পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৭৮। উবায়দুল্লাহ ইবনু মুয়ায আম্বরী (রহঃ) ... বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, হুদাইবিয়া দিবসে আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুশরিকদের মধ্যে সন্ধি পত্র লিপিবদ্ধ করলেন, তিনি লিখলেন-- এই (সন্ধিটি) চুক্তি করেছেন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। তখন তারা বললো, ’রাসুলুল্লাহ’ কথাটি লেখবেন না। যদি আমরা বিশ্বাস করতাম যে,আপনি আল্লাহর রাসুল, তবে তো আপনার সাথে আমরা যুদ্ধ করতাম না।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আলী (রাঃ) কে বললেন, এ অংশটি মুছে দাও। তখন আলী বললেন, আমি তা মুছবার লোক নই। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই নিজ হাতে তা মুছে দেন। বর্ণনাকারী বলেন, সন্ধির একটি শর্ত এ ছিল যে, তারা মক্কায় প্রবেশ করে তিন দিন অবস্থান করতে পারবে এবং তখন তাঁরা কোন অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেনা। কিন্তু খাপেবদ্ধ তলোয়ার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। আমি আবূ ইসহাককে জিজ্ঞাসা করলাম, جلبانُ السِّلاَحِ এর অর্থ কি? তিনি তখন বলেন, এর অর্থ খাপ এবং এর মধ্যে যা থাকে।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الصُّلْحَ بَيْنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ فَكَتَبَ ‏"‏ هَذَا مَا كَاتَبَ عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ‏"‏ ‏.‏ فَقَالُوا لاَ تَكْتُبْ رَسُولُ اللَّهِ فَلَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لَمْ نُقَاتِلْكَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ ‏"‏ امْحُهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ مَا أَنَا بِالَّذِي أَمْحَاهُ ‏.‏ فَمَحَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ قَالَ وَكَانَ فِيمَا اشْتَرَطُوا أَنْ يَدْخُلُوا مَكَّةَ فَيُقِيمُوا بِهَا ثَلاَثًا وَلاَ يَدْخُلُهَا بِسِلاَحٍ إِلاَّ جُلُبَّانَ السِّلاَحِ ‏.‏ قُلْتُ لأَبِي إِسْحَاقَ وَمَا جُلُبَّانُ السِّلاَحِ قَالَ الْقِرَابُ وَمَا فِيهِ ‏.‏

حدثني عبيد الله بن معاذ العنبري، حدثنا ابي، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، قال سمعت البراء بن عازب، يقول كتب علي بن ابي طالب الصلح بين النبي صلى الله عليه وسلم وبين المشركين يوم الحديبية فكتب ‏"‏ هذا ما كاتب عليه محمد رسول الله‏"‏ ‏.‏ فقالوا لا تكتب رسول الله فلو نعلم انك رسول الله لم نقاتلك ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم لعلي ‏"‏ امحه ‏"‏ ‏.‏ فقال ما انا بالذي امحاه ‏.‏ فمحاه النبي صلى الله عليه وسلم بيده قال وكان فيما اشترطوا ان يدخلوا مكة فيقيموا بها ثلاثا ولا يدخلها بسلاح الا جلبان السلاح ‏.‏ قلت لابي اسحاق وما جلبان السلاح قال القراب وما فيه ‏.‏


It has been narrated on the authority of al-Bara' b. 'Azib who said:
'Ali b. Abu Talib penned the treaty between the Prophet (ﷺ) and the polytheists on the Day of Hudaibiya. He wrote: This is what Muhammad, the Messenger of Allah, has settled. They (the polytheists) said: Do not write words" the Messenger of Allah". If we knew that you were the Messenger of Allah, we would not fight against you. The Prophet (ﷺ) said to 'Ali: Strike out these words. He (Ali) said: I am not going to strike them out. So the Prophet (ﷺ) struck them out with his own hand. The narrator said that the conditions upon which the two sides had agreed included that the Muslims would enter Mecca (next year) and would stay there for three days, and that they would not enter bearing arms except in their sheaths or bolsters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৭৯। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না ও ইবনুু, বাশশার (রহঃ) ... বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়াবাসীদের মধ্যে সন্ধি করলেন, আলী (রাঃ) উভয়ের মধ্যে একটি সন্ধিপত্র লিখলেন। তিনি বলেন, আলী (রাঃ) লিখলেন, ’মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ’ তারপর মুয়ায বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি তার হাদীসে مَا كَاتَبَ (যা চুক্তি করেছেন) কথাটি উল্লেখ করেননি।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ لَمَّا صَالَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَهْلَ الْحُدَيْبِيَةِ كَتَبَ عَلِيٌّ كِتَابًا بَيْنَهُمْ قَالَ فَكَتَبَ ‏"‏ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ‏"‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِنَحْوِ حَدِيثِ مُعَاذٍ غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِي الْحَدِيثِ ‏"‏ هَذَا مَا كَاتَبَ عَلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، وابن، بشار قالا حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، قال سمعت البراء بن عازب، يقول لما صالح رسول الله صلى الله عليه وسلم اهل الحديبية كتب علي كتابا بينهم قال فكتب ‏"‏ محمد رسول الله ‏"‏ ثم ذكر بنحو حديث معاذ غير انه لم يذكر في الحديث ‏"‏ هذا ما كاتب عليه ‏"‏ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Abu Ishaq, who heard Bars' b. Azib say:
When the Messenger of Allah (ﷺ) made peace with the people of Hudaibiya, 'Ali drew up the agreement between them, and so he wrote: Muhammad, the Messenger of Allah. (This is followed by the same wording as we have in the previous tradition except the omission of the words: This is what he has settled.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮০। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী ও আহমাদ ইবনু জানাব মিসসিসী (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (উমরার জন্য আগমন করে) বায়তুল্লাহ শরীফের নিকট বাধাগ্রস্ত হলেন, তখন মক্কাবাসীরা এমর্মে তার সঙ্গে সন্ধি করলো যে, (পরবর্তী বছর) তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন এবং সেখানে তিনদিন অবস্থান করবেন এবং কোষবদ্ধ তরবারী ছাড়া আর কিছু নিয়ে সেখানে ঢুকবেন না এবং কোন অধিবাসীকে নিয়ে মক্কা থেকে তার সাথে নিয়ে যাবেন না। পক্ষান্তরে তার সাথীদের কেউ যদি সেখানে থেকে যেতে চায়, তবে তাকে বারণ করবেন না।

তখন তিনি আলী (রাঃ) কে বললেনঃ আমাদের মধ্যকার শর্তগুলো এভাবে লিখে নাও “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” এ হচ্ছে সেই সন্ধি যা মুহাম্মামদ রাসুলুল্লাহ চুড়ান্ত করেছেন। তখন মুশরিকরা তাঁকে বললো, আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূলই জানতাম তবে আপনার অনুসরণই করতাম, বরং লিখুন, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ। তখন তিনি আলী (রাঃ) কে তা মুছে ফেলতে নির্দেশ দিলেন। আলী (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তা মুছতে পারবনা। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা হলে আমাকেই তার স্থান দেখিয়ে দাও। তিনি সে স্থান দেখিয়ে দিলেন আর তিনি তা (স্বহস্তে) মূছে ফেললেন এবং [আলী (রাঃ)] লিখলেন মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ।

তারপর (পরের বছর তিনি সাহাবাদের নিয়ে) সেখানে তিনি তিনদিন অবস্থান করলেন। যখন তৃতীয় দিন সমাগত হলো, তখন তারা আলী (রাঃ) কে বললে। এটা হচ্ছে তোমার সাথীর (নেতার) শর্তের স্থিরকৃত শেষ দিবস। তাঁকে বল তিনি যেন বের হয়ে যান। তখন তিনি তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করলেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি বেরিয়ে গেলেন।

ইবনু জানাব তার রিওয়ায়াতেبَايَعْنَاكَ এর স্থলে تَابَعْنَاكَ বলে বর্ণনা করেছেন।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ، جَمِيعًا عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، - وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ - أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ لَمَّا أُحْصِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ الْبَيْتِ صَالَحَهُ أَهْلُ مَكَّةَ عَلَى أَنْ يَدْخُلَهَا فَيُقِيمَ بِهَا ثَلاَثًا وَلاَ يَدْخُلَهَا إِلاَّ بِجُلُبَّانِ السِّلاَحِ السَّيْفِ وَقِرَابِهِ ‏.‏ وَلاَ يَخْرُجَ بِأَحَدٍ مَعَهُ مِنْ أَهْلِهَا وَلاَ يَمْنَعَ أَحَدًا يَمْكُثُ بِهَا مِمَّنْ كَانَ مَعَهُ ‏.‏ قَالَ لِعَلِيٍّ ‏"‏ اكْتُبِ الشَّرْطَ بَيْنَنَا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الْمُشْرِكُونَ لَوْ نَعْلَمُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ تَابَعْنَاكَ وَلَكِنِ اكْتُبْ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ فَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يَمْحَاهَا فَقَالَ عَلِيٌّ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَمْحَاهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَرِنِي مَكَانَهَا ‏"‏ ‏.‏ فَأَرَاهُ مَكَانَهَا فَمَحَاهَا وَكَتَبَ ‏"‏ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَقَامَ بِهَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَلَمَّا أَنْ كَانَ يَوْمُ الثَّالِثِ قَالُوا لِعَلِيٍّ هَذَا آخِرُ يَوْمٍ مِنْ شَرْطِ صَاحِبِكَ فَأْمُرْهُ فَلْيَخْرُجْ ‏.‏ فَأَخْبَرَهُ بِذَلِكَ فَقَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ فَخَرَجَ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ جَنَابٍ فِي رِوَايَتِهِ مَكَانَ تَابَعْنَاكَ بَايَعْنَاكَ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم الحنظلي، واحمد بن جناب المصيصي، جميعا عن عيسى بن يونس، - واللفظ لاسحاق - اخبرنا عيسى بن يونس، اخبرنا زكرياء، عن ابي اسحاق، عن البراء، قال لما احصر النبي صلى الله عليه وسلم عند البيت صالحه اهل مكة على ان يدخلها فيقيم بها ثلاثا ولا يدخلها الا بجلبان السلاح السيف وقرابه ‏.‏ ولا يخرج باحد معه من اهلها ولا يمنع احدا يمكث بها ممن كان معه ‏.‏ قال لعلي ‏"‏ اكتب الشرط بيننا بسم الله الرحمن الرحيم هذا ما قاضى عليه محمد رسول الله ‏"‏ ‏.‏ فقال له المشركون لو نعلم انك رسول الله تابعناك ولكن اكتب محمد بن عبد الله ‏.‏ فامر عليا ان يمحاها فقال علي لا والله لا امحاها ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ارني مكانها ‏"‏ ‏.‏ فاراه مكانها فمحاها وكتب ‏"‏ ابن عبد الله ‏"‏ ‏.‏ فاقام بها ثلاثة ايام فلما ان كان يوم الثالث قالوا لعلي هذا اخر يوم من شرط صاحبك فامره فليخرج ‏.‏ فاخبره بذلك فقال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ فخرج ‏.‏ وقال ابن جناب في روايته مكان تابعناك بايعناك ‏.‏


It has been narrated on the authority of Bara' who said:
When the Prophet (ﷺ) was checked from going to the Ka'ba, the people of Mecca made peace with him'on the condition that he would (be allowed to) enter Mecca (next year) and stay there for three days, that he would not enter (the city) except with swords in their sheaths and arms encased in their covers, that he would not take eway with him anyone from its dwellers, nor would he prevent anyone from those with him to stay on in Mecca (if he so desired). He said to 'Ali: Write down the terms settled between us. (So 'Ali wrote): In the name of Allah, most Gracious and most Merciful. This is what Muhammad, the Messenger of Allah, has settled (with the Meccans), The polytheists said to him: If we knew that thou art the Messenger of of Allah, we would follow you. But write: Muhammad b. 'Abdullah. So he told 'Ali to strike out these words. 'Ali said: No, by Allah, I will not strike them out. The Messenger of Allah (may Peace be upon him) said: Show me their place (on the parchment). So he ('Ali) showed him their place and he (the Holy Prophet) struck them out; and 'Ali wrote: Ibn 'Abdullah. (According to the terms of the treaty, next year) the Prophet (ﷺ) stayed there for three days When it was the third day, they said to 'Ali: This is the last day according to the terms of your companion. So tell him to leave. 'Ali informed the Prophet (ﷺ) accordingly. He said: Yes, and left (the city). Ibn Janab in his version of the tradition used:" we would swear allegiance to you" instead of" we would follow you".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সন্ধি করল। তাদের মধ্যে (কুরায়শ পক্ষ) সুহায়ল ইবনু আমরও ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ) কে বললেনঃ লিখ, بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ সুহায়ল বললো, বিসমিল্লাহ? আমরা তো জানিনা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কী? তবে আমরা যা জানি বি-ইসমিকা আল্লাহুম্মা, (হে আল্লাহ্‌! তোমার নামে) তাই লিখ।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লিখ, মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ এর পক্ষ থেকে। তখন তারা বলে উঠলো, আমরা যদি আপনাকে আল্লাহর রাসূলই জানতাম, তাহলে তো আমরা আপনার অনুসরণই করতাম। বরং আপনি আপনার নাম এবং আপনার পিতার নাম লিখুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লিখ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে।

তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এ মর্মে শর্ত আরোপ করলো যে, যারা আপনাদের নিকট থেকে চলে আসবে, আমরা তাকে ফেরৎ পাঠাবোনা, কিন্তু আমাদের কেউ যদি আপনাদের নিকট চলে যায়, তবে আপনারা তাকে অবশ্যই ফেরৎ পাঠাবেন।

তখন সাহাবীগণ বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি এরূপ লিখবো? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি তাদের কাছে যায় তবে আল্লাহই তাকে (রহমত থেকে) সরিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে যে আমাদের কাছে আসবে (তাকে ফেরত দিলেও) আল্লাহ অচিরেই তার কোন ব্যাবস্থা ও পথ বের করে দিবেন।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ قُرَيْشًا، صَالَحُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِيهِمْ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ ‏"‏ اكْتُبْ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُهَيْلٌ أَمَّا بِاسْمِ اللَّهِ فَمَا نَدْرِي مَا بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَلَكِنِ اكْتُبْ مَا نَعْرِفُ بِاسْمِكَ اللَّهُمَّ فَقَالَ ‏"‏ اكْتُبْ مِنْ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا لَوْ عَلِمْنَا أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لاَتَّبَعْنَاكَ وَلَكِنِ اكْتُبِ اسْمَكَ وَاسْمَ أَبِيكَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اكْتُبْ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ فَاشْتَرَطُوا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ مَنْ جَاءَ مِنْكُمْ لَمْ نَرُدَّهُ عَلَيْكُمْ وَمَنْ جَاءَكُمْ مِنَّا رَدَدْتُمُوهُ عَلَيْنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَكْتُبُ هَذَا قَالَ ‏"‏ نَعَمْ إِنَّهُ مَنْ ذَهَبَ مِنَّا إِلَيْهِمْ فَأَبْعَدَهُ اللَّهُ وَمَنْ جَاءَنَا مِنْهُمْ سَيَجْعَلُ اللَّهُ لَهُ فَرَجًا وَمَخْرَجًا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عفان، حدثنا حماد بن سلمة، عن ثابت، عن انس، ان قريشا، صالحوا النبي صلى الله عليه وسلم فيهم سهيل بن عمرو فقال النبي صلى الله عليه وسلم لعلي ‏"‏ اكتب بسم الله الرحمن الرحيم ‏"‏ ‏.‏ قال سهيل اما باسم الله فما ندري ما بسم الله الرحمن الرحيم ولكن اكتب ما نعرف باسمك اللهم فقال ‏"‏ اكتب من محمد رسول الله ‏"‏ ‏.‏ قالوا لو علمنا انك رسول الله لاتبعناك ولكن اكتب اسمك واسم ابيك ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اكتب من محمد بن عبد الله ‏"‏ ‏.‏ فاشترطوا على النبي صلى الله عليه وسلم ان من جاء منكم لم نرده عليكم ومن جاءكم منا رددتموه علينا فقالوا يا رسول الله انكتب هذا قال ‏"‏ نعم انه من ذهب منا اليهم فابعده الله ومن جاءنا منهم سيجعل الله له فرجا ومخرجا ‏"‏ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Anas that the Quraish made peace with the Prophet (ﷺ). Among them was Suhail b. Amr. The Prophet (ﷺ) said to 'Ali:
Write" In the name of Allah, most Gracious and most Merciful." Suhail said: As for" Bismillah," we do not know what is meant by" Bismillah-ir-Rahman-ir-Rahim" (In the name of Allah most Gracious and most Merciful). But write what we understand, i. e. Bi ismika allahumma (in thy name. O Allah). Then, the Prophet (ﷺ) said: Write:" From Muhammad, the Messenger of Allah." They said: If we knew that thou welt the Messenger of Allah, we would follow you. Therefore, write your name and the name of your father. So the Prophet (ﷺ) said: Write" From Muhammad b. 'Abdullah." They laid the condition on the Prophet (ﷺ) that anyone who joined them from the Muslims, the Meccans would not return him, and anyone who joined you (the Muslims) from them, you would send him back to them. The Companions said: Messenger of Allah, should we write this? He said: Yes. One who goes away from us to join them-may Allah keep him away! and one who comes to join us from them (and is sent back) Allah will provide him relief and a way of escape.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮২। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবুল ওয়ায়েল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহল ইবনু হুনায়ফ (রাঃ) সিফফিন দিবসে উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের (অধিক) হওয়ার সম্ভাবনামুক্ত মনে করবে। আমরা হুদায়বিয়ার দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। আমরা এটিকে (সিফফীনের চলমান বিরোধকে যথার্থ) যুদ্ধ মনে করলে অবশ্যই আমরা যুদ্ধ করতাম। আমি বলতে চাই সেই সন্ধির কথা যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মুশরিকদের মধ্যে হয়েছিল।

তখন উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি সত্যের উপর নই আর তারা বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ তাই। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের নিহত (শহীদ)রা কি জান্নাতী এবং তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়?। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, তাহলে কী কারণে আমরা দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি মেনে নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এ ব্যাপারে তাদের ও আমাদের মধ্যে আল্লাহর কোন ফয়সালা করেন নি!

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে খাত্তাব পুত্র! নিঃসন্দেহে আমি আল্লাহর রাসুল। আর তিনি অবশ্যই কখনো আমাকে বিনাশ করবেন না। রাবী বলেন, তখন উমার (রাঃ) চলে গেলেন। তিনি ক্রোধে ধৈর্যধারণ করতে পারছিলেন না। তাই আবূ বকরের কাছে এলেন এবং তাঁকে বললেন, হে আবূ বকর! আমরা কি হকের উপর এবং তারা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেন, অবশ্যই। আবার তিনি বললেন, আমাদের নিহতরা কি জান্নাতী আর তাদের নিহতরা কি জাহান্নামী নয়? বললেন, নিশ্চয়ই। তখন তিনি বললেনঃ তা হলে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে যিল্লাতি নিয়ে ফিরে যাবো, অথচ এখনো এব্যাপারে আমাদের এবং তাদের মধ্যে আল্লাহ কোন ফয়সালা দেননি! তখন তিনি বললেন, হে খাত্তাব তনয়! নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ কখনও তাঁর বিনাশ করবেন না।

রাবী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে কুরআন অবতীর্ণ হলো। তখন তিনি উমারকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁর সম্মুখে তা পাঠ করলে তখন তিনি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! এই কি বিজয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন তাঁর অন্তর শান্ত হল এবং তিনি ফিরে গেলেন।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ سِيَاهٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَامَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ يَوْمَ صِفِّينَ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا أَنْفُسَكُمْ لَقَدْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ وَلَوْ نَرَى قِتَالاً لَقَاتَلْنَا وَذَلِكَ فِي الصُّلْحِ الَّذِي كَانَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ الْمُشْرِكِينَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَسْنَا عَلَى حَقٍّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ قَالَ ‏"‏ بَلَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ قَالَ ‏"‏ بَلَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَفِيمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا وَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَقَالَ ‏"‏ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَلَنْ يُضَيِّعَنِي اللَّهُ أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَانْطَلَقَ عُمَرُ فَلَمْ يَصْبِرْ مُتَغَيِّظًا فَأَتَى أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ أَلَسْنَا عَلَى حَقٍّ وَهُمْ عَلَى بَاطِلٍ قَالَ بَلَى ‏.‏ قَالَ أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الْجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ قَالَ بَلَى ‏.‏ قَالَ فَعَلاَمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا وَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ فَقَالَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ إِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ وَلَنْ يُضَيِّعَهُ اللَّهُ أَبَدًا ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْفَتْحِ فَأَرْسَلَ إِلَى عُمَرَ فَأَقْرَأَهُ إِيَّاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَفَتْحٌ هُوَ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ فَطَابَتْ نَفْسُهُ وَرَجَعَ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عبد الله بن نمير، ح وحدثنا ابن نمير، - وتقاربا في اللفظ - حدثنا ابي، حدثنا عبد العزيز بن سياه، حدثنا حبيب بن ابي ثابت، عن ابي واىل، قال قام سهل بن حنيف يوم صفين فقال ايها الناس اتهموا انفسكم لقد كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الحديبية ولو نرى قتالا لقاتلنا وذلك في الصلح الذي كان بين رسول الله صلى الله عليه وسلم وبين المشركين فجاء عمر بن الخطاب فاتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله السنا على حق وهم على باطل قال ‏"‏ بلى ‏"‏ ‏.‏ قال اليس قتلانا في الجنة وقتلاهم في النار قال ‏"‏ بلى ‏"‏ ‏.‏ قال ففيم نعطي الدنية في ديننا ونرجع ولما يحكم الله بيننا وبينهم فقال ‏"‏ يا ابن الخطاب اني رسول الله ولن يضيعني الله ابدا ‏"‏ ‏.‏ قال فانطلق عمر فلم يصبر متغيظا فاتى ابا بكر فقال يا ابا بكر السنا على حق وهم على باطل قال بلى ‏.‏ قال اليس قتلانا في الجنة وقتلاهم في النار قال بلى ‏.‏ قال فعلام نعطي الدنية في ديننا ونرجع ولما يحكم الله بيننا وبينهم فقال يا ابن الخطاب انه رسول الله ولن يضيعه الله ابدا ‏.‏ قال فنزل القران على رسول الله صلى الله عليه وسلم بالفتح فارسل الى عمر فاقراه اياه فقال يا رسول الله اوفتح هو قال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ فطابت نفسه ورجع ‏.‏


It has been narrated on the authority of Abu Wa'il who said:
Sahal b. Hunaif stood up on the Day of Siffin and said: O ye people, blame yourselves (for want of discretion) ; we were with the Messenger of Allah (ﷺ) on the Day of Hudaibiya. If we had thought it fit to fight, we could fight. This was in the truce between the Messenger of Allah (ﷺ) and the polytheists. Umar b. Khattab came, approached the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Messenger of Allah, aren't we fighting for truth and they for falsehood? He replied: By all means. He asked: Are not those killed from our side in Paradise and those killed. from their side in the Fire? He replied: Yes. He said: Then why should we put a blot upon our religion and return, while Allah has not decided the issue between them and ourselves? He said: Son of Khattab, I am the Messenger of Allah. Allah will never ruin me. (The narrator said): Umar went away, but he could not contain himself with rage. So he approached Abu Bakr and said: 'Abu Bakr, aren't we fighting for truth and they for falsehood? He replied: Yes. He asked: Aren't those killed from our side in Paradise and those killed from their side in the Fire? He replied: Why not? He (then) said: Why should we then disgrace our religion and return while God has not yet decided the issue between them and ourselves? Abu Bakr said: Son of Khattab, verily, he is the Messenger of Allah, and Allah will never ruin him. (The narrator continued): At this (a Sura of) the Qur'an (giving glad tidings of the victory) was revealed to the Messenger of Allah (ﷺ). He sent for Umar and made him read it. He asked: Is (this truce) a victory? He (the Messenger of Allah) replied: Yes. At this Umar was pleased, and returned.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮৩। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুুূল আলা ও মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমাইর (রহঃ) ... শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সিফফীন দিবসে সাহল ইবনু হুনায়ফ (রাঃ) কে আমি বলতে শুনেছি হে লোক সকল! তোমাদের নিজেদের অভিমতকে (অধিক হওয়ার সম্ভাবনায়) অভিযুক্ত মনে করবে। আল্লাহর কসম! আমি আবূ জান্দালের সে দিনটি (অর্থাৎ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন) প্রত্যক্ষ করেছি। যদি আমার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশ প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য থাকতো, তরে অবশ্যই তা প্রত্যাখ্যান করতাম। আল্লাহর কসম! যখন আমরা কখনো কোন (ভীষণ) সমস্যার (যুদ্ধের) সমাধানের জন্য তরবারি কাঁধে তুলে তা (অবশেষে) এমন সমাধানের পর্যায়ে পৌঁছে যা আমাদের জন্য বোধগম্য ছিল। কিন্তু তোমাদের এ ব্যপারটি তার বিপরীত।

ইবনু নুমায়র তার বর্ণনায়إِلَى أَمْرٍ قَطُّ (কোন ব্যাপারে) কথাটি উল্লেখ করেননি।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، يَقُولُ بِصِفِّينَ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا رَأْيَكُمْ وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَنِّي أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَرَدَدْتُهُ وَاللَّهِ مَا وَضَعْنَا سُيُوفَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا إِلَى أَمْرٍ قَطُّ إِلاَّ أَسْهَلْنَ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ إِلاَّ أَمْرَكُمْ هَذَا ‏.‏ لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ نُمَيْرٍ إِلَى أَمْرٍ قَطُّ ‏.‏

وحدثنا ابو كريب، محمد بن العلاء ومحمد بن عبد الله بن نمير قالا حدثنا ابو معاوية عن الاعمش، عن شقيق، قال سمعت سهل بن حنيف، يقول بصفين ايها الناس اتهموا رايكم والله لقد رايتني يوم ابي جندل ولو اني استطيع ان ارد امر رسول الله صلى الله عليه وسلم لرددته والله ما وضعنا سيوفنا على عواتقنا الى امر قط الا اسهلن بنا الى امر نعرفه الا امركم هذا ‏.‏ لم يذكر ابن نمير الى امر قط ‏.‏


It has been narrated on the authority of Shaqiq who said:
I heard Sahl b. Hunaif say at Siffin: O ye people, find fault with your (own) discretion. By Allah, on the Day of Abu Jandal (i. e. the day of Hudaibiya), I thought to myself that, if I could, I would reverse the order of the Messenger of Allah (ﷺ) (the terms of the truce being unpalatable). By Allah, we have never hung our swords on our shoulders in any situation whatsoever except when they made easy for us to realise the goal envisaged by us, but this battle of yours (seems to be an exception). Ibn Numair (in his version) did not mention the words:" In any situation whatsoever"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮৪। উসমান ইবনু আবূ শায়বা, ইসহাক ও আবূ সাঈদ আশাজ্জ্ব (রহঃ) ... আ’মাশ (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে তাদের হাদীসেإِلَى أَمْرٍ يُفْظِعُنَا (এমন বিষয় যা আমাদের ঘাবড়িয়ে দেয়) উল্লেখ রয়েছে।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

وَحَدَّثَنَاهُ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ، الأَشَجُّ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِمَا إِلَى أَمْرٍ يُفْظِعُنَا.‏

وحدثناه عثمان بن ابي شيبة، واسحاق، جميعا عن جرير، ح وحدثني ابو سعيد، الاشج حدثنا وكيع، كلاهما عن الاعمش، بهذا الاسناد ‏.‏ وفي حديثهما الى امر يفظعنا.‏


The same tradition has been narrated through a different chain of transmitters on the authority of A'mash. This version contains the words:
Ila amrin yofzi'una instead of Ila amrin na'rifuhu.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮৫। ইবরাহীম ইবনু সাঈদ জাওহারী (রহঃ) ... আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাহল ইবনুু হুনায়ফ (রাঃ) কে সিফফীনে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের নিজেদের মতকে তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে অভিযুক্ত মনে করবে। কারণ, আমি আবূ জান্দলের দিনটি প্রত্যক্ষ করেছি। যদি আমার সেদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ সীমালংঘনের সামর্থ্য থাকতো (তবে তাই করতাম, এখন ব্যাপার এত সঙ্গীন হয়ে দাড়িয়েছে যে) আমরা এক দিকের ছিদ্রবন্ধ করলে অন্য দিকের ছিদ্র ফূটে উঠে।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، بِصِفِّينَ يَقُولُ اتَّهِمُوا رَأْيَكُمْ عَلَى دِينِكُمْ فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - مَا فَتَحْنَا مِنْهُ فِي خُصْمٍ إِلاَّ انْفَجَرَ عَلَيْنَا مِنْهُ خُصْمٌ ‏.‏

وحدثني ابراهيم بن سعيد الجوهري، حدثنا ابو اسامة، عن مالك بن مغول، عن ابي حصين، عن ابي واىل، قال سمعت سهل بن حنيف، بصفين يقول اتهموا رايكم على دينكم فلقد رايتني يوم ابي جندل ولو استطيع ان ارد امر رسول الله صلى الله عليه وسلم - ما فتحنا منه في خصم الا انفجر علينا منه خصم ‏.‏


It has been narrated through a different chain of transmitters on the authority of Abu Wa'il who said:
I heard Sahl b. Hunaif say at Siffin: Blame (the hollowness) of your views about your religion. I thought to myself on the day of Abu Jandal that if I could turn down the order of the Messenger of Allah (ﷺ), I would. The situation was so difficult that if we mended it at one place, it was rent at another.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮৬। নসর ইবনু আলী জাহযামী (রহঃ) ... কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) তাঁদের বলেছেন, হুদায়বিয়া থেকে প্রত্যবর্তনের সময় যখন এ আয়াত নায়িল হলোঃ “নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়, যেন আল্লাহ (তোমার ক্রটিসমূহ) মার্জনা করেন ...... মহা সাফল্য” পর্যন্ত (সূরা ফাতহঃ ১-৪) তখন তাদের মন দুঃখ বেদনা ক্ষোভে পূর্ন ছিলো। আর তিনি [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] হুদায়বিয়াতেই (কুরবানীর) পশুগুলো কুরবানী করলেন। তখন তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার প্রতি এমন আয়াত নাযিল হয়েছে, যা সমগ্র দুনিয়া থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয়।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي، عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، حَدَّثَهُمْ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ‏(‏ إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا * لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ فَوْزًا عَظِيمًا‏)‏ مَرْجِعَهُ مِنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَهُمْ يُخَالِطُهُمُ الْحُزْنُ وَالْكَآبَةُ وَقَدْ نَحَرَ الْهَدْىَ بِالْحُدَيْبِيَةِ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آيَةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا جَمِيعًا ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا نصر بن علي الجهضمي، حدثنا خالد بن الحارث، حدثنا سعيد بن ابي، عروبة عن قتادة، ان انس بن مالك، حدثهم قال لما نزلت ‏(‏ انا فتحنا لك فتحا مبينا * ليغفر لك الله‏)‏ الى قوله ‏(‏ فوزا عظيما‏)‏ مرجعه من الحديبية وهم يخالطهم الحزن والكابة وقد نحر الهدى بالحديبية فقال ‏"‏ لقد انزلت على اية هي احب الى من الدنيا جميعا ‏"‏ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Anas b. Malik who said:
When they (Companions of the Holy Prophet) were overwhelmed with grief and distress on his return from Hudaibiya where he had slaughtered his sacrificial beasts (not being allowed to proceed to Mecca), the Qur'anic verse: Inna fatahna... laka fathan mobinan to fauzan 'aziman, was revealed to him. (At this) he said: On me has descended a verse that is dearer to me than the whole world.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পর্কে

৪৪৮৭। আসিফ ইবনু নাযার তায়মী (রহঃ) ... ইবনু মুসান্না, আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) ও ইবনু আবূ আরুবা (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্নিত রয়েছে।

باب صُلْحِ الْحُدَيْبِيَةِ

وَحَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، جَمِيعًا عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، نَحْوَ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ ‏.‏

وحدثنا عاصم بن النضر التيمي، حدثنا معتمر، قال سمعت ابي، حدثنا قتادة، قال سمعت انس بن مالك، ح وحدثنا ابن المثنى، حدثنا ابو داود، حدثنا همام، ح وحدثنا عبد بن حميد، حدثنا يونس بن محمد، حدثنا شيبان، جميعا عن قتادة، عن انس، نحو حديث ابن ابي عروبة ‏.‏


This tradition has been narrated through a different chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৩/ জিহাদ ও এর নীতিমালা (كتاب الجهاد والسير) 33/ The Book of Jihad and Expeditions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে