পরিচ্ছেদঃ ৩৫. মদ বিক্রয় নিষেধ
২৬০৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন সূদ সম্পর্কে সুরা বাকারাহ শেষদিকের আয়াতটি নাযিল হলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে লোকদের সামনে আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করলেন, অত:পর মদ বিষয়ক সকল লেনদেন হারাম ঘোষণা করলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২২২৬, সালাত ৪৫৯; মুসলিম, মাসাকাত ১৮৫০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪৬৭ তে।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتْ الْآيَةُ فِي آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي الرِّبَا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَلَاهُنَّ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ حَرَّمَ التِّجَارَةَ فِي الْخَمْرِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. মদ বিক্রয় নিষেধ
২৬০৮. (অপর সনদে) আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন সুরা বাকারাহ শেষদিকের আয়াতসমূহ নাযিল হলো তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে লোকদের সামনে আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করলেন, অত:পর মদ বিষয়ক সকল লেনদেন নিষিদ্ধ করলেন।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَمَّا نَزَلَتْ الْآيَاتُ مِنْ أَوَاخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاقْتَرَأَهُنَّ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ نَهَى عَنْ التِّجَارَةِ فِي الْخَمْرِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. মদ বিক্রয় নিষেধ
২৬০৯. আব্দুর রহমান ইবনু ওয়ালাতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট মৃতজন্তুর চামড়া ব্যবহার করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “চামড়া প্রক্রিয়াজাত করাই হলো এর পবিত্র হয়ে যাওয়া।” আমি তাকে চুক্তিবদ্ধ (কাফির) সম্প্রদায়ের কাছে মদ বিক্রয় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আমি তাকে বললাম, আমরা আঙ্গুর উৎপাদন করি এবং তা থেকে এ মদ তৈরী করে তা চুক্তিবদ্ধ (কাফির) সম্প্রদায়ের নিকট বিক্রয় করি। তখন ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিদায় হজ্জের সময় ছাকীফ অথবা, দাওস গোত্রের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক মশক মদ হাদিয়া স্বরুপ নিয়ে আসে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ “হে আবূ অমুক! তুমি কি জান না যে, আল্লাহ উহা হারাম করে দিয়েছেন?” সে বলল, আল্লাহর কসম, না। অতঃপর সে এক ব্যক্তি তার গোলামের কাছে ফিরে গিয়ে তাকে বলল, তুমি হাযওয়ারাহ’ (নামক বাজারে) গিয়ে ইহা বিক্রি করে দাও। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে আবূ অমুক! তুমি কি জান না যে, যিনি ইহা পান করা হারাম করেছেন, তিনি ইহার বিক্রিও হারাম করে দিয়েছেন?” তিনি (রাবী) বলেন, এরপর সে তাকে নির্দেশ দিলে তা ’বাতহা’ উপত্যকায় ঢেলে ফেলা হলো।[1]
তাখরীজ: মালিক, আশরিবাহ ১২ সহীহ সনদে; মুসলিম, মাসাকাত ১৫৭৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪৬৮, ২৫৯০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৯৪২, ৪৯৪৪ তে। আর এটি গত হয়েছে ২০২৮ (অনুবাদে ২০১৮) নং তে।
باب فِي النَّهْيِ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ عَنْ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَعْلَةَ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ جُلُودِ الْمَيْتَةِ فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِبَاغُهَا طَهُورُهَا وَسَأَلْتُهُ عَنْ بَيْعِ الْخَمْرِ مِنْ أَهْلِ الذِّمَّةِ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ لَنَا أَعْنَابًا وَإِنَّا نَتَّخِذُ مِنْهَا هَذِهِ الْخُمُورَ فَنَبِيعُهَا مِنْ أَهْلِ الذِّمَّةِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَهْدَى رَجُلٌ مِنْ ثَقِيفٍ أَوْ دَوْسٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاوِيَةً مِنْ خَمْرٍ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَا عَلِمْتَ يَا أَبَا فُلَانٍ أَنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَهَا قَالَ لَا وَاللَّهِ قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَهَا فَالْتَفَتَ إِلَى غُلَامِهِ فَقَالَ اخْرُجْ بِهَا إِلَى الْحَزْوَرَةِ فَبِعْهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَ مَا عَلِمْتَ يَا أَبَا فُلَانٍ أَنَّ الَّذِي حَرَّمَ شُرْبَهَا حَرَّمَ بَيْعَهَا قَالَ فَأَمَرَ بِهَا فَأُفْرِغَتْ فِي الْبَطْحَاءِ