পরিচ্ছেদঃ ৭২. হাতের আঙ্গুলে গুনে গুনে তাসবীহ পাঠ করা
৩৪৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি তার স্বীয় হস্তে গুণে গুণে তাসবীহ পাঠ করতে দেখেছি।
সহীহঃ এটি ৩৪১১ নং হাদীসের পুনরুক্তি।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং এই সনদে-আতা ইবনুস সায়িব হতে আ’মাশের বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব। এ হাদীস শুবাহ ও সুফইয়ান সাওরী আতা ইবনুস সায়িবের সনদে আরো দীর্ঘাকারে রিওয়ায়াত করেছেন। এ অনুচ্ছেদে ইউসাইরা বিনতু ইয়াসির (রাযিঃ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে মহিলা সম্প্রদায়! তোমরা আঙ্গুলে গুনে গুণে তাসবীহ পাঠ কর। কেননা ওগুলো জিজ্ঞাসিত হবে এবং তারা সাক্ষ্য দিবে।
باب مَا جَاءَ فِي عَقْدِ التَّسْبِيحِ بِالْيَدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُ التَّسْبِيحَ . وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الأَعْمَشِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . وَرَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ بِطُولِهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ يُسَيْرَةَ بِنْتِ يَاسِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ اعْقِدْنَ بِالأَنَامِلِ فَإِنَّهُنَّ مَسْئُولاَتٌ مُسْتَنْطَقَاتٌ " .
Abdullah bin Amr narrated:
“I saw the Prophet counting the Tasbih on his hand.”
পরিচ্ছেদঃ ৭২. হাতের আঙ্গুলে গুনে গুনে তাসবীহ পাঠ করা
৩৪৮৭। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রোগাক্রান্ত লোকের খোজ-খবর নিতে গিয়ে দেখেন যে, সে রোগে জর্জরিত হয়ে একেবারে চড়ুই পাখির বাচ্চার ন্যায় ক্ষীণ হয়ে গেছে। তিনি তাকে বললেনঃ রোগমুক্তির জন্য তুমি কি আল্লাহ তা’আলার নিকট দুআ করনি, তুমি কি তোমার প্রভুর কাছে শান্তি ও সুস্থতা কামনা করনি? সে বলল, আমি বলেছিলাম, “হে আল্লাহ! আমাকে তুমি আখিরাতে যে শাস্তি দিবে তা এ দুনিয়াতে আগেভাগেই দিয়ে দাও।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! তা সহ্য করার মত শক্তি-সামর্থ্য তোমার কোনটাই নেই। তুমি এভাবে কি বলতে পারলে নাঃ “হে আল্লাহ! দুনিয়াতেও আমাদেরকে মঙ্গল দান কর, আখিরাতেও মঙ্গল দান কর এবং জাহান্নামের অগ্নি হতে আমাদেরকে হিফাযাত কর?”
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (হাঃ ১৩২৯), মুসলিম, বুখারী শুধুমাত্র দু’আর অংশ বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, উপর্যুক্ত সনদে হাদীসটি হাসান, সহীহ গারীব। আনাস (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي عَقْدِ التَّسْبِيحِ بِالْيَدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَادَ رَجُلاً قَدْ جُهِدَ حَتَّى صَارَ مِثْلَ الْفَرْخِ فَقَالَ لَهُ " أَمَا كُنْتَ تَدْعُو أَمَا كُنْتَ تَسْأَلُ رَبَّكَ الْعَافِيَةَ " . قَالَ كُنْتُ أَقُولُ اللَّهُمَّ مَا كُنْتَ مُعَاقِبِي بِهِ فِي الآخِرَةِ فَعَجِّلْهُ لِي فِي الدُّنْيَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّكَ لاَ تُطِيقُهُ - أَوْ لاَ تَسْتَطِيعُهُ أَفَلاَ كُنْتَ تَقُولُ اللَّهُمَّ آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Anas bin Malik narrated that:
The Prophet (ﷺ) visited a man who was so emaciated that he had become like a baby bird. He (ﷺ) said to him: “And did you not used to supplicate? Did you not used to ask Your Lord for sound health?” He said: “I used to say: “O Allah, whatever You are going to punish me with in the Hereafter, then hasten it for me in this world.” So the Prophet (ﷺ) said: “Glory is to Allah, you are not capable of that” – or – “you are not able to stand that. Would you not say: ‘O Allah, give us good in this world, and good in the Hereafter, and spare us the punishment of the Fire (Allāhumma ātinā fid-dunyā ḥasanatan wa fil ākhirati ḥasanatan wa qinā `adhāban-nār).’”
পরিচ্ছেদঃ ৭২. হাতের আঙ্গুলে গুনে গুনে তাসবীহ পাঠ করা
৩৪৮৮। “রাববানা আ-তিনা ফিদদুনইয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাহ" এই আয়াতের ব্যাখ্যায় হাসান (রহঃ) বলেনঃ দুনিয়ার কল্যাণ হল জ্ঞান ও ইবাদাত, আখিরাতের কল্যাণ হল জান্নাত।
হাসান লিগাইরিহীঃ তাফসীর ত্বাবারী (৪/২০৫)।
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না খালিদ ইবনুল হারিস হতে, তিনি হুমাইদ হতে, তিনি সাবিত হতে, তিনি আনাস (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে উপরিউক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي عَقْدِ التَّسْبِيحِ بِالْيَدِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ، فِي قَوْلِهِ : ( ربَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً ) قَالَ فِي الدُّنْيَا الْعِلْمَ وَالْعِبَادَةَ وَفِي الآخِرَةِ الْجَنَّةَ .
Hisham bin Hassan narrated from Al-Hasan :
concerning the saying of Allah: O our Lord, give us good in this world, and good in the Hereafter. He said: “Knowledge and worship in this world, and Paradise in the Hereafter.”