পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আবু মুসা আশআরী ও আবু আমির আশআরী (রাঃ) এর ফযীলত
৬১৮০। আবূ আমির আশআরী ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে ছিলাম। সে সময় তিনি মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তী জিইররানা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিলাল (রাঃ)ও ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক আরব বেদুঈন এল। সে বলল, ইয়া মুহাম্মাদ! আপনি আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা কি পুরন করবেন না? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ “তুমি সুসংবাদ গ্রহন কর”। তখন সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলল, আপনি তো অনেকবারই বলেছেনঃ “সুসংবাদ গ্রহন কর”। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে আবূ মূসা ও বিলাল (রাঃ) এর প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, দেখ এই ব্যাক্তি সুসংবাদ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং তোমরা দুইজন তা গ্রহন কর।
তখন তারা দুইজনে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কবুল করলাম। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পানি ভর্তি পেয়ালা আনালেন। তিনি তাঁর দুই হাত ও মুখমণ্ডল ধুইলেন এবং তাতে কুলি করলেন। এরপর তিনি বললেন, তোমরা দুইজনে এ থেকে পানি পান কর এবং তোমাদের মুখমণ্ডলে ও বক্ষদেশে ঢেলে দাও, আর তোমরা সুসংবাদ গ্রহন কর। তারা দুইজনে পেয়ালাটি গ্রহন করলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ মোতাবেক কাজ করলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন উম্মু সালামা (রাঃ) পর্দার আড়াল থেকে তাদের ডেকে বললেন, তোমাদের মায়ের জন্য তোমাদের পাত্রে কিন্তু পানি রেখে দাও। তখন তারা তাঁর জন্য সামান্য পরিমান উদ্বৃত্ত রাখলেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي مُوسَى وَأَبِي عَامِرٍ الأَشْعَرِيَّيْنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ جَمِيعًا عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، قَالَ أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدٌ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ نَازِلٌ بِالْجِعْرَانَةِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَمَعَهُ بِلاَلٌ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ أَلاَ تُنْجِزُ لِي يَا مُحَمَّدُ مَا وَعَدْتَنِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَبْشِرْ " . فَقَالَ لَهُ الأَعْرَابِيُّ أَكْثَرْتَ عَلَىَّ مِنْ " أَبْشِرْ " . فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَبِي مُوسَى وَبِلاَلٍ كَهَيْئَةِ الْغَضْبَانِ فَقَالَ " إِنَّ هَذَا قَدْ رَدَّ الْبُشْرَى فَاقْبَلاَ أَنْتُمَا " . فَقَالاَ قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . ثُمَّ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ فِيهِ وَمَجَّ فِيهِ ثُمَّ قَالَ " اشْرَبَا مِنْهُ وَأَفْرِغَا عَلَى وُجُوهِكُمَا وَنُحُورِكُمَا وَأَبْشِرَا " . فَأَخَذَا الْقَدَحَ فَفَعَلاَ مَا أَمَرَهُمَا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَادَتْهُمَا أُمُّ سَلَمَةَ مِنْ وَرَاءِ السِّتْرِ أَفْضِلاَ لأُمِّكُمَا مِمَّا فِي إِنَائِكُمَا . فَأَفْضَلاَ لَهَا مِنْهُ طَائِفَةً .
Abu Musa reported:
I was in the company of Allah's Apostle (ﷺ) as he had been sitting in Ji'rana (a place) between Mecca and Medina and Bilal was also there, that there came to Allah's Apostle (ﷺ) a desert Arab, and he said: Muhammad, fulfill your promise that you made with me. Allah's Messenger (ﷺ) said to him: Accept glad tidings. Thereupon the desert Arab said: You shower glad tidings upon me very much; then Allah's Messenger (ﷺ) turned towards Abu Musa and Bilal seemingly in a state of annoyance and said: Verily he has rejected glad tidings but you two should accept them. We said: Allah's Messenger, we have readily accepted them. Then Allah's Messenger (ﷺ) called for a cup of water and washed his hands in that and face too and put the saliva in it and then said: Drink out of it and pour it over your faces and over your chest and gladden yourselves. They took hold of the cup and did as Allah's Messenger (ﷺ) had commanded them to do. Thereupon Umm Salama called from behind the veil: Spare some water in your vessel for your mother also, and they also gave some water which had been spared for her.
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আবু মুসা আশআরী ও আবু আমির আশআরী (রাঃ) এর ফযীলত
৬১৮১। আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ আবূ আমির আশআরী ও আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... আবূ বুরদাহ (রাঃ) এর পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হুনায়ন যুদ্ধ সম্পন্ন করেন তখন আবূ আমির (রাঃ) কে একটি বাহিনীর নেতৃত্ব প্রদান করা ’আওতাস’ অভিযানে প্রেরণ করেন। তিনি দুরায়দ ইবনু সিম্মাহ এর মুখোমুখি হলে। দুরায়দ নিহত হল এবং আল্লাহ্ তাঁর বাহিনীকে পরাস্থ করলেন। এরপর আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আবূ আমিরের সঙ্গে পাঠিয়ে ছিলেন। আবূ আমিরের হাঁটুতে তীরের আঘাত লেগেছিল। জুছাম গোত্রের জনৈক ব্যাক্তি সেই তীরটি নিক্ষেপ করেছিল। এই তীরটি তাঁর ঘাড়ে বিদ্ধ হয়েছিল। তখন আমি তাঁর কাছে গেলাম এবং বললাম, চাচাজান! কে আপনাকে তীর বিদ্ধ করেছে? তখন আবূ আমির ইশারায় আবূ মূসা (রাঃ) কে জানালেন, ঐ আমার ঘাতক যাকে তুমি দেখতে পাচ্ছ, সেই আমাকে তীরবিদ্ধ করেছে।
আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, আমি তাকে আক্রমন করে হত্যা করার প্রতিজ্ঞা করলাম। আমি তাঁর মুখোমুখি হলাম, সে আমাকে দেখা মাত্রই পালিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে ধাওয়া করলাম এবং বলছিলাম, হে বেহায়া, বেশরম! পালাচ্ছ কেন? তুমি কি আরবী নও? বীরত্ব আছে তো দাঁড়িয়ে যাও, ভাগছ কেন? তখন সে থামল। এরপর সে ও আমি কাছাকাছি হলাম। আমরা পরস্পরে দুইবার আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করলাম। আমি তাকে তরবারি দ্বারা আঘাত করে ধরাশায়ী করলাম এবং শেষাবধী হত্যা করলাম। এরপর আমি আবূ আমির (রাঃ) এর কাছে ফিরে এলাম এবং তাকে বললাম, আল্লাহ্ আপনার ঘাতককে হত্যা করেছেন।
তখন আবূ আমির (রাঃ) বললেন, এই তীরটি বের করে নাও। আমি সেটি তুলে ফেললাম। তখন তা থেকে পানি বের হচ্ছিল। এরপর তিনি বললেন, হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাও এবং আমার পক্ষ থেকে সালাম পৌঁছে দিও। আর তাঁর কাছে গিয়ে আরয করবে, আবূ আমির আপনাকে তাঁর জন্য মাগফিরাতের দু’আ চেয়েছেন। তিনি (আবূ মূসা) বলেন, আবূ আমির আমাকে লোকের উপর কর্মকর্তা শাসক নিয়োগ করলেন এবং কিছু সময় এ অবস্থায় থাকার পর তিনি মৃত্যুবরণ করলেন।
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম এবং তাঁর খিদমতে হাজির হলাম। তখন তিনি চাটাইপাতা খাটের উপর ছিলেন এবং ঐ খাটের উপর চাঁদর বিছানো ছিল না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিঠে ও পাজরে চাটাইয়ের দাগ বসে গিয়েছিল। এরপর আমি তাঁর কাছে আমাদের ও আবূ আমিরের খবর দিলাম এবং আমি তাকে বললাম, তিনি (আবূ আমির) বলেছেন, তাঁর জন্য আপনাকে মাগফিরাতের দু’আ করতে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি আনালেন এবং তা দিয়ে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। এরপর দু’হাত দুলে বললেনঃاللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعُبَيْدٍ أَبِي عَامِرٍ “হে আল্লাহ্! উবায়দ আবূ আমিরকে ক্ষমা করে দাও” (হাত উচু করার কারনে) তখন আমি তাঁর উভয় বগলের শুভ্রতা দেখছিলাম। পুনরায় তিনি বললেনঃاللَّهُمَّ اجْعَلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَوْقَ كَثِيرٍ مِنْ خَلْقِكَ أَوْ مِنَ النَّاسِ “হে আল্লাহ্! তাকে কিয়ামতের দিন তোমার মাখলুকের অনেকের উপরে অথবা অনেক মানুষের উপরে স্থান দিও”।
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার জন্যও মাগফিরাতের দু’আ করুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃاللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ ذَنْبَهُ وَأَدْخِلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُدْخَلاً كَرِيمًا “হে আল্লাহ্! আবদুল্লাহ ইবনু কায়েসের গোনাহ ক্ষমা করে দাও এবং তাকে কিয়ামত দিবসে সম্মানজনক জান্নাতে প্রবেশ করাও।“ আবূ বুরদাহ (রাঃ) বলেন, একটি দু’আ আবূ আমিরের জন্য এবং অন্যটি আবূ মূসা আশআরীর জন্য।
باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي مُوسَى وَأَبِي عَامِرٍ الأَشْعَرِيَّيْنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ، وَأَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ - وَاللَّفْظُ لأَبِي عَامِرٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا فَرَغَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ حُنَيْنٍ بَعَثَ أَبَا عَامِرٍ عَلَى جَيْشٍ إِلَى أَوْطَاسٍ فَلَقِيَ دُرَيْدَ بْنَ الصِّمَّةِ فَقُتِلَ دُرَيْدٌ وَهَزَمَ اللَّهُ أَصْحَابَهُ فَقَالَ أَبُو مُوسَى وَبَعَثَنِي مَعَ أَبِي عَامِرٍ - قَالَ - فَرُمِيَ أَبُو عَامِرٍ فِي رُكْبَتِهِ رَمَاهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي جُشَمٍ بِسَهْمٍ فَأَثْبَتَهُ فِي رُكْبَتِهِ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ يَا عَمِّ مَنْ رَمَاكَ فَأَشَارَ أَبُو عَامِرٍ إِلَى أَبِي مُوسَى فَقَالَ إِنَّ ذَاكَ قَاتِلِي تَرَاهُ ذَلِكَ الَّذِي رَمَانِي . قَالَ أَبُو مُوسَى فَقَصَدْتُ لَهُ فَاعْتَمَدْتُهُ فَلَحِقْتُهُ فَلَمَّا رَآنِي وَلَّى عَنِّي ذَاهِبًا فَاتَّبَعْتُهُ وَجَعَلْتُ أَقُولُ لَهُ أَلاَ تَسْتَحْيِي أَلَسْتَ عَرَبِيًّا أَلاَ تَثْبُتُ فَكَفَّ فَالْتَقَيْتُ أَنَا وَهُوَ فَاخْتَلَفْنَا أَنَا وَهُوَ ضَرْبَتَيْنِ فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ فَقَتَلْتُهُ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى أَبِي عَامِرٍ فَقُلْتُ إِنَّ اللَّهَ قَدْ قَتَلَ صَاحِبَكَ . قَالَ فَانْزِعْ هَذَا السَّهْمَ فَنَزَعْتُهُ فَنَزَا مِنْهُ الْمَاءُ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي انْطَلِقْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلاَمَ وَقُلْ لَهُ يَقُولُ لَكَ أَبُو عَامِرٍ اسْتَغْفِرْ لِي . قَالَ وَاسْتَعْمَلَنِي أَبُو عَامِرٍ عَلَى النَّاسِ وَمَكَثَ يَسِيرًا ثُمَّ إِنَّهُ مَاتَ فَلَمَّا رَجَعْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي بَيْتٍ عَلَى سَرِيرٍ مُرْمَلٍ وَعَلَيْهِ فِرَاشٌ وَقَدْ أَثَّرَ رِمَالُ السَّرِيرِ بِظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَنْبَيْهِ فَأَخْبَرْتُهُ بِخَبَرِنَا وَخَبَرِ أَبِي عَامِرٍ وَقُلْتُ لَهُ قَالَ قُلْ لَهُ يَسْتَغْفِرْ لِي . فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهُ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعُبَيْدٍ أَبِي عَامِرٍ " . حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَوْقَ كَثِيرٍ مِنْ خَلْقِكَ أَوْ مِنَ النَّاسِ " . فَقُلْتُ وَلِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَاسْتَغْفِرْ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ ذَنْبَهُ وَأَدْخِلْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُدْخَلاً كَرِيمًا " . قَالَ أَبُو بُرْدَةَ إِحْدَاهُمَا لأَبِي عَامِرٍ وَالأُخْرَى لأَبِي مُوسَى .
Abu Burda reported on the authority of his father that when Allah's Apostle (ﷺ) had been free from the Battle of Hunain, he sent Abu 'Amir as the head of the army of Autas. He had an encounter with Duraid b. as_Simma. Duraid was killed and Allah gave defeat to his friends. Abu Musa said:
He (the Holy Prophet) sent me along with Abu 'Amir and Abu 'Amir received a wound in his knee from the arrow, (shot by) a person of Bani Jusham. It stuck in his knee. I went to him and said: Uncle, who shot an arrow upon you? Abu 'Amir pointed out to Abu Musa and said: Verily that one who shot an arrow upon me in fact killed me. Abu Musa said: I followed him with the determination to kill him and overtook him and when he saw me he turned upon his heels. I followed him and I said to him: Don't you feel ashamed (that you run), aren't you an Arab? Why don't you stop? He stopped and I had an encounter with him and we exchanged the strokes of (swords). I struck him with the sword and killed him. Then I came back to Abu Amir and said: Verily Allah has killed the one who killed you. And he said: Now draw out this arrow. I drew out the arrow and there came out from that (wound) water. Abu 'Amir said: My nephew, go to Allah's Messenger (ﷺ) and convey my greetings to him and tell him that Abu Amir begs you to ask forgiveness for him. And Abu Amir appointed me as the chief of the people and he died after a short time. When I came to Allah's Apostle (ﷺ) I visited him and he had been lying on the cot woven by strings and there was (no) bed over it and so there had been marks of the strings on the back of Allah's Messenger (ﷺ) and on his sides. I narrated to him what had happened to us and narrated to him about Abu Amir and said to him that he had made a request to the effect that forgiveness should be sought for him (from Allah). Thereupon Allah's Messenger (may peace be. upon him) called for water and performed ablution with it. He then lifted his hands and said. O Allah, grant pardon to Thy servant Abu Amir. (The Prophet had raised his hands so high for supplication) that I saw the whiteness of his armpits. He again said: O Allah, grant him distinction amongst the majority of Thine created beings or from amongst the people. I said: Allah's Messenger, ask forgiveness for me too. Thereupon Allah's Apostle (ﷺ) said: Allah, forgive the sins of Abdullah b. Qais (Abu Musa Ash'ari) and admit him to an elevated place on the Day of Resurrection. Abu Burda said: One prayer is for abu 'Amir and the other is tor Abu Musa.