পরিচ্ছেদঃ ২০৭. জুমু‘আহর দিন ও জুমু‘আহর রাতের ফযীলত সম্পর্কে

১০৪৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমু’আহর দিনই হচ্ছে সর্বোত্তম। আদম (আ)-কে এদিনেই সৃষ্টি করা হয়েছিলো। এদিনই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিলো। এদিনই তাঁর তওবা কবুল হয়েছিলো। এদিনই তিনি ইন্তিকাল করেছিলেন এবং এদিনই ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সংঘটিত হবে। জিন ও মানুষ ছাড়া প্রতিটি প্রাণী শুক্রবার দিন ভোর হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামতের ভয়ে ভীত থাকে। এদিন এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, সালাতরত অবস্থায় কোন মুসলিম বান্দা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কোন অভাব পূরণের জন্য দু’আ করলে মহান আল্লাহ তাকে তা দান করেন। কা’ব বললেন, এ সময়টি প্রতি এক বছরে একটি জুমু’আহর দিনে থাকে। আমি (আবূ হুরাইরাহ) বললাম, না, বরং প্রতি জামু’আহর দিনেই থাকে। অতঃপর কা’ব (এর প্রমাণে) তাওরাত পাঠ করে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন, অতঃপর আমি ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করি। সেখানে কা’ব (রাঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, আমি দু’আ কবুলের বিশেষ সময়টি সম্পর্ক জানি। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, আমাকে তা অবহিত করুন। তিনি বলেন, সেটি হলো জুমু’আহর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি (আবূ হুরাইরাহ) বললাম, জুমু’আহর দিনের সর্বশেষ সময় কেমন করে হবে? অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’যে কোন মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় ঐ সময়টি পাবে...।’’ কিন্তু আপনার বর্ণনাকৃত সময়ে তো সালাত আদায় করা যায় না। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননি, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য বসে অপেক্ষা করবে সে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত সালাতরত বলে গণ্য হবে। আবূ হুরাইরাহ বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, তা এরূপই।[1]

সহীহ।

باب فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَلَيْلَةِ الْجُمُعَةِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَا وَهِيَ مُسِيخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينَ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلَا الْجِنَّ وَالإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللهَ حَاجَةً إِلَا أَعْطَاهُ إِيَّاهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ ‏.‏ فَقُلْتُ بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ ‏.‏ قَالَ فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ صَدَقَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَلَامٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبٍ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ قَدْ عَلِمْتُ أَيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ ‏.‏ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ لَهُ فَأَخْبِرْنِي بِهَا ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقُلْتُ كَيْفَ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي ‏"‏ ‏.‏ وَتِلْكَ السَّاعَةُ لَا يُصَلَّى فِيهَا ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ فَهُوَ فِي صَلَاةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ هُوَ ذَاكَ ‏.‏

- صحيح

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن يزيد بن عبد الله بن الهاد، عن محمد بن ابراهيم، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خير يوم طلعت فيه الشمس يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه اهبط وفيه تيب عليه وفيه مات وفيه تقوم الساعة وما من دابة الا وهي مسيخة يوم الجمعة من حين تصبح حتى تطلع الشمس شفقا من الساعة الا الجن والانس وفيه ساعة لا يصادفها عبد مسلم وهو يصلي يسال الله حاجة الا اعطاه اياها ‏"‏ ‏.‏ قال كعب ذلك في كل سنة يوم ‏.‏ فقلت بل في كل جمعة ‏.‏ قال فقرا كعب التوراة فقال صدق النبي صلي الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو هريرة ثم لقيت عبد الله بن سلام فحدثته بمجلسي مع كعب فقال عبد الله بن سلام قد علمت اية ساعة هي ‏.‏ قال ابو هريرة فقلت له فاخبرني بها ‏.‏ فقال عبد الله بن سلام هي اخر ساعة من يوم الجمعة ‏.‏ فقلت كيف هي اخر ساعة من يوم الجمعة وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا يصادفها عبد مسلم وهو يصلي ‏"‏ ‏.‏ وتلك الساعة لا يصلى فيها ‏.‏ فقال عبد الله بن سلام الم يقل رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من جلس مجلسا ينتظر الصلاة فهو في صلاة حتى يصلي ‏"‏ ‏.‏ قال فقلت بلى ‏.‏ قال هو ذاك ‏.‏ - صحيح


Narrated AbuHurayrah:

The Messenger of Allah (ﷺ) said: The best day on which the sun has risen is Friday; on it Adam was created, on it he was expelled (from Paradise), on it his contrition was accepted, on it he died, and on it the Last Hour will take place. On Friday every beast is on the lookout from dawn to sunrise in fear of the Last Hour, but not jinn and men, and it contains a time at which no Muslim prays and asks anything from Allah but He will give it to him. Ka'b said: That is one day every year. So I said: It is on every Friday. Ka'b read the Torah and said: The Messenger of Allah (ﷺ) has spoken the truth. AbuHurayrah said: I met Abdullah ibn Salam and told him of my meeting with Ka'b. Abdullah ibn Salam said: I know what time it is. AbuHurayrah said: I asked him to tell me about it. Abdullah ibn Salam said: It is at the very end of Friday. I asked: How can it be when the Messenger of Allah (ﷺ) has said: "No Muslim finds it while he is praying...." and this is the moment when no prayer is offered. Abdullah ibn Salam said: Has the Messenger of Allah (ﷺ) not said: "If anyone is seated waiting for the prayer, he is engaged in the prayer until he observes it." I said: Yes, it is so.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২/ সালাত (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)

পরিচ্ছেদঃ ২০৭. জুমু‘আহর দিন ও জুমু‘আহর রাতের ফযীলত সম্পর্কে

১০৪৭। আওস ইবনু আওস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমু’আহর দিন। এদিন আদম (আ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিলো, এদিনই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিলো, এদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং এদিনই বিকট শব্দ করা হবে। কাজেই এদিন তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পেশ করা হয়। আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকজন প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রসূল! কি করে আমাদের দরূদ আপনার নিকট পেশ করা হবে? আপনি তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী আওস ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, লোকেরা বুঝাতে চাচ্ছিল আপনার শরীর তো জরাজীর্ণ হয়ে মিশে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাটির জন্য নবী-রসূলগণের দেহকে হারাম করে দিয়েছেন।[1]

সহীহ।

باب فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَلَيْلَةِ الْجُمُعَةِ

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ قُبِضَ وَفِيهِ النَّفْخَةُ وَفِيهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوا عَلَىَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَىَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ يَقُولُونَ بَلِيتَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ ‏"‏ ‏.‏

- صحيح

حدثنا هارون بن عبد الله، حدثنا حسين بن علي، عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر، عن ابي الاشعث الصنعاني، عن اوس بن اوس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان من افضل ايامكم يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه قبض وفيه النفخة وفيه الصعقة فاكثروا على من الصلاة فيه فان صلاتكم معروضة على ‏"‏ ‏.‏ قال قالوا يا رسول الله وكيف تعرض صلاتنا عليك وقد ارمت يقولون بليت ‏.‏ فقال ‏"‏ ان الله عز وجل حرم على الارض اجساد الانبياء ‏"‏ ‏.‏ - صحيح


Narrated Aws ibn Aws:

The Prophet (ﷺ) said: Among the most excellent of your days is Friday; on it Adam was created, on it he died, on it the last trumpet will be blown, and on it the shout will be made, so invoke more blessings on me that day, for your blessings will be submitted to me. The people asked: Messenger of Allah, how can it be that our blessings will be submitted to you while your body is decayed? He replied: Allah, the Exalted, has prohibited the earth from consuming the bodies of Prophets.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওস ইবনু আওস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
২/ সালাত (كتاب الصلاة) 2/ Prayer (Kitab Al-Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে