পরিচ্ছেদঃ ৪১. (পণ্যদ্রব্যাদি বা মুদ্রা) বদলকরণে অধিক ও বাড়তি আদান-প্রদানের নিষেধাজ্ঞা
২৬১৬. ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “(সমানে সমানে) স্বর্ণের বদলে স্বর্ণে আদান-প্রদান করো, (সমানে সমানে) রৌপ্যের বদলে রৌপ্য আদান-প্রদান করো, (সমানে সমানে) গমের বদলে গম আদান-প্রদান করো, (সমানে সমানে) যবের বদলে যব আদান-প্রদান করো, (সমানে সমানে) খেজুরের বিনিময়ে খেজুর আদান-প্রদান করো। তবে এদের মাঝে (কোনোটি কম, আবার কোনোটি) বেশি করা যাবে না।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২১৩৪, ২১৭০, ২১৭৪; মুসলিম, মাসাকাত ১৫৮৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৪৯, ২০৮, ২০৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫০১৩, ৫০১৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১২ তে।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ الصَّرْفِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيِّ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ هَاءَ وَهَاءَ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ هَاءَ وَهَاءَ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ هَاءَ وَهَاءَ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ هَاءَ وَهَاءَ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ هَاءَ وَهَاءَ وَلَا فَضْلَ بَيْنَهُمَا
পরিচ্ছেদঃ ৪১. (পণ্যদ্রব্যাদি বা মুদ্রা) বদলকরণে অধিক ও বাড়তি আদান-প্রদানের নিষেধাজ্ঞা
২৬১৭. আবী আশ’আস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু’আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর শাসনামলে এক ব্যক্তি এক পাত্র সোন ও রূপা নিয়ে দাঁড়াল এবং তা আতা’র নিকট বিক্রি করতে লাগল। তখন উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সোনার বিনিময়ে সোনা, রূপার বিনিময়ে রূপা, গমের বিনিময়ে গম, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর, যবের বিনিময়ে যব এবং লবণের বিনিময়ে লবণ ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। তবে (দু’বস্তুর) পরিমাণ সমান সমান হলে (ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে)। এইসব ক্ষেত্রে কেউ অতিরিক্ত দিলে বা অতিরিক্ত চাইলে তা হবে সূদ।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, মাসাকাত ১৫৮৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫০১৫, ৫০১৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৯৪ তে। ((আবূ দাউদ, বুয়ূ ৩৩৪৯-৩৩৫০; তিরমিযী, বুয়ূ ১২৪০; নাসাঈ, ৭/২৭৪-২৭৫; ইবনু মাজাহ, তিজারাত ২২৫৪-ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/২৫৭৯ এর টীকা হতে।–অনুবাদক))
باب فِي النَّهْيِ عَنْ الصَّرْفِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ قَالَ قَامَ نَاسٌ فِي إِمَارَةِ مُعَاوِيَةَ يَبِيعُونَ آنِيَةَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ إِلَى الْعَطَاءِ فَقَامَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرِّ بِالْبُرِّ وَالتَّمْرِ بِالتَّمْرِ وَالشَّعِيرِ بِالشَّعِيرِ وَالْمِلْحِ بِالْمِلْحِ إِلَّا مِثْلًا بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ فَمَنْ زَادَ أَوْ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى