পরিচ্ছেদঃ ৬৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নামায কেমন ছিল?

৫৯৮। আসিম ইবনু যামরা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমরা আলী (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের বেলার নামায প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, তোমরা সে রকম নামায আদায় করতে সক্ষম হবে না। আমরা বললাম, আমাদের মধ্যে কে সে রকম আদায় করতে সক্ষম হবে? তিনি বললেন, যখন সূর্য এদিকে (পূর্বকাশে) এরূপ হতো যেমন আসরের সময় হয়ে থাকে, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকাআত (সালাতুল ইশরাক) নামায আদায় করতেন। আবার যখন সূর্য এদিকে (পূর্বকাশে) এরূপ হতো, যেমন যুহরের ওয়াক্তের সময় (পশ্চিমাকাশে) হয় তখন তিনি চার রাকাআত (সালাতুদ যুহা) নামায আদায় করতেন।

তিনি যুহরের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দুই রাকাআত এবং আসরের পূর্বে চার রাকাআত নামায আদায় করতেন। তিনি নৈকট্য লাভকারী ফেরেশতা, নবী-রাসূল এবং তাদের অনুসারী মু’মিন মুসলিমদের প্রতি সালাম পাঠানোর মাধ্যমে প্রতি দুই রাকাআতের মাঝখানে অন্তরাল সৃষ্টি করতেন। (অর্থাৎ দুই দুই রাকাআত করে আদায় করতেন)। —হাসান। ইবনু মাজাহ- ১১৬১)।

باب كَيْفَ كَانَ تَطَوُّعُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالنَّهَارِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، قَالَ سَأَلْنَا عَلِيًّا عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ النَّهَارِ فَقَالَ إِنَّكُمْ لاَ تُطِيقُونَ ذَاكَ ‏.‏ فَقُلْنَا مَنْ أَطَاقَ ذَاكَ مِنَّا ‏.‏ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا كَهَيْئَتِهَا مِنْ هَا هُنَا عِنْدَ الْعَصْرِ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَإِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ مِنْ هَا هُنَا كَهَيْئَتِهَا مِنْ هَا هُنَا عِنْدَ الظُّهْرِ صَلَّى أَرْبَعًا وَصَلَّى أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَبَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ وَقَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا يَفْصِلُ بَيْنَ كُلِّ رَكْعَتَيْنِ بِالتَّسْلِيمِ عَلَى الْمَلاَئِكَةِ الْمُقَرَّبِينَ وَالنَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ وَمَنْ تَبِعَهُمْ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا وهب بن جرير، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، عن عاصم بن ضمرة، قال سالنا عليا عن صلاة، رسول الله صلى الله عليه وسلم من النهار فقال انكم لا تطيقون ذاك ‏.‏ فقلنا من اطاق ذاك منا ‏.‏ فقال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت الشمس من ها هنا كهيىتها من ها هنا عند العصر صلى ركعتين واذا كانت الشمس من ها هنا كهيىتها من ها هنا عند الظهر صلى اربعا وصلى اربعا قبل الظهر وبعدها ركعتين وقبل العصر اربعا يفصل بين كل ركعتين بالتسليم على الملاىكة المقربين والنبيين والمرسلين ومن تبعهم من المومنين والمسلمين ‏.‏


Asim bin Damrah said:
"We asked Ali about the prayer of the Messenger of Allah during the day. He said: 'You will not be able to do that.' We said: 'Whoever among is able (he will)?' So he said: 'When the sun appeared over there (east) like it appears here (west) at Asr, the Messenger of Allah would pray two Rak'ah, and when the sun appeared over there (east) like it appears here (west) at Zuhr, he would pray four Rak'ah. And he would pray four before Zuhr and two after it, and four before Asr separating between every two Rak'ah with At-Taslim upon the angels that are close (to Allah) and those who follow them among the believers, and the Muslims."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪/ কিতাবুল জুমু’আ (জুমু’আর নামায) (كتاب الجمعة عن رسول الله ﷺ) 4. The Book on the Day of Friday

পরিচ্ছেদঃ ৬৭. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের নামায কেমন ছিল?

৫৯৯। অপর একটি সূত্রেও আসিম (রাঃ) হতে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।

এটি হাসান হাদীস। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিনের বেলার নফল নামায সম্পর্কে এ হাদীসটি সর্বাধিক সহীহ। ইবনুল মুবারাক এ হাদীসটিকে যঈফ বলতেন। আমার মতে তার এ হাদীসটিকে যঈফ বলার কারণ এই যে, আল্লাহ তা’আলাই বেশি ভাল জানেন, কেবল উল্লেখিত সূত্রেই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু হাদীস বিশারদদের মতে আসিম ইবনু যামরা নির্ভরযোগ্য রাবী। সুফিয়ান সাওরী বলেন, আমাদের কাছে হারিসের হাদীসের তুলনায় আসিমের হাদীস বেশি উত্তম।

باب كَيْفَ كَانَ تَطَوُّعُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالنَّهَارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي تَطَوُّعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي النَّهَارِ هَذَا ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ كَانَ يُضَعِّفُ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ وَإِنَّمَا ضَعَّفَهُ عِنْدَنَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ لأَنَّهُ لاَ يُرْوَى مِثْلُ هَذَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ وَعَاصِمُ بْنُ ضَمْرَةَ هُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ قَالَ سُفْيَانُ كُنَّا نَعْرِفُ فَضْلَ حَدِيثِ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَلَى حَدِيثِ الْحَارِثِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقال اسحاق بن ابراهيم احسن شيء روي في تطوع النبي صلى الله عليه وسلم في النهار هذا ‏.‏ وروي عن عبد الله بن المبارك انه كان يضعف هذا الحديث ‏.‏ وانما ضعفه عندنا والله اعلم لانه لا يروى مثل هذا عن النبي صلى الله عليه وسلم الا من هذا الوجه عن عاصم بن ضمرة عن علي ‏.‏ وعاصم بن ضمرة هو ثقة عند بعض اهل العلم ‏.‏ قال علي بن المديني قال يحيى بن سعيد القطان قال سفيان كنا نعرف فضل حديث عاصم بن ضمرة على حديث الحارث ‏.‏


(Another chain) from Ali :
from the Prophet similarly


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪/ কিতাবুল জুমু’আ (জুমু’আর নামায) (كتاب الجمعة عن رسول الله ﷺ) 4. The Book on the Day of Friday
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে