পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭২। ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... আব্দুর রহমান ইবনু আবদ কারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনুুূল খাত্তাব (রাঃ) কে আমি বলতে শুনেছি যে, আমি যেভাবে সূরা ফূরকান তিলাওয়াত করি, হিশাম ইবনু হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) কে তা থেকে ভিন্ন কায়দায় তিলাওয়াত করতে শুনলাম। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই এ সূরাটি এভাবে পড়তে আমাকে শিখিয়েছেন। আমি তখনই তাকে পাকড়াও করতে উদ্যত হয়েছিলাম। কিন্তু তাকে অবকাশ দিলাম। তিনি সালাত সমাপ্ত করলেন। এরপরই আমি তার চাঁদর দিয়ে তাঁকে পেঁচিয়ে ধরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে নিয়ে এসে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একে সূরা ফুরকান পাঠ করতে শুনেছি। আপনি আমাকে যেমন পাঠ করতে শিক্ষা দিয়েছেন, তা থেকে ভিন্নরূপ।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বললেন, তাঁকে ছেড়ে দাও, (এবং তাকে বললেন) পড় তো। সে তখন ওই কিরা’আতই পড়ে শোনাল, যেমন তাঁকে আমি পড়তে শুনেছিলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (আয়াতটি) অনুরূপ নাযিল করা হয়েছে। অতঃপর আমাকে বললেন, তুমি পড়! আমি তিলাওয়াত করলাম, তিনি বললেন, এ ভাবেই নাযিল করা হয়েছে। এ কুরআন সাত হরফে (ধরনে) নাযিল করা হয়েছে। সূতরাং যার যেভাবে সহজ হয় তোমরা তা (সেভাবে) পাঠ করবে।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ، حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْرَأَنِيهَا فَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَجِئْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَرْسِلْهُ اقْرَأْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَكَذَا أُنْزِلَتْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِيَ ‏"‏ اقْرَأْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأْتُ فَقَالَ ‏"‏ هَكَذَا أُنْزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى، قال قرات على مالك عن ابن شهاب، عن عروة بن الزبير، عن عبد الرحمن بن عبد القاري، قال سمعت عمر بن الخطاب، يقول سمعت هشام بن، حكيم بن حزام يقرا سورة الفرقان على غير ما اقروها وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم اقرانيها فكدت ان اعجل عليه ثم امهلته حتى انصرف ثم لببته برداىه فجىت به رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله اني سمعت هذا يقرا سورة الفرقان على غير ما اقراتنيها ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ارسله اقرا ‏"‏ ‏.‏ فقرا القراءة التي سمعته يقرا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هكذا انزلت ‏"‏ ‏.‏ ثم قال لي ‏"‏ اقرا ‏"‏ ‏.‏ فقرات فقال ‏"‏ هكذا انزلت ان هذا القران انزل على سبعة احرف فاقرءوا ما تيسر منه ‏"‏ ‏.‏


'Umar b. Khattab said:
I heard Hisham b. Hakim b. Hizam reciting Surah al-Furqan in a style different from that in which I used to recite it, and in which Allah's Messenger (ﷺ) had taught me to recite it. I was about to dispute with him (on this style) but I delayed till he had finished that (the recitation). Then I caught hold of his cloak and brought him to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Messenger of Allah, I heard this man reciting Surah al-Furqan in a style different from the one in which you taught me to recite. Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) told (me) to leave him alone and asked him to recite. He then recited in the style in which I beard him recite it. The Messenger of Allah (ﷺ) then said: Thus was it sent down. He then told me to recite and I recited it, and he said: Thus was it sent down. The Qur'an was sent down in seven dialects. So recite what seems easy therefrom.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৩। হারামালা ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... মিসওয়ার ইবনু মাখরামা ও আবদুর রহমান ইবনু আবদ কারী (রহঃ) সুত্রে বর্ণিত। তারা দু’জন শুনেছেন যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত থাকাকালে একবার হিশাম ইবনু হাকীম (রাঃ) কে সূরা ফুরকান তিলাওয়াত করতে শুনলাম। হাদীসটির পূর্বানুরূপ বিবরণ দিয়েছেন। তবে তিনি এতে আরো বলেছেন, "সালাতের মাঝেই আমি তাকে পাকড়াও করতে উদ্যত হয়েছিলাম। পরে সালাম করা পর্যন্ত কোন রকমে সবর করে থাকলাম।"

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدٍ الْقَارِيَّ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا، سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ، يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِهِ وَزَادَ فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلاَةِ فَتَصَبَّرْتُ حَتَّى سَلَّمَ ‏.‏

وحدثني حرملة بن يحيى، اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، اخبرني عروة بن الزبير، ان المسور بن مخرمة، وعبد الرحمن بن عبد القاري، اخبراه انهما، سمعا عمر بن الخطاب، يقول سمعت هشام بن حكيم، يقرا سورة الفرقان في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وساق الحديث بمثله وزاد فكدت اساوره في الصلاة فتصبرت حتى سلم ‏.‏


This hadith has been transmitted thus by 'Umar b. Khattab (with a slight change of words):
" I heard Hisham b. Hakim reciting Surah al-Furqan during the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ)." The rest is the same but with this addition:" I was about to catch hold of him in prayer, but I exercised patience till he pronounced salutation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৪। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে ইউনূস (রহঃ) এর রিওয়ায়াতের অনুরূপ তারই সনদে বর্ননা করেছেন।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، كَرِوَايَةِ يُونُسَ بِإِسْنَادِهِ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم، وعبد بن حميد، قالا اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، كرواية يونس باسناده ‏.‏


This hadith has been transmitted by Zuhri.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৫। হারামালা ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জিবরীল (আঃ) (প্রথমে) আমাকে এক হরফে কুরআন পাঠ করালে আমি তাঁর কাছে (আরো বৃদ্ধির) আবদার জানালাম। এভাবে আমি তাঁর কাছে কিরআতের ধরন বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করতে থাকি তিনিও প্রতিবার বাড়াতে থাকেন। অবশেষে সাত হরফে গিয়ে পরিসমাপ্তি হয়।

ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেছেন, আমার কাছে রিওয়ায়াত পৌছেছে যে, সে সাত হরফ সে সব নির্দেশের ব্যাপারে প্রযোজ্য যেখানে অর্থ এক হয়, হালাল-হারামের ব্যাপারে কোনো বিরোধ সৃষ্টি করে না।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَقْرَأَنِي جِبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - عَلَى حَرْفٍ فَرَاجَعْتُهُ فَلَمْ أَزَلْ أَسْتَزِيدُهُ فَيَزِيدُنِي حَتَّى انْتَهَى إِلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ بَلَغَنِي أَنَّ تِلْكَ السَّبْعَةَ الأَحْرُفَ إِنَّمَا هِيَ فِي الأَمْرِ الَّذِي يَكُونُ وَاحِدًا لاَ يَخْتَلِفُ فِي حَلاَلٍ وَلاَ حَرَامٍ ‏.‏

وحدثني حرملة بن يحيى، اخبرنا ابن وهب، اخبرني يونس، عن ابن شهاب، حدثني عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، ان ابن عباس، حدثه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اقراني جبريل - عليه السلام - على حرف فراجعته فلم ازل استزيده فيزيدني حتى انتهى الى سبعة احرف ‏"‏ ‏.‏ قال ابن شهاب بلغني ان تلك السبعة الاحرف انما هي في الامر الذي يكون واحدا لا يختلف في حلال ولا حرام ‏.‏


Ibn 'Abbas reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Gabriel taught me to recite in one style. I replied to him and kept asking him to give more (styles), till he reached seven modes (of recitation). Ibn Shibab said: It has reached me that these seven styles are essentially one, not differing about what is permitted and what is forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৬। আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে ঐ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

وَحَدَّثَنَاهُ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ.

وحدثناه عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، بهذا الاسناد.


This hadith has been narrated by Zuhri with the same chain of trans- mitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৭। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে ছিলাম। এক ব্যাক্তি প্রবশে করে সালাত আদায় করতে লাগল। সে এমন এক ধরনের কিরাআত করতে লাগল আমার কাছে অভিনব মনে হল। পরে আর একজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী ব্যাক্তি হতে ভিন্ন ধরনের কিরআত করতে লাগল। সালাত শেষে আমরা সবাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। আমি বললাম, এ ব্যাক্তি এমন কিরআত করেছে যা আমার কাছে অভিনব ঠেকেছে এবং অন্যজন প্রবেশ করে তার পূর্ববর্তী জন হতে ভিন্ন কিরআত পাঠ করেছে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উভয়কে (কিরআত পাঠ করতে) নির্দেশ দিলেন। তারা উভয়েই কিরআত পাঠ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’ জনের (কিরআতের) ধরনকে সুন্দর বললেন। ফলে আমার মনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরআনের প্রতি মিথ্যা অবিশ্বাস ও সন্দেহের উন্মেষ দেখা দিল। এমন কি জাহিলী যুগেও আমার এমন খটকা জাগেনি।

আমার ভেতরে সৃষ্ট খটকা অবলোকন করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বুকে সজোরে আঘাত করলেন। ফলে আমি ঘর্মাক্ত হয়ে গেলাম এবং যেন আমি ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মহা মহীয়ান আল্লাহকে দেখছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ওহে উবাই! আমার কাছে[(জিবরীল (আলাইহিস সালাম)] কে প্রেরণ করা হয়েছে যে, আমি যেন কুরআন এক হরফে তিলাওয়াত করি। আমি তখন তাঁর কাছে পূনরায় অনুরোধ করলাম আমার উম্মাতের জন্য সহজ করুন। দ্বিতীয়বার আমাকে বলা হল যে, দুই হরফে তা তিলাওয়াত করবে। তখন তাঁর কাছে আবার অনুরোধ করলাম, আমার উম্মাতের জন্য সহজ করে দিতে। তৃতীয়বার আমাকে বলা হল যে সাত হরফে তা তিলাওয়াত করবে এবং যতবার আপনাকে জবাব দিয়েছি তার প্রতিটির বদলে আপনার জন্য একটি প্রার্থনা বরাদ্দ করা হল যা আপনি করতে পারতেন। আমি বললাম হে আল্লাহ্‌! আমার উম্মাতকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আমার উম্মাতকে ক্ষমা করুন। আর তৃতীয় প্রার্থনাটি বিলম্বিত করে রেখেছি সে দিনের জন্য যে দিন সারা সৃষ্টি এমন কি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)ও আমার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ ، وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْقَنَّادُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى ، عَنْ جَدِّهِ ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ ، قَالَ : كُنْتُ فِي الْمَسْجِدِ ، فَدَخَلَ رَجُلٌ يُصَلِّي ، فَقَرَأَ قِرَاءَةً أَنْكَرْتُهَا عَلَيْهِ ، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ آخَرُ ، فَقَرَأَ قِرَاءَةً غَيْرَ قِرَاءَةِ صَاحِبِهِ ، فَدَخَلْنَا جَمِيعًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّ هَذَا قَرَأَ قِرَاءَةً أَنْكَرْتُهَا عَلَيْهِ ، ثُمَّ دَخَلَ هَذَا فَقَرَأَ قِرَاءَةً غَيْرَ قِرَاءَةِ صَاحِبِهِ . فَأَمَرَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَرَءَا ، فَحَسَّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَأْنَهُمَا ، فَوَقَعَ فِي نَفْسِي مِنَ التَّكْذِيبِ ، وَلا إِذْ كُنْتُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ ، فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا غَشِيَنِي ضَرَبَ فِي صَدْرِي ، فَفِضْتُ عَرَقًا ، كَأَنَّمَا أَنْظُرُ إِلَى اللَّهِ فَرَقًا ، فَقَالَ لِي : " يَا أُبَيُّ ، أُرْسِلَ إِلَيَّ : أَنِ اقْرَأِ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ ، فَرَدَدْتُ عَلَيْهِ : أَنْ هَوِّنْ عَلَى أُمَّتِي ، فَرَدَّ عَلَيَّ فِي الثَّانِيَةِ : أَنِ اقْرَأِ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ ، فَرَدَدْتُ عَلَيْهِ : أَنْ هَوِّنْ عَلَى أُمَّتِي ، فَرَدَّ عَلَيَّ فِي الثَّالِثَةِ : أَنِ اقْرَأْهُ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ ، وَلَكَ بِكُلِّ رَدَّةٍ رَدَدْتُكَهَا مَسْأَلَةٌ تَسْأَلَنِيهَا ، فَقُلْتُ : اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأُمَّتِي ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأُمَّتِي ، وَأَخَّرْتُ الثَّالِثَةَ لِيَوْمٍ يَرْغَبُ إِلَيَّ فِيهِ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ "

حدثنا ابو كريب ، قال : حدثنا ابن نمير ، قال : حدثنا اسماعيل بن ابي خالد ، وحدثنا عبد الحميد بن بيان القناد ، قال : حدثنا محمد بن يزيد الواسطي ، عن اسماعيل ، عن عبد الله بن عيسى بن عبد الرحمن بن ابي ليلى ، عن جده ، عن ابي بن كعب ، قال : كنت في المسجد ، فدخل رجل يصلي ، فقرا قراءة انكرتها عليه ، ثم دخل رجل اخر ، فقرا قراءة غير قراءة صاحبه ، فدخلنا جميعا على رسول الله صلى الله عليه وسلم ، قال : فقلت : يا رسول الله ، ان هذا قرا قراءة انكرتها عليه ، ثم دخل هذا فقرا قراءة غير قراءة صاحبه . فامرهما رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فقرءا ، فحسن رسول الله صلى الله عليه وسلم شانهما ، فوقع في نفسي من التكذيب ، ولا اذ كنت في الجاهلية ، فلما راى رسول الله صلى الله عليه وسلم ما غشيني ضرب في صدري ، ففضت عرقا ، كانما انظر الى الله فرقا ، فقال لي : " يا ابي ، ارسل الي : ان اقرا القران على حرف ، فرددت عليه : ان هون على امتي ، فرد علي في الثانية : ان اقرا القران على حرف ، فرددت عليه : ان هون على امتي ، فرد علي في الثالثة : ان اقراه على سبعة احرف ، ولك بكل ردة رددتكها مسالة تسالنيها ، فقلت : اللهم اغفر لامتي ، اللهم اغفر لامتي ، واخرت الثالثة ليوم يرغب الي فيه الخلق كلهم حتى ابراهيم "


Ubayy b. Ka'b reported:
I was in the mosque when a man entered and prayed and recited (the Qur'in) in a style to which I objected. Then another man entered (the mosque) and recited in a style different from that of his companion. When we had finished the prayer, we all went to Allah's Messenger (ﷺ) and said to him: This man recited in a style to which I objected, and the other entered and recited in a style different from that of his companion. The Messenger of Allah (ﷺ) asked them to recite and so they recited, and the Messenger of Allah (ﷺ) expressed approval of their affairs (their modes of recitation). and there occurred In my mind a sort of denial which did not occur even during the Days of Ignorance. When the Messenger of Allah (ﷺ) saw how I was affected (by a wrong idea), he struck my chest, whereupon I broke into sweating and felt as though I were looking at Allah with fear. He (the Holy Prophet) said to me: Ubayy. a message was sent to me to recite the Qur'an in one dialect, and I replied: Make (things) easy for my people. It was conveyed to me for the second time that it should be recited in two dialects. I again replied to him: Make affairs easy for my people. It was again conveyed to me for the third time to recite in seven dialects And (I was further told): You have got a seeking for every reply that I sent you, which you should seek from Me. I said: O Allah! forgive my people, forgive my people, and I have deferred the third one for the day on which the entire creation will turn to me, including even Ibrahim (peace be upon him) (for intercession).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৮। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আব্দুর রহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) খরব দিয়েছেন যে, তিনি মসজিদে উপবিষ্ট ছিলেন। তখনই এ ব্যাক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, নামায পড়ল এবং কিরআত পাঠ করলেন যে...... ইবনু নুমায়র (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي، خَالِدٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، أَخْبَرَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى فَقَرَأَ قِرَاءَةً وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا محمد بن بشر، حدثني اسماعيل بن ابي، خالد حدثني عبد الله بن عيسى، عن عبد الرحمن بن ابي ليلى، اخبرني ابى بن كعب، انه كان جالسا في المسجد اذ دخل رجل فصلى فقرا قراءة واقتص الحديث بمثل حديث ابن نمير ‏.‏


Ubayy b. Ka'b reported that he was sitting in a mosque that a person entered it and he observed prayer, and made recitation, the rest of the hadith is the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৭৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ গিফারের জলাভূমি (ডোবা) এর কাছে ছিলেন। উবাই (রাঃ) বলেন, তখন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তাঁর নিকটে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে আদেশ করেছেন যে আপনার উম্মাত এক ধরনের কুরআন পাঠ করবে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আল্লাহর কাছে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার উম্মাততো এ হুকুম পালনে সমর্থ হবে না। পরে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) দ্বিতীয়বার তার কাছে আগমন করে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মাত দু’ধরনের কুরআন পাঠ করবে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আল্লাহর সকাশে তার মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমার উম্মাততো তা পালনে সমর্থ হবে না। তারপর তিনি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মাত তিন হরফে কুরআন পাঠ করবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আল্লাহর সমীপে তাঁর মার্জনা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমার উম্মাত তো এটি পালনের সমর্থ রাখে না। তারপর জিবরীল (আলাইহিস সালাম) চতূর্থবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, আল্লাহ আপনাকে হুকুম করেছেন যে, আপনার উম্মাত সাত হরফে কুরআন পাঠ করবে এবং এর যে কোন হরফ ও ধরন অনুসারে তারা পাঠ করলে তা-ই যথার্থ হবে।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ عِنْدَ أَضَاةِ بَنِي غِفَارٍ - قَالَ - فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَتَاهُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى حَرْفَيْنِ فَقَالَ ‏"‏ أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَهُ الثَّالِثَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى ثَلاَثَةِ أَحْرُفٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَسْأَلُ اللَّهَ مُعَافَاتَهُ وَمَغْفِرَتَهُ وَإِنَّ أُمَّتِي لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ جَاءَهُ الرَّابِعَةَ فَقَالَ إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَقْرَأَ أُمَّتُكَ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَأَيُّمَا حَرْفٍ قَرَءُوا عَلَيْهِ فَقَدْ أَصَابُوا ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا غندر، عن شعبة، ح وحدثناه ابن المثنى، وابن بشار قال ابن المثنى حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن الحكم، عن مجاهد، عن ابن ابي ليلى، عن ابى بن كعب، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان عند اضاة بني غفار - قال - فاتاه جبريل عليه السلام فقال ان الله يامرك ان تقرا امتك القران على حرف ‏.‏ فقال ‏"‏ اسال الله معافاته ومغفرته وان امتي لا تطيق ذلك ‏"‏ ‏.‏ ثم اتاه الثانية فقال ان الله يامرك ان تقرا امتك القران على حرفين فقال ‏"‏ اسال الله معافاته ومغفرته وان امتي لا تطيق ذلك ‏"‏ ‏.‏ ثم جاءه الثالثة فقال ان الله يامرك ان تقرا امتك القران على ثلاثة احرف ‏.‏ فقال ‏"‏ اسال الله معافاته ومغفرته وان امتي لا تطيق ذلك ‏"‏ ‏.‏ ثم جاءه الرابعة فقال ان الله يامرك ان تقرا امتك القران على سبعة احرف فايما حرف قرءوا عليه فقد اصابوا ‏.‏


Ubayy b. Ka'b reported that the Messenger of Allah (ﷺ) was near the tank of Banu Ghifar that Gabriel came to him and said:
Allah has commanded you to recite to your people the Qur'an in one dialect. Upon this he said: I ask from Allah pardon and forgiveness. My people are not capable of doing it. He then came for the second time and said: Allah has commanded you that you should recite the Qur'an to your people in two dialects. Upon this he (the Holy prophet) again said: I seek pardon and forgiveness from Allah, my people would not be able to do so. He (Gabriel) came for the third time and said: Allah has commanded you to recite the Qur'an to your people in three dialects. Upon this he said: I ask pardon and forgiveness from Allah. My people would not be able to do it. He then came to him for the fourth time and said: Allah has commanded you to recite the Qur'an to your people in seven dialects, and in whichever dialect they would recite, they would be right.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরআন সাত হরফে অবতীর্ণ হওয়ার বিবরণ ও এর মর্মার্থ

১৭৮০। উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) ... শু’বা (রহঃ) সুত্রে সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب بَيَانِ أَنَّ الْقُرْآنَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ وَبَيَانِ مَعْنَاهُ ‏

وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ ‏.‏

وحدثناه عبيد الله بن معاذ، حدثنا ابي، حدثنا شعبة، بهذا الاسناد مثله ‏.‏


This hadith has been narrated by Shu'ba with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু'বা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে