পরিচ্ছেদঃ ৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ “অবশ্যই মানুষ নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে, ফলে সে সীমালঙ্ঘন করে”

৬৯৫৮-(৩৮/২৭৯৭) উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয (রহঃ) এবং মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা আল কায়সী (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু জাহল বলেছিল, মুহাম্মদ কি তোমাদের মাঝে তার মুখমণ্ডল জমিনের উপর রাখে? লোকেরা বলল, হ্যাঁ রাখে। তখন সে বলল, আমি লাত এবং উয্যার শপথ করে বলছি, আমি যদি তাকে এমন করতে দেখি তবে নিশ্চয়ই আমি তার ঘাড় পদদলিত করব, অথবা তার মুখমণ্ডল আমি মাটিতে মেখে দিব। (নাউযুবিল্লাহ) তারপর একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায়ে রত ছিলেন। এমন সময় আবূ জাহল রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গর্দানকে পদদলিত করার উদ্দেশে তার কাছে আসলো। একটু অগ্রসর হয়ে অকস্মাৎ সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুখ ফিরিয়ে দ্রুত পিছনে সরে আসল এবং দু’ হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে লাগল। এ দেখে তাকে প্রশ্ন করা হলো, তোমার কি হয়েছে? উত্তরে সে বলল, আমি দেখেছি যে, আমার এবং তার মধ্যে আগুনের একটি প্রকাণ্ড খাদক, ভয়াবহ অবস্থা এবং কতগুলো ডানা। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে যদি আমার নিকটে আসত, তবে ফেরেশতাগণ তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলতো।

রাবী বলেন, অতঃপর আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন। রাবী (আবু হাযিম) বলেন, আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) এর হাদীসের মধ্যে এ অবতীর্ণ আয়াতটি আছে, না এ মর্মে তার কাছে কোন খবর পৌছেছে, তা আমাদের জানা নেই। “কক্ষনো ঠিক নয়, মানুষ তো সীমালঙ্ঘন করেই থাকে, কেননা সে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করছে। আপনার প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে এটা সুনিশ্চিত। আপনি বলুন তো সে ব্যক্তি সম্পর্কে যে বাধা দেয় এক বান্দাকে যখন সে সালাত আদায় করে। আপনি বলুন তো যদিও সে সালাত আদায়কারী ব্যক্তিটি সৎপথে থাকে এবং তাকওয়ার আদেশ করে এমন ব্যক্তিকে কি বাধা দেয়া ব্যক্তি তবে সে কি জানে না যে, আল্লাহ প্রত্যক্ষ করেন? সাবধান, সে যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাকে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাব মস্তকের অগ্রভাগের কেশগুচ্ছ ধরে, সেটি মিথ্যাচারী পাপিষ্ঠের কেশগুচ্ছ। অতএব সে তার নাসিয়াহ অর্থাৎ- তার সম্প্রদায়কে আহবান করুক। আমি যবনিয়াকে (সম্প্রদায়কে) আহবান করব। কক্ষনো তুমি তার অনুকরণ করো না”— (সূরা আল ’আলাক ৯৬ঃ ৬-১৯)। উবাইদুল্লাহ তার হাদীসে এতটুকু বাড়িয়েছেনঃ রাবী আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) বলেন, তার (রসূল) আদেশ আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী (প্রযোজ্য)। ইবনু আবদুল আ’লা বৃদ্ধি করেছেন فَلْيَدْعُ نَادِيَهُ অর্থাৎقَوْمَهُ ও তার সম্প্রদায়কে ডাকুক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮০৮, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৬২)

باب قَوْلِهِ ‏{‏ إِنَّ الإِنْسَانَ لَيَطْغَى * أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى‏}

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقَيْسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنِي نُعَيْمُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو جَهْلٍ هَلْ يُعَفِّرُ مُحَمَّدٌ وَجْهَهُ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ قَالَ فَقِيلَ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ وَاللاَّتِ وَالْعُزَّى لَئِنْ رَأَيْتُهُ يَفْعَلُ ذَلِكَ لأَطَأَنَّ عَلَى رَقَبَتِهِ أَوْ لأُعَفِّرَنَّ وَجْهَهُ فِي التُّرَابِ - قَالَ - فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي زَعَمَ لِيَطَأَ عَلَى رَقَبَتِهِ - قَالَ - فَمَا فَجِئَهُمْ مِنْهُ إِلاَّ وَهُوَ يَنْكِصُ عَلَى عَقِبَيْهِ وَيَتَّقِي بِيَدَيْهِ - قَالَ - فَقِيلَ لَهُ مَا لَكَ فَقَالَ إِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَهُ لَخَنْدَقًا مِنْ نَارٍ وَهَوْلاً وَأَجْنِحَةً ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ دَنَا مِنِّي لاَخْتَطَفَتْهُ الْمَلاَئِكَةُ عُضْوًا عُضْوًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لاَ نَدْرِي فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ شَىْءٌ بَلَغَهُ ‏(‏ كَلاَّ إِنَّ الإِنْسَانَ لَيَطْغَى * أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى * إِنَّ إِلَى رَبِّكَ الرُّجْعَى * أَرَأَيْتَ الَّذِي يَنْهَى * عَبْدًا إِذَا صَلَّى * أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ عَلَى الْهُدَى * أَوْ أَمَرَ بِالتَّقْوَى * أَرَأَيْتَ إِنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى‏)‏ - يَعْنِي أَبَا جَهْلٍ - ‏(‏ أَلَمْ يَعْلَمْ بِأَنَّ اللَّهَ يَرَى * كَلاَّ لَئِنْ لَمْ يَنْتَهِ لَنَسْفَعًا بِالنَّاصِيَةِ * نَاصِيَةٍ كَاذِبَةٍ خَاطِئَةٍ * فَلْيَدْعُ نَادِيَهُ * سَنَدْعُ الزَّبَانِيَةَ * كَلاَّ لاَ تُطِعْهُ‏)‏ زَادَ عُبَيْدُ اللَّهِ فِي حَدِيثِهِ قَالَ وَأَمَرَهُ بِمَا أَمَرَهُ بِهِ ‏.‏ وَزَادَ ابْنُ عَبْدِ الأَعْلَى فَلْيَدْعُ نَادِيَهُ يَعْنِي قَوْمَهُ ‏.‏

حدثنا عبيد الله بن معاذ، ومحمد بن عبد الاعلى القيسي، قالا حدثنا المعتمر، عن ابيه، حدثني نعيم بن ابي هند، عن ابي حازم، عن ابي هريرة، قال قال ابو جهل هل يعفر محمد وجهه بين اظهركم قال فقيل نعم ‏.‏ فقال واللات والعزى لىن رايته يفعل ذلك لاطان على رقبته او لاعفرن وجهه في التراب - قال - فاتى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يصلي زعم ليطا على رقبته - قال - فما فجىهم منه الا وهو ينكص على عقبيه ويتقي بيديه - قال - فقيل له ما لك فقال ان بيني وبينه لخندقا من نار وهولا واجنحة ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لو دنا مني لاختطفته الملاىكة عضوا عضوا ‏"‏ ‏.‏ قال فانزل الله عز وجل لا ندري في حديث ابي هريرة او شىء بلغه ‏(‏ كلا ان الانسان ليطغى * ان راه استغنى * ان الى ربك الرجعى * ارايت الذي ينهى * عبدا اذا صلى * ارايت ان كان على الهدى * او امر بالتقوى * ارايت ان كذب وتولى‏)‏ - يعني ابا جهل - ‏(‏ الم يعلم بان الله يرى * كلا لىن لم ينته لنسفعا بالناصية * ناصية كاذبة خاطىة * فليدع ناديه * سندع الزبانية * كلا لا تطعه‏)‏ زاد عبيد الله في حديثه قال وامره بما امره به ‏.‏ وزاد ابن عبد الاعلى فليدع ناديه يعني قومه ‏.‏


Abu Huraira reported that Abu Jahl asked (people) whether Muhammad placed his face (on the ground) in their presence. It was said to him:
Yes. He said: By Lat and `Uzza. If I were to see him do that, I would trample his neck, or I would smear his face with dust. He came to Allah's Messenger (ﷺ) as he was engaged in prayer and thought of trampling his neck (and the people say) that he came near him but turned upon his heels and tried to repulse something with his hands. It was said to him: What is the matter with you? He said: There is between me and him a ditch of fire and terror and wings. Thereupon Allah's Messenger (may peace he upon him) said: If he were to come near me the angels would have torn him to pieces. Then Allah, the Exalted and Glorious, revealed this verse- (the narrator) said: We do not know whether it is the hadith transmitted by Abu Huraira or something conveyed to him from another source: "Nay, man is surely inordinate, because he looks upon himself as self-sufficient. Surely to thy Lord is the return. Hast thou seen him who forbids a servant when he prays? Seest thou if he is on the right way, or enjoins observance of piety? Seest thou if he [Abu Jahl] denies and turns away? Knowest he not that Allah sees? Nay, if he desists not, We will seize him by the forelock-a lying, sinful forelock. Then let him summon his council. We will summon the guards of the Hell. Nay! Obey not thou him" (lcvi, 6-19). (Rather prostrate thyself.) Ubaidullah made this addition: It was after this that (prostration) was enjoined upon and Ibn Abd al-Ala made this addition that by "Nadiyah" he meant his people.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৫২। কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار) 52 Characteristics of the Day of Judgment, Paradise, and Hell