পরিচ্ছেদঃ ৫২. যে ব্যক্তি সূরা নাজমে সিজদা করে না
৫৭৬। যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সূরা নাজম পাঠ করে শুনালাম, কিন্তু তিনি সিজদা করেননি। —সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১২৬৬), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ যাইদ ইবনু সাবিতের হাদীসটি হাসান সহীহ। কিছু আলিম উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, যেহেতু যাইদ ইবনু সাবিত (রাঃ) সিজদা করেননি তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সিজদা করেননি। তাদের মতে তিলাওয়াতকারী সিজদা না করলে শ্রোতার উপর সিজদা ওয়াজিব হয় না। কতকে বলেন, শ্রবণকারীর উপরও সিজদা করা ওয়াজিব, এটা ছেড়ে দেয়ার কোন অনুমতি নেই। যদি ওযুহীন অবস্থায় শুনে তবে ওযু করার পর সিজদা করবে। সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসীগণ একথা বলেছেন। ইসহাকও একই রকম মত দিয়েছেন। অপর একদল বিদ্বান বলেছেন, যে ব্যক্তি সিজদা করতে চায় এবং তার ফাযীলাত (সাওয়াব) লাভের ইচ্ছে করে শুধুমাত্র সেই সিজদা করবে। সিজদা ছেড়ে দেয়ারও অনুমতি আছে। অর্থাৎ সে ইচ্ছা করলে সিজদা নাও করতে পারে। তারা উপরে উল্লেখিত যাইদ (রাঃ)-এর মারফু হাদীসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তারা বলেন, যদি সিজদা করা ওয়াজিব হতো তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাইদ (রাঃ)-কে সিজদা করতে বাধ্য করতেন এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেও সিজদা করতেন।
তারা উমার (রাঃ)-এর হাদীসও নিজেদের দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
“তিনি মিম্বারের উপর (জুমুআর খুতবায়) সিজদার আয়াত পাঠ করলেন, তারপর মিম্বার থেকে নেমে সিজদা করলেন। উল্লেখিত সিজদার আয়াতটি তিনি (উমার) পরবর্তী জুমুআর দিনও (খুতবার মধ্যে) পাঠ করলেন। লোকেরা সিজদা দেওয়ার প্রস্তুতি নিল। তিনি বললেন, সিজদা করা আমাদের জন্য আবশ্যক নয়, হ্যাঁ, যে চায় (সে করতে পারে)। উমার (রাঃ)-ও সিজদা করলেন না এবং লোকেরাও সিজদা করলো না।" (বুখারীতেও এ হাদীস উল্লেখিত হয়েছে)। একদল আলিম এই মত অবলম্বন করেছেন। ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদও এ মত সমর্থন করেছেন।
باب مَا جَاءَ مَنْ لَمْ يَسْجُدْ فِيهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَتَأَوَّلَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ إِنَّمَا تَرَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم السُّجُودَ لأَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ حِينَ قَرَأَ فَلَمْ يَسْجُدْ لَمْ يَسْجُدِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . وَقَالُوا السَّجْدَةُ وَاجِبَةٌ عَلَى مَنْ سَمِعَهَا فَلَمْ يُرَخِّصُوا فِي تَرْكِهَا . وَقَالُوا إِنْ سَمِعَ الرَّجُلُ وَهُوَ عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ فَإِذَا تَوَضَّأَ سَجَدَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِنَّمَا السَّجْدَةُ عَلَى مَنْ أَرَادَ أَنْ يَسْجُدَ فِيهَا وَالْتَمَسَ فَضْلَهَا وَرَخَّصُوا فِي تَرْكِهَا إِنْ أَرَادَ ذَلِكَ . وَاحْتَجُّوا بِالْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَيْثُ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم النَّجْمَ فَلَمْ يَسْجُدْ فِيهَا . فَقَالُوا لَوْ كَانَتِ السَّجْدَةُ وَاجِبَةً لَمْ يَتْرُكِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَيْدًا حَتَّى كَانَ يَسْجُدُ وَيَسْجُدُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ عُمَرَ أَنَّهُ قَرَأَ سَجْدَةً عَلَى الْمِنْبَرِ فَنَزَلَ فَسَجَدَ ثُمَّ قَرَأَهَا فِي الْجُمُعَةِ الثَّانِيَةِ فَتَهَيَّأَ النَّاسُ لِلسُّجُودِ فَقَالَ إِنَّهَا لَمْ تُكْتَبْ عَلَيْنَا إِلاَّ أَنْ نَشَاءَ . فَلَمْ يَسْجُدْ وَلَمْ يَسْجُدُوا . فَذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ .
Zaid bin Thabit narrated:
"I recited Surat An-Najm to the Messenger of Allah, and he did not prostrate for it."