পরিচ্ছেদঃ ২৮. জুমু'আর দিনে সফর করা
৫২৭। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রাঃ)-কে একটি সৈন্য বাহিনীর সাথে পাঠালেন। ঘটনাক্রমে তা ছিল জুমুআর দিন। তার সঙ্গীরা সকাল বেলা রাওয়ানা হয়ে গেলেন। তিনি বললেন, আমি পিছনে থেকে যেতে চাই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে নামায আদায় করব, তারপর তাদের সাথে মিলিত হব। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে নামায আদায় করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে ফেললেন। তিনি তাকে বললেন সকাল বেলা তোমার সঙ্গীদের সাথে একত্রে যেতে কোন জিনিস তোমাকে বাধা দিল? তিনি বললেন, আমি আপনার সাথে নামায আদায় করার ইচ্ছা করেছি, তারপর তাদের সাথে গিয়ে মিলিত হব। তিনি বললেনঃ দুনিয়ার সমস্ত কিছু ব্যয় করলেও তুমি সকাল বেলায় চলে যাওয়া দলের সমান ফাযীলাত ও মর্যাদা লাভ করতে পারবে না। সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ এটা গারীব হাদীস। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র উল্লেখিত সনদেই জেনেছি। শুবা বলেছেন, হাকাম মিকসামের নিকট মাত্র পাঁচটি হাদীস শুনেছেন। শুবা হাদীসগুলো গণনা করেছেন কিন্তু তার মধ্যে উল্লেখিত হাদীসটি নেই। সম্ভবত হাকাম এ হাদীসটি মিকসামের নিকট শুনেননি।
জুম’আর দিন সফর প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতের অমিল আছে। একদল বলেছেন, যদি নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত না হয় তবে জুমুআর দিন সফরে বের হওয়ায় কোন সমস্যা নেই। অপর একদল বলেছেন, শুক্রবার সকাল হওয়ার পর জুমু’আর নামায আদায়ের আগে সফরে বের হবে না।
باب مَا جَاءَ فِي السَّفَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي سَرِيَّةٍ فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَغَدَا أَصْحَابُهُ فَقَالَ أَتَخَلَّفُ فَأُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ . فَلَمَّا صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَآهُ فَقَالَ " مَا مَنَعَكَ أَنْ تَغْدُوَ مَعَ أَصْحَابِكَ " . فَقَالَ أَرَدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ مَعَكَ ثُمَّ أَلْحَقَهُمْ . قَالَ " لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الأَرْضِ جَمِيعًا مَا أَدْرَكْتَ فَضْلَ غَدْوَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعِ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ إِلاَّ خَمْسَةَ أَحَادِيثَ . وَعَدَّهَا شُعْبَةُ وَلَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ فِيمَا عَدَّ شُعْبَةُ فَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ لَمْ يَسْمَعْهُ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي السَّفَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَلَمْ يَرَ بَعْضُهُمْ بَأْسًا بِأَنْ يَخْرُجَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي السَّفَرِ مَا لَمْ تَحْضُرِ الصَّلاَةُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا أَصْبَحَ فَلاَ يَخْرُجْ حَتَّى يُصَلِّيَ الْجُمُعَةَ .
Ibn Abbas narrated:
"The Prophet sent Abdullah bin Rawahah to lead a military detachment, and that corresponded to a Friday. So his companions left early in the day, and he said: 'I will remain behind to pray with Allah's Messenger then meet up with them.' When he prayed with the Prophet, he saw him and said: 'What prevented you from leaving earlier with your companions?' He said: 'I wanted to pray with you then meet up with them.' He said: 'If you have spent [all of] what is in the earth, you would not have achieved the virtue you have had you left early in the day with them.'"