পরিচ্ছেদঃ ৬০. রোযা থাকা অবস্থায় রক্তক্ষরণ করানো
৭৭৪। রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক রক্তক্ষরণ করে এবং যাহার রক্তক্ষরণ করানো হয় তাদের দু’জনের রোযাই নষ্ট হয়ে যায়। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৬৭৯-১৬৮১)
আলী, সাদ, শাদাদ ইবনু আওস, সাওবান, উসামা ইবনু যাইদ, আইশা, মাকিল ইবনু সিনান (বলা হয় ইনি মাকিল ইবনু ইয়াসার), আবূ হুরাইরা, ইবনু আব্বাস, আবু মূসা ও বিলাল (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা রাফি ইবনু খাদীজ হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রাহঃ) বলেন, রাফি ইবনু খাদীজ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসই এ বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হাদীস এবং আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, সাওবান ও শাদ্দাদ ইবনু আউস হতে বর্ণিত হাদীসই হচ্ছে এ বিষয়ে সবচেয়ে সহীহ হাদীস। ইয়াহইয়া ইবনু আবু কাসীর (রহঃ) আবু কিলাবা (রাঃ) হতে সাওবান ও শাদ্দাদ ইবনু আওমের দুটি হাদীসই বর্ণনা করেছেন।।
রোযা অবস্থায় রক্তক্ষরণ করানোকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমের একটি দল মাকরূহ মনে করেন। এমনকি অনেক সাহাবী (রামাযানের) রাতে তা করাতেন যেমন আবূ মূসা আল-আশআরী ও ইবনু উমার (রাঃ)। এরকম মতপ্রকাশ করেছেন ইবনুল মুবারাকও। আবদুর রাহমান ইবনু মাহদী বলেছেন, কেউ যদি রোযা থাকাবস্থায় রক্তক্ষরণ করায় তাহলে তাকে এর কায আদায় করতে হবে। এরকম মত দিয়েছেন আহমাদ ইবনু হাম্বাল ও ইসহাকও।
ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেছেন, রোযা পালনরত অবস্থায়ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রক্তক্ষরণ করিয়েছেন। আবার এটাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেনঃ রক্তক্ষরণকারী এবং যে লোকের রক্তক্ষরণ করা হয় তাদের উভয়ের রোযাই বাতিল হয়ে গেল। আমার এ দুটি হাদীসের মধ্যে একটিও সঠিক বলে জানা নেই। কোন ব্যক্তি যদি রোযা থাকাবস্থায় রক্তক্ষরণ করানো হতে দূরে থাকে তাহলে সেটাই আমার মতে বেশি পছন্দনীয়। আর যদি কোন লোক তার রোযা থাকাবস্থায় রক্তক্ষরণ করায় সেক্ষেত্রে আমি মনে করি না এতে করে তার রোযা বাতিল হয়।
আবু ঈসা বলেন, বাগদাদে থাকা অবস্থায় ইমাম শাফিঈর মত ছিল এটাই। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি মিসরে যাওয়ার পর রক্তক্ষরণের অনুমতির পক্ষপাতী ছিলেন এবং কোনরকম সমস্যা আছে বলে মনে করেননি রোযা থাকাবস্থায় রক্তমোক্ষণ করানোতে। তার এই মতের সমর্থনে তিনি দলীল হিসাবে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা ও ইহরাম অবস্থায় বিদায় হজ্জে রক্তক্ষরণ করিয়েছেন।
باب كَرَاهِيَةِ الْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ النَّيْسَابُورِيُّ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَيَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَارِظٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَسَعْدٍ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ وَثَوْبَانَ وَأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَعَائِشَةَ وَمَعْقِلِ بْنِ سِنَانٍ وَيُقَالُ ابْنُ يَسَارٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي مُوسَى وَبِلاَلٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَذُكِرَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ أَنَّهُ قَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ . وَذُكِرَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ ثَوْبَانَ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ لأَنَّ يَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ رَوَى عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا حَدِيثَ ثَوْبَانَ وَحَدِيثَ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ . وَقَدْ كَرِهَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الْحِجَامَةَ لِلصَّائِمِ حَتَّى أَنَّ بَعْضَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ بِاللَّيْلِ مِنْهُمْ أَبُو مُوسَى الأَشْعَرِيُّ وَابْنُ عُمَرَ وَبِهَذَا يَقُولُ ابْنُ الْمُبَارَكِ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ إِسْحَاقَ بْنَ مَنْصُورٍ يَقُولُ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ مَنِ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ . قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ وَهَكَذَا قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ . وَقَالَ أَبُو عِيسَى وَأَخْبَرَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ قَالَ قَالَ الشَّافِعِيُّ قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ " . وَلاَ أَعْلَمُ وَاحِدًا مِنْ هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ ثَابِتًا وَلَوْ تَوَقَّى رَجُلٌ الْحِجَامَةَ وَهُوَ صَائِمٌ كَانَ أَحَبَّ إِلَىَّ وَلَوِ احْتَجَمَ صَائِمٌ لَمْ أَرَ ذَلِكَ أَنْ يُفْطِرَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا كَانَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ بِبَغْدَادَ وَأَمَّا بِمِصْرَ فَمَالَ إِلَى الرُّخْصَةِ وَلَمْ يَرَ بِالْحِجَامَةِ لِلصَّائِمِ بَأْسًا وَاحْتَجَّ بِأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهُوَ مُحْرِمٌ صَائِمٌ .
Rafi bin Khadi narrated that:
The Prophet said: "The cupper and the one cupped have broke the fast."