مَعَهُ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَامَ فِي مَقَامِهِ وَتَقَدَّمَتِ الصُّفُوفُ فَقَضَى الصَّلَاةَ وَقَدْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ بَشَرٍ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ " . وَسَاقَ بَقِيَّةَ الْحَدِيثِ
- صحيح : م لكن قوله : (ست ركعات) شاذ ، والمحفوظ : (أربع ركعات) كما في الطريق التالية ١١٧٩
Narrated Jabir b. Abd Allah:
There was an eclipse of the sun in the time of the Messenger of Allah (ﷺ) had died. The people began to to say that there was an eclipse on account of the death of Ibrahim. The Prophet (ﷺ) stood up and led the people in prayer performing six bowings and four prostrations. he said: Allah is most great, and then recited from the Qur'an and prolonged the recitation. He then bowed nearly as long as he stood. He then raised his head and recited from the Qur'an but it was less than the first (recitation). He then bowed nearly as long as he stood. He then raised his head and then recited from the Quran for the third time, but it was less than the second recitation. He then bowed nearly as long as he stood. he then raised his head and then recited from the Qur'an for the third time, but it was less than the second recitation. he then bowed nearly as long as he stood. Then he raised his head and went down for prostration. he made two prostrations. He then stood and made three bowings before prostrating himself, the preceding bowing being more lengthy than the following, but he bowed nearly as long as he stood. He then stepped back during the prayer and the rows (of the people) too stepped back along with him. Then he stepped forward and stood in his place, and the rows too stepped forward. he then finished the prayer and the sun had become bright. He said: O people, the sun and the moon are two of Allah's signs; they are not eclipsed on account of a man's death. So when you see anything of that nature, offer prayer until the sun becomes bright. The narrator then narrated the rest of the tradition.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৭৯। জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে প্রচন্ড গরমের দিনে সূর্যগ্রহণ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি এতো দীর্ঘ সময় সালাতে দাঁড়িয়ে থাকলেন যে, লোকজন বেহুশ হয়ে পড়ছিল। তিনি দীর্ঘক্ষণ রুকূ’ করলেন। অতঃপর মাথা উঠিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। অতঃপর দু’টি সিজদা্ করলেন। অতঃপর উঠে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাক’আতেও প্রায় প্রথম রাক’আতের অনুরূপ করলেন। এতে পুরো সালাত চার রুকূ’ ও চার সিজদা্ বিশিষ্ট হলো। এরপর বর্ণনাকারী পুরো হাদীস বর্ণনা করেন।[1]
সহীহ : মুসলিম।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ فَكَانَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
- صحيح : م
Narrated Jabir:
There was an eclipse of the sun in the time of the Messenger of Allah (ﷺ) on a hot day. The Messenger of Allah (ﷺ)led his Companions in prayer and prolonged the standing until the people began to fall down. He then bowed and prolonged it; then he raised his head and prolonged (the stay); then he bowed and prolonged it; then he raised his head and prolonged (the stay); then he made two prostrations and then stood up; then he did in the same manner. He thus performed four bowings and four prostrations. Then the narrator narrated the rest of the tradition.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৮০। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ সংঘটিত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের দিকে বের হন। তিনি আল্লাহু আকবার বলে সালাত আরম্ভ করেন এবং লোকজন তাঁর পেছনে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যান। অতঃপর তিনি লম্বা ক্বিরাআত পাঠ করেন, তারপর তাকবীর বলে রুকূ’তে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাতে অতিবাহিত করেন।
এরপর মাথা তুলে ’’সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ্ রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’’ বলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যান। অতঃপর আবার লম্বা ক্বিরাআত পড়েন, তবে তা প্রথমবারের চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। অতঃপর তাকবীর বলে দীর্ঘক্ষণ রুকূ’ করেন, তবে তা প্রথমবারের চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। অতঃপর ’’সামি’আল্লাহু লিমান হামিদা্হ্ রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’’ বলেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করেন। এভাবে তিনি পুরো সালাত চার রুকূ’ ও চার সিজদা্ সহকারে আদায় করেন। সালাত শেষে প্রত্যাবর্তনের পূর্বেই সূর্য গ্রাসমুক্ত হয়ে যায়।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم قَالَتْ خُسِفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ فَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ .
- صحيح : ق
Narrated A'ishah (May Allah be pleased with her):
There was an eclipse of the sun during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ)came tot he mosque; he stood up and uttered the takbir (Allah is great); the people stood in rows behind him; the Messenger of Allah (ﷺ) recited from the Quran for a long time; then he uttered the takbir (Allah is most great) and performed bowing for a long time, then he raised his head and said: Allah listens to him who praises Him; our Lord, and to Thee be praise; then he stood up and recited from the Qur'an for a long time, but it was less than the first (recitation); he then bowed for a long time, but it was less than the first bowing; he then said, Allah listens to him who praises Him; our Lord, and to Thee be praise. he then did so in the second rak'ah. he thus completed four bowings and four prostrations. The sun had become bright before he departed.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৮১। কাসীর ইবনু ’আব্বাস (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় সালাত আদায় করেছেন। অতঃপর অবশিষ্ট বর্ণনা ’উরওয়াহ হতে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তিনি বলেন, তিনি দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেছেন এবং প্রতি রাক’আতে দু’টি করে রুকূ’ করেছেন।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ كَانَ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ يُحَدِّثُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ مِثْلَ حَدِيثِ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ رَكْعَتَيْنِ
- صحيح : ق
Narrated Abd Allah b. 'Abbas:
The Messenger of Allah (ﷺ) prayed at the solar eclipse as reported in the tradition narrated by 'Urwah from Aishah from the Messenger of Allah (ﷺ) that he offered two rak'ahs of prayer bowing twice in each rak'ah.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৮২। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হলে তিনি সাহাবীদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি সালাতে দীর্ঘ সূরাহ তিলাওয়াত করেন। তিনি প্রথম রাক’আতে পাঁচটি রুকূ’ ও দু’টি সিজদা করেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাক’আতে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সূরাহ তিলাওয়াত করেন। তাতেও পাঁচটি রুকূ’ ও দু’টি সিজদা করেন। অতঃপর ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)হমুখী হয়ে বসে দু’আ করতে থাকেন। এমতাবস্থায় সূর্য গ্রাসমুক্ত হয়ে যায়।[1]
দুর্বল।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْفُرَاتِ بْنِ خَالِدٍ أَبُو مَسْعُودٍ الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحُدِّثْتُ عَنْ عُمَرَ بْنِ شَقِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ، - وَهَذَا لَفْظُهُ وَهُوَ أَتَمُّ - عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَإِنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمْ فَقَرَأَ بِسُورَةٍ مِنَ الطُّوَلِ وَرَكَعَ خَمْسَ رَكَعَاتٍ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ الثَّانِيَةَ فَقَرَأَ سُورَةً مِنَ الطُّوَلِ وَرَكَعَ خَمْسَ رَكَعَاتٍ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ جَلَسَ كَمَا هُوَ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ يَدْعُو حَتَّى انْجَلَى كُسُوفُهَا .
- ضعيف
Narrated Ubayy b. Ka'b:
An eclipse of the sun took place in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). The Prophet (ﷺ) led them in prayer. He recited one of the long surahs, bowing five times and prostrating himself twice. He then stood up for the second rak'ah, recited one of the long surahs, bowed five times, prostrated himself twice, then sat where he was facing the qiblah and made the supplication till the eclipse was over.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৮৩। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেন। তিনি তাতে ক্বিরাআত পড়ে রুকূ’ করেন, অতঃপর ক্বিরাআত পড়ে রুকূ’ করেন, পুনরায় ক্বিরাআত পড়ে রুকূ’ করেন, আবার ক্বিরাআত পড়ে রুকূ’ করেন, অতঃপর সিজদা্ করেন এবং দ্বিতীয় রাক’আতেও অনুরূপ করেন। (অর্থাৎ প্রতি রাক’আতে চারটি রুকূ’)।[1]
মুনকার।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ فَقَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ قَرَأَ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ وَالأُخْرَى مِثْلُهَا
- منكر
Narrated Ibn 'Abbas:
The Prophet (ﷺ) prayed at solar eclipse; he recited from the Qur'an and then bowed; then he recited from the Qur'an and then bowed; he then recited from the Qur'an and bowed; he then recited fromt eh Qur'an and bowed. Then he prostrated himself and performed the second rak'ah similar to the first.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৮৫। ক্বাবীসাহ আল-হিলালী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় কাপড় হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে খুব ভয়ের সাথে বের হলেন। তখন আমি তাঁর সাথে মদীনায় ছিলাম। তিনি দু’ রাক’আত সালাত আদায় করালেন এবং এতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর তাঁর সালাত শেষ হলে সূর্য গ্রাসমুক্ত হয়ে যায়। এরপর তিনি বলেন, নিশ্চয় এগুলো হচ্ছে নিদর্শন, মহান আল্লাহ এর মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করেন। সতরাং যখন তোমরা এরূপ দেখবে, তখন এর পূর্বে তোমাদের আদায়কৃত (ফজরের) ফারয সালাতের ন্যায় সালাত আদায় করবে।[1]
দুর্বল।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ الْهِلَالِيِّ، قَالَ كُسِفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ وَأَنَا مَعَهُ يَوْمَئِذٍ بِالْمَدِينَةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَطَالَ فِيهِمَا الْقِيَامَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَانْجَلَتْ فَقَالَ " إِنَّمَا هَذِهِ الآيَاتُ يُخَوِّفُ اللهُ بِهَا فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَصَلُّوا كَأَحْدَثِ صَلَاةٍ صَلَّيْتُمُوهَا مِنَ الْمَكْتُوبَةِ " .
- ضعيف
Narrated Qabisah al-Hilali:
There was an eclipse of the sun in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He came out bewildered pulling his garment, and I was in his company at Medina. He prayed two rak'ahs and stood for a long time in them. He then departed and the sun became bright. He then said: There are the signs by means of which Allah, the Exalted, produces dread (in His servants). When you see anything of this nature, then pray as you are praying a fresh obligatory prayer.
পরিচ্ছেদঃ ২৬২. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সালাতে রুকূ‘ হবে চারটি
১১৮৬। হিলাল ইবনু ’আমির (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। ক্বাবীসাহ আল-হিলালী (রাঃ) তাকে বলেছেন, একদা সূর্যগ্রহণ হয়। অতঃপর মূসা বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। তিনি বলেন, গ্রহণের কারণে সূর্য এমনভাবে আচ্ছন্ন হয়েছিল যে, তারকারাজি পর্যন্ত দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল।[1]
দুর্বল।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَيْحَانُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّ قَبِيصَةَ الْهِلَالِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّ الشَّمْسَ كُسِفَتْ بِمَعْنَى حَدِيثِ مُوسَى قَالَ حَتَّى بَدَتِ النُّجُومُ .
- ضعيف
Narrated Qabisah al Hilali:
The solar eclipse took place... The narrator then narrated the tradition like that of Musa. The narrator again said: Until the stars appear (in the heaven).