পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি নফল রোযার নিয়াত করে সকালে (ঘুম থেকে) উঠে এরপর রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তার সম্পর্কে
১৭৭২. উম্মু হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নিকট প্রবেশ করলেন, আর তখন তিনি রোযাদার ছিলেন। এমতাবস্থায় তাঁর নিকট কিছু শরবত এল। এরপর তিনি এ থেকে পান করলেন, এরপর তাকে তা দিলেন। তিনিও তা থেকে কিছু পান করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “তা যদি রমযানের রোযার কাযা আদায় করার জন্য হয়ে থাকে, তবে অন্য একদিন রোযা রাখবে। আর যদি তা নফল রোযা হয়ে থাকে, তবে তুমি চাইলে এর কাযা আদায় করবে, না চাইলে এর কাযা আদায় করবে না।”[1]
তাখরীজ: তায়ালিসী ১/১৯১ নং ৯১৬; বাইহাকী ৪/২৭৮; মা’রিফাহ নং ৮৯২০; আহমাদ ৬/৩৪৩; তাবারাণী, আল কাবীর ২৪/৪০৭ নং ৯৯০; নাসাঈ, আল কুবরা নং ৩৩০৫; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ২/১০৭; দারুকুতনী, সুনান ২/১৭৪ নং ১২; তিরমিযী, সওম ৭৩১, ৭৩২; হাকিম ১/৪৩৯; পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।
بَاب فِيمَنْ يُصْبِحُ صَائِمًا تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ هَارُونَ ابْنِ ابْنَةِ أُمِّ هَانِئٍ أَوْ ابْنِ ابْنِ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا وَهِيَ صَائِمَةٌ فَأُتِيَ بِإِنَاءٍ فَشَرِبَ ثُمَّ نَاوَلَهَا فَشَرِبَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ قَضَاءَ رَمَضَانَ فَصُومِي يَوْمًا آخَرَ وَإِنْ كَانَ تَطَوُّعًا فَإِنْ شِئْتِ فَاقْضِيهِ وَإِنْ شِئْتِ فَلَا تَقْضِيهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩০. যে ব্যক্তি নফল রোযার নিয়াত করে সকালে (ঘুম থেকে) উঠে এরপর রোযা ভেঙ্গে ফেলে, তার সম্পর্কে
১৭৭৩. উম্মে হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা আগমন করেন। এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বামদিকে উপবেশন করেন এবং উম্মে হানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ডানদিকে। তিনি (রাবী) বলেন, এ সময় জনৈক দাসী একটি পাত্রে কিছু পানীয় দ্রব্য এনে পেশ করলে তিনি তা পান করেন। এরপর তিনি তা (এর অবশিষ্টাংশ) উম্মে হানীকে পান করতে দেন। তিনি তা পান করে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি তো ইফতার করে ফেললাম, কিন্তু আমি যে রোযা ছিলাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন: “তুমি কি কোন (রোযার) কাযা আদায় করছিলে?” তিনি বলেন, না। তিনি বলেন: “যদি তা নফল রোযা হয়, তবে এতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।”[1]
আবূ মুহাম্মদ বলেন: এটিই আমার মত।
তাখরীজ: আবূ দাউদ, সওম ২৪৫৬; তার সূত্রে বাইহাকী, সিয়াম ৪/২৭৭।
নাসাঈ বলেন: “এ হাদীসটি মুযতারিব (বিক্ষিপ্ত)।… আর জা’দাহ’র হাদীসের বিষয়টি হলো, তিনি উম্মু হানী থেকে কোনো কিছু শ্রবণ করেননি।”
তুর্কমানী ‘জাওহারুন নাক্বী হামিশ বাইহাকী ৪/২৭৮ তে বলেন: “এ হাদীসটি মতন ও সনদের দিক থেকে ‘ইযতিরাব’যুক্ত (বিক্ষিপ্ততা)।….
بَاب فِيمَنْ يُصْبِحُ صَائِمًا تَطَوُّعًا ثُمَّ يُفْطِرُ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ أُمِّ هَانِئٍ قَالَتْ لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَجَلَسَتْ عَنْ يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ قَالَتْ فَجَاءَتْ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ لَهَا أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا قَالَتْ لَا قَالَ فَلَا يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَقُولُ بِهِ