পরিচ্ছেদঃ ২৩. মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাঁদা মাকরূহ
১০০০। আলী ইবনু রাবীআ আল-আসাদী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কারাযা ইবনু কা’ব নামক এক আনসারী মারা গেলে তার জন্য বিলাপ করে কান্নাকাটি শুরু হয়। এমতাবস্থায় মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) এসে মিম্বারে উঠলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর বললেন, ইসলামে বিলাপ করে কাদার বিধান কোথায়? সাবধান! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাদা হয় তাকে বিলাপের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়। — সহীহ, আল আহকাম (২৮, ২৯), বুখারী, মুসলিম
ইবনু মালিক, আনাস, উম্মু আতিয়্যা, সামুরা ও আবু মালিক আল-আশআরী (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। মুগীরা (রাঃ) হতে বর্ণিত এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّوْحِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا قُرَّانُ بْنُ تَمَّامٍ الأَسَدِيُّ، وَمَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدٍ الطَّائِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ الأَسَدِيِّ، قَالَ مَاتَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ قَرَظَةُ بْنُ كَعْبٍ فَنِيحَ عَلَيْهِ فَجَاءَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةُ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ مَا بَالُ النَّوْحِ فِي الإِسْلاَمِ أَمَا إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ عُذِّبَ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَأَبِي مُوسَى وَقَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَجُنَادَةَ بْنِ مَالِكٍ وَأَنَسٍ وَأُمِّ عَطِيَّةَ وَسَمُرَةَ وَأَبِي مَالِكٍ الأَشْعَرِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ الْمُغِيرَةِ حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ali bin Rabi'ah Al-Asadi said:
"A man died among the Ansar named Qarazah bin Ka'b, and he was being wailed over. So Al-Mughirah bin Shu'bah came and ascended the Minbar. He uttered thanks and praise to Allah and said: "As for the gravity of wailing in Islam, indeed I heard the Messenger of Allah saying: 'The one who is wailed over is punished as long as he is being wailed over.'"
পরিচ্ছেদঃ ২৩. মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কাঁদা মাকরূহ
১০০১। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উন্মাতদের মাঝে জাহিলী যুগের চারটি (খারাপ) বিষয় আছে। তারা কখনও এগুলো (পুরোপুরি) ছাড়বে নাঃ মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ সহকারে ক্ৰন্দন করা, বংশ তুলে গালি দেওয়া, সংক্রামক রোগ সংক্রমিত হওয়ার ধারণা, একটি উট সংক্রমিত হলে একশটি উটে তা সংক্রমিত হওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো, প্রথমটি কিভাবে সংক্রমিত হল? আর নক্ষত্রের প্রভাব মান্য করা অর্থাৎ অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি হলো।
– হাসান, সহীহাহ (৭৩৫)
এই হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّوْحِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، وَالْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ أَبِي الرَّبِيعِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْبَعٌ فِي أُمَّتِي مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ لَنْ يَدَعَهُنَّ النَّاسُ النِّيَاحَةُ وَالطَّعْنُ فِي الأَحْسَابِ وَالْعَدْوَى أَجْرَبَ بَعِيرٌ فَأَجْرَبَ مِائَةَ بَعِيرٍ مَنْ أَجْرَبَ الْبَعِيرَ الأَوَّلَ وَالأَنْوَاءُ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah said:
"There are four matters in my nation that are from the matters of Jahiliyyah which the people will not leave: Wailing, slandering one's lineage, Al-Adwa - a camel gets mange, so one hundred camels get mange - but who gave the first camel mange? And Al-Anwa (saying): "We got rain because of this or that celestial positioning.'"