পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩১৭। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আয়িশাহ্ (রাঃ) এর হারানো হার অনুসন্ধানের জন্য উসাইদ ইবনু হুদাইর এবং তার সাথে আরো কয়েকজনকে পাঠালেন। পথিমধ্যে সালাতের ওয়াক্ত হলে লোকেরা বিনা অযুতেই সালাত আদায় করেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁরা বিষয়টি তাঁকে জানান। তখনই তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল হয়। নুফাইলের বর্ণনায় আরো রয়েছেঃ উসাইদ ইবনু হুদাইর (রাঃ) ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আপনার নিকট অপছন্দনীয় একটি বিষয়ের উপলক্ষেই আল্লাহ মুসলিমদের জন্য এবং আপনার জন্য সহজ একটি বিধান নাযিল করেছেন।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
-
তায়াম্মুম সম্পর্কে যা জানা জরূরীঃ
(ক) তায়াম্মুম পরিচিতিঃ তায়াম্মুম অর্থ সংকল্প করা। ইসলামী পরিভাষায়ঃ পানি না পাওয়া গেলে উযু ও গোসলের পরিবর্তে শারঈ পদ্ধতিতে পাক মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করাকে তায়াম্মুম বলা হয়।
মহান আল্লাহ বলেনঃ যদি তোমরা অসুস্থ হও, কিংবা সফরে থাকো, কিংবা পায়খানা থেকে আসো, অথবা স্ত্রী সহবাস করে থাকো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পাক মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো এবং তোমাদের মুখমণ্ডল
ও দু’ হাত মাসাহ্ করো। (সূরা মায়িদাহ, আয়াত ৬)
(খ) তায়াম্মুমের কারণঃ (১) উযু বা গোসলের জন্য পবিত্র পানি না পাওয়া গেলে (২) পানি পেতে গেলে সালাতের ওয়াক্ত ছুটে যাওয়ার আশংকা হলে (৩) পানি ব্যবহারে রোগ বৃদ্ধির ভয় বা মৃত্যুর আশংকা থাকলে (৪) পানি পেতে গেলে শত্রুর ভয় বা জীবনের ঝুঁকি থাকলে (৫) পিপাসার পানি ফুরিয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে ইত্যাদি। এ সকল কারণে উযু ও ফরয গোসলের পরিবর্তে প্রয়োজনে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তায়াম্মুম করা যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় পাক মাটি মুসলিমদের জন্য উযু স্বরূপ। যদিও দশ বছর পর্যন্ত পানি না পাওয়া যায়। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
(গ) এক নজরে তায়াম্মুম সম্পর্কিত কতিপয় মাসআলাহঃ
(১) মাটি, বালি, পাথুরে মাটি ইত্যাদি মাটি জাতীয় সব ধরণের জিনিসের দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়িয, যদিও তাতে ধূলাবলি না থাকে। কিন্তু ধূলা-মাটিহীন স্বচ্ছ পাথর, কয়লা, কাঠ, মোজাইক, চুন ইত্যাদি দ্বারা তায়াম্মুম করা জায়িয কি না এ নিয়ে মতভেদ আছে। দেয়াল বা অন্য পাক স্থানে যেখানে ধূলাবালি লেগে আছে, সেখানে তাত মেরে তায়াম্মুম করা যায়। কিন্তু দেয়ালে যদি তৈলাক্ত পদার্থ থাকে তবে তাতে তায়াম্মুম করা যাবে না। আর যদি মাটিতে, দেয়ালে বা অন্যত্র ধূলা না পাওয়া যায়, তাহলে কোনো পাত্রে বা রুমালে ধূলা নিয়ে তাতে হাত মেরে তায়াম্মুম করা যাবে।
(২) পানির দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমে যেসব কাজ করা যয় তায়াম্মুম দ্বারাও সেসব কাজ করা যাবে। যেমন, সালাত আদায়, কুরআন পড়া ও স্পর্শ করা, মসজিদে প্রবেশ ইত্যাদি। (নায়লুল আওত্বার, ১/৩১১)।
(৩) যেসব কারণে উযু ভঙ্গ হয় সেসব কারণে তায়াম্মুমও ভঙ্গ হয়। তায়াম্মুম অবস্থায় পানি পাওয়া গেলে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যাবে। উযু ও গোসলের পরিবর্তে যে তায়াম্মুম করতে হয় তার নিয়ম একই। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। (আইনী তুহফা)।
(৪) তায়াম্মুম করে সালাত আদায়ের পর ওয়াক্তের মধ্যে পানি পাওয়া গেলে পুনরায় ঐ সালাত আদায় করতে হবে না। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী, দারিমী)।
(৫) তায়াম্মুম করে ইমামতি করা যাবে। যেমন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) করেছেন- (সহীহুল বুখারী)। অধিকাংশ ‘আলিমের (জমহুর ‘উলামার) মতেও তায়াম্মুম করে উযু কারীদের সালাতে ইমামতি করা জায়িয। (‘উমদাতুল ক্বারী)।
(৬) পাক মাটি বা পানি কিছুই না পাওয়া গেলে বিনা উযুতেই সালাত আদায় করবে- (সহীহুল বুখারী)। তবে এ সালাতের ক্বাযা করতে হবে কি না এ নিয়ে মতভেদ আছে।
(৭) তায়াম্মুম নষ্ট না হলেও প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য তায়াম্মুম করা জায়িয। এরূপ করাকে কেউ ওয়াজিব এবং কেউ মুস্তাহাব বলেছেন।
(৮) জুনুবী ব্যক্তি যখমী হলে যদি ক্ষত বৃদ্ধির ভয় থাকে কিংবা প্রচন্ড শীতে ঠান্ডা লাগার আশংকা থাকে তাহলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে। (আবূ দাঊদ, দারাকুতনী, আহমাদ, নায়লুল আওত্বার, ই‘লাউস সুনান)।
(৯) যে ব্যক্তির কাছে পানি নেই তার জন্যও সহবাস করার অনুমতি আছে। (ত্বাবারানী, ইবনু হিব্বান, দারাকুতনী, নায়লুল আওত্বার)।
(১০) যে ব্যক্তি আখিরী ওয়াক্তে পানি পাওয়ার আশাবাদী, তার জন্য আওয়াল ওয়াক্তে তায়াম্মুম করা জায়িয। (মালিক, ই‘লাউস সুনান)।
(১১) যে ব্যক্তি ওয়াক্তের মধ্যেই পানি পাওয়ার আশাবাদী, তার জন্য বিলম্বে তায়াম্মুম করা উত্তম। (দারাকুতনী, ‘আলীর মাওকূফ বর্ণনা, ই‘লাউস সুনান)।
(১২) উযু করতে যাওয়ার কারণে যদি জানাযার সালাত ছুটে যাওয়ার আশংকা হয়, তাহলে এ অবস্থায় তায়াম্মুম করা জায়িয আছে কি না এ সম্পর্কে ফাক্বীহদের মধ্যে মতভেদ আছে। ইমাম আবূ হানিফা, সুফিয়ান, আওযাঈ ও একদল ফাক্বীহদের মত হচ্ছে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করা জায়িয আছে। কিন্তু ইমাম মালিক, ইমাম শাফিঈ ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ও একদল ফাক্বীহের মত হচ্ছে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করা যাবে না। (বিদায়াতুল মুজতাহিদ, অনুচ্ছেদ-জানাযার সালাত, এং অন্যান্য)।
(১৩) কেউ অসুস্থতার কারণে নিজে নিজে উযু বা তায়াম্মুম করতে অসমর্থ হলে অন্য কেউ তাকে উযু বা তায়াম্মুম করিয়ে দিবে।
(ঘ) তায়াম্মুমের পদ্ধতিঃ পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যাতে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে পবিত্র মাটির উপর একবার দু’ হাত মেরে তাতে ফুঁক দিয়ে মুখমণ্ডল
ও দু’ হাতের কব্জি পর্যন্ত একবার মাসাহ্ করতে হবে। (দেখুন, সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, সহীহ আবূ দাঊদ, মিশকাত ও অন্যান্য)
উল্লেখ্য তায়াম্মুমে মাটিতে দু’ বার হাত মারা এবং দু’ হাতের কনুই বা বগল পর্যন্ত মাসাহ্ করা সম্পর্কে যেসব বর্ণনা এসেছে সেগুলো সহীহ নয়। হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে এবং ইমাম শাওকানী (রহঃ) ‘আস-সায়লুল জাররার’ গ্রন্থে বলেনঃ "তায়াম্মুম সম্পর্কে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত দু’টি সহীহ হাদীস ছাড়া বাকী সমস্ত হাদীসগুলোই হয় যঈফ (দুর্বল) না হয় গাইরে মারফূ (যার সানাদ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছায় না।) সুতরাং ঐ হাদীসগুলোর উপর ‘আমল করা ঠিক নয়।" (দেখুন, মির‘আতুল মাফাতীহ ১/৩৪৬)।
ইমাম ইবনু হায্ম (রহঃ) বলেন, তায়াম্মুমে দু’ বার হাত মারা সংক্রান্ত সমস্ত হাদীসগুলোই অচল। তাই ঐগুলোর দ্বারা দলীল পেশ করা জায়িয নয়। (দেখুন, আল-মুহাল্লা ২/১৪৯)।
‘আম্মার ইবনু ইয়াসার বর্ণিত হাদীসটির ব্যাখ্যায় হানাফী মুহাদ্দিস আহমাদ ‘আলী সাহারানপুরী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস প্রমাণ করে, তায়াম্মুমের মার চেহারা ও দু’ কব্জির জন্য মাত্র একবার। (দেখুন, বুখারীর ৫০ পৃষ্ঠায় ২নং টীকা)।
‘আল্লামা ‘আবদুল হাই লাখনৌভী হানাফী (রহঃ) বলেন, তায়াম্মুমে মাটিতে দু’ বার হাত মারা ও তাতে কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করা সম্পর্কে হাকিম ইবনু আদী, দারাকুতনী ও বাযযার প্রমূখ যা বর্ণনা করেছেন তার অধিকাংশ সূত্রই যঈফ। (দেখুন, শারহু বিক্বায়্যাহ, ৫৯ পৃষ্ঠা ৩নং টীকা)।
ইমাম হাসান (রহঃ) ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তায়াম্মুমের হাত মাসাহ্ কব্জি পর্যন্ত হবে (কনুই পর্যন্ত নয়)। সাহাবী ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকেও এটাই বর্ণিত আছে। (দেখুন, হিদায়া ১/৩৪, ৩নং টীকা)।
হানাফী মাযহাবের দ্বিতীয় ইমাম হিসেবে খ্যাত ইমাম আবূ ইউসূফ (রহঃ)ও মাটিতে একবার হাত মারার পক্ষে।
অতএব তায়াম্মুমে মাটিতে হাত মারা দু’ বার নয় বরং একবার এবং হাত মাসাহ্ কনুই বা বগল পর্যন্ত নয় বরং কব্জি পর্যন্ত। এটাই সহীহ।
তায়াম্মুমের পদ্ধতি সম্পর্কে তিনটি মত ও সেসব মতের পক্ষে দলীলঃ
প্রথম পক্ষের অভিমতঃ একবার হাত মেরে চেহারা ও হাতের কব্জিদ্বয় মাসাহ্ করা। এর দলীলঃ ‘আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) বর্ণনা করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়াম্মুম সম্পর্কে বলেনঃ ‘‘চেহারা ও হস্তদ্বয়ের জন্য একবার হাত মারবে।’’ (আহমাদ, আবূ দাঊদ) অন্য শব্দে রয়েছেঃ ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিয়েছেন।’’ (তিরমিযী, তিনি একে সহীহ বলেছেন, আহমাদ, দারিমী, তিনি এর সানাদকে সহীহ বলেছেন, দারাকুতনী, ত্বাহাভী, বায়হাক্বী, আবূ দাঊদ, আলবানীও একে সহীহ বলেছেন)।
সহীহুল বুখারী ও মুসলিমে রয়েছেঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার জন্য এটুকুই যথেষ্ট... এ বলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ হাত মাটিতে মারলেন এবং দু’ হাতে ফুঁ দিয়ে তাঁর চেহারা ও উভয় হাত মাসাহ্ করলেন।
দারাকুতনীতে রয়েছেঃ ‘‘তুমি তোমার হস্তদ্বয় মাটিতে মেরে তাতে ফুঁ দিবে। অতঃপর তোমার চেহারা ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসাহ্ করবে।’’
আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, জেনে রাখুন, হাদীসটি ‘আম্মার সূত্রে ‘দু’ বার হাত মারা’ শব্দেও বর্ণিত হয়েছে, যেমন এর কতিপয় সূত্রে ‘কনুই পর্যন্ত’ কথাটি রয়েছে। কিন্তু এ সবের প্রত্যেকটিই ত্রুটিযুক্ত, এর কোনটিই সহীহ নয়। হাফিয ‘আত-তালখীস’ গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘ইবনু ‘আব্দুল বার (রহঃ) বলেন, ‘আম্মার সূত্রের অধিকাংশ মারফূ হাদীসেই একবার হাত মারার কথা বর্ণিত হয়েছে।’’ এছাড়া তার সূত্রে দু’ বার হাত মারা সম্পর্কে যেসব বর্ণনা এসেছে সেগুলোর প্রত্যেকটিই মুযতারিব...।’’ আর ত্বাবারানী আওসাতে বর্ণিত হাদীস। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আম্মারকে বললেন, ‘‘তোমার জন্য এটুকু যথেষ্ট যে, তুমি একবার চেহারার জন্য এবং আরেকবার দু’ কব্জির জন্য হাত মারবে।’’ এর সনদে ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবূ ইয়াহইয়া রয়েছে। তিনি দুর্বল। যদিও তা ইমাম শাফিঈর নিকট একটি দলীল ছিলো। সুতরাং প্রমাণিত হলো, চেহারা ও উভয় কব্জির জন্য তায়াম্মুমে একবার হাত মারতে হবে। এ মত গ্রহণ করেছেন, ‘আত্বা, আওযাঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বাল, সাদিক ও অন্যান্যরা। হাফিয ফাতহুল বারীতে বলেনঃ ইবনুল মুনযির এ মতটি জমহুর ‘উলামা থেকে নাক্বল করেছেন এবং একেই গ্রহণ করেছেন, আর এটাই হচ্ছে অধিকাংশ হাদীস বিশারদগণের অভিমত।
দ্বিতীয় পক্ষের অভিমতঃ দু’ বার হাত মেরে উভয় হাত কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করা। একে সমর্থন করেছেন আবূ হানিফা, মালিক, সুফিয়ান সাওরী ও আরো অনেকে। এর পক্ষে পেশকৃত দলীলসমূহঃ (১) ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত মারফূ হাদীসঃ ‘‘তায়াম্মুমে দু’ মার, একবার চেহারার জন্য, আরেকবা দু’ হাতের কনুই পর্যন্ত (মাসাহ্ করার) জন্য।’’ এটি বর্ণনা করেছেন দারাকুতনী, হাকিম ও বায়হাক্বী। এর সনদের ‘আলী ইবনু যাবইয়ান রয়েছে। তার সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী বলেন, তাকে ইয়াহইয়া কাত্তান, হুশাইম ও অন্যরা সিক্বাহ বলেছেন। হাফিয বলেন, তিনি দুর্বল, তাকে ইবনু কাত্তান, ইবনু মাঈন ও একাধিক ইমাম দুর্বল বলেছেন। (২) ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে আরেকটি হাদীসঃ আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তায়াম্মুম করেছি। আমরা পবিত্র মাটির উপর একবার হাত মেরে তাতে ফুঁ দিয়ে তদ্বারা আমাদের চেহারা মাসাহ্ করেছি। অতঃপর আরেকবার হাত মেরে কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করেছি।’’ এর সনদে সুলায়মান ইবনু আরকাম হাদীস বর্ণনায় মাতরূক।
(৩) ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে ভিন্ন সনদে বর্ণিত আরেকটি হাদীস রয়েছে। আর শব্দাবলী যাবইয়ানের বর্ণনার অনুরূপ। ইমাম আবূ যুর‘আহ বলেন, হাদীসটি বাতিল। (৪) দারাকুতনী ও হাকিমে বর্ণিত জাবির সূত্রের হাদীস। ইবনুল জাওযী বলেন, এর সনদে ‘উসমান ইবনু মুহাম্মাদ সমালোচিত ব্যক্তি। হাফিয ইবনু হাজার ‘আত-তালখীস’ গ্রন্থে বলেন, ইবনুল জাওযী এতে ভুলে পতিত হয়েছেন। ইবনু দাক্বীকুল ঈদ বলেন, ‘উসমান ইবনু মুহাম্মাদ সম্পর্কে কেউ আপত্তি করেননি, তবে তার বর্ণনাটি শায। ইমাম দারাকুতনী জাবিরের হাদীস বর্ণনার পর বলেন, প্রত্যেক বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য, তবে সহীহ মতে বর্ণনাটি মাওকূফ (মারফূ নয়)। [উল্লেখ্য হাকিম ও যাহাবী এ হাদীস বর্ণনার পর চুপ থেকেছেন। অথচ ই‘লাউস সুনানে রয়েছে, হাকিম ও যাহাবী এর সানাদকে সহীহ বলেছেন, যা একটি ভুল তথ্য।] (৫) অন্য অনুচ্ছেদে আসলা ইবনু শুরাইক সূত্রের বর্ণনা। যা বর্ণনা করেছেন ত্বাবারানী ও দারাকুতনী। এর সনদে রাবী‘ ইবনু বাদর রয়েছে। তিনি দুর্বল। ইমাম বায়হাক্বী বলেছেন, তিনি দুর্বল। ইমাম নাসায়ী ও ইমাম দারাকুতনী তাকে মাতরূক বলেছেন।
(৬) ত্বাবারানীতে বর্ণিত আবূ উমামাহ্ সূত্রের হাদীস। হাফিয বলেন, এর সানাদ দুর্বল। (৭) ‘আয়িশাহ সূত্রে মারফূ হাদীস। যা বর্ণনা করেছেন বাযযার ও ইবনু ‘আদী। এতে হারীশ ইবনু খিররিত একক হয়ে গেছেন। তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। আবূ হাতিম বলেন, তার হাদীসটি মুনকার। (৮) বাযযারে বর্ণিত ‘আম্মার সূত্রের হাদীস। ইতিপূর্বে জেনেছেন যে, তার সূত্রে বর্ণিত সহীহ হাদীসসমূহে একবার হাত মারার কথা রয়েছে। (৯) অন্য অনুচ্ছেদে ইবনু ‘উমার সূত্রে বর্ণিত আরেকটি মারফূ হাদীসঃ ‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়াম্মুমে দু’ বার হাত মেরেছেন। যার একবারের দ্বারা চেহারা মাসাহ্ করেছেন।’’ এটি আবূ দাঊদ দুর্বল সনদে বর্ণনা করেছেন। কেননা এর মূল বিষয় বর্তায় মুহাম্মাদ ইবনু সাবিতের উপর। তাকে ইবনু মাঈন, আবূ হাতিম, ইমাম বুখারী ও আহমাদ দুর্বল বলেছেন। অতএব এতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হলো যে, তায়াম্মুমে দু’ বার হাত মারার হাদীসগুলোর সমস্ত সূত্রই সমালোচিত। যার কোনটিই সমালোচনা মুক্ত নয়। যদি সহীহ হতো তাহলে তাতে বর্ণিত বর্ধিতাংশ গ্রহণ করা যেতো। সুতরাং হক হচ্ছে, সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে প্রমাণিত ‘আম্মার (রাঃ)-এর হাদীসে বর্ণিত সংক্ষেপে ‘একবার হাত মারা’ এর উপর সীমাবদ্ধ থাকা, যতক্ষণ না ঐ বর্ধিতাংশ সহীহভাবে প্রমাণিত হয়। আর তারা কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করার দলীলও ইবনু উমারের হাদীস থেকে গ্রহণ করেছেন। এ সংক্রান্ত বর্ণনা যে দলীলযোগ্য নয় তা ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কেউ কেউ তায়াম্মুমকে উযুর উপর কিয়াস করেও দলীল পেশ করেন। কিন্তু এরূপ কিয়াস বাতিল ও অকেজো।
তৃতীয় পক্ষের অভিমতঃ মাটিতে তিনবার হাত মারা ওয়াজিব। একবার মুখের জন্য, একবার কব্জিদ্বয়ের জন্য, আরেকবার দু’ হাতের কনুইয়ের জন্য। ইবনু সীরীন ও ইবনুল মুসাইয়্যিব এ মতের সমর্থক। কিন্তু তারা কিভাবে একে ওয়াজিব বলবেন তা বোধগম্য নয়। বরং ইমাম ইয়াহইয়া বলেন, এমন কোনো দলীল নেই যা দ্বারা তায়াম্মুমে তিনবার হাত মারা মুস্তাহাব হওয়া প্রমাণ করবে (ওয়াজিব হওয়া তো দূরের কথা)। আল্লামা শাওকানী বলেন, এ কথাই সঠিক।
হাফিয ইবনু হাজার (রহঃ) ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘কতই না সুন্দর কথা, যিনি বলেছেন, তায়াম্মুমের পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসমূহের মধ্যে ‘আম্মার ও আবূ জুহাইমের হাদীস ছাড়া কোনটিই সহীহ নয়। তাঁদের দু’ জন ব্যতীত অন্য সকল বর্ণনা হয় দুর্বল, নতুবা মারফূ ও মাওকূফ হওয়ার ব্যাপারে মতভেদপূর্ণ। প্রাধান্যযোগ্য কথা হচ্ছে, ঐ বর্ণনাগুলো মারফূ নয়। আবূ জুহাইমের হাদীসে সংক্ষেপে হাতের কথা উল্লেখ রয়েছে। আর ‘আম্মার বর্ণিত হাদীসে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় উভয় হাতের কব্জির কথা, সুনান গ্রন্থে কনুইদ্বয়ের কথা, এবং কোনো বর্ণনায় বাহুর অর্ধেক ও কোনো বর্ণনায় বগল পর্যন্ত মাসাহের কথা এসেছে। এগুলোর মধ্যে উভয় হাতের কনুই এবং বাহুর অর্ধেক পর্যন্ত মাসাহ্ করা- এ উভয় বর্ণনা সমালোচিত ও মতবিরোধপূর্ণ। আর বগল পর্যন্ত মাসাহ্ সংক্রান্ত বর্ণনার ব্যাপারে ইমাম শাফিঈ ও অন্যরা বলেছেন, তা মানসূখ। যদি এরূপ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তায়াম্মুমের পদ্ধতি সম্পর্কে সহীহভাবে যেসব বর্ণনা এসেছে সেগুলো এর রহিতকারী। আর যদি এরূপ অন্য কারো নির্দেশে হয়ে থাকে তাহলে অন্যের চেয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশই দলীল হিসেবে অগ্রগণ্য। আর সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত সংক্ষেপে মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত মাসাহ করা সংক্রান্ত বর্ণনাকে আরো মজবুত করছে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর স্বয়ং ‘আম্মার কর্তৃক এ বিষয়ে অনুরূপ ‘মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত’ মাসাহ্ করার ফাতাওয়াহ প্রদান। হাদীসের বর্ণনাকারীই অন্যদের চেয়ে হাদীসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। বিশেষ করে তিনি ছিলেন একজন মুজতাহিদ সাহাবী (রাঃ)।’’
সুতরাং হক প্রথম পক্ষের অনুরূপ। আর এতে সন্দেহ নেই যে, বর্ধিত অংশ সম্বলিত হাদীস গ্রহণযোগ্য হবে, তবে শর্ত হচ্ছে, যদি তা দলীলের উপযুক্ত হয় ও তার দ্বারা দলীল নেয়া নিরাপদ হয়। কিন্তু বর্ণিত অংশ সম্বলিত বর্ণনায় তেমন কিছুই নেই যা একে দলীলযোগ্য করবে। (দেখুন, নায়লুল আওত্বার, ফাতহুল বারী, ইরওয়া ও অন্যান্য)।
সতর্কীকরণঃ অন্যতম প্রসিদ্ধ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘ইসলামিক সেন্টার’ কর্তৃক প্রকাশিত তিরমিযীর প্রথম খন্ডের ১৩৯ নং হাদীসটি সঠিকভাবে অনুবাদ করার পর হাদীস বর্ণনার শেষে ইমাম তিরমিযীর উপস্থাপিত ভাষ্য অনুবাদের ক্ষেত্রে তিন জায়গায় ভুল করা হয়েছে। তাতে অনুবাদ করা হয়েছেঃ (১) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, ‘চেহারা ও উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত, তায়াম্মুম করার হাদীসটি সহীহ। (২) ‘আম্মার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তায়াম্মুম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিলেন। (৩) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর ‘আম্মার ‘মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত’ তায়াম্মুম করার ফতোয়াই দিয়েছেন।’ এটা ভুল অনুবাদ। কেননা ইমাম তিরমিযী এসব স্থানে (مرفقين) ‘‘কনুই পর্যন্ত’’ শব্দ উল্লেখ করেননি বরং উল্লেখ করেছেন (كفين) ‘‘কব্জি পর্যন্ত’’ শব্দ। সকল অভিধানেই (كف) এর অর্থ করা হয়েছে ‘কব্জি।’ কিন্তু তারা তো মূল হাদীস অনুবাদে (كفين) শব্দের অর্থ ‘কব্জি’ পর্যন্ত করেছেন। তাহলে এসব স্থানে কেন বিপরীত করলেন! আশা করছি পরবর্তী সংস্করণে ইসলামিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশোধন করবেন। অতএব তিরমিযীতে বর্ণিত ঐ ভাষ্যগুলোর সঠিক অনুবাদ হবে এভাবেঃ ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, ‘চেহারা ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত’ তায়াম্মুম করার হাদীসটি হাসান সহীহ। (২) ‘আম্মার (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তায়াম্মুম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিলেন। (৩) রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর ‘আম্মার (রাঃ) ‘মুখমণ্ডল
ও উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত’ তায়াম্মুম করার ফতোয়াই দিয়েছেন। আর এতে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, তিনি শেষ পর্যন্ত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক অবিচল থেকেছেন।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ وَأُنَاسًا مَعَهُ فِي طَلَبِ قِلَادَةٍ أَضَلَّتْهَا عَائِشَةُ، فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّوْا بِغَيْرِ وُضُوءٍ، فَأَتَوُا النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَأُنْزِلَتْ آيَةُ التَّيَمُّمِ، زَادَ ابْنُ نُفَيْلٍ فَقَالَ لَهَا أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ يَرْحَمُكِ اللهُ مَا نَزَلَ بِكِ أَمْرٌ تَكْرَهِينَهُ إِلَّا جَعَلَ اللهُ لِلْمُسْلِمِينَ وَلَكِ فِيهِ فَرَجًا .
- صحيح : ق
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) sent Usayd ibn Hudayr and some people with him to search the necklace lost by Aisha. The time of prayer came and they prayed without ablution. When they returned to the Prophet (ﷺ) and related the fact to him, the verse concerning tayammum was revealed.
Ibn Nufayl added: Usayd said to her: May Allah have mercy upon you! Never has there been an occasion when you were beset with an unpleasant matter but Allah made the Muslims and you come out of that.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩১৮। ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ফরয সালাতের জন্য পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করার সময় মাটির উপর হাত মেরে প্রথমে মুখমণ্ডল একবার মাসাহ্ করলেন। দ্বিতীয়বার মাটিতে হাত মেরে বগল পর্যন্ত পুরো হাত মাসাহ্ করলেন।[1]
সহীহ।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُتْبَةَ، حَدَّثَهُ عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّهُمْ تَمَسَّحُوا وَهُمْ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم بِالصَّعِيدِ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ، فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ ثُمَّ مَسَحُوا وُجُوهَهُمْ مَسْحَةً وَاحِدَةً، ثُمَّ عَادُوا فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ الصَّعِيدَ مَرَّةً أُخْرَى، فَمَسَحُوا بِأَيْدِيهِمْ كُلِّهَا إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ مِنْ بُطُونِ أَيْدِيهِمْ .
- صحيح
Narrated Ammar ibn Yasir:
They (the Companions of the Prophet) wiped with pure earth (their hands and face) to offer the dawn prayer in the company of the Messenger of Allah (ﷺ). They struck the ground with their palms and wiped their faces once. Then they repeated and struck the ground with their palms once again and wiped their arms completely up to the shoulders and up to the armpits with the inner side of their hands.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩১৯। ইবনু ওয়াহাব থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাতে আরো রয়েছেঃ মুসলিমরা দাঁড়ানো অবস্থায় মাটিতে হাত মারলেন এবং হাতে মাটি নিলেন না। তারপর একই রকম বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি কাঁধ ও বগলের কথা উল্লেখ করেননি। ইবনু লাইস বলেন, সাহাবীগণ কনুইয়ের উপর পর্যন্ত মাসাহ্ করেছেন।[1]
[গবেষণা অসম্পূর্ণ]
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبٍ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ قَامَ الْمُسْلِمُونَ فَضَرَبُوا بِأَكُفِّهِمُ التُّرَابَ وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمَنَاكِبَ وَالآبَاطَ . قَالَ ابْنُ اللَّيْثِ إِلَى مَا فَوْقَ الْمِرْفَقَيْنِ
The tradition has also been reported through a different chain of narrators. This version has:
The Muslims stood up and struck the earth with their palms, but did not get any earth (in their hands). He (Ibn Wahb) then narrated the rest of the tradition in like manner, but he did not mention the words "shoulders" and "armpits". Ibn al-Laith said: (They) wiped above the elbows.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২০। ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বনু মুস্তালিকের যুদ্ধে) উলাতুল জায়িশ (মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী) নামক স্থানে রাত যাপনের জন্য অবতরণ করলেন। তাঁর সাথে ছিলেন ’আয়িশাহ্ (রাঃ)। এখানে ’আয়িশাহর যেফারী আকিকের হারটি হারিয়ে যায়। ঐ হার অনুসন্ধানের জন্য লোকজন সেখানে যাত্রাবিরতি করতে বাধ্য হয়। এমনকি সেখানে ভোর হয়ে গেল। তাদের সাথে পানিও ছিল না। আবূ বকর (রাঃ) ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর ওপর অসুন্তষ্ট হলেন। বললেন, তুমিই লোকদের আটকে রেখেছো। অথচ তাদের সাথে পানি নেই।
এ সময় মহান আল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর পাক মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জনের বিধান সম্বলিত আয়াত নাযিল করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সকল মুসলিম উঠে দাঁড়ালেন। সবাই তাদের হাত জমিনে মারলেন। তারপর হাত উঠিয়ে নিলেন। কোন মাটি তুললেন না। মুখমুন্ডল মাসাহ্ করলেন ও পরে হাত মাসাহ্ করলেন কাঁধ পর্যন্ত এবং হাতের নিচে বগল পর্যন্ত। ইবনু ইয়াহ্ইয়ার বর্ণনায় আরো আছেঃ ইবনু শিহাব বলেছেন, আলিমগণের নিকট এ হাদীস গুরুত্বহীন ও অগ্রহণযোগ্য[1]
সহীহ।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَكَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ قَالَ فِيهِ : عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَذَكَرَ ضَرْبَتَيْنِ كَمَا ذَكَرَ يُونُسُ وَرَوَاهُ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ ضَرْبَتَيْنِ وَقَالَ مَالِكٌ : عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَمَّارٍ وَكَذَلِكَ قَالَ أَبُو أُوَيْسٍ : عَنِ الزُّهْرِيِّ وَشَكَّ فِيهِ ابْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ مَرَّةً عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ أَوْ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَمَرَّةً قَالَ عَنْ أَبِيهِ وَمَرَّةً قَالَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ اضْطَرَبَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِيهِ وَفِي سَمَاعِهِ مِنَ الزُّهْرِيِّ وَلَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْهُمْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الضَّرْبَتَيْنِ إِلَّا مَنْ سَمَّيْتُ .
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এরূপই বর্ণনা করেছেন ইবনু ইসহাক। তাতে তিনি ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে দু’বার মাটিতে হাত মারার বিষয় উল্লেখ করেছেন, ইবনু উয়াইনা এতে সন্দেহ করেছেন। তিনি একবার বলেছেন, উবাইদুল্লাহ হতে তার পিতার সূত্রে অথবা উবাইদুল্লাহ হতে ইবনু আব্বাস সূত্রে। তিনি একবার বলেছেন তার পিতা সূত্রে আরেকবার বলেছেন ইবনু আব্বাস সূত্রে। সুতরাং ইবনু উয়াইনাহ এর সানাদে উলট-পালট করেছেন এবং যুহরী হতে তার শুনার বিষয়টিও উলট-পালট করেছেন। যুহরী বলেন, আমি যাদের নাম উল্লেখ করেছি, তাদের কেউ দু’বার হাত মারার কথা বলেননি।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، - فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَرَّسَ بِأُولَاتِ الْجَيْشِ وَمَعَهُ عَائِشَةُ، فَانْقَطَعَ عِقْدٌ لَهَا مِنْ جَزْعِ ظَفَارِ، فَحَبَسَ النَّاسَ ابْتِغَاءُ عِقْدِهَا ذَلِكَ، حَتَّى أَضَاءَ الْفَجْرُ، وَلَيْسَ مَعَ النَّاسِ مَاءٌ، فَتَغَيَّظَ عَلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ، وَقَالَ حَبَسْتِ النَّاسَ وَلَيْسَ مَعَهُمْ مَاءٌ، فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى عَلَى رَسُولِهِ صلي الله عليه وسلم رُخْصَةَ التَّطَهُّرِ بِالصَّعِيدِ الطَّيِّبِ، فَقَامَ الْمُسْلِمُونَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَضَرَبُوا بِأَيْدِيهِمْ إِلَى الأَرْضِ ثُمَّ رَفَعُوا أَيْدِيَهُمْ، وَلَمْ يَقْبِضُوا مِنَ التُّرَابِ شَيْئًا، فَمَسَحُوا بِهَا وُجُوهَهُمْ وَأَيْدِيَهُمْ إِلَى الْمَنَاكِبِ وَمِنْ بُطُونِ أَيْدِيهِمْ إِلَى الآبَاطِ . زَادَ ابْنُ يَحْيَى فِي حَدِيثِهِ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فِي حَدِيثِهِ وَلَا يَعْتَبِرُ بِهَذَا النَّاسُ .
- صحيح
Narrated Ammar ibn Yasir:
The Messenger of Allah (ﷺ) encamped at Ulat al-Jaysh and Aisha was in his company. Her necklace of onyx of Zifar was broken (and fell somewhere). The people were detained to make a search for that necklace until the dawn broke. There was no water with the people. Therefore AbuBakr became angry with her and said: You detained the people and they have no water with them.
Thereupon Allah, the Exalted, sent down revelation about it to His Apostle (ﷺ) granting concession to purify themselves with pure earth. Then the Muslims stood up with the Messenger of Allah (ﷺ) and struck the ground with their hands and then they raised their hands, and did not take any earth (in their hands). Then they wiped with them their faces and hands up to the shoulders, and from their palms up to the armpits.
Ibn Yahya added in his version: Ibn Shihab said in his tradition: The people do not take this (tradition) into account.
Abu Dawud said: Ibn Ishaq also reported it in a similar way. In this (version) he said on the authority of Ibn 'Abbas. He mentioned the words "two strikes" (i.e. striking the earth twice) as mentioned by Yunus. And Ma'mar also narrated on the authority of al-Zuhri "two strikes". And Malik said: From al-Zuhri from 'Ubaid Allah b. 'Abd Allah from his father on the authority of 'Ammar. Abu Uwais also reported it in a similar way on the authority of al-Zuhri. But Ibn 'Uyainah doubted it, he sometimes said: from his father, and sometimes he said: from Ibn 'Abbas. Ibn 'Uyainah was confused in it and in his hearing from al-Zuhri. No one has mentioned "two strikes" in this tradition except those whose names I have mentioned.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২১। শাকীক সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আব্দুল্লাহ এবং আবূ মুসা (রাঃ)-এর সামনে বসা ছিলাম। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, হে আবূ ’আবদুর রহমান! যদি কারো উপর গোসল ফরয হয় এবং এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়, তবে সে কি তায়াম্মুম করবে? ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, যদিও সে এক মাস পর্যন্ত পানি না পায়। আবূ মুসা (রাঃ) বললেন, তাহলে সূরাহ মায়িদার যে আয়াত রয়েছেঃ ’’তারপর তোমরা যদি পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো’’- এ ব্যাপারে কি বলবেন? ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) বললেন, লোকদের তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া হলে তারা (অত্যধিক শীতের সময়) ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে তায়াম্মুম করা শুরু করে দিবে। আবূ মুসা (রাঃ) তাকে বললেন, এজন্যই তায়াম্মুম করা অপছন্দ করেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
আবূ মুসা (রাঃ) তাঁকে বললেন, আপনি কি ’উমার (রাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলা ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) বর্ণিত হাদীস শুনেননি? ’আম্মার (রাঃ) বলেছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কোন এক কাজে পাঠালেন। পথিমধ্যে আমি জুনুবী হয়ে গেলাম, কিন্তু পানি পেলাম না। তাই আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম যেরূপ চতুষ্পদ প্রাণী মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে থাকে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে আমি তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তিনি বললেনঃ তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি মাটিতে হাত মেরে তা ফুঁ দিয়ে ঝেড়ে ফেললেন। তারপর বাম হাত ডান হাতের উপর মারলেন। তারপর ডান হাত বাম হাতের উপর মারলেন- উভয় হাতের কব্জির উপর। তারপর মুখমণ্ডল মাসাহ্ করলেন। ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) তাকে বললেনঃ আপনার কি জানা নেই যে, ’উমার (রাঃ) ’আম্মারের এ কথা গ্রহণ করেননি?[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ قَالَ : كُنْتُ جَالِسًا بَيْنَ عَبْدِ اللهِ وَأَبِي مُوسَى فَقَالَ أَبُو مُوسَى : يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ! أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ رَجُلاً أَجْنَبَ فَلَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا. أَمَا كَانَ يَتَيَمَّمُ؟ فَقَالَ لَا، وَإِنْ لَمْ يَجِدِ الْمَاءَ شَهْرًا فَقَالَ أَبُو مُوسَى : فَكَيْفَ تَصْنَعُونَ بِهَذِهِ الآيَةِ الَّتِي فِي سُورَةِ الْمَائِدَةِ ( فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا ) فَقَالَ عَبْدُ اللهِ : لَوْ رُخِّصَ لَهُمْ فِي هَذَا لأَوْشَكُوا إِذَا بَرَدَ عَلَيْهِمُ الْمَاءُ أَنْ يَتَيَمَّمُوا بِالصَّعِيدِ. فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى : وَإِنَّمَا كَرِهْتُمْ هَذَا لِهَذَا قَالَ نَعَمْ فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى : أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ عَمَّارٍ لِعُمَرَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ فَأَجْنَبْتُ، فَلَمْ أَجِدِ الْمَاءَ فَتَمَرَّغْتُ فِي الصَّعِيدِ كَمَا تَتَمَرَّغُ الدَّابَّةُ، ثُمَّ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ : " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَصْنَعَ هَكَذَا". فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى الأَرْضِ، فَنَفَضَهَا ثُمَّ ضَرَبَ بِشِمَالِهِ عَلَى يَمِينِهِ وَبِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ عَلَى الْكَفَّيْنِ ثُمَّ مَسَحَ وَجْهَهُ . فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللهِ : أَفَلَمْ تَرَ عُمَرَ لَمْ يَقْنَعْ بِقَوْلِ عَمَّارٍ .
- صحيح : ق
Shaqiq said:
While I was sitting between 'Abd Allah and Abu Musa, the latter said: Abu 'Abd al-Rahman, what do you think if a man becomes defiled (because of seminal omission) and does not find water for a month; should he not perform tayammum ? He replied: No, even if he does not find water for a month. Abu Musa then said: How will you do with the Qur'anic version (about tayammum) in the chapter al-Ma'idah which says: "... and you find no water, then go to clean, high ground" (5:6)? 'Abd Allah (b. Mas'ud) then said: If they (the people) are granted concession in this respect, they might perform tayammum with pure earth when water is cold. Abu Musa said: For this (reason) you forbade it ? He said: Yes. Abu Musa then said: Did you not hear what 'Ammar said to 'Umar ? (He said): The Messenger of Allah (ﷺ) sent me on some errand. I had seminal emission and I did not find water. Therefore, I rolled on the ground just as an animal rolls down. I then came to the Prophet (ﷺ) and made a mention of that to him. He said: It would have been enough for you to do thus. Then he struck the ground with his hands and shook them off and then stuck the right hand with his left hand and his left hand with his right hand (and wiped) over his hands (up to the wrist) and wiped his face. 'Abd Allah then said to him: Did you not see that 'Umar was not satisfied with the statement of 'Ammar ?
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২২। ’আবদুর রহমান ইবনু আবযা (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’উমার (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে বলল, আমরা কোন (পানিবিহীন) জায়গায় এক-দুই মাস অবস্থান করে থাকি (সেখানে অপবিত্র হলে করণীয় কি?)। ’উমার (রাঃ) বললেন, আমি তো পানি না পাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করব না। বর্ণনাকারী বলেন, তখন ’আম্মার (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার কি ঐ ঘটনার কথা মনে নেই, যখন আমি ও আপনি উটের পালে ছিলাম। আমরা জুনুবী হয়ে গেলাম এবং আমি মাটিতে গড়াগড়ি দিলাম।
আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বিষয়টি জানালে তিনি বললেনঃ তোমাদের জন্য শুধু এতটুকুই যথেষ্ট ছিল- এই বলে তিনি মাটিতে উভয় হাত মেরে হাতে ফুঁ দিলেন। তারপর হাত দিয়ে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের অর্ধেক পর্যন্ত মুছলেন। ’উমার (রাঃ) বললেন, হে ’আম্মার! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহর শপথ! আপনি চাইলে আমি আর কখনো তা বর্ণনা করব না। ’উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার উদ্দেশ্য এরূপ নয়, বরং তুমি চাইলে অবশ্যই তোমার বক্তব্যের স্বাধীনতা তোমাকে দিব।[1]
সহীহ। তবে তার ’উভয় হাতের অর্ধেক পর্যন্ত’- কথাটি বাদে। কেননা তা শায।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُمَرَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّا نَكُونُ بِالْمَكَانِ الشَّهْرَ وَالشَّهْرَيْنِ . فَقَالَ عُمَرُ : أَمَّا أَنَا فَلَمْ أَكُنْ أُصَلِّي حَتَّى أَجِدَ الْمَاءَ . قَالَ فَقَالَ عَمَّارٌ : يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ! أَمَا تَذْكُرُ إِذْ كُنْتُ أَنَا وَأَنْتَ فِي الإِبِلِ فَأَصَابَتْنَا جَنَابَةٌ، فَأَمَّا أَنَا فَتَمَعَّكْتُ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ : " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَقُولَ هَكَذَا". وَضَرَبَ بِيَدَيْهِ إِلَى الأَرْضِ ثُمَّ نَفَخَهُمَا ثُمَّ مَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى نِصْفِ الذِّرَاعِ. فَقَالَ عُمَرُ : يَا عَمَّارُ! اتَّقِ اللهَ. فَقَالَ : يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينِ إِنْ شِئْتَ وَاللهِ لَمْ أَذْكُرْهُ أَبَدًا . فَقَالَ عُمَرُ : كَلَّا وَاللهِ لَنُوَلِّيَنَّكَ مِنْ ذَلِكَ مَا تَوَلَّيْتَ .
- صحيح إلا قوله : (إِلَى نِصْفِ الذِّرَاعِ) ؛ فإنه شاذ
'Abd al-Rahman b. Abza said:
While I was with 'Umar, a man came to him and said: We live at a place (where water is not found) for a month or two (what should we do, if we are sexually defiled). 'Umar said: So far as I am concerned, I do not pray until I find water. 'Ammar said: Commanded of the faithful, do you not remember when I and you were among the camels (For tending them)? There we became sexually defiled. I rolled down on the ground. We then came to the Prophet (ﷺ) and I mentioned that to him. He said: It was enough for you to do so. Then he struck the ground with both his hands. He then blew over them and wiped his face and both hands by means of them up to half the arms. 'Umar said: 'Ammar, fear Allah. He said: Commander of the faithful, if you want, I will never narrate it. 'Umar said: Nay, by Allah, we shall turn you from that towards which you turned (i.e. you have your choice).
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২৩। ইবনু আবযা (রহঃ) ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে ’আম্মার! তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- এই বলে তিনি তাঁর উভয় হাত মাটিতে মারলেন, তারপর এক হাত অপর হাতের উপর মারলেন। তারপর নিজের চেহারা এবং হাতের অর্ধেক পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। তবে মাটিতে একবার হাত মারায় হাতের কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করা যায়নি।[1]
সহীহ : উভয় হাত ও কনুইদ্বয় উল্লেখ বাদে।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ ابْنِ أَبْزَى، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ " يَا عَمَّارُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ هَكَذَا " . ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدَيْهِ الأَرْضَ ثُمَّ ضَرَبَ إِحْدَاهُمَا عَلَى الأُخْرَى ثُمَّ مَسَحَ وَجْهَهُ وَالذِّرَاعَيْنِ إِلَى نِصْفِ السَّاعِدَيْنِ وَلَمْ يَبْلُغِ الْمِرْفَقَيْنِ ضَرْبَةً وَاحِدَةً .
- صحيح : دون ذكر الذراعين و المرفقين
قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَرَوَاهُ وَكِيعٌ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى وَرَوَاهُ جَرِيرٌ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى يَعْنِي عَنْ أَبِيهِ
Ibn Abza reported on the authority of 'Ammar b. Yasir in this tradition as saying (from the Prophet):
'Ammar, it would have been enough for you (to do) so. He then stuck only one stroke on the ground with both his hands; he then stuck one with the other; then wiped his face and both arms up to half the forearms and did not reach the elbows.
Abu Dawud said: This is also transmitted by Waki' from al-A'mash from Salamah b. Kuhail from 'Abd al-Rahman b. Abza.
It is also transmitted through a different chain by Jarir from al-A'mash from Salamah from Sa'id b. 'Abd al-Rahman b. Abza from his father.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২৪। ’আম্মার (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তাতে রয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট- এই বলে তিনি জমিনে হাত মেরে হাতে ফুঁ দিলেন। এরপর মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ্ করলেন। সালামাহ এতে সন্দেহ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি কনুই পর্যন্ত হাত মাসাহ্ করেছেন নাকি কব্জি পর্যন্ত তা আমার জানা নেই।[1]
সহীহ। সন্দেহ করার কথাটি বাদে। মাহফূয হচ্ছে(و كفيك) শব্দে। যেমন সামনে আসছে।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَلَمَةَ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ فَقَالَ : " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ " . وَضَرَبَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم بِيَدِهِ إِلَى الأَرْضِ، ثُمَّ نَفَخَ فِيهَا وَمَسَحَ بِهَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ، شَكَّ سَلَمَةُ وَقَالَ لَا أَدْرِي فِيهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ . يَعْنِي أَوْ إِلَى الْكَفَّيْنِ .
- صحيح ، دون الشك ، والمحفوظ : (و كفيك) كما يأتي
Ibn 'Abd al-Rahman b. Abza reported on the authority of his father this incident from 'Ammar. He said:
This would have been enough for you, and the Prophet (ﷺ) struck the ground with his hand. He then blew it and wiped with it his face and hands. Being doubtful Salamah said: I do not know (whether he wiped) up to the elbows or the wrists.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২৫। শু’বাহ (রহঃ) একই সানাদে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। তাতে রয়েছে, ’আম্মার (রাঃ) বলেন, তিনি তাতে ফুঁ দিলেন। তারপর মুখমণ্ডল ের উপর এবং উভয় হাতের কব্জি হতে কনুই পর্যন্ত অথবা মধ্যাঙ্গুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। শু’বাহ বলেন, সালামাহ বলতেন, উভয় হাতের কব্জি, মুখমণ্ডল এবং কনুই পর্যন্ত মাসাহ্ করলেন। একদা মানসূর তাকে বললেন, যা বলছেন, বুঝে শুনে বলুন। আপনি ব্যতীত কেউ কিন্তু ’যিরআইন’ তথা মধ্যাঙ্গুলির মাথা হতে কনুই পর্যন্তের কথা উল্লেখ করতেন না।[1]
সহীহ : উভয় হাত ও কনুইদ্বয় উল্লেখ বাদে। যেমন গত হয়েছে।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَهْلٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ يَعْنِي الْأَعْوَرَ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ بِإِسْنَادِهِ بِهَذَا الْحَدِيثِ، قَالَ:ثُمَّ نَفَخَ فِيهَا وَمَسَحَ بِهَا وَجْهَهُ وَكَفَّيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ - أَوْ إِلَى الذِّرَاعَيْنِ قَالَ شُعْبَةُ: كَانَ سَلَمَةُ يَقُولُ: الْكَفَّيْنِ وَالْوَجْهَ وَالذِّرَاعَيْنِ، فَقَالَ لَهُ مَنْصُورٌ ذَاتَ يَوْمٍ: انْظُرْ مَا تَقُولَ فَإِنَّهُ لَا يَذْكُرُ الذِّرَاعَيْنِ غَيْرُكَ
صحيح دون المرفقين والذراعين
This is transmitted by Shu'bah through a different chain of narrators. This version adds:
He ('Ammar) said: He (the Prophet) then blew it and wiped with it his face and hands up to elbows or up to the forearms. Shu'bah said: Salamah used to narrate (the words) "the hands and the face and the forearms". One day Mansur said to him: Look, what are you saying, because no one except you mentions the (word) "forearms".
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২৬। ’আম্মার (রাঃ) সূত্রে অন্য একটি সানাদে বর্ণিত একই হাদীসে তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার জন্য শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে, জমিনে হাত মেরে তা দ্বারা মুখমণ্ডল এবং উভয় হাত মাসাহ্ করবে। অতঃপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন। [1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ أَبِي مَالِكٍ قَالَ : سَمِعْتُ عَمَّارًا يَخْطُبُ بِمِثْلِهِ إِلَّا أَنَّهُ قَالَ : لَمْ يَنْفُخْ . وَذَكَرَ حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنِ الْحَكَمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ : ضَرَبَ بِكَفَّيْهِ إِلَى الأَرْضِ وَنَفَخَ .
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, উক্ত হাদীস শু’বাহ, হুসাইন হতে আবূ মালিক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে ’তিনি ফুঁ দেননি’ কথাটি উল্লেখ আছে। হুসাইন ইবনু মুহম্মাদ থেকে শু’বাহ হতে হাকাম সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছেঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জমিনে হাত মারার পর ফুঁ দিয়েছেন।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي الْحَكَمُ، عَنْ ذَرٍّ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارٍ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ : فَقَالَ يَعْنِي النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم " إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيكَ أَنْ تَضْرِبَ بِيَدَيْكَ إِلَى الأَرْضِ، فَتَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَكَ وَكَفَّيْكَ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ
- صحيح : ق
This is also transmitted by Ibn 'Abd al-Rahman b. Abza on the authority of his father from 'Ammar. He reported the Prophet (ﷺ) as saying:
It would have been enough for you to strike the ground with you hands and then wipe them your face and your hands (up to the wrists). He then narrated the rest of the tradition.
Abu Dawud said: This is also transmitted by Shu'bah from Husain on the authority of Abu Malik. He said: I heard 'Ammar saying so him his speech, except that in this version he added the words: "He blew." And Husain b. Muhammad narrated from Shu'bah on the authority of al-Hakam and in this version added the words:"He (the Prophet) struck the earth with his plans and blew."
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২৭। ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তায়াম্মুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে মুখমণ্ডল এবং উভয় হাতের জন্য (মাটিতে) একবার হাত মারার নির্দেশ দেন।[1]
সহীহ।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ : سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم عَنِ التَّيَمُّمِ فَأَمَرَنِي ضَرْبَةً وَاحِدَةً لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ .
- صحيح
'Ammar b. Yasir said:
I asked the Prophet (ﷺ) about tayammum. He commanded me to strike only one stroke (i.e. the strike the ground) for (wiping) the face and the hands.
পরিচ্ছেদঃ ১২৩. তায়াম্মুমের বর্ণনা
৩২৮। আবান সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ক্বাতাদাহ (রাঃ)-কে সফররত অবস্থায় তায়াম্মুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, আমার কাছে একজন মুহাদ্দিস শা’বী, ’আবদুর রহমান ইবনু আবযা ও ’আম্মার ইবনু ইয়াসির (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কনুই পর্যন্ত (মাসাহ্ করতে) বলেছেন।[1]
মুনকার।
باب التَّيَمُّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، قَالَ سُئِلَ قَتَادَةُ عَنِ التَّيَمُّمِ، فِي السَّفَرِ فَقَالَ : حَدَّثَنِي مُحَدِّثٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ " .
- منكر
Aban said:
Qatadah was asked about tayammum during a journey. He said: A traditionist reported to me from al-Sha'bi from 'Abd al-Rahman b. Abza on the authority of 'Ammar b. Yasir who reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying: (He should wipe) up to the elbows.