পরিচ্ছেদঃ ১৪. অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হয় না
১১০১। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হতে পারে না।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৮৮১)
আইশা, ইবনু আব্বাস, আবু হুরাইরা ও ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، ح وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ .
Abu Musa narrated that :
the Messenger of Allah said: "There is no marriage except with a Wali."
পরিচ্ছেদঃ ১৪. অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে সম্পন্ন হয় না
১১০২। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত কোন মহিলা বিয়ে করলেতার বিয়ে বাতিল,তার বিয়ে বাতিল, তার বিয়ে বাতিল। কিন্তু তার সাথে তার স্বামী সহবাস করলে তবে সে তার লজ্জাস্থান হালাল মনে করে সংগত হওয়ার কারণে তার নিকট মোহরের অধিকারী হবে। যদি অভিভাবকগণ বিবাদ করে তাহলে যে ব্যক্তির কোন অভিভাবক নেই তার ওয়ালী হবে দেশের শাসক।
— সহীহ, ইরওয়া (১৮৪০)
আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন। ইবনু জুরাইজ (রাহঃ) হতে ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ, ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব ও সুফিয়ান সাওরীসহ একদল হাফিজ মুহাদিস এরকমই বর্ণনা করেছেন। আবু ঈসা বলেন, আবু মূসা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত (১১০১ নং) হাদীসের সনদে মতের অমিল আছে। উপরোক্ত হাদীসটি ইসরাঈল, শারীক, আবু আওয়ানা, যুহাইর, কাইস ইবনুর রাবী প্রমুখ আবূ ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আসবাত ইবনু মুহাম্মাদ ও যাইদ ইবনু হুবাব-ইউনুস ইবনু আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। আবু উবাইদা আল হাদ্দাদ ইউনুস ইবনু আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ সনদের মধ্যে আবৃ ইসহাকের উল্লেখ নেই। এ সূত্রেও ইউনুস ইবনু আবূ ইসহাক-আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মুসা হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এরকমই বর্ণিত আছে। শুবা ও সাওরী-আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেনঃ “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে সম্পাদন হয় না”।
সুফিয়ানের কতক অনুসারী তার সুত্রে আবু ইসহাক হতে, তিনি আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তা সঠিক নয়। আমি মনে করি আবু ইসহাক আবু বুরদা হতে, তিনি আবু মূসা (রাঃ)-এর সূত্রে যারা বর্ণনা করেছেন যে, “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হয় না” তাদের বর্ণনাটি অনেক বেশি সহীহ। কারণ, তারা আবু ইসহাকের নিকট বিভিন্ন সময় এ হাদীস শুনেছেন। এ হাদীসটি আবু ইসহাকের নিকট হতে যারা বর্ণনা করেছেন তাদের তুলনায় শুবা ও সুফিয়ান সাওরী বেশি স্মরণশক্তির অধিকারী ও নির্ভরযোগ্য হলেও তাদের সবার বর্ণনাই আমার মতে বেশি সহীহ ও পরস্পর সংগতিপুর্ণ।
উক্ত হাদীস আবু ইসহাকের নিকট একই বৈঠকে শুবা ও সাওরী শুনেছেন এবং এ কথার প্রমাণ আছে মাহমূদ ইবনু গাইলানের বর্ণনায়। তিনি বলেন, আবু দাউদ বলেছেন যে, শুবা বলেছেন, আবু ইসহাকের নিকট আমি সুফিয়ান সাওরকে প্রশ্ন করতে শুনেছিঃ আপনি কি আবু বুরদা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হয় না”? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। অতএব, উপরোক্ত বর্ণনা প্রমাণ করে যে, এই হাদীসটি একই সময়ে শুবা ও সাওরী শুনেছেন। ইসরাঈল আবু ইসহাকের নিকট হতে রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে খুবই বিশ্বস্ত। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না বলেন, আবদুর রাহমান ইবনু মাহদীকে আমি বলতে শুনেছিঃ ইসরাঈলের উপর যে সময় হতে আমি নির্ভর করেছি আমি সে সময় হতে বঞ্চিত হয়েছি সাওয়ারীর বরাতে বর্ণিত আবু ইসহাকের হাদীসমূহ হতে। কেননা, তিনি পূর্ণভাবে আবু ইসহাকের রিওয়ায়াতগুলি বর্ণনা করতেন। আমার মতে অত্র অনুচ্ছেদে আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস “অভিভাবক ব্যতীত বিয়ে ঠিক হয়না" হাদীসটি হাসান।
আলোচ্য হাদিসটি ইবনু জুরাইজ-সুলাইমান ইবনু মুসা হতে, তিনি যুহরী হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। উপরোক্ত হাদীসটি হাজ্জাজ ইবনু আরতাত ও জাফর ইবনু রাবীআ-যুহরী হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় হিশাম ইবনু উরওয়া-উরওয়া হতে, তিনি আইশা (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ সনদেও বর্ণিত আছে। এই শেষোক্ত সনদ প্রসঙ্গে কোন কোন হাদীস বিশারদ সামালোচনা করেছেন।
ইবনু জুরাইজ বলেন, এক সময় আমি এ হাদীস প্রসঙ্গে যুহরীর সাথে দেখা করে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি এটাকে অস্বীকার করেন। এ কারণেই উপরোক্ত সনদসূত্রটিকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। ইবনু মাঈন বলেন, উক্ত কথাটি ইবনু জুরাইজের বরাতে শুধুমাত্র ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীমই উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইবনু জুরাইজ হতে ইসমাঈলের কিছু শ্রুতি খুব একটা প্রমাণিত নয়। তবে তিনি আবদুল মাজীদ ইবনু আবদুল আযীয ইবনু আবূ রাওয়াদের পাণ্ডুলিপির সাথে পাণ্ডুলিপিকে মিলিয়ে সংশোধন করে নেন। অন্যথায় ইসমাঈল ইবনু জুরাইজ হতে তিনি কিছুই শুনেননি। ইবনু জুরাইজের বরাতে ইসমাঈলের বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহকে ইয়াহইয়া (রাহঃ) দুর্বল বলেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবীদের মধ্যে উমার ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবনু আবু তালিব, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস, আবু হুরাইরা (রাঃ) ও অন্যরা “অভিভাবকের অনুপস্থিতিতে বিয়ে হতে পারে না” এ হাদীস অনুযায়ী মত দিয়েছেন।
একদল ফিকহবিদ তাবিঈ বলেছেন, অভিভাবকগণের বিনা অনুমতিতে কোন মহিলা বিয়েকরতে পারে না (করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে)। এদের মধ্যে আছেন সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব, হাসান বাসরী, শুরাইহ, ইবরাহীম নাখঈ, উমার ইবনু আবদুল আযীয ও অন্যরা। এই কথা বলেছেন সুফিয়ান সাওরী, আওযাঈ, মালিক, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও।
باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا امْرَأَةٍ نُكِحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌ فَإِنْ دَخَلَ بِهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا فَإِنِ اشْتَجَرُوا فَالسُّلْطَانُ وَلِيُّ مَنْ لاَ وَلِيَّ لَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ نَحْوَ هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي مُوسَى حَدِيثٌ فِيهِ اخْتِلاَفٌ رَوَاهُ إِسْرَائِيلُ وَشَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَبُو عَوَانَةَ وَزُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ وَقَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ وَزَيْدُ بْنُ حُبَابٍ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَى أَبُو عُبَيْدَةَ الْحَدَّادُ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَيْضًا . وَرَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " . وَقَدْ ذَكَرَ بَعْضُ أَصْحَابِ سُفْيَانَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى . وَلاَ يَصِحُّ . وَرِوَايَةُ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " . عِنْدِي أَصَحُّ لأَنَّ سَمَاعَهُمْ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ فِي أَوْقَاتٍ مُخْتَلِفَةٍ وَإِنْ كَانَ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ أَحْفَظَ وَأَثْبَتَ مِنْ جَمِيعِ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ رَوَوْا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ هَذَا الْحَدِيثَ فَإِنَّ رِوَايَةَ هَؤُلاَءِ عِنْدِي أَشْبَهُ لأَنَّ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيَّ سَمِعَا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَبِي إِسْحَاقَ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ .
وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ مَا حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيَّ، يَسْأَلُ أَبَا إِسْحَاقَ أَسَمِعْتَ أَبَا بُرْدَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " . فَقَالَ نَعَمْ . فَدَلَّ هَذَا الْحَدِيثُ عَلَى أَنَّ سَمَاعَ شُعْبَةَ وَالثَّوْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ . وَإِسْرَائِيلُ هُوَ ثِقَةٌ ثَبْتٌ فِي أَبِي إِسْحَاقَ . سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُثَنَّى يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَهْدِيٍّ يَقُولُ مَا فَاتَنِي مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الَّذِي فَاتَنِي إِلاَّ لَمَّا اتَّكَلْتُ بِهِ عَلَى إِسْرَائِيلَ لأَنَّهُ كَانَ يَأْتِي بِهِ أَتَمَّ . - وَحَدِيثُ عَائِشَةَ فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " حَدِيثٌ عِنْدِي حَسَنٌ . رَوَاهُ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ وَجَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُهُ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ ثُمَّ لَقِيتُ الزُّهْرِيَّ فَسَأَلْتُهُ فَأَنْكَرَهُ . فَضَعَّفُوا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ أَجْلِ هَذَا . وَذُكِرَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ أَنَّهُ قَالَ لَمْ يَذْكُرْ هَذَا الْحَرْفَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ إِلاَّ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ . قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَسَمَاعُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ لَيْسَ بِذَاكَ إِنَّمَا صَحَّحَ كُتُبَهُ عَلَى كُتُبِ عَبْدِ الْمَجِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ مَا سَمِعَ مِنِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَضَعَّفَ يَحْيَى رِوَايَةَ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ . - وَالْعَمَلُ فِي هَذَا الْبَابِ عَلَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " . عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَغَيْرُهُمْ . وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ أَنَّهُمْ قَالُوا لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ . مِنْهُمْ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَالْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ وَشُرَيْحٌ وَإِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَغَيْرُهُمْ وَبِهَذَا يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَالأَوْزَاعِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَمَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Aishah narrated that:
The Messenger of Allah said: "Whichever woman married without the permission of her Wali her marriage is invalid, her marriage is invalid, her marriage is invalid. If he entered into her, then the Mahr is for her in lieu of what he enjoyed from her private part. If they disagree, then the Sultan is the Wali for one who has no Wali."