পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু ঈসা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট বর্ণনা করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি ঈমানও নিষ্ঠার সাথে জুমু’আর রাতে সূরা হা-মীম আদ দুখান পাঠ করবে, সে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় সকালে উঠবে।[1]
তাখরীজ: সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৬/২৪-২৫ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ হতে তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন ২৮৯১; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৪৭৬ বিচ্ছিন্নতাসহ ও মাতরুক রাবীসহ।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى قَالَ أُخْبِرْتُ أَنَّهُ مَنْ قَرَأَ حم الدُّخَانَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِيمَانًا وَتَصْدِيقًا بِهَا أَصْبَحَ مَغْفُورًا لَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৬০. আবী রাফী’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জুমু’আর রাতে সূরা আদ দুখান পাঠ করবে, সে ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় সকালে উঠবে এবং তাকে আয়তলোচনা হুরের সাথে বিবাহ দেওয়া হবে।[1]
তাখরীজ: সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৬/২৪ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ مَنْ قَرَأَ الدُّخَانَ فِي لَيْلَةِ الْجُمُعَةِ أَصْبَحَ مَغْفُورًا لَهُ وَزُوِّجَ مِنْ الْحُورِ الْعِينِ
পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৬১. সা’দ ইবনু ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হা-মীম যুক্ত সুরাসমূহকে ’নববধূ’ নামকরণ করা হয়েছে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১০/৫৫৮ নং ১০৩৩৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২৪৮২।
সুয়ূতী, দুররে মানসুর ৫/৩৪৪ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ كُنَّ الْحَوَامِيمُ يُسَمَّيْنَ الْعَرَائِسَ
পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৬২. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকালে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করে, সে যদি সেই দিন মৃত্যুবরণ করে, তবে তাকে শাহাদাতের সীল (টিকিট) প্রদান করা হবে এবং সন্ধ্যায় তা পাঠ করলে সে যদি সেই রাতে মৃত্যুবরণ করে, তবে তাকে শাহাদাতের সীল লাভ প্রদান করা হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২২৭।
সুয়ূতী, দুররে মানসুর ১/২০২ তে দারেমী’র প্রতি এটি সম্বোন্ধিত করেছেন।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ مَنْ قَرَأَ ثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ إِذَا أَصْبَحَ فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ ذَلِكَ طُبِعَ بِطَابَعِ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ قَرَأَ إِذَا أَمْسَى فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ طُبِعَ بِطَابَعِ الشُّهَدَاءِ
পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৬৩. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ঘুমের পূর্বে ’মুসাব্বিহাত’ (যে সকল সূরা শুরু ’সাব্বাহা বা ইউসাব্বিহু’ দিয়ে) পাঠ করতেন এবং তিনি বলতেন: “এগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা এক হাজার আয়াতের সমান।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৫১।
নাসাঈ বলেন, ‘মু’আবিয়া বলেন: কোন কোন আহলে ইলম ছয়টি সুরাহকে মুসাব্বিহাত গণ্য করতেন: সুরাহ হাদীদ, হাশর, ওয়াল হাওয়ারিঈন (আস সফ); সুরাহ জুমু’আ, তাগাবুন এবং সুরা আ’লা।’
এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে বুকাইয়া হতে… খালিদ ইবনু মা’দান হতে … ইরবায ইবনু সারিয়াহ হতে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম… এর সনদ যয়ীফ। বুকাইয়া এটি আন’আন শব্দে বর্ণনা করেছেন আর তিনি মুদাল্লিস।
আবূ দাউদ, আদাব ৫০৫৭; তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯২২; দাওয়াত ৩৪০৩; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৫০; আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৭১৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৬৮২; তাবারাণী, কাবীর ১৮/২৪৭ নং ৬২৪।
তবে আহমাদ ৪/১২৮ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫০৩ তে বুকাইয়া সূত্রে হাদ্দাছানা শব্দে আগের সনদে বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি সহীহ।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ مَعْنٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ الْمُسَبِّحَاتِ عِنْدَ النَّوْمِ وَيَقُولُ إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً تَعْدِلُ أَلْفَ آيَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৬৪. মা’কিল ইবনু ইয়াসার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ’আউযু বিল্লাহিস্ সামি’য়ি্ল আলিমি মিনাশ শায়ত্বনির রজীম’ পাঠ করবে এবং (এরপর) সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন, যাঁরা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দু’আ করতে থাকেন। আর যদি সে সন্ধ্যায় পাঠ করে তবুও সে সকাল পর্যন্ত অনুরূপ (ফযীলত) পেতে থাকবে।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৫/২৬; তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯২৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৮০; ইবনু যরীস, ফাযাইলুল কুরআন নং ২৩০; তাবারাণী, কাবীর ২০/২২৯ নং ৫৩৭; কিতাবুদ দু’আ নং ৩০৮; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫০২।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَرَجِ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ طَهْمَانَ أَبُو الْعَلَاءِ الْخَفَّافُ حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي نَافِعٍ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَثَلَاثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ قَالَهَا مَسَاءً فَمِثْلُ ذَلِكَ حَتَّى يُصْبِحَ