পরিচ্ছেদঃ ১. হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট
২৫৬৯. নু’মান ইবনু বাশীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “হালালও স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে তার মর্যাদা ও দীন রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, সে হারামে লিপ্ত হয়ে পড়বে; এর উপমা সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু (বাদশাহ্র) সংরক্ষিত চারণভুমির আশে পাশে (চরায়), অচিরেই সে সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখ, প্রত্যেক বাদশাহ্রই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আর আল্লাহ্র সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি মাংসের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সেটি হল কলব।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ৫২; মুসলিম, মাসাকাহ ১৫৯৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭২১ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৪৩, ৯৪৭ তে।
ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর শারহু সহীহ মুসলিম ৪/১১০ বলেন: “এ হাদীসের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন হওয়া, এর বহু (ফায়িদাহ) উপকারীতার ব্যাপারে আলিমগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। আর ইসলাম যে সকল মুলবিষয়গুলির উপর কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, সে সকল হাদীসের অন্যতম এটি।
আলিমগণের একটি দল বলেন: এটি ইসলামের এক তৃতীয়াংশ, এটি এবং অপর হাদীস: ‘প্রত্যেকটি কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল’ এবং অপর একটি হাদীস: ‘কোনো ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য হলো তার অপ্রয়োজনীয় কাজ বর্জন করা।’ (এক তিনটি হাদীস) কে কেন্দ্র করেই ইসলাম আবর্তিত হয়।
আবী দাউদ সিজিসতানী বলেন: (ইসলাম) চারটি হাদীসের উপর ভিত্তিশীল। উল্লিখিত তিনটি এবং চতুর্থ হাদীসটি: ‘তোমাদের কেউ মু’মিন হবে না, যতক্ষণ না তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।’
আবার বলা হয়: (চতুর্থ) হাদীস: “দুনিয়ার বিষয়ে নিরাসক্ত হও, তবে আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন। আর মানুষের হাতে যা রয়েছে তা থেকে নিরাসক্ত হও, তবে মানুষ তোমাকে ভালবাসবে।’
আলিমগণ বলেন: এর শ্রেষ্ঠ অবস্থানের কারণ এতে তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খবর দিয়েছেন খাবার গ্রহণকারী, পানকারী, পোশাক পরিধানকারী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের সংশোধনীর সম্পর্কে। তার উচিত সন্দেহজনক বিষয় পরিহার করা। কেননা, এটিই তার দীন ও দুনিয়াবী বিষয়ের সুরক্ষার মাধ্যম।...” বাকী আলোচনা দেখুন, ফাতুহল বারী ১/১২৬ ও এর পরবর্তীতে এবং জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম পৃ: ৬৩-৭২।
بَاب فِي الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُتَشَابِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ فَمَنْ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِعِرْضِهِ وَدِينِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى فَيُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ