পরিচ্ছেদঃ ৫. জ্ঞান উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে
২৬৫২। আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (শেষ যামানায়) আল্লাহ তা’আলা মানুষের নিকট হতে একটানে ইলম উঠিয়ে নিবেন না, বরং আলিমদেরকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই ইলম উঠিয়ে নিবেন। অবশেষে যখন তিনি কোন আলিমই অবশিষ্ট রাখবেন না, তখন মানুষেরা অজ্ঞ জাহিলদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তারপর বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিকট প্রশ্ন করা হবে, আর তারা ইলম ছাড়াই ফাতাওয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৫২), বুখারী ও মুসলিম।
আয়িশাহ ও যিয়াদ ইবনু লাবীদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। যুহরী (রহঃ) এ হাদীস উরওয়াহ হতে, ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ)-এর বরাতে এবং উরওয়াহ হতে, ’আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, উভয় সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَزِيَادِ بْنِ لَبِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا .
Narrated 'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah does not take away knowledge by removing it from the people, but He takes away knowledge by taking the scholars, until there remains no scholar and the people begin to ask the ignorant leaders, so they give their verdict without knowledge. They will go astray and lead the people astray."
পরিচ্ছেদঃ ৫. জ্ঞান উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে
২৬৫৩। আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ "-এর সাথে ছিলাম। তিনি আকাশের দিকে তাকালেন, তারপর বললেনঃ এই সময়ে মানুষের কাছ থেকে ইলমকে ছিনিয়ে নেয়া হবে, এমনকি এ সম্পর্কে তাদের কোন সামর্থ্যই থাকবে না। যিয়াদ ইবনু লাবীদ আল-আনসার (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের নিকট হতে কিভাবে ইলম ছিনিয়ে নেয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন তিলাওয়াত করি? আল্লাহর কসম! অবশ্যই আমরা তা তিলাওয়াত করবো এবং আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তানদেরকেও তা শিখাবো।
তিনি বললেনঃ হে যিয়াদ! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক, আমি তো তোমাকে মদীনার অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি বলেই গণ্য করতাম! এই তো ইয়াহুদী-নাসারাদের নিকট তাওরাত ও ইনজীল রয়েছে, তা তাদের কি কাজে লেগেছে?
জুবাইর (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর সাথে দেখা করে বললাম, আপনার ভাই আবূদ দারদা (রাযিঃ) কি বলছেন তা আপনি শুনতে পাননি? আবূদ দারদা (রাযিঃ) যা বলেছেন, তা আমি তার নিকট বললাম। তিনি বলেন, আবূদ দারদা (রাযিঃ) ঠিকই বলেছেন। তুমি চাইলে আমি তোমাকে একটি কথা বলতে পারি। ইলমের যে বস্তুটি সর্বপ্রথম মানুষের কাছ থেকে তুলে নেয়া হবে তা হল বিনয়। খুব শীঘ্রই তুমি কোন জামে মসজিদে গিয়ে হয়তো দেখবে যে, একজন লোকও সেখানে বিনয়াবনত নয়।
সহীহঃ তাখরীজু ইকতিযায়িল ইলমি আল-আমল (৮৯)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। হাদীসবিশারদগণের মতে মু’আবিয়াহ ইবনু সালিহ একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান ব্যতীত অন্য কেউ তার সমালোচনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মুআবিয়াহ ইবনু সালিহ হতেও এরকম হাদীস বর্ণিত আছে। কোন কোন বর্ণনাকারী এই হাদীস আবদুর রাহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি ’আওফ ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ " هَذَا أَوَانٌ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لاَ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ " . فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الأَنْصَارِيُّ كَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا . فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فَمَاذَا تُغْنِي عَنْهُمْ " . قَالَ جُبَيْرٌ فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ قُلْتُ أَلاَ تَسْمَعُ إِلَى مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَالَ صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ الْخُشُوعُ يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَلاَ تَرَى فِيهِ رَجُلاً خَاشِعًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرَ يَحْيَى بْنِ سَعِيِدٍ الْقَطَّانِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ نَحْوُ هَذَا . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Jubair bin Nufair:
from Abu Ad-Darda who said: "We were with the Prophet (ﷺ) when he raised his sight to the sky, then he said: 'This is the time when knowledge is to be taken from the people, until what remains of it shall not amount to anything." So Ziyad bin Labid Al-Ansari said: 'How will it be taken from us while we recite the Qur'an. By Allah we recite it, and our women and children recite it?' He (ﷺ) said: 'May you be bereaved of your mother O Ziyad! I used to consider you among the Fuqaha of the people of Al-Madinah. The Tawrah and Injil are with the Jews and Christians, but what do they avail of them?'" Jubair said: "So I met 'Ubadah bin As-Samit and said to him: 'Have you not heard what your brother Abu Ad-Darda said?' Then I informed him of what Abu Ad-Darda said. He said: 'Abu Ad-Darda spoke the truth. If you wish, we shall narrated to you about the first knowledge to be removed from the people: It is Khushu', soon you will enter the congregational Masjid, but not see any man in it with Khushu'.'"