পরিচ্ছেদঃ ১১০. হায়িয শুরু হলে সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে
২৮৪। বুহায়্যাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনলাম, জনৈক মহিলা ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে এমন মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে যার হায়িযের গোলমাল হয়েছে, রক্তস্রাব অনবরত জারী রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (’আয়িশাহ্’কে) নির্দেশ দিলেন আমি যেন তাকে বলি, ইতিপূর্বে প্রতিমাসে যে ক’দিন তার হায়িয হত তা গণনা করে রাখবে, আর ঐ দিনগুলো পর্যন্ত অপেক্ষা করবে এবং ঐ দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর গোসল করে (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে সালাত আদায় করবে।[1]
দুর্বল।
باب مَنْ قَالَ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، عَنْ بُهَيَّةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ امْرَأَةً تَسْأَلُ عَائِشَةَ عَنِ امْرَأَةٍ فَسَدَ حَيْضُهَا وَأُهْرِيقَتْ دَمًا، فَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ آمُرَهَافَلْتَنْظُرْ قَدْرَ مَا كَانَتْ تَحِيضُ فِي كُلِّ شَهْرٍ وَحَيْضُهَا مُسْتَقِيمٌ، فَلْتَعْتَدَّ بِقَدْرِ ذَلِكَ مِنَ الْأَيَّامِ، ثُمَّ لِتَدَعِ الصَّلَاةَ فِيهِنَّ أَوْ بِقَدْرِهِنَّ، ثُمَّ لِتَغْتَسِلْ، ثُمَّ لِتَسْتَثْفِرْ بِثَوْبٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّ
- ضعيف
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
Bahiyyah said: I heard a woman asking Aisha about the woman whose menses became abnormal and she had an issue of blood. The Messenger of Allah (ﷺ) asked me to advise her that she should consider the period during which she used to menstruate every month, when her menstruation was normal. Then she should count the days equal to the length of time (of her normal menses); then she should abandon prayer during those days or equal to that period. She should then take a bath, tie a cloth on her private parts a pray.
পরিচ্ছেদঃ ১১০. হায়িয শুরু হলে সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে
২৮৫। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শ্যালিকা ও ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ (রাঃ)-এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ বিনতু জাহশ সাত বছর যাবত রক্ত প্রদরে আক্রান্ত থাকেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ বিষয়ে মাসআলাহ জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটা হায়িয নয় বরং এটা রগবিশেষ থেকে নির্গত রক্ত। কাজেই তুমি গোসল করে সালাত আদায় কর।
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসে আওযায়ী (রহঃ) যুহরী, ’উরওয়াহ, উমরাহ, ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, ’আবদুর রহমান ইবনু আওফের স্ত্রী উম্মু হাবীবা বিনতু জাহশ (রাঃ) সাত বছর যাবত রক্ত প্রদরে আক্রান্ত থাকেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেনঃ যখন তোমার হায়িয আসে তখন সালাত ছেড়ে দিবে, আর যখন হায়িয চলে যাবে গোসল করে সালাত আদায় করবে।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ الأَوْزَاعِيُّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتِ اسْتُحِيضَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ جَحْشٍ - وَهِيَ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ سَبْعَ سِنِينَ فَأَمَرَهَا النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي " .
- صحيح .
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, উপরোক্ত বক্তব্য আওযায়ী ব্যতীত যুহরীরর আর কোন শিষ্য উল্লেখ করেননি। যুহরীর থেকে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন আমর ইবনুল হারিস, লাইস, ইউনুস, ইবনু আবূ যেব, মা’মার, ইবরাহীম ইবনু সা’দ, সুলায়মান ইবনু কাসীর, ইবনু ইসহাক ও সুফিয়ান ইবনু উয়াইনা প্রমুখ। তারা উপরোক্ত বক্তব্য উলেখ করেননি।
সহীহ।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرْ هَذَا الْكَلَامَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ غَيْرَ الأَوْزَاعِيِّ وَرَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ وَاللَّيْثُ وَيُونُسُ وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ وَمَعْمَرٌ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ وَسُلَيْمَانُ بْنُ كَثِيرٍ وَابْنُ إِسْحَاقَ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا هَذَا الْكَلَامَ .
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইবনু ’উয়াইনাহও তাতে শব্দগত কিছু বাড়িয়ে বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হায়িযের দিনগুলোতে সালাত ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।’ তবে এটা ইবনু উয়াইনার ধারণাবিশেষ। এছাড়া যুহরী থেকে মুহাম্মাদ ইবনু আমর বর্ণিত হাদীসে যা কিন্তু রয়েছে, তা আওযায়ী বর্ণিত হাদীসেরই কাছাকাছি।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَإِنَّمَا هَذَا لَفْظُ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَزَادَ ابْنُ عُيَيْنَةَ فِيهِ أَيْضًا أَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا .
- صحيح : م ، تقدم (٢٨١) .
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটা হলো হিশাম বিন উরওয়ার হাদীসের শব্দ। তিনি তার পিতা থেকে এবং তার পিতা ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন।
সহীহ : মুসলিম। এটি গত হয়েছে ২৮১ নং- এ।
باب مَنْ قَالَ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَقِيلٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمِصْرِيَّانِ، قَالَا حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ، خَتَنَةَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم وَتَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ اسْتُحِيضَتْ سَبْعَ سِنِينَ فَاسْتَفْتَتْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم "إِنَّ هَذِهِ لَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ وَلَكِنْ هَذَا عِرْقٌ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي".
- صحيح : ق
'Aishah said:
Umm Habibah, daughter of Jahsh and sister-in-law of Messenger of Allah (ﷺ)m and wife of 'Abd al-Rahman b. 'Awf, had a prolonged flow of blood for seven years. She inquired from the Messenger of Allah (ﷺ) about it. The Messenger of Allah (ﷺ) said: This is not menstruation, but this (due to) a vein. Therefore, wash yourself and pray.
Abu Dawud said: In this tradition which is transmitted by al-Zuhri from 'Urwah and 'Urwah on the authority of 'Aishah, al-Awza'i added: She ('Aishah) said: Umm Habibah daughter of Jahsh and wife of 'Abd al-Rahman b. 'Awf had a prolonged flow of blood for seven years. The Prophet (ﷺ) commander her saying: When the menstruation begins, abandon prayer; when it is finished, take a bath and pray.
Abu Dawud said: None of the disciple of al-Zuhri mentioned these words except al-Awza'i, from al-Zuhri it has been narrated by 'Amr b. al-Harith, al-Laith, Yunus, Ibn Abi Dhi'b, Ma'mar, Ibrahim b. Sa'd, Sulaiman b. Kathir, Ibn Ishaq and Sufyan b. 'Uyainah, they did not narrate these words.
Abu Dawud said: These are the words of the version reported by Hisham b. 'Urwah from this father on the authority of 'Aishah.
Abu Dawud said: In this tradition Ibn 'Uyainah also added the words: He commander her to abandon prayer during her menstrual period. This is a misunderstanding on the part of Ibn 'Uyainah. The version of this tradition narrated by Muhammad b. 'Amr from al-Zuhri has the addition similar to that made by al-Awza'i in his version.
পরিচ্ছেদঃ ১১০. হায়িয শুরু হলে সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে
২৮৬। ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তার রক্তস্রাব হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হায়িযের রক্ত কালো হয়ে থাকে, তা (দেখলেই) চেনা যায়। যদি এ রক্ত হয় তাহলে সালাত থেকে বিরত থাকবে। আর যদি অন্য রকম হয় তাহলে অযু করে সালাত আদায় করবে। কারণ তা হচ্ছে একটি রগ থেকে নির্গত রক্ত। [1]
হাসান।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ : قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى : حَدَّثَنَا بِهِ ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ مِنْ كِتَابِهِ هَكَذَا ثُمَّ حَدَّثَنَا بِهِ بَعْدُ حِفْظًا قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ فَاطِمَةَ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَقَدْ رَوَى أَنَسُ بْنُ سِيرِينَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ قَالَ إِذَا رَأَتِ الدَّمَ الْبَحْرَانِيَّ فَلَا تُصَلِّي وَإِذَا رَأَتِ الطُّهْرَ وَلَوْ سَاعَةً فَلْتَغْتَسِلْ وَتُصَلِّي .
- صحيح .
’আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহর রক্তস্রাব হয়েছিল .... তারপর অনুরূপ বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আনাস ইবনু সীরীন ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা থেকে মুস্তাহাযা সম্পর্কে বর্ণনা করে বলেছেনঃ যদি সে গাঢ়, প্রচুর ও ব্যাপক রক্ত দেখে তাহলে সালাত আদায় করবে না। আর পবিত্রতা দেখলে- যদিও তা অল্প কিছুক্ষণের জন্য হয়- গোসল করে সালাত আদায় করবে।
সহীহ।
وَقَالَ مَكْحُولٌ إِنَّ النِّسَاءَ لَا تَخْفَى عَلَيْهِنَّ الْحَيْضَةُ إِنَّ دَمَهَا أَسْوَدُ غَلِيظٌ فَإِذَا ذَهَبَ ذَلِكَ وَصَارَتْ صُفْرَةً رَقِيقَةً فَإِنَّهَا مُسْتَحَاضَةٌ فَلْتَغْتَسِلْ وَلْتُصَلِّي .
- لم أَرَهُ .
মাকহূল বলেন, মেয়েলোকদের নিকট হায়িযের রক্ত অস্পষ্ট বা অজানা কিছু নয়। হায়িযের রক্ত গাঢ় কালো রঙের হয়ে থাকে। এটা শেষ হয়ে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করলে তা-ই ইস্তেহাযা। তখন তার গোসল করে সালাত আদায় করা কর্তব্য।
আমি এটি পাইনি।
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَرَكَتِ الصَّلَاةَ وَإِذَا أَدْبَرَتِ اغْتَسَلَتْ وَصَلَّتْ .
- صحيح .
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব মুস্তাহাযা সম্পর্কে বলেন, হায়িয শুরু হলে সালাত ছেড়ে দিবে। আর তা শেষ হয়ে গেলে গোসল করে সালাত আদায় করবে।
সহীহ।
وَرَوَى سُمَىٌّ وَغَيْرُهُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ تَجْلِسُ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا . وَكَذَلِكَ رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : وَرَوَى يُونُسُ عَنِ الْحَسَنِ الْحَائِضُ إِذَا مَدَّ بِهَا الدَّمُ تُمْسِكُ بَعْدَ حَيْضَتِهَا يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ فَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ. وَقَالَ التَّيْمِيُّ عَنْ قَتَادَةَ إِذَا زَادَ عَلَى أَيَّامِ حَيْضِهَا خَمْسَةُ أَيَّامٍ فَلْتُصَلِّي. قَالَ التَّيْمِيُّ : فَجَعَلْتُ أَنْقُصُ حَتَّى بَلَغْتُ يَوْمَيْنِ فَقَالَ : إِذَا كَانَ يَوْمَيْنِ فَهُوَ مِنْ حَيْضِهَا . وَسُئِلَ ابْنُ سِيرِينَ عَنْهُ فَقَالَ النِّسَاءُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ.
সুমাই’ প্রমুখ সাঈদ ইবনুল সুমাইয়্যাব থেকে আরো বর্ণনা করেছেনঃ হায়িযের দিনগুলোতে যেন বসে থাকে (অপেক্ষা করে)। ..... ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইউনুস হাসান থেকে বর্ণনা করেন, ঋতুবতী মেয়েলোকের রক্তস্রাব অধিক দিন অব্যাহত থাকলে হায়িযের পর একদিন অথবা দু’দিন সালাত আদায় করা থেকে বিরত থাকবে। তারপর সে মুস্তাহাযা গণ্য হবে। আত-তায়মী ক্বাতাদাহ থেকে বর্ণনা করে বলেন, তার হায়িযের দিন থেকে যদি পাঁচদিন অতিরিক্ত অতিবাহিত হয়ে যায়, তাহলে সে সালাত আদায় করবে। আত-তায়মী আরো বলেন, আমি তা কমিয়ে দু’দিন ধার্য করেছি। অতএব ঐ দু’ দিন হায়িযের মধ্যে গণ্য হবে। ইবনু সীরীনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, মহিলারা এ বিষয়ে অধিক অবগত।
باب مَنْ قَالَ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدٍ، - يَعْنِي ابْنَ عَمْرٍو - قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ، أَنَّهَا كَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " إِذَا كَانَ دَمُ الْحَيْضَةِ فَإِنَّهُ دَمٌ أَسْوَدُ يُعْرَفُ فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلَاةِ فَإِذَا كَانَ الآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي فَإِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ " .
- حسن
Narrated Fatimah daughter of AbuHubaysh:
Urwah ibn az-Zubayr reported from Fatimah daughter of AbuHubaysh that her blood kept flowing, so the Prophet (ﷺ) said to her: When the blood of the menses comes, it is black blood which can be recognised; so when that comes, refrain from prayer; but when a different type of blood comes, perform ablution and pray, for it is (due only to) a vein.
Abu Dawud said: Ibn al-Muthanna narrates this tradition from his book on the authority of Ibn 'Adi in a similar way. Later on he transmitted it to us from his memory: Muhammad b. 'Amr reported to us from al-Zuhri from 'Urwah on the authority of 'Aishah who said: Fatimah used to have her blood flowing. He then reported the tradition conveying the same meaning.
Abu Dawud said: Anas b. Sirin reported from Ibn 'Abbas about the woman who has a prolonged flow of blood. He said: If she sees thick blood, she should not pray; if she finds herself purified even for a moment, she should was an pray.
Makhul said: Menses are not hidden from women. Their blood is black and thick. When it (blackness and thickness) goes away and there appears yellowness and liquidness, that is the flow of blood (from vein). She should wash and pray.
Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by Sa'id b. al-Musayyab through a different chain of narrators, saying: The woman who has a prolonged flow of blood should abandon prayer when the menstruation begins; when it is finished, she should wash and pray.
Sumayy and others have also reported it from Sa'id b. al-Musayyab. This version adds: She should refrain (from prayer) during her menstrual period.
Hammad b. Salamah has reported it similarly from Yahya b. Sa'id on the authority of Sa'id b. al-Musayyab.
Abu Dawud said: Yunus has reported from Al-Hasan: When the bleeding of a menstruating woman extends (beyond the normal period), she should refrain (from prayer), after her menses are over, for one or two days. Now she becomes the woman who has a prolonged flow of blood.
Al-Taimi reported from Qatadah: If her menstrual period is prolonged by five days, she should pray. Al-Taimi said: I kept on reducing (the number of days) until I reached two days. He said: If the period extends by two days, they will be counted from the menstrual period. When Ibn Sirin was questioned about it, he said: Women have better knowledge of that.
পরিচ্ছেদঃ ১১০. হায়িয শুরু হলে সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে
২৮৭। হামনা বিনতু জাহশ রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার অত্যন্ত বেশী ঋতুস্রাব হত। আমি আমার অবস্থা বর্ণনা ও মাসআলাহ জিজ্ঞেস করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে আমার বোন যয়নাব বিনতু জাহশের ঘরে পেলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার অত্যন্ত বেশী রক্তস্রাব হয়। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে (সালাত ইত্যাদি বিষয়ে) কি পরামর্শ দেন? আমার সালাত-(রোযা) সিয়ামও বন্ধ। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে তোমার রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী।
তিনি বলেন, কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী। আমার তো রীতিমত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাহলে আমি তোমাকে দু’টি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। তার কোন একটি অনুসরণ করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। উভয়টির উপর যদি ’আমল করতে পার, তাহলে তা তুমিই ভাল জান। তিনি তাকে বললেনঃ এটা শয়তানের লাথি বা স্পর্শবিশেষ। কাজেই তুমি (প্রতি মাসে) নিজেকে ছয় অথবা সাতদিন ঋতুবতী ধরে নেবে। আর এর প্রকৃত বিষয় সম্পর্কে আল্লাহই ভাল অবগত।
তারপর গোসল করবে। যখন তুমি নিজেকে পাক-পবিত্র মনে করবে তখন তেইশ অথবা চব্বিশ দিন যাবত সালাত আদায় করবে ও সিয়াম পালন করবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। এরূপ প্রতিমাসে কর যেরূপ অন্যান্য মহিলারা হায়িয ও পবিত্রতার ক্ষেত্রে করে থাকে। আর তুমি এরূপও করতে পারঃ যুহরের সালাত দেরীতে এবং ’আসরের সালাত এগিয়ে এনে আদায় করে নেবে।
গোসল সেরে নিয়ে এভাবে যুহর ও ’আসরের সালাত একত্রে আদায় করবে। অপরদিকে মাগরিবকে দেরীতে ও ’ইশাকে এগিয়ে আনবে। গোসল সেরে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করে নেবে। আর ফজরের সময় গোসল করে সালাত আদায় করে নেবে ও সিয়াম পালন করবে- যদি এরূপ করা তোমার পক্ষে সম্ভবপর হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’টি পন্থার মধ্যে এই দ্বিতীয় পদ্ধতিই আমার নিকট অধিকতর পছন্দনীয়।[1]
ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু সাবিত-ইবনু আকীল (রহঃ) বলেন, হামনা (রাঃ) বলেন, দু’টি পন্থার মধ্যে শেষোক্তটিই আমার অধিক পছন্দনীয়। ইবনু আকীল কথাটি হামনার উক্তি বলে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য নয়। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু সাবিত রাফিযী বলেন, এটা ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু মাঈন সূত্রে বর্ণিত। কিন্তু তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে সত্যবাদী ছিলেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, ইবনু আকীল বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করি।
-
এ অনুচ্ছেদের হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। হায়িযগ্রস্তার উপর সালাত জায়িয নয়।
২। হায়িযের নির্ধারিত দিন শেষে ইস্তিহাযা রোগীণীর গোসল করা ওয়াজিব।
৩। ইস্তিহাযা রোগীনীর অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে, লজ্জাস্থানে কাপড় বেঁধে রক্তের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। এরূপ না করার কারণে যদি সেখান থেকে রক্ত বের হয় তাহলে তার জন্য উযু করা আবশ্যক।
৪। ঋতুবতী মহিলা সালাত, সিয়াম ও পবিত্রতা শর্ত রয়েছে এমন কোনো ইবাদাত হায়িযের নির্ধারিত দিনগুলোতে বর্জন করবে। যখন হায়িযের নির্ধারিত দিন অতিবাহিত হবে তখন তার উপর সালাত ও সাওম পালন ওয়াজিব হবে, যদিও তখন ইস্তিহাযার রক্ত জারি থাকে।
৫। কৃত প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করা জিজ্ঞাসিত ব্যক্তির জন্য জায়িয।
৬। কোনো ইস্তিহাযা রোগীনী স্বীয় ইদ্দত ও তাতে পার্থক্য নিরূপণ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকলে সে নারীদের হায়িয ও তুহরের স্বাভাবিক যে নিয়ম ও দিনক্ষণ নির্দিষ্ট রয়েছে তাই অনুসরণ করবে।
৭। ইস্তিহাযা রোগীনী এক গোসলে দু’ ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করবে। তার জন্য এরূপ অবস্থায় দু’ ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করা শারী‘আত সম্মত।
باب مَنْ قَالَ إِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ تَدَعُ الصَّلَاةَ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَغَيْرُهُ، قَالَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ: كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ، فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ! إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً، فَمَا تَرَى فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلَاةَ وَالصَّوْمَ فَقَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ، فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ . قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . فَقَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا فَعَلْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ مِنَ الآخَرِ، وَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ لَهَا " إِنَّمَا هَذِهِ رَكْضَةٌ من رَكَضَاتِ الشَّيْطَانِ، فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي حَتَّى إِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ، فَصَلِّي ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِئُكِ، وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي فِي كُلِّ شَهْرٍ كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ مِيقَاتَ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ، وَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ فَتَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَتُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الْفَجْرِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَدَرْتِ عَلَى ذَلِكَ " . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " وَهَذَا أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ " .
- حسن
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ عَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ قَالَ: فَقَالَتْ: حَمْنَةُ فَقُلْتُ:هَذَا أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ لَمْ يَجْعَلْهُ مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَهُ كَلَامَ حَمْنَةَ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَعَمْرُو بْنُ ثَابِتٍ رَافِضِيٌّ رَجُلُ سُوءٍ وَلَكِنَّهُ كَانَ صَدُوقًا فِي الْحَدِيثِ وَثَابِتُ بْنُ الْمِقْدَامِ رَجُلٌ ثِقَةٌ وَذَكَرَهُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: سَمِعْت أَحْمَدَ يَقُولُ: حَدِيثُ ابْنِ عَقِيلٍ فِي نَفْسِي مِنْهُ شَيْءٌ
Narrated Hamnah daughter of Jahsh:
Hamnah said my menstruation was great in quantity and severe. So I came to the Messenger of Allah (ﷺ) for a decision and told him. I found him in the house of my sister, Zaynab, daughter of Jahsh.
I said: Messenger of Allah, I am a woman who menstruates in great quantity and it is severe, so what do you think about it? It has prevented me from praying and fasting.
He said: I suggest that you should use cotton, for it absorbs the blood. She replied: It is too copious for that. He said: Then take a cloth. She replied: It is too copious for that, for my blood keeps flowing. The Messenger of Allah (ﷺ) said: I shall give you two commands; whichever of them you follow, that will be sufficient for you without the other, but you know best whether you are strong enough to follow both of them.
He added: This is a stroke of the Devil, so observe your menses for six or seven days, Allah alone knows which it should be; then wash. And when you see that you are purified and quite clean, pray during twenty-three or twenty-four days and nights and fast, for that will be enough for you, and do so every month, just as women menstruate and are purified at the time of their menstruation and their purification.
But if you are strong enough to delay the noon (Zuhr) prayer and advance the afternoon ('Asr) prayer, to wash, and then combine the noon and the afternoon prayer; to delay the sunset prayer and advance the night prayer, to wash, and then combine the two prayers, do so: and to wash at dawn, do so: and fast if you are able to do so if possible.
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Of the two commands this is more to my liking.1
Abu Dawud said: 'Amr b. Thabit narrated from Ibn 'Aqil: Hamnah said: Of the two commands this is the one which is more to my liking.2 In this version these words were not quoted as the statement of the Prophet (ﷺ); it gives it as a statement of Hamnah.
Abu Dawud said: 'Amr b. Thabit was a Rafidi. This has been said by Yahya b. Ma'in.
Abu Dawud said: I heard Ahmad (b. Hanbal) say: I am doubtful about the tradition transmitted by Ibn 'Aqil.