পরিচ্ছেদঃ ৯. আক্বীক্বার সুন্নাত (পদ্ধতি)
২০০৪. উম্মু কুরয রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকীকা সম্পর্কে বলেছেন: ছেলের জন্য দুটো ছাগল যথেষ্ট হবে আর মেয়ের জন্য একটি ছাগল।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১০৬০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৩১৩ এবং মুসনাদুল হুমাইদী নং ৩৪৯ তে। আরও দেখুন, আবী ইয়ালা, মু’জামুস শুয়ূখ নং ৪৯।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْعَقِيقَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ حَبِيبَةَ بِنْتِ مَيْسَرَةَ بْنِ أَبِي خُثَيْمٍ عَنْ أُمِّ كُرْزٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الْعَقِيقَةِ عَنْ الْغُلَامِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৯. আক্বীক্বার সুন্নাত (পদ্ধতি)
২০০৫. সালমান ইবনু ’আমির আয দব্বী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, “সন্তানের সঙ্গে ’আক্বীক্বাহ সম্পর্কিত। তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ ’আক্বীক্বাহর জন্তু যবহ) কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।”[1]
তাখরীজ: ((বুখারী, কিতাবুল আক্বীক্বাহ, নং ৫৪৭১-৫৪৭২ - অনুবাদক)) আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৪২ তে। আরও দেখুন, নাইলুল আওতার ৫/২২২-২২৭।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْعَقِيقَةِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ الضَّبِّيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَعَ الْغُلَامِ عَقِيقَةٌ فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ الدَّمَ وَأَمِيطُوا عَنْهُ الْأَذَى
পরিচ্ছেদঃ ৯. আক্বীক্বার সুন্নাত (পদ্ধতি)
২০০৬. উম্মু কুরয রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকীকা সম্পর্কে বলেছেন: “ছেলের জন্য সাদৃশ্যপূর্ণ দুটো ছাগল আর মেয়ের জন্য একটি ছাগল (যথেষ্ট হবে)।”[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বে গত হয়েছে (নং ২০০৪)।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْعَقِيقَةِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ عَنْ سِبَاعِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أُمِّ كُرْزٍ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْغُلَامِ شَاتَانِ مِثْلَانِ وَعَنْ الْجَارِيَةِ شَاةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৯. আক্বীক্বার সুন্নাত (পদ্ধতি)
২০০৭. সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আকীকার সাথে প্রতিটি শিশু বন্ধক থাকে। তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে পশু যবাহ করা হবে, আর তার মাথা মুন্ডন করা হবে এবং রক্ত (মাথায়) লাগানো হবে।”
অতঃপর কাতাদা (রাহি.) রক্ত লাগান সম্পর্কে বলতেনঃ যখন আক্বীক্বার পশু যবেহ করা হবে, তখন তার কিছু লোম নিয়ে পশুর কর্তিত শিরার সামনে রাখতে হবে এবং তা বাচ্চার মাথার উপর রাখতে হবে, এমনকি তা রশির মতো হয়ে (তাতে রক্ত) গড়িয়ে পড়বে। তার মাথা ধুয়ে ফেলে মাথা মুন্ডন করতে হবে।[1]
আফফান বলেন, আবান এ হাদীস বর্ণনার সময় বলেন, “এবং নাম রাখতে হবে।” আব্দুল্লাহ বলেন, আমি একে ওয়াজিব মনে করি না।
তাখরীজ: আহমাদ ৫/১২, ১৭, ৬৬; আবূ দাউদ, আযাহী ২৮৩৭, ২৮৩৮; ইবনুল জারুদ নং ৯১০; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/৪৫৩; তিরমিযী, আযাহী ১৫২২; নাসাঈ, আক্বীক্বাহ ৭/১৬৬; ইবনু মাজাহ, যাবাইহ ৩১৬৫; তাবারাণী, আল কবীর ৭/২০১ নং ৬৮৩১,৬৮৩২; হাকিম ৪/২৩৭; বাইহাকী, যাহাইয়া ৯/২৯৯; তায়ালিসী ১/২৩১ নং ১১১৭; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/১৯১।
কোনো কোনো হাদীসে ‘রক্ত লাগাতে হবে’ এর পরিবর্তে ‘নাম রাখতে হবে’ এসেছে।
((মুহাক্কিক্ব উভয় হাদীসের বর্ণনাসমূহ একত্রিত করে বিস্তারিত আলোচনার পর বলেন)) পূর্বের আলোচনার সারসংক্ষেপ হলো, এ উভয় বর্ণনাই সহীহ। এটি মানসূখ বা রহিত হওয়ার বিপরীতে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যাই এর চেয়ে অধিক, যা বর্ণনা করেছেন, আবী ইয়ালা, আল মুসনাদ নং ৪৫২১; ইবনু হিব্বান নং ৫৩০৮; মাওয়ারিদ নং ১০৫৭, যার উভয়টি আমাদের তাহক্বীক্বকৃত। এর শব্দগুলি হলো: আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: জাহিলিয়াতের যুগে যখন তারা কোনো বাচ্চার পক্ষ হতে আক্বীক্বাহ করতো, তখন এক টুকরা সুতি কাপতে আক্বীক্বার জন্তুর রক্ত মাখাতো, এরপর সেটি বাচ্চার মাথায় রাখতো। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তোমরা রক্তের স্থানে জাফরান জাতীয় সুগন্ধি লাগাও।”
আমরা মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৬২৭২ তেও এর তাখরীজ করেছি। দেখুন, নাইল ৫/২২৫-২২৬; মুশকিলিল আছার ১/৪৫৩-৪৫৬।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْعَقِيقَةِ
أَخْبَرَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَمُرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كُلُّ غُلَامٍ رَهِينَةٌ بِعَقِيقَتِهِ يُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ وَيُحْلَقُ وَيُدَمَّى وَكَانَ قَتَادَةُ يَصِفُ الدَّمَ فَيَقُولُ إِذَا ذُبِحَتْ الْعَقِيقَةُ تُؤْخَذُ صُوفَةٌ فَيُسْتَقْبَلُ بِهَا أَوْدَاجُ الذَّبِيحَةِ ثُمَّ تُوضَعُ عَلَى يَافُوخِ الصَّبِيِّ حَتَّى إِذَا سَالَ شَبَهُ الْخَيْطِ غُسِلَ رَأْسُهُ ثُمَّ حُلِقَ بَعْدُ قَالَ عَفَّانُ حَدَّثَنَا أَبَانُ بِهَذَا الْحَدِيثِ قَالَ وَيُسَمَّى قَالَ عَبْد اللَّهِ وَلَا أُرَاهُ وَاجِبًا