পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি একশ থেকে এক হাজার আয়াত পরিমাণ পাঠ করে
৩৪৯৭. আবী নাযরাহ হতে বর্ণিত, আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) দশটি আয়াত পাঠ করবে, তাকে ’যাকিরীন’দের (অধিক যিকিরকারীদের) মধ্যে লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) একশ’টি আয়াত পাঠ করবে, তাকে অনুগতদের (ইবাদতকারীদের) মধ্যে লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) পাঁচশ’টি আয়াত পাঠ করবে, সে সকালে উঠবে অশেষ বিনিময়সহ। তাকে বলা হলো, ’ক্বিনতার’ (অঢেল, অশেষ) কী জিনিস? তিনি বললেন, ’ষাঁড়ের চামড়া ভর্তি সোনার সমপরিমাণ।’[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, নিকাহ ৭/২৩৩ অতি সংক্ষিপ্তাকারে; তাবারাণী, আওসাত ৭৬৭৪ মারফু’ হিসেবে (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে), তবে এর সনদ যয়ীফ। আমরা সেটি তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়ােইদ নং ৩৬৫৭ তে।
باب مَنْ قَرَأَ مِنْ مِائَةِ آيَةٍ إِلَى الْأَلْفِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ مَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ عَشْرَ آيَاتٍ كُتِبَ مِنْ الذَّاكِرِينَ وَمَنْ قَرَأَ بِمِائَةِ آيَةٍ كُتِبَ مِنْ الْقَانِتِينَ وَمَنْ قَرَأَ بِخَمْسِ مِائَةِ آيَةٍ إِلَى الْأَلْفِ أَصْبَحَ وَلَهُ قِنْطَارٌ مِنْ الْأَجْرِ قِيلَ وَمَا الْقِنْطَارُ قَالَ مِلْءُ مَسْكِ الثَّوْرِ ذَهَبًا
পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি একশ থেকে এক হাজার আয়াত পরিমাণ পাঠ করে
৩৪৯৮. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) একশ’টি আয়াত পাঠ করবে, তবে কুরআন ঐ রাতে তার বিরূদ্ধে বাদী হবে না। আর যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) দু’শ’টি আয়াত পাঠ করবে, তাকে পূর্ণ রাত ইবাদতকারীদের মধ্যে লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) পাঁচশ’ হতে এক হাজারটি আয়াত পাঠ করবে, সে সকালে এমন অবস্থায় ঘুম থেকে উঠবে যে, আখিরাতে ’ক্বিনতার’ (অঢেল সম্পদ) তার প্রাপ্য হবে।” তারা বললো, ’ক্বিনতার’ (অঢেল সম্পদ) আবার কী? তিনি বললেন, বার হাজার পরিমাণ।[1]
তাখরীজ: আর এটি তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৮৬ তে একে দারেমী’র প্রতি সম্বোন্ধিত করেছেন। দেখুন, তাবারী, তাফসীর ৩/২০০।
باب مَنْ قَرَأَ مِنْ مِائَةِ آيَةٍ إِلَى الْأَلْفِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَةَ آيَةٍ لَمْ يُحَاجَّهُ الْقُرْآنُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَمَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ مِائَتَيْ آيَةٍ كُتِبَ لَهُ قُنُوتُ لَيْلَةٍ وَمَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ خَمْسَ مِائَةِ آيَةٍ إِلَى الْأَلْفِ أَصْبَحَ وَلَهُ قِنْطَارٌ فِي الْآخِرَةِ قَالُوا وَمَا الْقِنْطَارُ قَالَ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا
পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি একশ থেকে এক হাজার আয়াত পরিমাণ পাঠ করে
৩৪৯৯. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে ব্যক্তি রাতে (সালাতে) তিনশ’টি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য ’ক্বিনতার’ (অশেষ) পরিমাণে বিনিময় লিখা হবে। আর যে ব্যক্তি (সালাতে) সাতশ’টি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য কী (লিখা) হবে আমি জানি না। তিনি বলেন, এ সনদে আবূ নুয়াইম রয়েছে।[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে বিভিন্ন শব্দে নং ৩৪৮২ ও ৩৪৮৯ তে।
باب مَنْ قَرَأَ مِنْ مِائَةِ آيَةٍ إِلَى الْأَلْفِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا فِطْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ قَرَأَ فِي لَيْلَةٍ ثَلَاثَ مِائَةِ آيَةٍ كُتِبَ لَهُ قِنْطَارٌ وَمَنْ قَرَأَ سَبْعَ مِائَةِ آيَةٍ لَا أَدْرِي أَيَّ شَيْءٍ قَالَ فِيهَا أَبُو نُعَيْمٍ بِقَوْلِهِ