পরিচ্ছেদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা
২৩২৮. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি আযাদ করার জন্য (বাঁদী) বারীরাহকে ক্রয় করতে চাইলেন। কিন্তু তার মালিক পক্ষ শর্ত আরোপ করল যে, তার ওয়ালা তাদেরই থাকবে। ফলে তিনি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তুমি তাকে ক্রয়করো। কেননা ওয়ালা তারই হবে, যে আযাদ করবে।”
ফলে তিনি তাকে ক্রয় করে মুক্ত করে দিলেন। আর তাকে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দেওয়া হলো, যে ছিল স্বাধীন পুরুষ। আর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু মাংস নিয়ে আসা হলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন: “এটা কার নিকট হতে এসেছে?” তাঁকে বলা হলো, এটা বারীরাহকে সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তখন তিনি বললেন: “এটি তার জন্য সাদাকাহ, আর আমাদের জন্য হাদিয়াহ।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২১৬৮; মুসলিম, ইতক্ব ১৫০৪।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪৩৫,৪৪৩৬, ৪৪৫০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৬৯, ৪২৭১, ৪২৭২ তে।
بَاب فِي تَخْيِيرِ الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتُعْتَقُ
أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ فَأَرَادَ مَوَالِيهَا أَنْ يَشْتَرِطُوا وَلَاءَهَا فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ اشْتَرِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ فَاشْتَرَتْهَا فَأَعْتَقَتْهَا وَخَيَّرَهَا مِنْ زَوْجِهَا وَكَانَ حُرًّا وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِلَحْمٍ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ هَذَا قِيلَ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَقَالَ هُوَ لَهَا صَدَقَةٌ وَلَنَا هَدِيَّةٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা
২৩২৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট প্রবেশ করলে আমি তাঁর সম্মুখে কিছু খাবার পেশ করলাম, যার মধ্যে মাংস ছিল না। তখন তিনি বললেন: “আমি কি তোমাদের নিকট তুলে রাখা একটি পাত্র (তে মাংস) দেখলাম না?” আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তা হলো বারীরাহকে সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, এরপর সে তা আমাদেরকে হাদিয়া হিসেবে দিয়েছে। তিনি বললেন: “সেটি তার জন্য সাদাকাহ, কিন্তু আমাদের জন্য হাদিয়াহ হিসেবে গণ্য।” আর তার স্বামী ছিল; যখন তাকে আযাদ করা (মুক্তি দেওয়া) হলো, তখন তাকে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছিলো।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসের অংশবিশেষ। তাহলো, “তা আমাদের জন্য হাদিয়াহ স্বরুপ।” ((বুখারী, তালাক ৫২৭৯-অনুবাদক))
بَاب فِي تَخْيِيرِ الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتُعْتَقُ
أَخْبَرَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيَّ فَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ طَعَامًا لَيْسَ فِيهِ لَحْمٌ فَقَالَ أَلَمْ أَرَ لَكُمْ قِدْرًا مَنْصُوبَةً قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا لَحْمٌ تُصُدِّقَ بِهِ عَلَى بَرِيرَةَ فَأَهْدَتْ لَنَا قَالَ هُوَ عَلَيْهَا صَدَقَةٌ وَهُوَ لَنَا مِنْهَا هَدِيَّةٌ وَكَانَ لَهَا زَوْجٌ فَلَمَّا عُتِقَتْ خُيِّرَتْ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা
২৩৩০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, যখন আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বারীরাকে মুক্ত করেন, তখন তার স্বামী ছিল একজন ক্রীতদাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার স্বামীর (সাথে সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন রাখার) প্রতি উৎসাহিত করতে থাকলেন। তখন সে বলতে থাকলো, আমার কি এ অধিকার নেই যে, আমি তার থেকে বিচ্ছিন্ন হব? তিনি বলেন: “হাঁ, অবশ্যই আছে।” তখন সে বলল, তাহলে আমি নিজেকে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করছি।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসগুলির অংশবিশেষ। ((শব্দের ভিন্নতা সহ বুখারী, তালাক ৫২৮৩; তিরমিযী, রাদা’আ ১১৫৬; আবূ দাউদ ২২৩১, ২২৩২; নাসাঈ, ৫৪১৭; ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৭৫।– অনুবাদক))
بَاب فِي تَخْيِيرِ الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتُعْتَقُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الضَّحَّاكِ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيِّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ بَرِيرَةَ حِينَ أَعْتَقَتْهَا عَائِشَةُ كَانَ زَوْجُهَا عَبْدًا فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحُضُّهَا عَلَيْهِ فَجَعَلَتْ تَقُولُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَيْسَ لِي أَنْ أُفَارِقَهُ قَالَ بَلَى قَالَتْ فَقَدْ فَارَقْتُهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ক্রীতদাসের সাথে বিবাহিতা ক্রীতদাসী মুক্তিলাভ করলে তাকে (ক্রীতদাসের বিবাহাধীন থাকা-না থাকার ব্যাপারে) ইখতিয়ার প্রদান করা
২৩৩১. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, বারীরার স্বামী ক্রীতদাস ছিল। তাকে মুগীস নামে ডাকা হত। আমি যেন এখনও তাকে দেখতে পাচ্ছি যে, সে বারীরার পিছে ছুটছে আর কাঁদছে। আর তার দাড়ি বেয়ে অশ্রু ঝরছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বললেনঃ “হে ’আব্বাস! বারীরার প্রতি মুগীসের গভীর ভালবাসা এবং মুগীসের প্রতি বারীরার চরম অনাসক্তি দেখে তুমি কি আশ্চর্যান্বিত হওনা?”
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “(হে বারীরা!) তুমি যদি তার কাছে আবার ফিরে যেতে! কেননা, সে তো তোমার সন্তানের পিতা।”সে বললঃ ইয়া রাসূলূল্লাহ! আপনি কি আমাকে আদেশ করছেন? তিনি বললেনঃ “আমি কেবল সুপারিশ করছি।” সে বললঃ তাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই।[1]
তাখরীজ: বুখারী, তালাক ৫২৮৩।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪২৭০, ৪২৭৩ তে।
بَاب فِي تَخْيِيرِ الْأَمَةِ تَكُونُ تَحْتَ الْعَبْدِ فَتُعْتَقُ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ خَالِدٍ يَعْنِي الْحَذَّاءَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ زَوْجَ بَرِيرَةَ كَانَ عَبْدًا يُقَالُ لَهُ مُغِيثٌ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ يَطُوفُ خَلْفَهَا يَبْكِي وَدُمُوعُهُ تَسِيلُ عَلَى لِحْيَتِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْعَبَّاسِ يَا عَبَّاسُ أَلَا تَعْجَبُ مِنْ شِدَّةِ حُبِّ مُغِيثٍ بَرِيرَةَ وَمِنْ شِدَّةِ بُغْضِ بَرِيرَةَ مُغِيثًا فَقَالَ لَهَا لَوْ رَاجَعْتِيهِ فَإِنَّهُ أَبُو وَلَدِكِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَأْمُرُنِي قَالَ إِنَّمَا أَنَا شَافِعٌ قَالَتْ لَا حَاجَةَ لِي فِيهِ