পরিচ্ছেদঃ ৭২. সূরা আল-কিয়ামাহ

৩৩২৯। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর কুরআন অবতীর্ণ হত তখন তিনি তা মুখস্থ করে নেয়ার জন্য (ফেরেশতার সঙ্গে সঙ্গে) জিহবা নাড়াতেন। এ অবস্থায় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “তাড়াতাড়ি ওয়াহী মুখস্থ করার জন্য তুমি তোমার জিহবা সঞ্চালন করো না....."— (সূরা কিয়ামাহু ১৬-২১)। অধঃস্তন বর্ণনাকারী মূসা তার ঠোঁট দু’টো নেড়ে দেখাতেন।

সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।

সুফইয়ানও তার ঠোঁট দু’টো নাড়তেন।

আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান বলেছেন, সুফইয়ান আস-সাওরী (রহঃ) মূসা ইবনু আবী আয়িশাহর খুব সুনাম করতেন।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ يُحَرِّكُ بِهِ لِسَانَهُ يُرِيدُ أَنْ يَحْفَظَهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ لا تُحَرِّكْ بِهِ لِسَانَكَ لِتَعْجَلَ بِهِ ‏)‏ قَالَ فَكَانَ يُحَرِّكُ بِهِ شَفَتَيْهِ وَحَرَّكَ سُفْيَانُ شَفَتَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَثْنَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَلَى مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ خَيْرًا ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن موسى بن ابي عاىشة، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا انزل عليه القران يحرك به لسانه يريد ان يحفظه فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ لا تحرك به لسانك لتعجل به ‏)‏ قال فكان يحرك به شفتيه وحرك سفيان شفتيه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ قال علي قال يحيى بن سعيد اثنى سفيان الثوري على موسى بن ابي عاىشة خيرا ‏.‏


Ibn Abbas said:
“When the Quran was being revealed to the Messenger of Allah, he would move his tongue in attempt to memorize it. So Allah, Blessed is He and Most High, revealed: Move not your tongue concerning it to make haste therewith.” He said: “So he would move his two lips.” And Sufyan (a sub-narrator) would move his two lips.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ৭২. সূরা আল-কিয়ামাহ

৩৩৩০। সুওয়াইর (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি ইবনু উমার (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একজন সাধারণ মর্যাদাসম্পন্ন জান্নাতীর উদ্যানসমূহ, বিবিগণ, চাকরগণ এবং খাট-পালংকসমূহ কেউ দেখতে চাইলে তা তার জন্য হাজার বছরের রাস্তা। তাদের মধ্যে আল্লাহ তা’আলার নিকট সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তার চেহারা দেখতে সৌভাগ্য লাভ করবেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পাঠ করেনঃ “কিছু মুখমণ্ডল সেদিন উজ্জ্বল হবে এবং তারা তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে" (সূরাঃ আল-কিয়ামাহ- ২২-২৩)।

যঈফ, যঈফা (১৯৮৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। একাধিক বর্ণনাকারী ইসরাঈলের সূত্রে হাদীসটি একইভাবে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আবদুল মালিক ইবনু আবজার (রাহঃ) সুওয়াইর হতে তিনি (মুজাহিদ) ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে এটিকে তার কথা হিসেবে (মাওকুফ হিসেবে) বর্ণনা করেছেন, মারফু হিসেবে নয়। আল-আশজাঈ (রাহঃ) সুফিয়ান হতে তিনি সুওয়াইর হতে তিনি মুজাহিদ হতে তিনি ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে তার কথারূপে বর্ণনা করেছেন এবং মারফুরূপে বর্ণনা করেননি। আবূ ঈসা বলেন, আমাদের জানামতে এ হাদীসের সনদে সুফিয়ান ব্যতীত অন্য কেউ মুজাহিদের উল্লেখ করেননি। সুওয়াইর-এর ডাক নাম আবূ জাহম। আবূ ফাখি তার নাম সাঈদ ইবনু ইলাকা।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي شَبَابَةُ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً لَمَنْ يَنْظُرُ إِلَى جِنَانِهِ وَأَزْوَاجِهِ وَخَدَمِهِ وَسُرُرِهِ مَسِيرَةَ أَلْفِ سَنَةٍ وَأَكْرَمَهُمْ عَلَى اللَّهِ مَنْ يَنْظُرُ إِلَى وَجْهِهِ غُدْوَةً وَعَشِيَّةً ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏(‏وجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَاضِرَةٌ * إِلَى رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ قَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ مِثْلَ هَذَا مَرْفُوعًا ‏.‏ وَرَوَى عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبْجَرَ عَنْ ثُوَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَوْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

وَرَوَى الأَشْجَعِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ ثُوَيْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَوْلَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا ذَكَرَ فِيهِ عَنْ مُجَاهِدٍ غَيْرَ الثَّوْرِيِّ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ عَنْ سُفْيَانَ ‏.‏ ثُوَيْرٌ يُكْنَى أَبَا جَهْمٍ وَأَبُو فَاخِتَةَ اسْمُهُ سَعِيدُ بْنُ عِلاَقَةَ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرني شبابة، عن اسراىيل، عن ثوير، قال سمعت ابن عمر، يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان ادنى اهل الجنة منزلة لمن ينظر الى جنانه وازواجه وخدمه وسرره مسيرة الف سنة واكرمهم على الله من ينظر الى وجهه غدوة وعشية ‏"‏ ‏.‏ ثم قرا رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏(‏وجوه يومىذ ناضرة * الى ربها ناظرة ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب قد رواه غير واحد عن اسراىيل مثل هذا مرفوعا ‏.‏ وروى عبد الملك بن ابجر عن ثوير عن ابن عمر قوله ولم يرفعه ‏.‏ وروى الاشجعي، عن سفيان، عن ثوير، عن مجاهد، عن ابن عمر، قوله ولم يرفعه ولا نعلم احدا ذكر فيه عن مجاهد غير الثوري ‏.‏ حدثنا بذلك ابو كريب حدثنا عبيد الله الاشجعي عن سفيان ‏.‏ ثوير يكنى ابا جهم وابو فاختة اسمه سعيد بن علاقة ‏.‏


Thuwair narrated:
“I heard Ibn Umar say: ‘The Messenger of Allah said, “Indeed the least of the people of Paradise in rank, is the one who shall look at his gardens, his wives, his servants, and his beds from the distance of a thousand years, and the noblest of them with Allah is the one who shall look at His Face morning and night.” Then the Messenger of Allah recited: Some faces on that day shall be radiant. They shall be looked at their Lord.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে