পরিচ্ছেদঃ ২২. জোরপূর্বক যে নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে

১৪৫৩৷ আবদুল জাব্বার ইবনু ওয়াইল ইবনু হুজ্বর (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (ওয়াইল ইবনু হুজ্বর) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি স্ত্রীলোককে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীলোকটিকে হাদ্দ (যেনার শাস্তি) হতে মুক্তি দেন, কিন্তু তার ধর্ষণকারীর উপর হাদ্দ (যেনার শাস্তি) কার্যকর করেন। তিনি তার জন্য মোহর নির্ধারণ করেছেন কি-না রাবী তা বর্ণনা করেননি।

যঈফ, মিশকাত (৩৫৭১)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। এর সনদ পরস্পর সংযুক্ত (মুত্তাসিল) নয়। অন্য সূত্রেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আমি ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, আবদুল জাব্বার তার পিতা ওয়াইলের নিকট হতে হাদীস শুনার কোন সুযোগই পাননি এবং তাকে দেখেনওনি। কথিত আছে যে, তিনি তার পিতার মৃত্যুর কয়েক মাস পর জন্মগ্রহণ করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবীগণ ও তৎপরবর্তী আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেছেন। তাদের মতে, যে নারীকে জোরপূর্বক যেনায় লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয় অর্থাৎ যাকে ধর্ষণ করা হয় সে হাদ্দমুক্ত (যেনার শাস্তিমুক্ত)।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَرْأَةِ إِذَا اسْتُكْرِهَتْ عَلَى الزِّنَا

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا مُعَمَّرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرَّقِّيُّ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ اسْتُكْرِهَتِ امْرَأَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَرَأَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْحَدَّ وَأَقَامَهُ عَلَى الَّذِي أَصَابَهَا وَلَمْ يُذْكَرْ أَنَّهُ جَعَلَ لَهَا مَهْرًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ وَلاَ أَدْرَكَهُ يُقَالُ إِنَّهُ وُلِدَ بَعْدَ مَوْتِ أَبِيهِ بِأَشْهُرٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنْ لَيْسَ عَلَى الْمُسْتَكْرَهَةِ حَدٌّ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، حدثنا معمر بن سليمان الرقي، عن الحجاج بن ارطاة، عن عبد الجبار بن واىل بن حجر، عن ابيه، قال استكرهت امراة على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فدرا عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم الحد واقامه على الذي اصابها ولم يذكر انه جعل لها مهرا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب وليس اسناده بمتصل وقد روي هذا الحديث من غير هذا الوجه ‏.‏ قال سمعت محمدا يقول عبد الجبار بن واىل بن حجر لم يسمع من ابيه ولا ادركه يقال انه ولد بعد موت ابيه باشهر ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم ان ليس على المستكرهة حد ‏.‏


Narrated 'Abdul-Jabbar bin Wa'il bin Hujr:
That his father said: "A woman was forced to commit illegal sexual relations during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) did not enforce the legal punishment upon her, but he enforced it upon the one who had done it to her." And the narrator did not mention him assigning a dowry to her.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
১৫/ হাদ্দ বা দণ্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 15. The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)

পরিচ্ছেদঃ ২২. জোরপূর্বক যে নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে

১৪৫৪। আলকামা ইবনু ওয়াইল (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় একজন মহিলা নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো। রাস্তায় একজন লোক তার সামনে পড়ে এবং সে তাকে তার পোশাকে ঢেকে নিয়ে (জাপটে ধরে) নিজের প্রয়োজন মিটায় (ধর্ষণ করে)। মহিলাটি চিৎকার করলে লোকটি পালিয়ে গেল। তারপর আর একজন লোক তার সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিল। মহিলাটি বলল ঐ লোকটি আমার সাথে এই এই করেছে। ইতোমধ্যে মুহাজির সাহাবীদের একটি দলও সে স্থান দিয়ে যাচ্ছিল। মহিলাটি বলল, ঐ লোকটি আমার সাথে এই এই করেছে। যে লোকটি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে সে ধারণা করল, তারা (দৌড়ে) গিয়ে তাকে ধরে ফেলেন। তাকে নিয়ে তারা মহিলাটির সামনে ফিরে আসলে সে বলল, হ্যাঁ, এই সেই লোক।

তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তাকে নিয়ে আসেন। তিনি যখন তাকে রজমের (পাথর মেরে হত্যা) হুকুম দিলেন, সে সময়ে তার আসল ধর্ষণকারী উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তার ধর্ষণকারী (ঐ লোকটি নয়)। তিনি মহিলাটিকে বললেনঃ যাও, তোমাকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন। তিনি (সন্দেহজনকভাবে) ধৃত লোকটির সম্বন্ধে ভাল কথা বললেন। মহিলাটির আসল ধর্ষণকারীর সম্পর্কে তিনি হুকুম করলেনঃ একে রজম কর। তিনি আরো বললেনঃ সে এমন ধরণের তাওবা করেছে, যদি মদীনার সকল জনগণ এমন তাওবা করে তবে তাদের সেই তাওবা কুবুল করা হবে।

হাসান, তাকে রজম কর বাক্য ব্যতীত। সঠিক বক্তব্য হল তাকে রজম করা হয় নাই। মিশকাত (৩৫৭২) সহীহাহ (৯০০)

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব সহীহ বলেছেন। আলকামা (রহঃ) তার পিতা ওয়াইল (রাঃ)-এর কাছে হাদীস শ্রবণ করেছেন। তিনি বয়সে তার ভাই আবদুল জাব্বারের চেয়ে বড় ছিলেন। আবদুল জাব্বার (রহঃ) তার আব্বা ওয়াইল (রাঃ)-এর কাছ থেকে হাদীস শ্রবণ করার সুযোগ লাভ করেননি।

باب مَا جَاءَ فِي الْمَرْأَةِ إِذَا اسْتُكْرِهَتْ عَلَى الزِّنَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْكِنْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ امْرَأَةً، خَرَجَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تُرِيدُ الصَّلاَةَ فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَتَجَلَّلَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا فَصَاحَتْ فَانْطَلَقَ وَمَرَّ عَلَيْهَا رَجُلٌ فَقَالَتْ إِنَّ ذَاكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا ‏.‏ وَمَرَّتْ بِعِصَابَةٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ فَقَالَتْ إِنَّ ذَاكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَانْطَلَقُوا فَأَخَذُوا الرَّجُلَ الَّذِي ظَنَّتْ أَنَّهُ وَقَعَ عَلَيْهَا وَأَتَوْهَا فَقَالَتْ نَعَمْ هُوَ هَذَا ‏.‏ فَأَتَوْا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَمَرَ بِهِ لِيُرْجَمَ قَامَ صَاحِبُهَا الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا صَاحِبُهَا ‏.‏ فَقَالَ لَهَا ‏"‏ اذْهَبِي فَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ لِلرَّجُلِ قَوْلاً حَسَنًا وَقَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا ‏"‏ ارْجُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَعَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ سَمِعَ مِنْ أَبِيهِ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلٍ وَعَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ وَائِلٍ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِيهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن يحيى النيسابوري، حدثنا محمد بن يوسف، عن اسراىيل، حدثنا سماك بن حرب، عن علقمة بن واىل الكندي، عن ابيه، ان امراة، خرجت على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم تريد الصلاة فتلقاها رجل فتجللها فقضى حاجته منها فصاحت فانطلق ومر عليها رجل فقالت ان ذاك الرجل فعل بي كذا وكذا ‏.‏ ومرت بعصابة من المهاجرين فقالت ان ذاك الرجل فعل بي كذا وكذا ‏.‏ فانطلقوا فاخذوا الرجل الذي ظنت انه وقع عليها واتوها فقالت نعم هو هذا ‏.‏ فاتوا به رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما امر به ليرجم قام صاحبها الذي وقع عليها فقال يا رسول الله انا صاحبها ‏.‏ فقال لها ‏"‏ اذهبي فقد غفر الله لك ‏"‏ ‏.‏ وقال للرجل قولا حسنا وقال للرجل الذي وقع عليها ‏"‏ ارجموه ‏"‏ ‏.‏ وقال ‏"‏ لقد تاب توبة لو تابها اهل المدينة لقبل منهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب صحيح ‏.‏ وعلقمة بن واىل بن حجر سمع من ابيه وهو اكبر من عبد الجبار بن واىل وعبد الجبار بن واىل لم يسمع من ابيه ‏.‏


Narrated 'Alqamah bin Wa'il Al-Kindi:
From his father: "A women went out during the time of the Prophet (ﷺ) to go to Salat, but she was caught by a man and he had relations with her, so she screamed and he left. Then a man came across her and she said: 'That man has done this and that to me', then she came across a group of Emigrants (Muhajirin) and she said: 'That man did this and that to me.' They went to get the man she thought had relations with her, and they brought him to her. She said: 'Yes, that's him.' So they brought him to the Messenger of Allah (ﷺ), and when he ordered that he be stoned, the man who had relations with her, said: 'O Messenger of Allah, I am the one who had relations with her.' So he said to her: 'Go, for Allah has forgiven you.' Then he said some nice words to the man (who was brought). And he said to the man who had relations with her: 'Stone him.' Then he said: 'He has repented a repentance that, if the inhabitants of Al-Madinah had repented with, it would have been accepted from them.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
১৫/ হাদ্দ বা দণ্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 15. The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে