পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৬৮। বনী আবুল লাহমের মুক্তদাস উমাইর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’আয-যাওরার’ নিকটবর্তী ’আহজারুয্ যায়িত’ নামক স্থানে ইসতিসকার সালাত আদায় করতে দেখেছেন। তিনি বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে হাত দু’টিকে চেহারার সম্মুখে মাথার উপরিভাগ পর্যন্ত উঠিয়ে দু’আ করেছেন।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، وَعُمَرَ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى بَنِي آبِي اللَّحْمِ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم يَسْتَسْقِي عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ قَرِيبًا مِنَ الزَّوْرَاءِ قَائِمًا يَدْعُو يَسْتَسْقِي رَافِعًا يَدَيْهِ قِبَلَ وَجْهِهِ لَا يُجَاوِزُ بِهِمَا رَأْسَهُ .
- صحيح
Narrated Umayr, the client of AbulLahm:
Umayr saw the Prophet (ﷺ) praying for rain at Ahjar az-Zayt near az-Zawra', standing, making supplication, praying for rain and raising his hands in front of his face, but not lifting them above his head.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৬৯। জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কতিপয় লোক (বৃষ্টি না হওয়ায়) ক্রন্দনরত অবস্থায় এলে তিনি দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে বিলম্বে নয় বরং তাড়াতাড়ি ক্ষতিমুক্ত-কল্যাণময়, তৃপ্তিদায়ক, সজীবতা দানকারী, মুষল ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করো। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তাদের উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায় (এবং বৃষ্টি হয়)।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ أَتَتِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم بَوَاكِي فَقَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُغِيثًا مَرِيئًا نَافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلاً غَيْرَ آجِلٍ " . قَالَ فَأَطْبَقَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ .
- صحيح
Narrated Jabir ibn Abdullah:
The people came to the Prophet (ﷺ) weeping (due to drought). He said (making supplication): O Allah! give us rain which will replenish us, abundant, fertilising and profitable, not injurious, granting it now without delay. He (the narrator) said: Thereupon the sky became overcast.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭০। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসতিস্কা ছাড়া অন্য কোন দু’আতে দু’ হাত উঠাননি। তিনি হাত দু’টিকে এতটুকু উঠাতেন যে, তাঁর বগলদ্বয়ের সাদা অংশ দেখা যেত।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي شَىْءٍ مِنَ الدُّعَاءِ إِلَا فِي الاِسْتِسْقَاءِ فَإِنَّهُ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتَّى يُرَى بَيَاضُ إِبْطَيْهِ .
- صحيح : ق
Narrated Anas:
The Prophet (peace be upon him) was not accustomed to raise his hands in any supplication he made except when praying for rain. He would then raise them high enough so much so that the whiteness of his armpits was visible.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭১। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য এরূপে দু’আ করেছেন। অর্থাৎ তিনি দু’ হাত প্রশস্ত করে দু’ হাতের তালুকে যমীনের দিকে রেখেছেন। এমনকি আমি তাঁর বগলের সাদা অংশ দেখেছি।[1]
সহীহ : মুসলিম সংক্ষেপে।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ يَسْتَسْقِي هَكَذَا يَعْنِي وَمَدَّ يَدَيْهِ وَجَعَلَ بُطُونَهُمَا مِمَّا يَلِي الأَرْضَ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ .
- صحيح : م مختصرا
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) used to make supplication for rain in this manner. he spread his hands keeping the inner side (of hands) towards the earth, so I witnessed the whiteness of his armpits.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭২। মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এ হাদীস আমাকে এমন এক ব্যক্তি অবহিত করেছেন, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’আহজারুয্ যায়িত’ নামক স্থানের সন্নিকটে দু’ হাত প্রশস্ত করে দু’আ করতে দেখেছেন।[1]
সহীহ।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنِي مَنْ، رَأَى النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم يَدْعُو عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ بَاسِطًا كَفَّيْهِ .
- صحيح
Narrated Muhammad b. Ibrahim:
A man who witnessed the Prophet (ﷺ) reported to me that he saw the Prophet (ﷺ) praying at Ahjar al-Zait spreading his hands.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭৩। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে লোকজন অনাবৃষ্টির অভিযোগ পেশ করলে তিনি একটি মিম্বার স্থাপনের নির্দেশ দিলেন। সেটি তাঁর ঈদগাহে রাখা হলো এবং তিনি লোকদেরকে ওয়াদা দিলেন যে, তিনি তাদেরকে নিয়ে একদিন সেখানে যাবেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য উদিত হওয়ার পর বের হয়ে মিম্বারের উপর বসে তাকবীর বলে মহা মহীয়ান আল্লাহর প্রশংসা করেন এবং বলেনঃ তোমরা তোমাদের অনাবৃষ্টির অভিযোগ করেছ। অথচ মহান আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন তোমরা তাকে ডাকো, তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিতে ওয়াদাবদ্ধ।
অতঃপর তিনি বলেনঃ সকল প্রশংসা বিশ্ব জগতের রব আল্লাহর জন্য, যিনি দয়ালু ও অতিশয় মেহেরবান, শেষ বিচারের দিনের মালিক। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করেন। হে আল্লাহ! আপনিই আল্লাহ, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আপনি সম্পদশালী আর আমরা ফকীর ও মুখাপেক্ষী। কাজেই আমাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণ করুন এবং আপনি যা কিছু বর্ষণ করবেন, তদ্দ্বারা আমাদের জন্য প্রবল শক্তি ও প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌছার ব্যবস্থা করে দিন।
অতঃপর তিনি দু’ হাত এতোটা উঁচুৃ করলেন যে, তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা গেলো। অতঃপর হাত উঠানো অবস্থায়ই তিনি লোকদের দিকে স্বীয় পিঠ ঘুরিয়ে দিয়ে চাদরটি উল্টিয়ে নিলেন। এরপর তিনি লোকজনের দিকে ফিরে মিম্বার হতে নেমে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন। এ সময় মহান আল্লাহ এক খন্ড মেঘের আবির্ভাব ঘটালেন, যার মধ্যে গর্জন ও বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বৃষ্টিপাত হলো। এমনকি তিনি মাসজিদ পর্যন্ত আসতে না আসতেই পথঘাট পানিতে প্লাবিত হয়ে গেলো।
যখন লোকজনকে বাড়ি-ঘরের দিকে দৌড়াতে দেখলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে হাসলেন যে, তার সামনের পাটির দাঁত দেখা গেলো। অতঃপর তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চই আল্লাহ সকল বস্তুর উপর ক্ষমতবান এবং আমি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসূল।[1]
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসটি গরীব। তথাপি হাদীসটির সানাদ ভাল।
হাসান।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ نِزَارٍ، حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مَبْرُورٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - قَالَتْ شَكَى النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم قُحُوطَ الْمَطَرِ فَأَمَرَ بِمِنْبَرٍ فَوُضِعَ لَهُ فِي الْمُصَلَّى وَوَعَدَ النَّاسَ يَوْمًا يَخْرُجُونَ فِيهِ قَالَتْ عَائِشَةُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَكَبَّرَ صلي الله عليه وسلم وَحَمِدَ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ قَالَ " إِنَّكُمْ شَكَوْتُمْ جَدْبَ دِيَارِكُمْ وَاسْتِئْخَارَ الْمَطَرِ عَنْ إِبَّانِ زَمَانِهِ عَنْكُمْ وَقَدْ أَمَرَكُمُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ تَدْعُوهُ وَوَعَدَكُمْ أَنْ يَسْتَجِيبَ لَكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " ( الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ * الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ * مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ اللَّهُمَّ أَنْتَ اللهُ لَا إِلَهَ إِلَا أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ لَنَا قُوَّةً وَبَلَاغًا إِلَى حِينٍ " . ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمْ يَزَلْ فِي الرَّفْعِ حَتَّى بَدَا بَيَاضُ إِبْطَيْهِ ثُمَّ حَوَّلَ عَلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ وَقَلَّبَ أَوْ حَوَّلَ رِدَاءَهُ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ وَنَزَلَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَنْشَأَ اللهُ سَحَابَةً فَرَعَدَتْ وَبَرَقَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ بِإِذْنِ اللهِ فَلَمْ يَأْتِ مَسْجِدَهُ حَتَّى سَالَتِ السُّيُولُ فَلَمَّا رَأَى سُرْعَتَهُمْ إِلَى الْكِنِّ ضَحِكَ صلي الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ فَقَالَ " أَشْهَدُ أَنَّ اللهَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ وَأَنِّي عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَقْرَءُونَ ( مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ) وَإِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ حُجَّةٌ لَهُمْ .
- حسن
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The people complained to the Messenger of Allah (ﷺ) of the lack of rain, so he gave an order for a pulpit. It was then set up for him in the place of prayer. He fixed a day for the people on which they should come out.
Aisha said: The Messenger of Allah (ﷺ), when the rim of the sun appeared, sat down on the pulpit, and having pronounced the greatness of Allah and expressed His praise, he said: You have complained of drought in your homes, and of the delay in receiving rain at the beginning of its season. Allah has ordered you to supplicate Him has and promised that He will answer your prayer.
Then he said: Praise be to Allah, the Lord of the Universe, the Compassionate, the Merciful, the Master of the Day of Judgment. There is no god but Allah Who does what He wishes. O Allah, Thou art Allah, there is no deity but Thou, the Rich, while we are the poor. Send down the rain upon us and make what Thou sendest down a strength and satisfaction for a time.
He then raised his hands, and kept raising them till the whiteness under his armpits was visible. He then turned his back to the people and inverted or turned round his cloak while keeping his hands aloft. He then faced the people, descended and prayed two rak'ahs.
Allah then produced a cloud, and the storm of thunder and lightning came on. Then the rain fell by Allah's permission, and before he reached his mosque streams were flowing. When he saw the speed with which the people were seeking shelter, he (ﷺ) laughed till his back teeth were visible.
Then he said: I testify that Allah is Omnipotent and that I am Allah's servant and apostle.
Abu Dawud said: This is a ghraib (rate) tradition, but its chain is sound. The people of Medina recite "maliki" (instead of maaliki) yawm al-din" (the master of the Day of Judgement). But this tradition (in which the word maalik occurs) is an evidence for them.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭৪। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় একবার মদীনাহবাসী দুর্ভিক্ষে পতিত হয়। ঐ সময়ের জুমু’আহর দিন তিনি আমাদের উদ্দেশে খুত্ববাহ দানকালে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রসূল! (অনাবৃষ্টির কারণে) উট-বকরী ইত্যাদি প্রায় ধ্বংসের মুখে। সুতরাং আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণের দু’আ করুন। অতঃপর তিনি হাত প্রসারিত করে দু’আ করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি দু’আ করার পূর্বে পর্যন্ত আকাশ মেঘমুক্ত স্বচ্ছ কাঁচের ন্যায় পরিস্কার ছিল, (দু’আ করার পর) হঠাৎ বায়ু প্রবাহিত হয়ে এক খন্ড মেঘ প্রস্তুত হলো, অতঃপর বিভিন্ন খন্ড একত্র হয়ে আকাশে অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষিত হলো।
এমনকি আমরা বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িঘরে ফিরে এলাম এবং একটানা পরবর্তী জুমু’আহ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে থাকলো। এ জুমু’আহতে ঐ লোক অথবা অন্য কেউ দাঁড়িয়ে বললো, হে আল্লাহর রসূল! (অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে) ঘর-বাড়ি ধসে যাচ্ছে, কাজেই বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। তার কথায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হেসে দু’আ করলেন, (হে আল্লাহ!) আমাদের আশেপাশে বৃষ্টি দাও, আমাদের উপরে নয়।[1]
বর্ণনাকারী বলেন, আমি মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম, তা মদীনার আশেপাশে উঁচু উঁচু সুদৃশ্য চূড়ার মত বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
সহীহ : বুখারী। মুসলিম সংক্ষেপে।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَيُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ أَصَابَ أَهْلَ الْمَدِينَةِ قَحْطٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُنَا يَوْمَ جُمُعَةٍ إِذْ قَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ هَلَكَ الْكُرَاعُ هَلَكَ الشَّاءُ فَادْعُ اللهَ أَنْ يَسْقِيَنَا فَمَدَّ يَدَيْهِ وَدَعَا قَالَ أَنَسٌ وَإِنَّ السَّمَاءَ لَمِثْلُ الزُّجَاجَةِ فَهَاجَتْ رِيحٌ ثُمَّ أَنْشَأَتْ سَحَابَةً ثُمَّ اجْتَمَعَتْ ثُمَّ أَرْسَلَتِ السَّمَاءُ عَزَالِيَهَا فَخَرَجْنَا نَخُوضُ الْمَاءَ حَتَّى أَتَيْنَا مَنَازِلَنَا فَلَمْ يَزَلِ الْمَطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى فَقَامَ إِلَيْهِ ذَلِكَ الرَّجُلُ أَوْ غَيْرُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ فَادْعُ اللهَ أَنْ يَحْبِسَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا " . فَنَظَرْتُ إِلَى السَّحَابِ يَتَصَدَّعُ حَوْلَ الْمَدِينَةِ كَأَنَّهُ إِكْلِيلٌ .
- صحيح : خ ، م مختصرا
Narrated Anas ibn Malik:
The people of Medina had a drought during the time of the Prophet (ﷺ).
While he was preaching on a Friday, a man stood up and said: Messenger of Allah, the horses have perished, the goats have perished, pray to Allah to give us water. He spread his hands and prayed.
Anas said: The sky was like a mirror (there was no cloud). Then the wind rose; a cloud appeared (in the sky) and it spread : the sky poured down the water. We came out (from the mosque after the prayer) passing through the water till we reached our homes. The rain continued till the following Friday. The same or some other person stood up and said: Messenger of Allah, the houses have been demolished, pray to Allah to stop it.
The Messenger of Allah (ﷺ) smiled and said: (O Allah), the rain may fall around us but not upon us. Then I looked at the cloud which dispersed around Medina just like a crown.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭৫। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দু’ হাত স্বীয় চেহারা বরাবর উঠিয়ে দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দাও। অতঃপর পূর্বের হাদীসের অনুরূপ।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম সংক্ষেপে।
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ بِحِذَاءِ وَجْهِهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِنَا " . وَسَاقَ نَحْوَهُ .
- صحيح : ق مختصرا
Narrated The above mentioned tradition has been narrated by Anas through a different chain of transmitters:
The Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands in front of his face and said: O Allah! Give us water. the narrator then reported then reported the tradition like the former.
পরিচ্ছেদঃ ২৬০. ইসতিস্কার সালাতে দু’ হাত উত্তোলন সম্পর্কে
১১৭৬। ’আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) তার পিতা হতে তার দাদা সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য দু’আ করার সময় বলতেনঃ হে আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাদের ও প্রাণীদেরকে পানি দান করুন, আপনার রহমত বিস্তৃত করুন এবং আপনার মৃত শহরকে (শুস্ক ভূমিকে) জীবিত করুন।[1]
হাসান।
এক নজরে ইসতিস্কা সালাতের নিয়মঃ
(ক) পুরাতন কাপড় পরে চাদর গায়ে দিয়ে বিনয়-নম্রচিত্তে সূর্যদয়ের সাথে সাথে ময়দান অভিমুখে রওয়ানা হবেন। সাথে ইমামের জন্য মিম্বার নিতে পারেন। ইমাম মিম্বারে বসে তাকবীর বলবেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করবেন ও লোকদের ইস্তিসকার গুরুত্ব সম্পর্কে ঈমান বর্ধক সামান্য কিছু উপদেশ দিবন। অতঃপর দু‘আ পাঠ করবেন। (বুলুগুল মারাম)
(খ) ইস্তিসকার সালাত প্রথমে আদায় করে পরে দুআ ও অন্যান্য বিষয় সম্পন্ন করা যাবে। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)
(গ) সালাতের ক্বিরাআত হবে স্বরবে। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)
(ঘ) দু‘আর সময় হাত মাথা বরাবর উঁচু করতে হবে। (আবূ দাউদ ও অন্যান্য) এবং হাত উপুরভাবে থাকবে। (সহীহ মুসলিম)
(ঙ) জুমুআহর খুত্ববাহ অবস্থায় খতীব সাহেব মুক্তাদীদের নিয়ে সমবেতভাবে দুই হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করতে পারেন। (সহীহুল বুখারী)
(চ) জীবিত কোন মুত্তাকী পরহেযগার ব্যক্তির মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বৃষ্টি প্রার্থনা করা যাবে। কিন্তু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা অন্য কোন মৃত ব্যক্তির ওয়াসিলাহ দিয়ে নয়। (সহীহুল বুখারী)
(ছ) ইস্তিসকার সালাত জামাআতবদ্ধভাবে আদায় করতে হয়। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)
(জ) ইস্তিসকার খুত্ববাহ সাধারণ খুৎবাহর মত নয়। এটির অধিকাংশ কেবল আকুতিভরা দুআ আর দুআ থাকবে। (বুলুগুল মারাম) {সূত্র : সালাতুর রসূল সাঃ, পৃঃ ১৩৩-১৩৫}
(ঝ) ইস্তিসকা সালাতের কয়েকটি দু‘আঃ
(১) আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল ‘আল-লামীন, আর রহমা-নির রহীম, মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফ‘আলু মা-ইউরীদু। আল্লা-হুম্মা আনতাল্লা-হু লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আনতাল গানিইয়ু ওয়া নাহনুল ফুক্বারা-উ। আনঝিল ‘আলাইনা গাইসা ওয়াজ‘আল মা আনঝালতা ‘আলাইনা কুউওয়াতাঁও ওয়া বালা-গান ইলা-হীন। (আবূ দাউদ)
(২) আল্লাহুম্মাসক্বি ‘ইবাদাকা ওয়া বাহীমাতাকা ওয়ানশুর রহমাতাকা ওয়াহ্ইয়ে বালাদাকাল মাইয়্যিতা। (আবূ দাউদ ও অন্যান্য)
(৩) ‘‘আল্লা-হুম্মা আসক্বিনা গাইসাম মুগীসাম মারীআম মারী‘আ, নাফ‘আন গাইরা যা-ররিনা ‘আ-জিলান গাইরা আজিলিন। (আবূ দাউদ, মিশকাত)
باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الاِسْتِسْقَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ح وَحَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَسْقَى قَالَ " اللَّهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ وَبَهَائِمَكَ وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ وَأَحْىِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ " . هَذَا لَفْظُ حَدِيثِ مَالِكٍ .
- حسن
Narrated 'Amr b. Suh'aib:
On his father's authority, quoted his grandfather as saying: When the Messenger of Allah (ﷺ) prayed for rain, he said: O Allah! Provide water for Your servants and Your cattle, display Your mercy and give life to Your dead land.
This is the wording of Malik.