পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি ভালো কিংবা মন্দ রীতি চালু করে
৫২৯. জারীর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোনো ভাল কাজের রীতি প্রচলন করে আর তার পরবর্তীতে তা অনুসরণে আমল করা হয়, তবে তার কাজের সাওয়াব তো সে পাবেই, উপরন্তু যারা তার অনুসরণে এর উপর আমল করেছে, তাদের সমান সাওয়াবও সে পাবে। কিন্তু তাতে তার সাওয়াবের কোনো কমতি হবে না। আর যদি কেউ কোনো মন্দ কাজের রীতি প্রচলন করে তবে (তার নিজের পাপ এবং) যারা তার অনুসরণে এ কাজ করেছে, তাদের সকলের পাপ তার উপর বর্তাবে। কিন্তু এতে অনুসরণকারীদের নিজের পাপের কোনো কমতি হবে না।[1]
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম ১০১৭; নাসাঈ ৫/৭৫-৭৭; তিরমিযী ২৬৭৫; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দমা ২০৩; আহমদ, ৪/৩৫৭-৩৫৯; ইবনু আবী শাইবা ৩/১০৯-১১০; তাবারাণী, ২৩৭৩, ২৩৭৪; বাইহাকী, ৪/১৭৫-১৭৬; তাহাবী, মুশকিলুল আছার ২৪৩; তায়ালিসী ৬৭০।
بَاب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً
أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ قَالَ حَدَّثَنَاهُ عَاصِمٌ عَنْ شَقِيقٍ عَنْ جَرِيرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً عُمِلَ بِهَا بَعْدَهُ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يُنْقَصَ مِنْ أَجْرِهِ شَيْءٌ وَمَنْ سَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ وِزْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يُنْقَصَ مِنْ أَوْزَارِهِ شَيْءٌ
إسناده حسن من أجل عاصم ولكن الحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি ভালো কিংবা মন্দ রীতি চালু করে
৫৩০. আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি (কাউকে) হেদায়েতের দিকে আহবান করে, তবে যে তার অনুসরণ করেছে, তার সমান সাওয়াব সেও পাবে। কিন্তু তাতে অনুসরণকারীর সাওয়াবের কোনো কমতি হবে না। আর যদি কেউ পথভ্রষ্টতার দিকে কাউকে আহবান করে তবে, যে তার অনুসরণ করেছে, তার সমান পাপ ঐ ব্যক্তির উপরও বর্তাবে। কিন্তু এতে অনুসরণকারীর নিজের পাপের কোনো কমতি হবে না।[1]
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম ২৬৭৪, আবু দাউদ ৪৬০৯; তিরমিযী, ২৬৭৪; ইবনু মাজাহ, ২০৬; মুসনাদে আহমাদ ২/৩৯৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ১০৯; সহীহ ইবনু হিব্বান ১১২।
بَاب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً
أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْقُوبَ مَوْلَى الْحُرَقَةِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنْ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি ভালো কিংবা মন্দ রীতি চালু করে
৫৩১. জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করলেন। তারপর তিনি লোকদেরকে দান-সাদাকা করার জন্য উৎসাহিত করলেন। কিন্তু লোকেরা সাদাকা দিতে বিলম্ব করছিল। এমনকি তাঁর চেহারায় রাগ (এর চিহ্ন) স্পষ্ট হয়ে উঠলো। তারপর একজন আনসারী ব্যক্তি একটি থলে নিয়ে এলেন। এরপর লোকেরা তার অনুসরনে (দান করা) শুরু করলে তাঁর চেহারায় খুশীর চিহ্ন ফুটে উঠল। তখন তিনি বললেন: “যে ব্যক্তি কোনো ভাল কাজের রীতি প্রচলন করে, তবে তার কাজের সাওয়াব তো সে পাবেই, উপরন্তু যারা তার অনুসরণে এর উপর আমল করছে, তাদের সমান সাওয়াবও সে পাবে। কিন্তু তাতে অনুসরণকারীদের সাওয়াবের কোনো কমতি হবে না। অপরদিকে যদি কেউ কোনো মন্দ কাজের রীতি প্রচলন করে তবে তার নিজের পাপ এবং যারা তার অনুসরণে এ কাজ করেছে, তাদের সকলের পাপের সমান পাপ তার উপর বর্তাবে। কিন্তু এতে অনুসরণকারীদের নিজেদের পাপের কোনো কমতি হবে না।”[1]
তাখরীজ: সহীহ মুসলিম ২৬৭৪; এর বিস্তারিত তাখরীজ ৫২৯ নং এ গত হয়েছে। এটি আরও বর্ণনা করেছেন লালকাঈ, শারহু উসুলুল ই’তিকাদ নং ৫।
بَاب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً
أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ مُسْلِمٍ يَعْنِي ابْنَ صُبَيْحٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هِلَالٍ الْعَبْسِيِّ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَثَّ النَّاسَ عَلَى الصَّدَقَةِ فَأَبْطَئُوا حَتَّى بَانَ فِي وَجْهِهِ الْغَضَبُ ثُمَّ إِنَّ رَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ جَاءَ بِصُرَّةٍ فَتَتَابَعَ النَّاسُ حَتَّى رُئِيَ فِي وَجْهِهِ السُّرُورُ فَقَالَ مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً كَانَ لَهُ أَجْرُهُ وَمِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يُنْقَصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْءٌ وَمَنْ سَنَّ سُنَّةً سَيِّئَةً كَانَ عَلَيْهِ وِزْرُهُ وَمِثْلُ وِزْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يُنْقَصَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْءٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি ভালো কিংবা মন্দ রীতি চালু করে
৫৩২. হাসান ইবনু আতিয়াহ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “কিয়ামতের দিন আমার সাওয়াব তোমাদের থেকে অধিক হবে। কেননা, আমার জন্য থাকবে আমার (আমলের) সাওয়াব এবং যারা আমার অনুসরণ করবে, তাদের সকলের সমান সাওয়াবও।”[1]
তাখরীজ: এটি আমি আর কোথাও পাইনি।
بَاب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَنَا أَعْظَمُكُمْ أَجْرًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِأَنَّ لِي أَجْرِي وَمِثْلَ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَنِي
مرسل وإسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি ভালো কিংবা মন্দ রীতি চালু করে
৫৩৩. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কাউকে কোনো একটি বিষয়ের দিকে আহ্বান করে, এমনকি যদিও একজন লোক কোনো একজন লোককেও আহ্বান করে, তবে কিয়ামতের দিন সে তার জন্য থেমে থাকবে এবং তার কাঁধের সাথে জড়িয়ে থাকবে। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: (وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ) (অর্থ: এদেরকে থামাও কেননা, এদেরকে প্রশ্ন করা হবে।”) [সূরা সাফফাত ৩৭: ২৪][1]
بَاب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً
أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ عَنْ لَيْثٍ عَنْ بِشْرٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ دَعَا إِلَى أَمْرٍ وَلَوْ دَعَا رَجُلٌ رَجُلًا كَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَوْقُوفًا بِهِ لَازِمًا بِغَارِبِهِ ثُمَّ قَرَأَ وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ
إسناده ضعيف لضعف ليث بن أبي سليم
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি ভালো কিংবা মন্দ রীতি চালু করে
৫৩৪. শা’বী হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: চারটি জিনিস (এর বিনিময়) মানুষ তার মৃত্যুর পরও পেতে থাকবে। তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ (এর সাওয়াব), যদি সে তা মৃত্যুর আগে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দান করে থাকে। নেককার সন্তান যে তার মৃত্যুর পর তার জন্য দু’আ করতে থাকবে। কোনো উত্তম রীতি যা মানুষ প্রচলন করে থাকে আর লোকেরা তার মৃত্যুর পরেও তার উপর আমল করতে থাকে। আর যদি তার জন্য সুপারিশকারী লোকের সংখ্যা একশত জন হয়, তবে তার ব্যাপারে সুপারিশ কবুল করা হয়।[1]
তাখরীজ: এ সনদে অন্য কোথাও আমি পাইনি। তবে এর অনেক শাহিদ (সমর্থক) হাদীস রয়েছে।
بَاب مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً أَوْ سَيِّئَةً
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ أَنَّ ابْنَ مَسْعُودٍ قَالَ أَرْبَعٌ يُعْطَاهَا الرَّجُلُ بَعْدَ مَوْتِهِ ثُلُثُ مَالِهِ إِذَا كَانَ فِيهِ قَبْلَ ذَلِكَ لِلَّهِ مُطِيعًا وَالْوَلَدُ الصَّالِحُ يَدْعُو لَهُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ وَالسُّنَّةُ الْحَسَنَةُ يَسُنُّهَا الرَّجُلُ فَيُعْمَلُ بِهَا بَعْدَ مَوْتِهِ وَالْمِائَةُ إِذَا شَفَعُوا لِلرَّجُلِ شُفِّعُوا فِيهِ
إسناده صحيح إلى عبد الله ولكن مثله لا يقال بالرأي