পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৭৬। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মি’রাজের রাতে) যখন সিদরাতুল মুন্তাহায় পৌছালেন। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, সিদরাতুল মুন্তাহা হল একটি কেন্দ্র যেই পর্যন্ত পৃথিবীর যা কিছু উপরে চলে যায় এবং যেখান হতে নিচের দিকে কোন কিছু অবতরণ হয়ে আসে। এখানে আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এমন তিনটি জিনিস উপহার দেন যা তিনি ইতোপূর্বে কোন নবীকেই দেননি।
পাঁচ ওয়াক্ত নামায তার উপর ফরয করা হয়, সূরা আল বকারার শেষের কয়েকটি আয়াত তাকে দেয়া হয় এবং তাঁর উম্মাতের কাবীরাহ গুনাহসমূহ (তাওবার মাধ্যমে) ক্ষমা করা হয়, যদি তারা আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে কোন কিছু অংশীদার না করে থাকে। তারপর এ আয়াতটি ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) পাঠ করেনঃ (অনুবাদ) “যখন কুলগাছটি যা দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়ার তা দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল"- (সূরা নাজম ১৬)।
তিনি বলেন, ৬ষ্ঠ আকাশে সিদরাতুল মুন্তাহা অবস্থিত। সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, এটি সোনার পাখিসমূহ দ্বারা আচ্ছাদিত, এই বলে তিনি তাঁর হাতের ইশারায় তাদের উড়ন্ত অবস্থা বুঝালেন। মালিক ইবনু মিগওয়াল ছাড়া অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ বলেন, সিদরাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত পৌছালে সৃষ্টির জ্ঞান শেষ হয়ে যায়, এর ঊর্ধ্বজগৎ সম্পর্কে সৃষ্টির কোন জ্ঞান নেই।
সহীহঃ মুসলিম (হাঃ ১/১০৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى قَالَ " انْتَهَى إِلَيْهَا مَا يَعْرُجُ مِنَ الأَرْضِ وَمَا يَنْزِلُ مِنْ فَوْقَ . قَالَ فَأَعْطَاهُ اللَّهُ عِنْدَهَا ثَلاَثًا لَمْ يُعْطِهِنَّ نَبِيًّا كَانَ قَبْلَهُ فُرِضَتْ عَلَيْهِ الصَّلاَةُ خَمْسًا وَأُعْطِيَ خَوَاتِمَ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَغُفِرَ لأُمَّتِهِ الْمُقْحِمَاتُ مَا لَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا " . قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ : ( إذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى ) قَالَ السِّدْرَةُ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ . قَالَ سُفْيَانُ فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ وَأَشَارَ سُفْيَانُ بِيَدِهِ فَأَرْعَدَهَا وَقَالَ غَيْرُ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ إِلَيْهَا يَنْتَهِي عِلْمُ الْخَلْقِ لاَ عِلْمَ لَهُمْ بِمَا فَوْقَ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated ['Abdullah] bin Mas'ud:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) reached Sidrat Al-Muntaha" He said: 'There terminates everything that ascends from the earth, and everything that descends from above. So there Allah gave him three, which He did not give to any Prophet before him: He made fiver prayers obligatory upon him, He gave him the last Verses of Surat Al-Baqarah, and He pardoned the grave sins for those of his Ummah who do not associate anything with Allah.' Ibn Mas'ud said regarding the Ayah: "When that covered the Sidrah which did cover it! (53:16)" he said: "The sixth Sidrah in heavens." Sufyan said: "Golden butterflies" and Sufyan indicated with his hand in a fluttering motion. Others besides Malik bin Mighwal said: "There terminates the creatures' knowledge, there is no knowledge for them of what is above that."
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৭৭। আশ-শায়বানী (রহঃ) বলেন, আমি যির ইবনু হুবাইশ (রাযিঃ)-এর নিকট আল্লাহ তা’আলার বাণী “তারপর তাদের মাঝে দুই ধনুক অথবা তারও কম পার্থক্য থাকল”— (সূরা নাজম ৯) প্রসঙ্গে জানতে চাইলাম। তিনি বলেন, ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছেন এবং তার ছয়শ ডানা ছিল।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ গারীব হাদীস।
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ سَأَلْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ عَنْ قَوْلِهِ : (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ) فَقَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ مَسْعُودٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى جِبْرِيلَ وَلَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ash-Shaibani:
"I asked Zirr bin Hubaish about the saying of Allah the Might and Sublime: And was a distance of two bow lengths or less (53:9). So he said: 'Ibn Mas'ud informed me that the Prophet (ﷺ) saw Jibra'il, and he had six-hundred wings.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৭৮। আশ-শাবী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আরাফাতের মায়দানে কা’ব (রাঃ)-এর সাথে দেখা করে একটি কথা (আল্লাহ তা’আলার দেখা প্রসঙ্গে) জিজ্ঞেস করেন। এতে তিনি এত উচ্চ স্বরে তাকবীর ধ্বনি দিলেন যে, পাহাড় পর্যন্ত উচ্চ গম্ভীর আওয়াজ করে উঠল (প্রতিশব্দ ভেসে এলো)। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমরা হাশিম গোত্রীয়। কাব (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা তার দীদার (দর্শন) ও কালাম (সরাসরি সংলাপ) মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মূসা আলাইহিস সালামের মাঝে বাটোয়ারা করেছেন। সুতরাং মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার সাথে দু’বার কথা বলেছেন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’বার তার দেখা পেয়েছেন।
মাসরূক (রহঃ) বলেনঃ এ কথা শুনে আমি আইশা (রাঃ)-এর নিকটে গিয়ে তাকে প্রশ্ন করলাম, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আল্লাহ তা’আলাকে দেখেছেন? তিনি বললেনঃ তুমি এমন একটি বিষয়ে কথা বললে যার ফলে আমার শরীরের লোম পর্যন্ত খাড়া হয়ে গেছে। আমি বললাম, একটু অপেক্ষা করুন। তারপর আমি এ আয়াত তিলাওয়াত করলামঃ “তিনি তো স্বীয় রবের মহান নিদর্শনসমূহ দৰ্শন করেছেন। (সূরাঃ আন-নাজম- ১৮)। তিনি বললেনঃ তোমার বুদ্ধি তোমাকে কোথায় নিয়ে গেছে। তিনি হলেন জিবরীল (যাকে তিনি দেখেছেন)।
যে ব্যক্তি তোমাকে বলেছে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রবকে দেখেছেন বা এমন কোন বিষয় তিনি লুকায়িত করেছেন যার (প্রচারের) হুকুম তাকে দেয়া হয়েছে অথবা সেই পাঁচটি বিষয়ে তার জ্ঞান আছে, যে প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “কিয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহ তা’আলার নিকট আছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন.... ” (সূরাঃ লুকমান- ৩৪), তাহলে সে একটি সাংঘাতিক অসত্য রটনা করেছে। বরং তিনি জিবরীল (আঃ)-কে তার আসল চেহারায় দু’বার দেখেছেনঃ একবার সিদরাতুল মুন্তাহার সামনে, আর একবার জিয়াদ নামক জায়গায় (মক্কার একটি জায়গা)। তার ছয় শত ডানা আকাশের দিগন্ত ঢেকে ফেলেছিল।
সনদ দুর্বল, হাদীসটি কা’ব ইবনু আব্বাসের ঘটনা ব্যতীত নাসাঈ সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেন, দাউদ ইবনু আবূ হিন্দ (রহঃ) শাবী হতে তিনি মাসরুক হতে তিনি আইশা (রাঃ) হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। দাউদের রিওয়ায়াত মুজালিদের রিওয়ায়াতের তুলনায় সংক্ষিপ্ততর।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ لَقِيَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَعْبًا بِعَرَفَةَ فَسَأَلَهُ عَنْ شَيْءٍ، فَكَبَّرَ حَتَّى جَاوَبَتْهُ الْجِبَالُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّا بَنُو هَاشِمٍ . فَقَالَ كَعْبٌ إِنَّ اللَّهَ قَسَمَ رُؤْيَتَهُ وَكَلاَمَهُ بَيْنَ مُحَمَّدٍ وَمُوسَى فَكَلَّمَ مُوسَى مَرَّتَيْنِ وَرَآهُ مُحَمَّدٌ مَرَّتَيْنِ . قَالَ مَسْرُوقٌ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ فَقُلْتُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَتْ لَقَدْ تَكَلَّمْتَ بِشَيْءٍ قَفَّ لَهُ شَعْرِي قُلْتُ رُوَيْدًا ثُمَّ قَرَأْتُ : (لقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى ) قَالَتْ أَيْنَ يُذْهَبُ بِكَ إِنَّمَا هُوَ جِبْرِيلُ مَنْ أَخْبَرَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَأَى رَبَّهُ أَوْ كَتَمَ شَيْئًا مِمَّا أُمِرَ بِهِ أَوْ يَعْلَمُ الْخَمْسَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ ) فَقَدْ أَعْظَمَ الْفِرْيَةَ وَلَكِنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ لَمْ يَرَهُ فِي صُورَتِهِ إِلاَّ مَرَّتَيْنِ مَرَّةً عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَمَرَّةً فِي جِيَادٍ لَهُ سِتُّمِائَةِ جَنَاحٍ قَدْ سَدَّ الأُفُقَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ دَاوُدَ أَقْصَرُ مِنْ حَدِيثِ مُجَالِدٍ .
Narrated Ash-Sha'bi:
"Ibn 'Abbas met Ka'b at Arafat, so he asked him about something and he kept on saying the Takbir until it reverberated off of the mountains. So Ibn 'Abbas (finally) said: 'We are Banu Hashim.' So Ka'b said: 'Indeed Allah divided His being seen and His speaking between Muhammad and Musa. He spoke to Musa two times, and Muhammad saw Him two times.' Masruq said: 'I entered upon 'Aishah and asked her if Muhammad saw his Lord.' She said: 'You have said something that makes my hair stand on end.' I said: 'Take it easy.' Then I recited: Indeed he saw of the great signs of his Lord (53:18). So she said: 'What do you mean by that? That is only Jibra'il. Whoever informed you that Muhammad saw his Lord, or that (ﷺ) concealed something he was ordered with, or he knew of the five things about which Allah, [Most High] said: Verily Allah, with Him is the knowledge of the Hour, He sends down the rain (31:34) - then he has fabricated the worst lie. Rather he (ﷺ) saw Jibra'il, but he did not see him in his (real) image except two times. One time at Sidrat Al-Muntaha and one time in Jiyad, he had six-hundred wings which filled the horizon.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৭৯ ৷ ইকরিমা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রবকে দেখেছেন। আমি বললাম, আল্লাহ কি বলেননি যে, “চোখের দৃষ্টি তাকে পরিবেষ্টন করতে পারে না, কিন্তু তিনি পরিবেষ্টন করেন সকল দৃষ্টি" (সূরাঃ আল-আনআম- ১০৩)? তিনি বললেনঃ তোমার জন্য আফসোস! তা তো সেই অবস্থায় যখন তিনি তার সত্তাগত নূরে আলোকিত হবেন। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রভুকে দু’বার দেখেছেন।
যঈফ, যিলালুল জুন্নাহ (১৯০/৪৩৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ نَبْهَانَ بْنِ صَفْوَانَ الْبَصْرِيُّ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ . قُلْتُ أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ : ( لا تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ ) قَالَ وَيْحَكَ ذَاكَ إِذَا تَجَلَّى بِنُورِهِ الَّذِي هُوَ نُورُهُ وَقَدْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated 'Ikrimah:
that Ibn 'Abbas said: "Muhammad saw his Lord." I said: "Did Allah not say: No vision can grasp Him, but He grasps all vision (6:103). He said: "Woe unto you! That is when He manifests His Light. But Muhammad saw his Lord two times."
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৮০। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তিনি নিশ্চয়ই তাকে নিকটবর্তী কুল গাছের কাছে প্রত্যক্ষ করেছেন"- (সূরা নাজম ১৩-১৪)। "আল্লাহ তা’আলা তখন তার বান্দার জন্য যা ওয়াহী করার তা ওয়াহী করলেন"- (সূরা নাজম ১০) এবং “ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুক পরিমাণ বা তারও কম পার্থক্য রইল"- (সূরা নাজমঃ ৯)। আয়াতসমূহ প্রসঙ্গে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, নিশ্চয়ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রত্যক্ষ করেছেন।
হাসান সহীহঃ আযযিলাল (হাঃ ১৯১, ৪৩৯), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِ اللَّهِ ( ولَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً * أُخْرَى عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى ) ( فأوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى ) (فكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى ) . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَدْ رَآهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated Abu Salamah:
from Ibn 'Abbas regarding Allah's saying: And indeed he saw him at a second descent. Near Sidrat Al-Muntaha (53:13 & 14). So He revealed to His worshiper whatever he revealed (53:10). And was a distance of two bow lengths or less (53:9). Ibn 'Abbas said: "The Prophet (ﷺ) saw Him."
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৮১। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, “তিনি যা দেখেছেন, তার মন তা অস্বীকার করতে পারেনি"- (সূরা নাজম ১১) তিনি এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলাকে তার অন্তরের চোখ দ্বারা প্রত্যক্ষ করেছেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، وَابْنُ أَبِي رِزْمَةَ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ( ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى ) قَالَ رَآهُ بِقَلْبِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated 'Ikrimah:
that Ibn 'Abbas said (regarding the Ayah): The heart lied not in what he (ﷺ) saw (53:11). He said: "He saw Him with his heart."
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৮২। আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আবূ যার (রাযিঃ)-কে বললাম, যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেখা পেতাম তাহলে একটি বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করতাম। তিনি বললেন, তুমি তাকে কি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে? আমি বললাম, আমি প্রশ্ন করতাম যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রবকে দেখেছেন কি? আবূ যার (রাযিঃ) বললেন, আমি তাকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছি। তিনি বলেছেন যে, তিনি (আল্লাহ তা’আলা) হলেন নূর, তাকে আমি কিভাবে দেখতে পারি!
সহীহঃ প্রাগুক্ত (১৯২-৪৪১), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এটি হাসান হাদীস।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي ذَرٍّ لَوْ أَدْرَكْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ . فَقَالَ عَمَّا كُنْتَ تَسْأَلُهُ قُلْتُ كُنْتُ أَسْأَلُهُ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ رَبَّهُ فَقَالَ قَدْ سَأَلْتُهُ فَقَالَ " نُورٌ أَنَّى أَرَاهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated 'Abdullah bin Shaqiq:
"I said to Abu Dharr: 'If I saw the Prophet (ﷺ) then I would asked him." He said: 'What is it that you would have asked him about?' I said: 'I would have asked him if Muhammad saw his Lord?' He said: 'I did ask him that, and he (ﷺ) said: I saw light.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৮৩। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, “তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন, তার মন তা অস্বীকার করেনি"- (সূরা নাজমঃ ১১); এ আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আঃ)-কে রেশমী কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন। তিনি আকাশ ও মাটির মধ্যে অবস্থিত জায়গা পূর্ণ করে রেখেছিলেন।
সহীহঃ বুখারী (হাঃ ৪৮৫৮) সংক্ষেপিত।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، وَابْنُ أَبِي رِزْمَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ (ما كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى ) قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلَ فِي حُلَّةٍ مِنْ رَفْرَفٍ قَدْ مَلأَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Zaid:
from 'Abdullah (regarding the Ayah): The heart lied not in what he saw (53:11). He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) saw Jibra'il in a Hullah (dress normally made up of two pieces) of Rafraf filling what is between the heavens and the earth."
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. সূরা আন-নাজম
৩২৮৪। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তারা ছোটখাট অন্যায় করলেও গুরুতর পাপ ও খারাপ কাজ হতে বিরত থাকে"- (সূরা নাজম ৩২) এ আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! যদি আপনি মাফই করেন তাহলে সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন, আর আপনার এমন কোন বান্দা কি আছে যে অন্যায় করেনি।
সহীহঃ মিশকাত তাহকীক সানী (হাঃ ২৩৪৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস আমরা শুধুমাত্র যাকারিয়া ইবনু ইসহাকের সনদে অবহিত হয়েছি।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو عُثْمَانَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : (الَّذِينَ يَجْتَنِبُونَ كَبَائِرَ الإِثْمِ وَالْفَوَاحِشَ إِلاَّ اللَّمَمَ ) قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنْ تَغْفِرِ اللَّهُمَّ تَغْفِرْ جَمَّا وَأَىُّ عَبْدٍ لَكَ لاَ أَلَمَّا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ .
Narrated 'Ata:
from Ibn 'Abbas (regarding this Ayah): Those who avoid great sins and Al-Fawahish except Al-Lamam (minor sins) (53:32). He said: "The Prophet (ﷺ) said: 'Your forgiveness, O Allah is so ample, and which of Your worshipers has not committed Al-Lamam (minor sins)!'"