পরিচ্ছেদঃ ২৪৫. দুই ঈদের সালাত
১১৩৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাতে এসে দেখেন, মদীনাহবাসীরা নির্দিষ্ট দু’টি দিনে খেলাধুলা ও আনন্দ করে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ এ দু’টি দিন কিসের? সকলেই বললো, জাহিলী যুগে আমরা এ দু’ দিন খেলাধুলা করতাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ তোমাদের এ দু’ দিনের পরিবর্তে উত্তম দু’টি দিন দান করেছেন। তা হলো, ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিত্বরের দিন।[1]
সহীহ।
-
এক নজরে ঈদের সালাতের নিয়মঃ
(১) ঈদের সালাত সূর্যদয়ের পরে তাড়াতাড়ি আদায় করা উত্তম। (আহমাদ, বায়হাক্বী) তবে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার আগ পর্যন্ত ঈদের সালাত আদায় করা যায়।
(২) ঈদের সালাতে আযান ও ইক্বামাত দিতে হবে না। (সহীহ মুসলিম, আহমাদ, তিরমিযী)
(৩) ঈদের সালাত দুই রাকআত আদায় করতে হবে। (সহীহুল বুখারী)
(৪) ঈদের সালাত ঈদগাহে আদায় করতে হবে এবং এটাই সুন্নাত। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম) ঝড়-বৃষ্টি ছাড়া বিনা কারণে মসজিদে ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাত বিরোধী কাজ।
(৫) ঈদের দু’ রাকআত সালাতে ১২টি তাকবীর হবে, প্রথম রাক‘আতে ৭ তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে ৫ তাকবীর দিতে হবে এবং প্রত্যেক তাকবীরে হাত উঠাতে হবে। (আবূ দাউদ, হাদীস হাসান, উল্লেখ্য ছয় তাকবীরের হাদীস সহীহ নয়)
(৬) ঈদের সালাত ঈদের খুৎবার পূর্বে হবে। (সহীহুল বুখারী)
(৭) ঈদের সালাতের ক্বিরাআতে সূরাহ আ‘লা, গাশিয়া, কামার এবং সূরাহ ক্বাফ পড়া সুন্নাত। (আবূ দাউদ, তিরমিযী)
(৮) কেউ ঈদের জামা‘আত না পেলে নিজ পরিবার ও আত্নীয়দের নিয়ে দু’ রাক‘আত ক্বাযা করবে এবং তাতে খুত্ববাহর প্রয়োজন নেই। (সহীহুল বুখারী)
باب صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَلَهُمْ يَوْمَانِ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَقَالَ " مَا هَذَانِ الْيَوْمَانِ " . قَالُوا كُنَّا نَلْعَبُ فِيهِمَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللهَ قَدْ أَبْدَلَكُمْ بِهِمَا خَيْرًا مِنْهُمَا يَوْمَ الأَضْحَى وَيَوْمَ الْفِطْرِ "
- صحيح
Narrated Anas ibn Malik:
When the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina, the people had two days on which they engaged in games. He asked: What are these two days (what is the significance)? They said: We used to engage ourselves on them in the pre-Islamic period. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Allah has substituted for them something better than them, the day of sacrifice and the day of the breaking of the fast.