পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৬৪. আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা আমার থেকে কুরআন ব্যতীত অন্য কিছুই লিখো না। আর যে আমার থেকে কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু লিখেছে, সে যেনো তা মুছে ফেলে।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম ৪/২২৯৮-২২৯৯ নং ৩০০৪; হাকিম, ১/১২৬-১২৭; আহমদ, ৩/১২, ২১, ৩৯, ৫৬; মুসনাদুল মাউসিলী নং ২/৪৬৬ নং ১২৮৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৪; দাইলামী, মুসনাদুল ফেরদাউস ৫/১৮২ নং ৭৫৪৮।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنبَأَنَا هَمَّامٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا تَكْتُبُوا عَنِّي شَيْئًا إِلَّا الْقُرْآنَ، فَمَنْ كَتَبَ عَنِّي شَيْئًا غَيْرَ الْقُرْآنِ، فَلْيَمْحُهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৬৫. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট তাঁর থেকে (হাদীস) লিখে রাখার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাদেরকে এর অনুমতি দেননি।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, ২৬৬৭; কাযী আয়ায, আল ইলমা’ পৃ: ১৪৮; কাযী রমহরমুযী, আল মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং ৩৬২; খতীব, আলজামি’ নং ৪৬১; তাক্বয়ীদুল ইলম নং পৃ: ৩২, ৩৩; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৩৩৫। পূর্বের হাদীসের টীকা দ্র:
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ: حَدَّثَنا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ «أَنَّهُمْ اسْتَأْذَنُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَنْ يَكْتُبُوا عنْهُ، فَلَمْ يَأْذَنْ لَهُمْ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৬৬. শুবরুমাহ হতে বর্ণিত, শা’বী বলতেন: হে শিবাক (শা’বীর এক অন্ধ সাথী[1])! তোমাকে, মানে তোমার হাদীসকে ফিরিয়ে দেয়া (প্রত্যাখ্যান করা) হয়েছে কি? আমি কখনো আশা করিনি যে, আমার কোনো হাদীসকে ফিরিয়ে দেয়া হবে (অস্বীকার করার উদ্দেশ্যে পুনরাবৃত্তি করতে বলা হবে[2])।[3]
[2] দেখুন ফাতহুল মান্নান, ৩/২৩২ ৪৬৫ নং হাদীসের টীকা দ্র:
[3] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আবী যুর’আহ, তারীখ নং ১৯৮১; খতীব, আলজামি’ নং ৪৬১।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ شُبْرُمَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ " أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: يَا شِبَاكُ، أَرُدُّ عَلَيْكَ، يَعْنِي: الْحَدِيثَ؟ مَا أَرَدْتُ أَنْ يُرَدَّ عَلَيَّ حَدِيثٌ قَطُّ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৬৭. আব্দুর রহমান ইবনু মাহদী বলেন, আমি মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি: (একদা) যুহরী একটি হাদীসসহ এলেন। তারপর আমি কোনো এক রাস্তায় তার সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং তার (বাহনের) লাগাম ধরে বললাম: হে আবু বাকর! আপনি হাদীসটি আমাকে পুনরায় বলুন, যেটি আপনি আমাদেরকে বলেছিলেন। তিনি বললেন: তুমি হাদীসের পুনরাবৃত্তি করতে বলছো? তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি বললাম: আপনি কি হাদীসের পুনরাবৃত্তি করেন না? তিনি বললেন: না। আমি বললাম: আপনি কি হাদীস লিপিবদ্ধও করেন না? তিনি বললেন: না।[1]
তাখরীজ: আবু খায়ছামা, আল ইলম, নং ১৬০।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ، يَقُولُ: جَاءَ الزُّهْرِيُّ بِحَدِيثٍ فَلَقِيتُهُ فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ، فَأَخَذْتُ بِلِجَامِهِ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا بَكْرٍ أَعِدْ عَلَيَّ الْحَدِيثَ الَّذِي حَدَّثْتَنَا بِهِ»، قَالَ: وَتَسْتَعِيدُ الْحَدِيثَ؟ قَالَ: قُلْتُ: «وَمَا كُنْتَ تَسْتَعِيدُ الْحَدِيثَ؟» قَالَ: لَا. قُلْتُ: وَلَا تَكْتُبُ؟ قَالَ: لَا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৬৮. আওযাঈ বলেন: কাতাদাহ (ইলম বা হাদীস) লিখে রাখা অপছন্দ করতেন। কিন্তু যখন তিনি (হাতে লিখিত) কিতাবের মর্যাদার কথা শুনলেন, তিনি তা (পূর্বের মত) থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং তা নিজ হাত দ্বারা লিখতে চাইলেন।[1]
তাখরীজ: এটি এস্থানে ব্যতীত অন্য কোথাও আমি পাইনি। তবে তার থেকে তা জায়েয হওয়া কথা বর্ণিত হয়েছে। দেখুন আল মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং ৩৪০।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: كَانَ قَتَادَةُ «يَكْرَهُ الْكِتَابَةَ، فَإِذَا سَمِعَ وَقْعَ الْكِتَابِ، أَنْكَرَهُ وَالْتَمَسَهُ بِيَدِهِ
إسناده ضعيف لضعف محمد بن كثير بن أبي عطاء
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৬৯. আবুল মুগীরাহ বলেন: আওযাঈ এটি অপছন্দ করতেন।[1]
তাখরীজ: এটি এ স্থানে ব্যতীত অন্য কোথাও আমি পাইনি।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، قَالَ: كَانَ الْأَوْزَاعِيُّ يَكْرَهُهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭০. মানছুর থেকে বর্ণিত, ইবরাহীম ইলম লিপিবদ্ধ করাকে অপছন্দ করতেন।[1]
তাখরীজ: আবু খায়ছামাহ, আল ইলম নং ১৬০।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، أَنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ يَكْرَهُ الْكِتَابَ - يَعْنِي الْعِلْمَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭১. ইবনু আউন হতে বর্ণিত, ইবনু সীরীন বলেন: আমি যদি কোন (লিখিত) কিতাব অবলম্বন করতাম, তবে নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালা বা চিঠি-পত্রগুলোকেই অবলম্বন করতাম। (অন্য কিছুকে নয়)”[1]
তাখরীজ: খতীব, তাক্বয়ীদুল ইলম, পৃ: ৪৮; আরো দেখুন, পৃ: ৪৬, ৪৭; এবং মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং ৩৬৬, ৩৬৮। (এখানে বনী ইসরাইলের পথভ্রষ্টতার কারণ হিসেবে তিনি কিতাব অবলম্বন করাকে চিহ্নিত করে তাকে অপছন্দ করেছেন। - ফাতহুল মান্নান, হা/৪৮০ এর টীকা দ্র:)
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، أَنبَأَنَا أَزْهَرُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: «لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا كِتَابًا، لَاتَّخَذْتُ رَسَائِلَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭২. ইবনু আউন বলেন, আমি হাম্মাদকে ইবরাহীমের নিকট বসে লিখতে দেখলাম। তখন ইবরাহীম তাকে বললেন: আমি কি তোমাকে (এথেকে) নিষেধ করিনি? তিনি বলেন: এ হলো (হাদীসের) পার্শ্বটীকা মাত্র।[1]
তাখরীজ: আবু খায়ছামাহ, আল ইলম নং ১৩৫ সহীহ সনদে, ১৩৬, ১৬১; ইবনু আবী শাইবা ৯/৫০ নং ৬৪৮১; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৪০০; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/২২৫, ইবরাহীম থেকে: কিতাবের ‘আত্বরাফ’ (পার্শ্বটীকা) লিখতে অসুবিধা নেই।” এর সনদ সহীহ।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، قَالَ: رَأَيْتُ حَمَّادًا يَكْتُبُ عِنْدَ إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ " أَلَمْ أَنْهَكَ؟ قَالَ: إِنَّمَا هِيَ أَطْرَافٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৩. ইবরাহীম বলেন, আমাকে উবাইদাহ বলেন: আমার থেকে কোনো লিপিবদ্ধ (হাদীস বা ইলম) তোমার নিকট যেনো স্থায়ীভাবে থেকে না যায়।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৯/৫২ নং ৬৪৯৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৩৬২; খতীব, তাক্বয়ীদুল ইলম, পৃ: ৪৬, ৪৭; পূর্ণ তাখরীজ দেখুন পরবর্তী ৪৭৭ ও ৪৭৮ নং হাদীসের টীকায়।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: قَالَ لِي عَبِيْدَةُ «لَا تُخَلِّدَنَّ بِي كِتَابًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৪. সাঈদ ইবনু আমের হতে বর্ণিত, হিশাম বলেন: আমি মুহাম্মদ থেকে কোনো হাদীস লিখিনি কেবল ’আ’মাক’[1] সংক্রান্ত হাদীস ব্যতীত। এরপর যখন আমি সেটি মুখস্ত করে নিলাম তখন লেখাটি মুছে দিলাম।”[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: রমহারমুযী, আল মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং ৩৭৩।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: «مَا كَتَبْتُ عَنْ مُحَمَّدٍ، إِلَّا حَدِيثَ الْأَعْمَاقِ، فَلَمَّا حَفِظْتُهُ، مَحَوْتُهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৫. মারওয়ান ইবনু মুহাম্মদ বলেন, আমি সাঈদ ইবনু আব্দুল আযীযকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: আমি কখনো একটি হাদীসও লিখি নি।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৩৬৭ সহীহ সনদে।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، يَقُولُ: مَا كَتَبْتُ حَدِيثًا قَطُّ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৬. মুগীরাহ থেকে বর্ণিত, ইবরাহীম বলেন: আমি কখনোই কোনো কিছু (হাদীস বা ইলম) লিখে রাখিনি।[1]
তাখরীজ: রমহারমুযী, আল মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং৩৬৭; পূর্ণ তাখরীজ দেখুন হা/৪৭৩ নং এ।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِمْرَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: «مَا كَتَبْتُ شَيْئًا قَطُّ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৭. ইসামাঈল ইবনু রাজা থেকে বর্ণিত, ইবরাহীম বলেন: আমি যার উপর আমি লিখতে পারি, এমন ছাল বা চামড়ার টুকরা সম্পর্কে উবাইদাহকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তথন তিনি বললেন: হে ইবরাহীম! আমার থেকে কোনো লিপিবদ্ধ (হাদীস বা ইলম) তোমার নিকট যেনো চিরস্থায়ীভাবে থেকে না যায়।[1]
তাখরীজ: পূর্বের হাদীস নং ৪৭৩ ও পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِمْرَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: سَأَلْتُ عَبِيدَةَ قِطْعَةَ جِلْدٍ أَكْتُبُ فِيهِ، فَقَالَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَا تُخَلِّدَنَّ عَنِّي كِتَابًا
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৮. আল হাকাম ইবরাহীম হতে, তিনি উবাইদাহ হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ , আত তাবাকাত ৬/৬৩; পূর্ণ তাখরীজ দেখুন হা/৪৭৩ নং।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبِيدَةَ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৭৯. আবু মা’শার ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি পুস্তিকা বা খাতায় হাদীস লিপিবদ্ধ করাকে অপছন্দ করতেন। তিনি বলতেন: এটি কুরআনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে যায়।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৯/১৮ নং ৬৩৬০; ইবনু আব্দুল বার, আলজামি’ নং ৩৬৫; খতীব, তাক্বয়ীদুল ইলম পৃ: ৪৮। এগুলোতে শেষাংশটুকু নেই।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي عَتِيكٍ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّهُ " كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يُكْتَبَ الْحَدِيثُ فِي الْكَرَارِيسِ. وَيَقُولُ: يُشَبَّهُ بِالْمَصَاحِفِ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৮০. ইয়াহইয়া বলেন, আর আমি আমার কিতাবে পেয়েছি লেখক যিয়াদ থেকে, তিনি আবু মা’শার হতে: এখন তোমার যেভাবে চাও, লিখো।[1]
তাখরীজ: এটি আমি অন্য কোথাও পাইনি।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
قَالَ يَحْيَى: وَوَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ زِيَادٍ الْكَاتِبِ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ: فَاكْتُبْ كَيْفَ شِئْتَ
إسناده صحيح وهو وجادة
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৮১. নু’মান ইবনু কায়েস হতে বর্ণিত, উবাইদাহ তার মৃত্যুকালীন সময়ে তার লেখা কিতাবসমূহ চাইলেন এবং (সেগুলো নিয়ে আসা হলে) তিনি সেগুলো মুছে দিলেন। আর বললেন: আমার আশংকা হয় যে, পরবর্তীতে এমন লোকেরা এগুলোর মালিক হবে, যারা এগুলোকে এর যথাযোগ্য স্থানে স্থাপন করবে না।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৯/১৭ নং ৬৩৫৩; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/৬৩; খতীব, তাক্বয়ীদুল ইলম পৃ: ৬১, ৬২; আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ১১২; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৩৬৩, ৩৬৪ এর সনদও সহীহ।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ نُعْمَانَ بْنِ قَيْسٍ، أَنَّ عَبِيدَةَ، دَعَا بِكُتُبِهِ، فَمَحَاهَا عِنْدَ الْمَوْتِ، وَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَلِيَهَا قَوْمٌ، فَلَا يَضَعُونَهَا مَوَاضِعَهَا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৮২. লাইছ থেকে, তিনি মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি খাতায় ইলম লিপিবদ্ধ করাকে অপছন্দ করতেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ৯/১৮ নং ৬৩৫৯; খতীব, তাক্বয়ীদুল ইলম পৃ: ৪৭ লাইছ থেকে মাওকুফ হিসেবে।
এর শাহিদ পূর্ববর্তী ৪৭৯ নং হাদীসটি, যা সহীহ।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ، وَزَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُكْتَبَ الْعِلْمُ فِي الْكَرَارِيسِ
إسناده ضعيف لضعف ليث وهو: ابن أبي سليم
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যিনি হাদীস লিখে রাখার পক্ষে মতামত প্রদান করেন না
৪৮৩. আওযায়ী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: লোকদের (মাঝে) এ জ্ঞান অর্জন সম্মানের সাথেই অব্যাহত থাকবে যতদিন পর্যন্ত তা গ্রন্থ বা পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ করা না হবে এবং তা (এ ইলম) কিংবা এর (ইলমের) মধ্যে যথাযোগ্য ব্যক্তি ব্যতীত অন্যরা তা বহন না করবে বা এতে অনুপ্রবেশ না করবে।[1]
তাখরীজ: খতীব, তাক্বয়ীদুল ইলম পৃ: ৬৪; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৩৭১ সহীহ সনদে।
بَابُ مَنْ لَمْ يَرَ كِتَابَةَ الْحَدِيثِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، قَالَ: مَا زَالَ هَذَا الْعِلْمُ عَزِيزًا، يَتَلَقَّاهُ الرِّجَالُ، حَتَّى وَقَعَ فِي الصُّحُفِ، فَحَمَلَهُ أَوْ دَخَلَ فِيهِ غَيْرُ أَهْلِهِ
إسناده صحيح