পরিচ্ছেদঃ ১২১. ইমাম যখন সশব্দে কিরা'আত পাঠ করেন তখন তার পিছনে কিরা'আত পাঠ না করা প্রসঙ্গে
৩১২। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সশব্দে কিরাআত পাঠ করা নামায শেষ করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ এখন কি আমার সাথে কিরা’আত পাঠ করেছিলো? এক ব্যক্তি বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ আমি নামাযে মনে মনে বলছিলাম, আমার কি হল, কুরআন পাঠ করতে আমি বাধাগ্রস্ত হচ্ছি কেন? রাবী বলেন, লোকেরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখে এরূপ শুনল তখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের যেহরী (সশব্দে) কিরা’আত পাঠ করা নামাযে তার পিছনে কিরা’আত পাঠ করা হতে ক্ষান্ত থাকল। —সহীহ। সিফাতুস সালাত- (৭৯), সহীহ আবু দাউদ- (৭৮১)।
এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসউদ, ইমরান ইবনু হুসাইন ও জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতেও হাদীস উল্লেখিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। ইবনু উকাইমা লাইসীর নাম ’উমারা, তাকে আমর ইবনু উকাইমাও বলা হয়ে থাকে। ইমাম যুহরীর কিছু ছাত্র এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন এবং তা নিম্নোক্ত বাক্যে উল্লেখ করেছেনঃ------- “যুহরী বলেছেন, লোকেরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এরূপ শুনল তখন হতে ইমামের পিছনে কিরা’আত পাঠ করা ছেড়ে দিল।”
যারা ইমামের পিছনে কিরা’আত পাঠ করার স্বপক্ষে, এ হাদীসের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা যায় না। কেননা যে আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে উপরোল্লিখিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তিনিই আবার তার নিকট হতে এ হাদীসও বর্ণনা করেছেনঃ “যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ রয়ে গেল।” এ হাদীসের একজন বাহক তাকে (আবু হুরাইরাকে) বললেন, আমি কখনও ইমামের সাথে নামায আদায় করে থাকি। তিনি বললেন, নিজের মনে মনে তা পাঠ করে নাও। (হাদীসের বাহক বলতে আবু হুরাইরার কোন ছাত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে)। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৮৩৮), মুসলিম।
আবু উসমান আন্নাহদী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে এও বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এই আহবান জানাতে আদেশ দিলেন- “সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে নামায হয় না।”
হাদীস বিশারদগণ এই বিধান পছন্দ করেছেনঃ ইমাম যখন সশব্দে কিরাআত (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে, মুক্তাদীগণ তখন ফাতিহা পাঠ করবে না। বরং ইমাম যখন আয়াত পাঠ করে থামবে, সেই সুযোগে ফাঁকে ফাকে মুক্তাদীগণও ফাতিহা পাঠ করে নিবে। ইমামের পিছনে কিরাআত (সূরা ফাতিহা) পাঠ করার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। বেশিরভাগ সাহাবা, তাবিঈ ও তাদের পরবর্তীগণের মতে, মুক্তাদীগণ ইমামের পিছনে কিরাআত (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে। ইমাম মালিক, আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক একই রকম কথা বলেছেন। ইবনুল মুবারাক বলেন, আমি ইমামের পিছনে কিরাআত (ফাতিহা) পাঠ করি এবং অন্যান্য লোকও পাঠ করে থাকে, কিন্তু কুফাবাসীদের একদল পাঠ করে না। আমি যদিও ইমামের পিছনে ফাতিহা পাঠ করে থাকি, তবুও যারা পাঠ করে না তাদের নামাযও আমি জায়িয মনে করি।
বিশেষভাবে একদল বিশেষজ্ঞ আলিম এ ব্যাপারে আপোষহীনতা মত অবলম্বন করেছেন। তারা বলেছেন, কোন ব্যক্তি হয় একাকী না হয় জামাআতে নামায আদায় করুক না কেন, সে যদি সূরা ফাতিহা পাঠ না করে তবে তার নামাযই হবে না। তারা উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে এ মত দিয়েছেন।
উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পরও ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের উপর আমল করেছেনঃ “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি।" ইমাম শাফিঈ, ইসহাক এবং অন্যান্যরাও এমন কথা বলেছেন।
আহমাদ ইবনু হাম্বল বলেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ বাণী একাকি নামায আদায়কারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ সে যদি একাকি নামায আদায় করে এবং সূরা ফাতিহা পাঠ না করে তবে তার নামায হবে না। তিনি তার এ দাবির সমর্থনে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস পেশ করেছেন। জাবির (রাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি নামায আদায় করল এবং তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, সে যেন নামাযই আদায় করল না, অবশ্য ইমামের পিছনে হলে অন্য কথা।”
ইমাম আহমাদ বলেন, জাবির (রাঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী। তিনি তার হাদীস “যে সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তার নামায হয়নি" -এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, এ হুকুম একাকী নামায পাঠকারীর বেলায় প্রযোজ্য। এতদসত্ত্বেও ইমাম আহমাদ (রহঃ) ইমামের পেছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করার নীতি অনুসরণ করেছেন এবং (বলেছেন) লোকেরা যেন ইমামের সাথে নামায আদায় করলেও সূরা ফাতিহা পাঠ করা ছেড়ে না দেয়।
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الإِمَامِ إِذَا جَهَرَ الإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ مِنْ صَلاَةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ فَقَالَ " هَلْ قَرَأَ مَعِي أَحَدٌ مِنْكُمْ آنِفًا " . فَقَالَ رَجُلٌ نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِنِّي أَقُولُ مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ " . قَالَ فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا جَهَرَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الصَّلَوَاتِ بِالْقِرَاءَةِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَابْنُ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيُّ اسْمُهُ عُمَارَةُ . وَيُقَالُ عَمْرُو بْنُ أُكَيْمَةَ . وَرَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ وَذَكَرُوا هَذَا الْحَرْفَ قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا يَدْخُلُ عَلَى مَنْ رَأَى الْقِرَاءَةَ خَلْفَ الإِمَامِ لأَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ هُوَ الَّذِي رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ وَرَوَى أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ " . فَقَالَ لَهُ حَامِلُ الْحَدِيثِ إِنِّي أَكُونُ أَحْيَانًا وَرَاءَ الإِمَامِ قَالَ اقْرَأْ بِهَا فِي نَفْسِكَ . وَرَوَى أَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَمَرَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ أُنَادِيَ أَنْ لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ . وَاخْتَارَ أَكْثَرُ أَصْحَابِ الْحَدِيثِ أَنْ لاَ يَقْرَأَ الرَّجُلُ إِذَا جَهَرَ الإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ وَقَالُوا يَتَتَبَّعُ سَكَتَاتِ الإِمَامِ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الإِمَامِ فَرَأَى أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمُ الْقِرَاءَةَ خَلْفَ الإِمَامِ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ أَنَا أَقْرَأُ خَلْفَ الإِمَامِ وَالنَّاسُ يَقْرَءُونَ إِلاَّ قَوْمًا مِنَ الْكُوفِيِّينَ وَأَرَى أَنَّ مَنْ لَمْ يَقْرَأْ صَلاَتُهُ جَائِزَةٌ . وَشَدَّدَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي تَرْكِ قِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَإِنْ كَانَ خَلْفَ الإِمَامِ فَقَالُوا لاَ تُجْزِئُ صَلاَةٌ إِلاَّ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَحْدَهُ كَانَ أَوْ خَلْفَ الإِمَامِ . وَذَهَبُوا إِلَى مَا رَوَى عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَقَرَأَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَلْفَ الإِمَامِ وَتَأَوَّلَ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَلاَةَ إِلاَّ بِقِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ " . وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَإِسْحَاقُ وَغَيْرُهُمَا . وَأَمَّا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فَقَالَ مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ " . إِذَا كَانَ وَحْدَهُ . وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ حَيْثُ قَالَ مَنْ صَلَّى رَكْعَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَلَمْ يُصَلِّ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ وَرَاءَ الإِمَامِ . قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ فَهَذَا رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَأَوَّلَ قَوْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ " . أَنَّ هَذَا إِذَا كَانَ وَحْدَهُ . وَاخْتَارَ أَحْمَدُ مَعَ هَذَا الْقِرَاءَةَ خَلْفَ الإِمَامِ وَأَنْ لاَ يَتْرُكَ الرَّجُلُ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَإِنْ كَانَ خَلْفَ الإِمَامِ .
Abu Hurairah narrated:
"Allah's Messenger turned (after praying) from a Salat in which he recited aloud and said: 'Has any one of you recite along with me just now?' A man said: 'Yes, O Messenger of Allah.' He said: 'Indeed I said to myself: Why was I being contended with for the Quran?'" He (Az-Zuhri one of the narrators) said: "So when they heard that from Allah's Messenger, the people stopped reciting with Allah's Messenger in the prayers that Allah's Messenger recited aloud."
পরিচ্ছেদঃ ১২১. ইমাম যখন সশব্দে কিরা'আত পাঠ করেন তখন তার পিছনে কিরা'আত পাঠ না করা প্রসঙ্গে
৩১৩। আবু নু’আইম ওয়াহব ইবনু কাইসান (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি নামায আদায় করল অথচ তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, সে নামাযই আদায় করেনি। হ্যাঁ ইমামের পিছনে হলে ভিন্ন কথা (সেক্ষেত্রে ফাতিহা পাঠের দরকার নাই)। —সহীহ। মাওকুফ ইরওয়া— (২/২৩৭)।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الْقِرَاءَةِ خَلْفَ الإِمَامِ إِذَا جَهَرَ الإِمَامُ بِالْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ مَنْ صَلَّى رَكْعَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَلَمْ يُصَلِّ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ وَرَاءَ الإِمَامِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abu Nu'aim Wahb bin Kaisan narated that he heard Jabir bin 'Abdullah saying:
"Whoever prayed a Rak'ah in which he did not recite Umm Al-Qur'an, then he did not pray except if he was behind an Imam."
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.