পরিচ্ছেদঃ ৭. রোযাদার কখন সেহরীতে পানাহার করা হতে বিরত হবে
১৭৩০. বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণের অবস্থা এই ছিল যে, যখন তাঁদের কেউ সাওম পালনরত অবস্থায় ইফতারের সময় ইফতার না করে ঘুমিয়ে যেতো, তবে সে রাতে এবং পরের সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুই খেতে পারতেন না। কায়স ইবন সিরমা আনসারী (রা) সাওম পালন করেছিলেন। ইফতারের সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কিছু খাবার আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে আমি যাচ্ছি, দেখি আপনার জন্য কিছু যোগাড় করতে পারি কিনা। তিনি দিনের বেলায় কর্মব্যস্ত থাকতেন। তাই ঘুমে তাঁর চোখ বিভোর হয়ে গেল। এরপর স্ত্রী এসে যখন তাকে দেখলেন, তখন তাঁকে বললেন, হায়, তোমার জন্য আফসোস! পরদিন দুপুর হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ ঘটনাটি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উল্লেখ করা হলো, তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়ঃ “সিয়ামের রাত্রে তোমাদের স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হয়েছে। ......... তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্টভাবে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।” (সূরা বাকারা: ১৮৭) এর মাধ্যমে সাহাবীগন খুবই আনন্দিত হলেন। ফলে তারা পানাহার করলেন, যতক্ষন রাতের কাল রেখা হতে (ভোরের) সাদা রেখা স্পষ্টভাবে তাঁদের নিকট প্রতিভাত না হলো।[1]
তাখরীজ: বুখারী, সিয়াম ১৯১৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬০, ৩৪৬১ তে।
بَاب مَتَى يُمْسِكُ الْمُتَسَحِّرُ عَنْ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ الْبَرَاءِ قَالَ كَانَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَائِمًا فَحَضَرَ الْإِفْطَارُ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَ لَمْ يَأْكُلْ لَيْلَتَهُ وَلَا يَوْمَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنَّ قَيْسَ بْنَ صِرْمَةَ الْأَنْصَارِيَّ كَانَ صَائِمًا فَلَمَّا حَضَرَ الْإِفْطَارُ أَتَى امْرَأَتَهُ فَقَالَ عِنْدَكِ طَعَامٌ فَقَالَتْ لَا وَلَكِنْ أَنْطَلِقُ فَأَطْلُبُ لَكَ وَكَانَ يَوْمَهُ يَعْمَلُ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ وَجَاءَتْ امْرَأَتُهُ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ خَيْبَةً لَكَ فَلَمَّا انْتَصَفَ النَّهَارُ غُشِيَ عَلَيْهِ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ فَفَرِحُوا بِهَا فَرَحًا شَدِيدًا وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ
পরিচ্ছেদঃ ৭. রোযাদার কখন সেহরীতে পানাহার করা হতে বিরত হবে
১৭৩১. ’আদী ইবন হাতিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, (বাকারা: ১৮৭ নং আয়াত নাযিল হলে) আমি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গিয়ে এ বিষয়ে) বললাম। ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিয়ে আমার বালিশের নিচে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নিকট কোনো কিছুই (পার্থক্য) প্রকাশিত হল না। তিনি বললেনঃ “তোমার বালিশতো বেশ লম্বা-চওড়া! এ-তো দিনের (আলো) হতে রাতের (আধার)।” তা ছিল আল্লাহ তা’আলার এ বাণী সম্পর্কে: ’’তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না ফজরের কাল রেখা সাদা রেখা স্পষ্ট রুপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।”[1] (সুরা বাকারা: ১৮৭)
তাখরীজ: বুখারী, সিয়াম ১৯১৬; মুসলিম, সিয়াম ১০৯০;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৬২, ৩৪৬৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯৪১ তে।
بَاب مَتَى يُمْسِكُ الْمُتَسَحِّرُ عَنْ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ حُصَيْنٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ جَعَلْتُ تَحْتَ وِسَادَتِي خَيْطًا أَبْيَضَ وَخَيْطًا أَسْوَدَ فَمَا تَبَيَّنَ لِي شَيْءٌ قَالَ إِنَّكَ لَعَرِيضُ الْوِسَادِ وَإِنَّمَا ذَلِكَ اللَّيْلُ مِنْ النَّهَارِ فِي قَوْلِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ