পরিচ্ছেদঃ ৪৪. ওযুর পরের দু’আ
৭৩৯. উক্ববাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে তাবুক যুদ্ধে গমণ করেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন তাঁর সাহাবীদের নিকট বসে কথা-বার্তা বলছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন: “যখন সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হয়ে যায়, তখন যে ব্যক্তি উঠে উত্তমরূপে ওযু করে অতঃপর দু’রাকাত সালাত আদায় করে, তাহলে তার গুনাহসমূহ এমনভাবে বের হয়ে যায় (এবং সে গুনাহবিহীন হয়ে যায়), যেন আজই তার মা তাকে প্রসব করেছে।”
তখন উক্ববা বললেন: আমি বললাম, সেই আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে একথা শোনার তাওফীক দিলেন।
তখন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমার মুখোমুখি বসা ছিলেন, তিনি বললেন: তুমি একথায় খুব আশ্চর্যান্বিত হলে? কিন্তু তুমি আসার আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চেয়েও অধিক বিস্ময়কর কথা বলেছেন। তখন আমি তাকে বললাম, আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন, সেটি কী?
তখন উমার বললেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু করে আকাশের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে, অথবা তিনি বলেছেন: আকাশের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলবে:
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি এক ও একক। তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল।”) তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে এবং সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।”[1]
তাখরীজ: মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮০, ২৪৯, ১৭৬৩ এর সনদ সহীহ, (যদিও মুহাক্বিক্ব এখানে মুসনাদুল মাউসিলীর এ সনদকে সহীহ বলছেন, কিন্তু তিনি নিজেই মুসনাদুল মাওসিলীর তাহক্বীক্বে উপরোক্ত সবগুলি সনদকেই যয়ীফ বলেছেন। দেখুন, দারানীর তাহক্বীক্ব, মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮০, ২৪৯, ১৭৬৩ এর টীকা। এছাড়া এ সনদকে শাইখ আলবানী এবং আরনাউত্ব উভয়ে যয়ীফ বলেছেন, আর আলবানী এ বাড়তি অংশ “আকাশের দিকে তাকিয়ে”- ‘মুনকারাহ’ বলেছেন।- দেখুন আবু দাউদ ১৭০, উভয়ের তাহক্বীক্বকৃত।-অনুবাদক); আহমদ ৪/১৫৩; সহীহ মুসলিম ২৩৪; নাসাঈ ১৪২; আবু দাউদ ১৬৯ (১৭০); আবু আউয়ানাহ ১/২২৫-২২৬; সহীহ ইবনু খুযাইমা নং ২২২; হাকিম ২/৩৯৮-৩৯৯; দেখুন তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৫২-২৫৩। আমরা উপরোল্লিতি (মুসনাদুল মাউসিলীর নং সমূহে) পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি। এছাড়া ইবনু হিব্বান নং ১০৫০ এও সকল সূত্র ও বর্ণনা একত্রিত করেছি।
بَابُ الْقَوْلِ بَعْدَ الْوُضُوءِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ أَخْبَرَنَا أَبُو عَقِيلٍ زُهْرَةُ بْنُ مَعْبَدٍ عَنْ ابْنِ عَمِّهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا يُحَدِّثُ أَصْحَابَهُ فَقَالَ مَنْ قَامَ إِذَا اسْتَقَلَّتْ الشَّمْسُ فَتَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَرَجَ مِنْ ذُنُوبِهِ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ فَقَالَ عُقْبَةُ فَقُلْتُ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَزَقَنِي أَنْ أَسْمَعَ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَكَانَ تُجَاهِي جَالِسًا أَتَعْجَبُ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْجَبَ مِنْ هَذَا قَبْلَ أَنْ تَأْتِيَ فَقُلْتُ وَمَا ذَلِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي فَقَالَ عُمَرُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ رَفَعَ بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ أَوْ قَالَ نَظَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فُتِحَتْ لَهُ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهِنَّ شَاءَ
في إسناده جهالة