পরিচ্ছেদঃ ৬৮. সূরা আল-হাককা
৩৩২০। আল-আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি একদল লোকের সাথে আল-বাতহা নামক কংকরময় জায়গায় বসা ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মধ্যে বসা ছিলেন। তখন তাদের মাথার উপর দিয়ে এক খণ্ড মেঘ উড়ে যাচ্ছিল। তারা সে দিকে তাকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এর নাম জান কি? তারা বললঃ হ্যাঁ, এক খণ্ড মেঘ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল-মুযনু।
সাহাবাগণ বললেন, আল-মুযনু? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যা, আনান (মেঘ)-ও। তারা বলল আল-আনান। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তোমরা কি জান, আকাশ ও যমিনের মাঝের ব্যবধান কত? তারা বললেনঃ আল্লাহর শপথ আমরা জানি না। তিনি বললেনঃ এতদুভয়ের মধ্যে একাত্তর বা বাহাত্তর বা তিয়াত্তর বছরের দূরত্ব। এক আকাশের উপর অপর যে আকাশ রয়েছে তার ব্যবধানও অনুরূপ। এভাবে তিনি সপ্তম আকাশ পর্যন্ত দূরত্বের বর্ণনা দেন।
তারপর তিনি বললেনঃ সপ্তম আকাশের উপর একটি সমুদ্র আছে, যার উপর ও তলদেশের মধ্যকার দূরত্ব (গভীরতা) এক আকাশ থেকে অপর আকাশের দূরত্বের সমান। আর এই সমুদ্রের উপর বন্য ছাগল অনুরূপ আটজন ফেরেশতা আছেন, যাদের পদতল ও হাটুর মধ্যবর্তী ব্যবধান এক আকাশ থেকে অপর আকাশের ব্যবধানের সমান। এদের পিঠের উপর আল্লাহর আরশ’ অবস্থিত, যার উপরিভাগ ও নিম্নভাগের মধ্যকার দূরত্ব (উচ্চতা) এক আকাশ হতে অপর আকাশের দূরত্বের সমান। আল্লাহ তার উপর (উপবিষ্ট)।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (১৯৩)
আবদ ইবনু হুমাইদ (রহঃ) বলেন, আমি ইয়াহইয়া ইবনু মাঈনকে বলতে শুনেছি, আবদুর রহমান কি হাজ্জে যাবেন না (অবশ্য যাবেন), যাতে তার নিকট আমরা এ হাদীস শুনতে পারি। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। ওয়ালীদ ইবনু আবূ সাওর (রহঃ) সিমাকের সূত্রে এ হাদীস মারফুরূপে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। শারীক এ হাদীসের অংশবিশেষ সিমাকের সূত্রে মাওকুফরুপে বর্ণনা করেছেন, মারফুরূপে নয়। রাবী আব্দুর রহমান হলেন, ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দ আল-রাবী।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمِيرَةَ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ زَعَمَ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا فِي الْبَطْحَاءِ فِي عِصَابَةٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَالِسٌ فِيهِمْ إِذْ مَرَّتْ عَلَيْهِمْ سَحَابَةٌ فَنَظَرُوا إِلَيْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تَدْرُونَ مَا اسْمُ هَذِهِ " . قَالُوا نَعَمْ هَذَا السَّحَابُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالْمُزْنُ " . قَالُوا وَالْمُزْنُ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالْعَنَانُ " . قَالُوا وَالْعَنَانُ . ثُمَّ قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تَدْرُونَ كَمْ بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " . فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ مَا نَدْرِي . قَالَ " فَإِنَّ بُعْدَ مَا بَيْنَهُمَا إِمَّا وَاحِدَةٌ وَإِمَّا اثْنَتَانِ أَوْ ثَلاَثٌ وَسَبْعُونَ سَنَةً وَالسَّمَاءُ الَّتِي فَوْقَهَا كَذَلِكَ " . حَتَّى عَدَّدَهُنَّ سَبْعَ سَمَوَاتٍ كَذَلِكَ ثُمَّ قَالَ " فَوْقَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ بَحْرٌ بَيْنَ أَعْلاَهُ وَأَسْفَلِهِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى السَّمَاءِ وَفَوْقَ ذَلِكَ ثَمَانِيَةُ أَوْعَالٍ بَيْنَ أَظْلاَفِهِنَّ وَرُكَبِهِنَّ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ ثُمَّ فَوْقَ ظُهُورِهِنَّ الْعَرْشُ بَيْنَ أَسْفَلِهِ وَأَعْلاَهُ مَا بَيْنَ سَمَاءٍ إِلَى سَمَاءٍ وَاللَّهُ فَوْقَ ذَلِكَ " . قَالَ عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ مَعِينٍ يَقُولُ أَلاَّ يُرِيدُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ أَنْ يَحُجَّ حَتَّى نَسْمَعَ مِنْهُ هَذَا الْحَدِيثَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ عَنْ سِمَاكٍ نَحْوَهُ وَرَفَعَهُ . وَرَوَى شَرِيكٌ عَنْ سِمَاكٍ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَوْقَفَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ الرَّازِيُّ .
Al-Ahnaf bin Wais narrated :
from Al-Abbas bin Abdul-Muttalib who claimed that he was sitting in Al-Batha with a group, and the Messenger of Allah was sitting amongst them, when a cloud passed over them. They looked at it, and the Messenger of Allah said: ‘Di you know what its name it?’ They said: ‘Yes. This is As-Sahab (cloud).’ The Messenger of Allah saidl: ‘Al-Muzn (rain cloud)?’ They said: ‘Yes. This is As-Sahab (cloud).’ Then the Messenger of Allah said: ‘Do you know how much distance there is between the heavens and the earth?’ They said: ‘No, by Allah we do not know.’ He said: ‘The distance between every two of them is either seventy-one, or two, or three, years, and the heaven that is above that one is like that.’ Until he enumerated Seven heavens like that. Then he said: ‘Above the seventh heaven is a sea, Between its highest part and its lowest is just as there is between one heaven to another heaven. Then above their backs is the Throne. Between its lowest and highest parts is the same as what is between one heaven to another heaven, and Allah is above that.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬৮. সূরা আল-হাককা
৩৩২১। ইয়াহইয়া ইবনু মূসা-আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রায়ী-তার পিতার সূত্রে বলেনঃ আমি বুখারায় এক ব্যক্তিকে কালো পাগড়ী পরিহিত অবস্থায় একটি খচ্চরের পিঠে বসা দেখলাম। তিনি বলছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এ পাগড়ী পরিয়ে দিয়েছেন।
সনদ দুর্বল
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ وَالِدِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ، . حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ الرَّازِيُّ، وَهُوَ الدَّشْتَكِيُّ أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَحِمَهُ اللَّهُ أَخْبَرَهُ كَذَا، قَالَ أَخْبَرَهُ قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً بِبُخَارَى عَلَى بَغْلَةٍ وَعَلَيْهِ عِمَامَةٌ سَوْدَاءُ وَيَقُولُ كَسَانِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Abdur-Rahman bin Abdullah bin Sa’d Ar-Razi [and he is Ad-Dashtaki] narrated :
that his father informed him, that his father – may Allah have mercy upon him – informed him, he said: “I saw a man in Bukhara upon a mule wearing a black Imamah, saying: ‘It was given to me by the Messenger of Allah.’”