পরিচ্ছেদঃ ৩১. সাদকা দানকারীর পুনরায় দানকৃত বস্তুর উত্তরাধিকারী হওয়া
৬৬৭। আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে আমি বসা ছিলাম। এমন সময় তার নিকট এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার মাকে একটি দাসী দান করেছিলাম। তিনি মারা গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি সাওয়াবের অধিকারী হয়ে গেছ এবং উত্তরাধিকার স্বত্ত্ব দাসীটি তোমাকে ফেরত দিয়েছে। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এক মাসের রোযা আদায় করা তার বাকী আছে, তার পক্ষ হতে আমি কি রোযা আদায় করতে পারি? তিনি বললেনঃ তার পক্ষে তুমি রোযা আদায় কর। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! কখনও তিনি হাজ্জ করেননি। তার পক্ষ হতে আমি কি হাজ আদায় করতে পারি? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তার জন্য তুমি হাজ্জ আদায় কর।
— সহীহ, ইবনু মা-জাহ (১৭৫৯, ২৩৯৪), মুসলিম
আবু ঈসা এ হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। উপরোক্ত সূত্র ব্যতীত এটি বুরাইদার হাদীস হিসাবে জানা যায়নি। হাদীস বিশারদদের মতে আবদুল্লাহ ইবনু আতা সিকাহ (নির্ভরযোগ্য) বর্ণনাকারী। এ হাদীস অনুযায়ী বেশির ভাগ আলিম আমল করার মত ব্যক্ত করেছেন। কোন লোক কিছু সাদকা করল এবং পরে আবার সে তার উত্তরাধিকারী হল, এক্ষেত্রে তার জন্য ঐ সম্পদ বৈধ। অপর একদল মনীষী বলেনঃ সাদকা বা দান-খায়রাত এমন একটি জিনিস যা শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য খরচ করা হয়। এরকম সম্পদ ওয়ারিস সূত্রে প্রাপ্ত হলে উচিত হচ্ছে ঐ জিনিস পুনরায় সে পথে খরচ করে দেয়া। সুফিয়ান সাওরী ও যুহাইর ইবনু মুআবিয়া-আবদুল্লাহ ইবনু আতার সূত্রে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَصَدِّقِ يَرِثُ صَدَقَتَهُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ تَصَدَّقْتُ عَلَى أُمِّي بِجَارِيَةٍ وَإِنَّهَا مَاتَتْ . قَالَ " وَجَبَ أَجْرُكِ وَرَدَّهَا عَلَيْكِ الْمِيرَاثُ " . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا كَانَ عَلَيْهَا صَوْمُ شَهْرٍ أَفَأَصُومُ عَنْهَا قَالَ " صُومِي عَنْهَا " . قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا لَمْ تَحُجَّ قَطُّ أَفَأَحُجُّ عَنْهَا قَالَ " نَعَمْ حُجِّي عَنْهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَلاَ يُعْرَفُ هَذَا مِنْ حَدِيثِ بُرَيْدَةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَطَاءٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ ثُمَّ وَرِثَهَا حَلَّتْ لَهُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّمَا الصَّدَقَةُ شَيْءٌ جَعَلَهَا لِلَّهِ فَإِذَا وَرِثَهَا فَيَجِبُ أَنْ يَصْرِفَهَا فِي مِثْلِهِ . وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَزُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَطَاءٍ .
Abdullah bin Buraidah narrated from his father:
"I was sitting with the Prophet when a woman came to him and said: 'O Messenger of Allah! I gave a slave girl to my mother in charity and she died.' He said: 'Your reward is already established, and your right to inherit her has returned it (that Sadaqah) to you.' She said: 'O Messenger of Allah! There was a month of fasting due on her, shall I perform the fast for her?' He said: 'Fast on her behalf.' She said: 'O Messenger of Allah! She never performed Hajj, shall I perform Hajj for her?' He said: 'Yes, perform Hajj on her behalf.'"