পরিচ্ছেদঃ ৫২. (যিলহজ্জের প্রথম) দশদিনের আমলের ফযীলত
১৮১০. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহর নিকট যুলহিজ্জার দশ দিনের নেক আমলের চাইতে অধিক ফযীলতপূর্ণ আর কোনো দিনের নেক আমল নেই।” সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আল্লাহর পথে জিহাদও কি নয়? তিনি বলেন, “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি তার জান-মালসহ আল্লাহর পথে বের হয়, কিন্তু তার কোন কিছু নিয়েই আর ফিরে আসে না (তার মর্যাদা অনেক)।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ঈদাইন ৯৬৯; বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৮৪; তা্য়ালিসী নং ২৬৩১; আহমাদ ১/৩৪৬; আবূ দাউদ, সওম ২৪৩৮; আব্দুর রাযযাক নং ৮১২১; তাবারাণী, আল কাবীর ২/১৩ নং ১২৩২৬; তিরমিযী, সওম ৭৫৭; বাগাব, শারহুস সুন্নাহ নং ১১২৫; ইবনু মাজাহ, সিয়াম ১৭২৭।
এর শাহিদ হাদীস জাবীর রা: হতে বর্ণিত হয়েছে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০৯০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬২৩, ৬০১১ তে।
এছাড়া, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, আব্দুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ, ইবনু আব্বাস এর অপর বর্ণনা: এর শাহিদ হিসেবে বর্ণিত আছে, যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি মাজামউয যাওয়াইদ নং ৬০০৭-৬০১০ তে। আরও দেখুন, পরবর্তী হাদীসটি এবং তারগীব ২/১৯৮-২০০।
بَاب فِي فَضْلِ الْعَمَلِ فِي الْعَشْرِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ مُسْلِمًا الْبَطِينَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامٍ أَفْضَلَ مِنْ الْعَمَلِ فِي عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ قِيلَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْجِعْ بِشَيْءٍ
পরিচ্ছেদঃ ৫২. (যিলহজ্জের প্রথম) দশদিনের আমলের ফযীলত
১৮১১. (অপর সনদে) ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আযহা’র (যুলহিজ্জার) দশ দিনে যে নেক আমল করা হয়, তার চাইতে আল্লাহর নিকট অধিক পবিত্র, অধিক সাওয়াবের আর কোনো নেক আমল নেই।” জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহর পথে জিহাদও কি নয়? তিনি বলেন, “আল্লাহর পথে জিহাদও নয়, তবে, যে ব্যক্তি তার জান-মালসহ আল্লাহর পথে (জিহাদে) বের হয়, কিন্তু এর কোন কিছু নিয়েই সে আর ফিরে আসে না (তার মর্যাদা অনেক)।” [1] তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, সাঈদ ইবনু যুবাইর যখন (যুলহাজ্জের) প্রথম দশকে উপনীত হতেন, তখন তিনি তাঁর সাধ্যানুযায়ী সর্বাধিক কঠোর সাধনা করতেন।
তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৪/১১৩-১১৪; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ৩৭৫২; পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকাটি দেখুন।
بَاب فِي فَضْلِ الْعَمَلِ فِي الْعَشْرِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا أَصْبَغُ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ عَمَلٍ أَزْكَى عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَا أَعْظَمَ أَجْرًا مِنْ خَيْرٍ تَعْمَلُهُ فِي عَشْرِ الْأَضْحَى قِيلَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ وَلَا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ قَالَ وَكَانَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ إِذَا دَخَلَ أَيَّامُ الْعَشْرِ اجْتَهَدَ اجْتِهَادًا شَدِيدًا حَتَّى مَا يَكَادُ يَقْدِرُ عَلَيْهِ