পরিচ্ছেদঃ ১৪. তীর নিক্ষেপের ফযীলত ও এর নির্দেশ
২৪৪৩. উকবা ইবন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেন: (“তাদের বিরুদ্ধে তোমরা সাধ্যমত শক্তি সঞ্চয় কর।”: সুরা আনফাল: ৬০)এরপরে তিনি তিনবার বললেন: “জেনে রাখ, নিশ্চয়ই ’শক্তি’ হলো ’তীর নিক্ষেপ’।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, ইমারাহ ১৯১৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৪৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭০৯ তে। এছাড়াও, সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৪৪৯; তায়ালিসী ১/২৪১ নং ১১৮২ অন্ধকারাচ্ছন্ন সনদে।
بَاب فِي فَضْلِ الرَّمْيِ وَالْأَمْرِ بِهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّهُ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. তীর নিক্ষেপের ফযীলত ও এর নির্দেশ
২৪৪৪. উকবা ইবনে ’আমের আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ একটি তীরের উপলক্ষে তিন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেনঃ (১) তীর নির্মাতা যে তা নির্মাণকালে কল্যাণের আশা করে, (২) (জিহাদে) যে এতে (নিক্ষেপে) সাহায্য করে এবং (৩) এই তীর নিক্ষেপকারী।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেনঃ “তোমরা তীরন্দাজী করো এবং ঘোড়দৌড় শিক্ষা করো। তবে তোমাদের ঘোড়দৌড় শেখার তুলনায় তীরন্দাজী শিক্ষা করা আমার কাছে অধিক প্রিয়।”
তিনি আরও বলেন: “কোনো মুসলিম ব্যক্তির সকল ক্রীড়া-কৌতুকই বৃথা। তবে তার ধনুক দ্বারা তীর নিক্ষেপ, তার ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দান এবং তার স্ত্রীর সাথে তার ক্রীড়া-কৌতুক বৃথা নয়। কারণ এগুলো উপকারী ও বিধিসম্মত।তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি তীরন্দাজী শিক্ষা করার পর তা ত্যাগ করলো, তাকে যে তাকে শিক্ষা দিয়েছে, তার (শিক্ষার) সাথে সে নাফরমানী করলো।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১৪৪, ১৪৬, ১৪৮; ইবনু আবী শাইবা ৫/৩২০,৩৪৯, ৯/২৩ নং ৬৩৭৫; ইবনু মাজাহ, জিহাদ ২৮১১; ; তায়ালিসী ১/২৪১, ২৪২ নং ১১৭৯; বাইহাকী, সাবাক্বা ওয়ার রমিয়াহ ১০/১৩; তিরমিযী, ফাযাইলুল জিহাদ ১৬৩৭; তাবারাণী, কাবীর ১৭/২৪১ নং ৯৪১; আবূ দাউদ, জিহাদ ২৫১৩; নাসাঈ, জিহাদ ৬/২৮; সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৪৫০; ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতুত তারীখ ২/৫০১, ৫০২; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/৩৬৮; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ১০৬২; খতীব, মাওযিহ ১/১১৪; মিযযী, তাহযীবুল কামাল ৮/৭৫, ৭৬ বিচ্ছিন্ন সনদে; আব্দুর রাযযাক, জামি’ মা’মার নং ২১০১০ জাইয়্যেদ সনদে; এর শেষাংশ বর্ণনা করেছেন মুসলিম , ইমরাহ ১৯১৯।
আর এর প্রথম অংশের শাহিদ আবী হুরাইরা হতে রয়েছে হাকিম ২/৯৫ খতীব ৩/১২৮, ৬/৩৬৭ এ সনদ দু’টিই যয়ীফ।
আর এর দ্বিতীয় অংশের শাহিদ জাবির হতে রয়েছে নাসাঈ, কুবরা ৮৯৩৮, ৮৯৩৯, ৮৯৪০; দ্বিতীয় অংশের সনদ সহীহ।
بَاب فِي فَضْلِ الرَّمْيِ وَالْأَمْرِ بِهِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الْأَزْرَقِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُدْخِلُ الثَّلَاثَةَ بِالسَّهْمِ الْوَاحِدِ الْجَنَّةَ صَانِعَهُ يَحْتَسِبُ فِي صَنْعَتِهِ الْخَيْرَ وَالْمُمِدَّ بِهِ وَالرَّامِيَ بِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْمُوا وَارْكَبُوا وَلَأَنْ تَرْمُوا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ تَرْكَبُوا وَقَالَ كُلُّ شَيْءٍ يَلْهُو بِهِ الرَّجُلُ بَاطِلٌ إِلَّا رَمْيَ الرَّجُلِ بِقَوْسِهِ وَتَأْدِيبَهُ فَرَسَهُ وَمُلَاعَبَتَهُ أَهْلَهُ فَإِنَّهُنَّ مِنْ الْحَقِّ وَقَالَ مَنْ تَرَكَ الرَّمْيَ بَعْدَمَا عُلِّمَهُ فَقَدْ كَفَرَ الَّذِي عُلِّمَهُ