পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৩. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা বলেন: সিয়াম ব্যতীত বনি আদমের প্রত্যেক আমলই তার জন্য, কারণ তা আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।
103- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( أنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «قَاَلَ اللَّهُ: كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلَّا الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ». (خ, م) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৪. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা বলেন: আমার মুমিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত কোন প্রতিদান নেই যখন আমি দুনিয়া থেকে তার কলিজার টুকরা[1] গ্রহণ করি, আর সে তার জন্য সওয়াবের আশা করে ধৈর্য ধারণ করে”। [বুখারি] হাদিসটি সহিহ।
104- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: مَا لِعَبْدِي الْمُؤْمِنِ عِنْدِي جَزَاءٌ إِذَا قَبَضْتُ صَفِيَّهُ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا ثُمَّ احْتَسَبَهُ إِلَّا الْجَنَّةُ». ( خ ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৫. শুরাহবিল ইবনু শুফ’আহ থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক সাহাবি সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “কিয়ামতের দিন বাচ্চাদের বলা হবে জান্নাতে প্রবেশ কর”। তিনি বলেন: “তারা বলবে: যতক্ষণ না আমাদের পিতা-মাতা প্রবেশ না করেন”। তিনি বলেন: “অতঃপর তারা আসবে”। তিনি বলেন: আল্লাহ বলবেন: “কি ব্যাপার তাদেরকে কেন নারাজ দেখছি, জান্নাতে প্রবেশ কর”। তিনি বলেন: “অতঃপর তারা বলবে: হে আমার রব, আমাদের পিতা-মাতা”! তিনি বলেন: “অতঃপর তিনি বলবেন: “তোমরা ও তোমাদের পিতা-মাতা জান্নাতে প্রবেশ কর”। [আহমদ] হাদিসটি হাসান।
105- عَنْ شُرَحْبِيلُ ابْنُ شُفْعَةَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم؛ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «يُقَالُ لِلْوِلْدَانِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: ادْخُلُوا الْجَنَّةَ» قَالَ: «فَيَقُولُونَ: يَا رَبِّ حَتَّى يَدْخُلَ آبَاؤُنَا وَأُمَّهَاتُنَا» قَالَ: «فَيَأْتُونَ» قَالَ: فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: «مَا لِي أَرَاهُمْ مُحْبَنْطِئِينَ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ» قَالَ: «فَيَقُولُونَ: يَا رَبِّ آبَاؤُنَا وَأُمَّهَاتُنَا» قَالَ: «فَيَقُولُ: ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ». ( حم) حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৬. আবূ উমামা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা বলবেন: হে বনি আদম, যদি তুমি ধৈর্যধারণ কর ও প্রথম দুঃখের সময় অধৈর্য না হয়ে তাতে সওয়াবের আশা কর, তাহলে আমি তোমার জন্য জান্নাত ব্যতীত কোন প্রতিদানে সন্তুষ্ট হব না”। [ইবনু মাজাহ] হাদিসটি হাসান।
106- عَنْ أَبِي أُمَامَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَقُولُ اللَّهُ سُبْحَانَه وتعالى: ابْنَ آدَمَ إِنْ صَبَرْتَ وَاحْتَسَبْتَ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الْأُولَى لَمْ أَرْضَ لَكَ ثَوَابًا دُونَ الْجَنَّةِ». (جه) حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৭. আবূ মুসা আশ’আরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বান্দার যখন সন্তান মারা যায় আল্লাহ তার ফেরেশতাদের বলেন: তোমরা আমার বান্দার সন্তান কব্জা করেছ? তারা বলে: হ্যাঁ। তিনি বলেন: তোমরা আমার বান্দার অন্তরের নির্যাস গ্রহণ করেছ? তারা বলে: হ্যাঁ। তিনি বলেন: আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে: আপনার প্রশংসা করেছে ও ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন পড়েছে। (অর্থাৎ আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা তার কাছেই ফেরৎ যাব এটা বলেছে।) অতঃপর আল্লাহ বলেন: তোমরা আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ কর, তার নাম রাখ বায়তুল হামদ”। [তিরমিযি ও ইবনু হিব্বান] হাদিসটি শায়খ আলবানি হাসান বলেছেন।
107- عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: « إِذَا مَاتَ وَلَدُ الْعَبْدِ قَالَ اللَّهُ لِمَلَائِكَتِهِ: قَبَضْتُمْ وَلَدَ عَبْدِي؟ فَيَقُولُونَ: نَعَمْ, فَيَقُولُ: قَبَضْتُمْ ثَمَرَةَ فُؤَادِهِ؟ فَيَقُولُون:َ نَعَمْ, فَيَقُولُ: مَاذَا قَالَ عَبْدِي؟ فَيَقُولُونَ: حَمِدَكَ وَاسْتَرْجَعَ، فَيَقُولُ اللَّهُ: ابْنُوا لِعَبْدِي بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَسَمُّوهُ بَيْتَ الْحَمْدِ» . ( ت, حب ) حسنه الشيخ الألباني
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৮. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা বলেন: হে বনি আদম, তুমি খরচ কর, আমি তোমার ওপর খরচ করব”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।
108- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «قَالَ اللَّهُ: أَنْفِقْ يَا ابْنَ آدَمَ أُنْفِقْ عَلَيْكَ». ( خ, م ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১০৯. আদি ইবনু হাতেম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ছিলাম, তিনি বলেন: “... অতঃপর তোমাদের প্রত্যেকে আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হবে, তার ও আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকবে না, দুভাষীও না যে তার জন্য অনুবাদ করবে। অতঃপর তিনি বলবেন: আমি কি তোমাকে সম্পদ দেই নাই? সে বলবে: অবশ্যই, অতঃপর বলবেন: আমি কি তোমার নিকট রাসূল প্রেরণ করিনি? সে বলবে: অবশ্যই, সে তার ডানে তাকাবে আগুন ব্যতীত কিছুই দেখবে না, অতঃপর তার বামে তাকাবে আগুন ব্যতীত কিছুই দেখবে না, অতএব তোমাদের প্রত্যেকের উচিত জাহান্নামের আগুন থেকে সুরক্ষা গ্রহণ করা, যদিও সেটা একটি খেজুরের অংশের বিনিময়ে হয়, যদি তার সামর্থ্য না থাকে তাহলে সুন্দর বাক্য দ্বারা”। [বুখারি] হাদিসটি সহিহ।
109- عَنْ عَدِيَّ بْنَ حَاتِمٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ-، يَقُولُ: " كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فقَاَلَ: «...ثُمَّ لَيَقِفَنَّ أَحَدُكُمْ بَيْنَ يَدَيْ اللَّهِ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ حِجَابٌ وَلَا تَرْجُمَانٌ يُتَرْجِمُ لَهُ، ثُمَّ لَيَقُولَنَّ لَهُ: أَلَمْ أُوتِكَ مَالاً؟ فَلَيَقُولَنَّ: بَلَى، ثُمَّ لَيَقُولَنَّ: أَلَمْ أُرْسِلْ إِلَيْكَ رَسُولاً؟ فَلَيَقُولَنَّ: بَلَى، فَيَنْظُرُ عَنْ يَمِينِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا النَّارَ، ثُمَّ يَنْظُرُ عَنْ شِمَالِهِ فَلَا يَرَى إِلَّا النَّارَ فَلْيَتَّقِيَنَّ أَحَدُكُمْ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ» . ( خ ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১০. আবূ ওয়াকেদ লাইসি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসতাম, যখন তার ওপর কিছু নাযিল হত তিনি আমাদের বলতেন, একদা তিনি আমাদের বলেন: “আল্লাহ তা’আলা বলেছেন: আমি সম্পদ নাযিল করেছি সালাত কায়েম করা ও যাকাত প্রদান করার জন্য, যদি বনি আদম একটি উপত্যকার মালিক হয়, সে পছন্দ করবে তার জন্য দ্বিতীয়টি হোক। যদি তার দু’টি উপত্যকা হয়, সে চাইবে তার জন্য তৃতীয়টি হোক। মাটি ব্যতীত কোন বস্তু বনি আদমের উদর পূর্ণ করবে না, অতঃপর যে তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন”। [আহমদ] হাদিসটি হাসান।
110- عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ: كُنَّا نَأْتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ فَيُحَدِّثُنَا، فَقَالَ لَنَا ذَاتَ يَوْمٍ: «إِنَّ اللَّهَ -عَزَّ وَجَلَّ- قَالَ: إِنَّا أَنْزَلْنَا الْمَالَ لِإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَلَوْ كَانَ لِابْنِ آدَمَ وَادٍ لَأَحَبَّ أَنْ يَكُونَ إِلَيْهِ ثَانٍ، وَلَوْ كَانَ لَهُ وَادِيَانِ لَأَحَبَّ أَنْ يَكُونَ إِلَيْهِمَا ثَالِثٌ، وَلَا يَمْلَأُ جَوْفَ ابْنِ آدَمَ إِلَّا التُّرَابُ، ثُمَّ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَى مَنْ تَابَ». ( حم ) حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১১. বুসর ইবনু জাহাশ আল-কুরাশি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতার হাতের তালুতে থু থু ফেললেন, অতঃপর তাতে শাহাদাত আঙ্গুল রাখলেন ও বললেন: আল্লাহ তা’আলা বলেন: হে বনি আদম তুমি আমাকে কিভাবে অক্ষম করবে, অথচ আমি তোমাকে এরূপ বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছি, যখন তোমার রূহ এখানে পৌঁছে, (গলার দিকে ইশারা করলেন), বল: আমি সদকা করব: আর কখন সদকা করার সময়”! [ইবনু মাজাহ ও আহমদ] হাদিসটি হাসান।
111- عَنْ بُسْرِ بْنِ جَحَّاشٍ الْقُرَشِيِّ -رضي الله عنه- قَالَ: بَزَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي كَفِّهِ، ثُمَّ وَضَعَ أُصْبُعَهُ السَّبَّابَةَ وَقَالَ: «يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: أَنَّى تُعْجِزُنِي ابْنَ آدَمَ، وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِنْ مِثْلِ هَذِهِ فَإِذَا بَلَغَتْ نَفْسُكَ هَذِهِ (وَأَشَارَ إِلَى حَلْقِه)ِ قُلْتَ: أَتَصَدَّقُ: وَأَنَّى أَوَانُ الصَّدَقَةِ». ( جه, حم ) حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১২. উকবা ইবনু আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসম্পর্কে বলব না যা তিনি বলেননি, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “যে আমার ওপর স্বেচ্ছায় মিথ্যা বলে, সে যেন জাহান্নামে ঘর বানিয়ে নেয়”। তাকে আরো বলতে শুনেছি: “আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি রাতে উঠে, অতঃপর নিজেকে পবিত্রতার জন্য প্রস্তুত করে, তার ওপর থাকে অনেক গিরা, যখন সে দু’হাত ধৌত করে একটি গিরা খুলে যায়, যখন সে চেহারা ধৌত করে একটি গিরা খুলে যায়, যখন সে তার মাথা মাসেহ করে একটি গিরা খুলে যায়, যখন সে তার পা ধৌত করে একটি গিরা খুলে যায়। আল্লাহ তা’আলা পর্দার আড়ালে অবস্থানকারীদের বলেন: আমার বান্দাকে দেখ, সে আমার নিকট প্রার্থনারত হয়ে নিজ নফসকে কষ্ট দিচ্ছে, আমার এ বান্দা যা চাইবে তা তার জন্যই”। [ইবনু হিব্বান ও আহমদ] হাদিসটি সহিহ।
112-عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ-رضي الله عنه- يَقُولُ: لَا أَقُولُ الْيَوْمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَمْ يَقُلْ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «مَنْ كَذبَ عَلَيَّ متعمدًا فَلْيَتَبَوَّأْ بَيْتًا مِنْ جَهَنَّمَ» وَسَمِعْته يَقُولُ: «يَقُومُ الرجل من أمتي مِنْ اللَّيْلِ فَيُعَالِجُ نَفْسَهُ إِلَى الطَّهُورِ وَعَلَيْهِ عُقَد فَإِذَا وَضَّأَ يَدَيْهِ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، وَإِذَا وَضَّأَ وَجْهَهُ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، وَإِذَا مَسَحَ رَأْسَهُ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، وَإِذَا وَضَّأَ رِجْلَيْهِ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَيَقُولُ الله -عَزَّ وَجَلَّ- لِلَّذِينَ وَرَاءَ الْحِجَابِ: انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي هَذَا يُعَالِجُ نَفْسَهُ يَسْألُني، مَا سَأَلَنِي عَبْدِي هَذَا فَهُوَ لَهُ» ( حب, حم ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১৩. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাদের রব প্রত্যেক রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তিনি বলেন: কে আমাকে আহ্বান করবে আমি তার ডাকে সাড়া দিব, কে আমার নিকট প্রার্থনা করবে আমি তাকে প্রদান করব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব”। [বুখারি, মুসলিম, তিরমিযি, ইবনু মাজাহ ও নাসায়ি] হাদিসটি সহিহ।
113- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَنْزِلُ رَبُّنَا -تَبَارَكَ وَتَعَالَى- كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْآخِرُ يَقُولُ: مَنْ يَدْعُونِي فَأَسْتَجِيبَ لَهُ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِي فَأَغْفِرَ لَهُ». (خ, م, ت, جه, ن ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১৪. ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমাদের রব দুই ব্যক্তিকে দেখে আশ্চর্য হন: এক ব্যক্তি যে তার বিছানা ও লেপ ছেড়ে পরিবার ও প্রিয়জনদের থেকে ওঠে সালাতে দাঁড়াল, আমাদের রব বলেন: হে আমাদের ফেরেশতারা, আমার বান্দাকে দেখ বিছানা ও লেপ ছেড়ে পরিবার ও প্রিয়জনদের থেকে তার সালাতের জন্য ওঠেছে, আমার নিকট যা রয়েছে তার আশা ও আমার শাস্তির ভয়ে। অপর ব্যক্তি যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করল, তবে তারা পরাস্ত হল, সে মনে করল পলায়নে কি শাস্তি ও ফিরে যাওয়ায় কি পুরষ্কার, অতঃপর সে ফিরে গেল অবশেষে তার রক্ত ঝরানো হল, আমার নিকট যা রয়েছে তার আশা ও আমার শাস্তির ভয়ে, আল্লাহ তার ফেরেশতাদের বলেন: আমার বান্দাকে দেখ, আমার নিকট যা রয়েছে তার আশা ও আমার শাস্তির ভয়ে ফিরে এসেছে, অবশেষে তার রক্ত প্রবাহিত করা হল”। [আহমদ ও আবূ দাউদ] হাদিসটি হাসান।
114- عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ -رضي الله عنه- عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «عَجِبَ رَبُّنَا -عَزَّ وَجَلَّ- مِنْ رَجُلَيْنِ, رَجُلٍ ثَارَ عَنْ وِطَائِهِ وَلِحَافِهِ مِنْ بَيْنِ أَهْلِهِ وَحَيِّهِ إِلَى صَلَاتِهِ فَيَقُولُ رَبُّنَا: أَيَا مَلَائِكَتِي انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي ثَارَ مِنْ فِرَاشِهِ وَوِطَائِهِ وَمِنْ بَيْنِ حَيِّهِ وَأَهْلِهِ إِلَى صَلَاتِهِ؛ رَغْبَةً فِيمَا عِنْدِي وَشَفَقَةً مِمَّا عِنْدِي، وَرَجُلٍ غَزَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ -عَزَّ وَجَلَّ- فَانْهَزَمُوا فَعَلِمَ مَا عَلَيْهِ مِنْ الْفِرَارِ وَمَا لَهُ فِي الرُّجُوع،ِ فَرَجَعَ حَتَّى أُهَرِيقَ دَمُهُ؛ رَغْبَةً فِيمَا عِنْدِي وَشَفَقَةً مِمَّا عِنْدِي, فَيَقُولُ اللَّهُ -عَزَّ وَجَلَّ- لِمَلَائِكَتِهِ: انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي رَجَعَ رَغْبَةً فِيمَا عِنْدِي وَرَهْبَةً مِمَّا عِنْدِي حَتَّى أُهَرِيقَ دَمُهُ» . ( حم, د ) حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১৫. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বান্দাকে যে বিষয়ে সর্বপ্রথম জবাবদিহি করা হবে তার সালাত, যদি সে তা পূর্ণ করে থাকে, অন্যথায় আল্লাহ বলবেন: আমার বান্দার নফল দেখ, যদি তার নফল পাওয়া যায়, বলবেন: এর দ্বারা ফরয পূর্ণ কর”। [নাসায়ি] হাদিসটি সহিহ।
115- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «أَوَّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ صَلَاتُهُ فَإِنْ كَانَ أَكْمَلَهَا وَإِلَّا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: انْظُرُوا لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ؛ فَإِنْ وُجِدَ لَهُ تَطَوُّعٌ قَالَ: أَكْمِلُوا بِهِ الْفَرِيضَةَ». (ن) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১৬. উকবা ইবনু আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “তোমাদের রব পাহাড়ের চুড়ায় বকরির রাখালকে দেখে আশ্চর্য হন, যে সালাতের আযান দেয় ও সালাত আদায় করে, আল্লাহ তা’আলা বলেন: আমার এ বান্দাকে দেখ আযান দেয় ও সালাত কায়েম করে, আমাকে ভয় করে, আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম”। [আবূ দাউদ ও নাসায়ি] হাদিসটি সহিহ।
116- عن عقبة بن عامر -رضي الله عنه- قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: « يعجب ربكم من راعي غنم في رأس شظية بجبل يؤذن بالصلاة ويصلي فيقول الله عز وجل: انظروا إلى عبدي هذا يؤذن ويقيم الصلاة يخاف مني قد غفرت لعبدي وأدخلته الجنة» . (د, ن ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১১৭. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পালাবদল করে রাত ও দিনের ফেরেশতাগণ তোমাদের নিকট আগমন করে এবং তারা ফজর ও আসর সালাতে একত্র হয়। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারীগণ ওপরে ওঠে, আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, অথচ তিনি তাদের চেয়ে বেশী জানেন, আমার বান্দাদের কিভাবে রেখে এসেছে? তারা বলে: আমরা তাদেরকে সালাত পড়া অবস্থায় রেখে এসেছি, যখন গিয়েছি তারা সালাত আদায় করছিল”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।
117- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَال: «يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلَائِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلَائِكَةٌ بِالنَّهَارِ، وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ وَصَلَاةِ الْعَصْرِ، ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ -وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ- كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي؟ فَيَقُولُونَ: تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ». ( خ, م ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১২১. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা নেক বান্দার মর্তবা জান্নাতে বুলন্দ করবেন, সে বলবে: হে আমার রব এটা আমার জন্য কিভাবে হল? তিনি বলবেন: তোমার জন্য তোমার সন্তানের ইস্তেগফারের কারণে”। [আহমদ] এ হাদিসের সনদ হাসান।
121- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : «إِنَّ اللَّهَ -عَزَّ وَجَلَّ- لَيَرْفَعُ الدَّرَجَةَ لِلْعَبْدِ الصَّالِحِ فِي الْجَنَّةِ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ أَنَّى لِي هَذِهِ؟ فَيَقُولُ: بِاسْتِغْفَارِ وَلَدِكَ لَكَ». ( حم ) إسناده حسن
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১২৩. উবাদাহ ইবনু সামেত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ তা’আলা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন কলম[1], তিনি বলেন: লেখ। সে বলল: হে আমার রব, কি লিখব? তিনি বলেন: কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের তাকদির লিখ”। [আবূ দাউদ ও আহমদ] হাদিসটি সহিহ লি গায়রিহি।
123- عَنْ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ ( قال: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «إِنَّ أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللَّهُ الْقَلَمَ فَقَالَ لَهُ: اكْتُبْ، قَالَ: رَبِّ وَمَاذَا أَكْتُبُ؟ قَالَ: اكْتُبْ مَقَادِيرَ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ». ( د, حم ) صحيح لغيره
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১২৪. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যখন আদমকে সৃষ্টি করেন ও তার মধ্যে রূহ সঞ্চার করেন তখন সে হাঁচি দেয়। অতঃপর বলে: আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর নির্দেশে সে আল্লাহর প্রশংসা করল, তার রব তাকে বললেন: হে আদম তোমার রব তোমাকে রহম করুন, ঐ ফেরেশতাদের বসে থাকা দলটির কাছে যাও, তাদেরকে সালাম কর। তিনি বললেন: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ তারা বলল: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ অতঃপর তিনি তার রবের নিকট ফিরে আসেন, তিনি বলেন: এ হচ্ছে তোমার ও তোমার সন্তানের পরস্পর অভিবাদন। আল্লাহ তা’আলা বলেন, তখন তার দু’হাত মুষ্টিবদ্ধ ছিল: দু’টো থেকে যেটা ইচ্ছা গ্রহণ কর, তিনি বললেন: আমি আমার রবের ডান গ্রহণ করলাম, আমার রবের উভয় হাতই ডান ও বরকতপূর্ণ, অতঃপর তিনি তা প্রসারিত করলেন, তাতে ছিল আদম ও তার সন্তান। তিনি বললেন: হে আমার রব, এরা কারা? তিনি বললেন: এ হচ্ছে তোমার সন্তান, সেখানে প্রত্যেক মানুষের বয়স তার চোখের সামনে লিখা ছিল, তাদের মধ্যে একজন ছিল সবচেয়ে উজ্জ্বল, অথবা তাদের থেকে একজন অতি উজ্জ্বল ছিল, যার জন্য শুধু চল্লিশ বছর লিখা ছিল, তিনি বললেন: হে আমার রব এ কে? তিনি বললেন: এ হচ্ছে তোমার সন্তান দাউদ, তার জন্য আমি চল্লিশ বছর লিখেছি। তিনি বললেন: হে আমার রব তার বয়স বৃদ্ধি করুন, তিনি বললেন: এটাই আমি তার জন্য লিখেছি। তিনি বললেন: হে আমার রব, আমি তার জন্য আমার বয়স থেকে ষাট বছর দান করলাম, তিনি বললেন: এটা তোমার ও তার বিষয়। আল্লাহর যতদিন ইচ্ছা ছিল তিনি জান্নাতে অবস্থান করেন, অতঃপর সেখান থেকে অবতরণ করানো হয়, এরপর থেকে তিনি নিজের বয়স হিসেব করতেন। রাসূল বলেন: তার নিকট মালাকুল মউত আসল, আদম তাকে বলেন: দ্রুত চলে এসেছ, আমার জন্য এক হাজার বছর লিখা হয়েছে। তিনি বললেন, অবশ্যই; কিন্তু তোমার ছেলে দাউদের জন্য তার থেকে ষাট বছর দান করেছ। আদম তা অস্বীকার করল। সে অস্বীকার করেছে তাই তার সন্তানও অস্বীকার করে, তিনি ভুলে গেছেন তাই তার সন্তানও ভুলে যায়। তিনি বলেন: সে দিন থেকে লিখা ও সাক্ষী রাখার নির্দেশ দেয়া হয়”। ইবনু হিব্বান, হাকেম ও আবূ আসেম] হাদিসটি সহিহ লি গায়রিহি।
124- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَنَفَخَ فِيهِ الرُّوحَ عَطَسَ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ بِإِذْنِ الله، فَقَالَ لَهُ رَبُّهُ: يَرْحَمُكَ ربك يَا آدَمُ، اذْهَبْ إِلَى أُولَئِكَ الْمَلَائِكَةِ إِلَى مَلَإٍ مِنْهُمْ جُلُوسٍ فسلم عليهم, فقال: السَّلَامُ عَلَيْكُمْ، فقَالُوا: وَعَلَيْكَ السَّلَامُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى رَبِّهِ فَقَالَ: هَذِهِ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ بَنِيكَ بَيْنَهُمْ، وقَالَ اللَّهُ -جلا وعلا- وَيَدَاهُ مَقْبُوضَتَانِ: اخْتَرْ أَيَّهُمَا شِئْتَ قَالَ: اخْتَرْتُ يَمِينَ رَبِّي وَكِلْتَا يَدَيْ رَبِّي يَمِينٌ مُبَارَكَةٌ ثُمَّ بَسَطَهَا فَإِذَا فِيهَا آدَمُ وَذُرِّيَّتُهُ فَقَالَ: أَيْ رَبِّ: مَا هَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ: هَؤُلَاءِ ذُرِّيَّتُكَ فَإِذَا كُلُّ إِنْسَانٍ مَكْتُوبٌ عُمْرُهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ فَإِذَا فِيهِمْ رَجُلٌ أَضْوَؤُهُمْ -أَوْ مِنْ أَضْوَئِهِمْ لَمْ يُكْتَبْ لَهُ إلَّا أَربَعُونَ سَنَةٍ- قَالَ: يَا رَبِّ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا ابْنُكَ دَاوُدُ وقَدْ كَتَبْتُ لَهُ عُمْرَ أَرْبَعِينَ سَنَة،ً قَالَ: أي رَبِّ زِدْهُ فِي عُمْرِهِ, قَالَ: ذَاكَ الَّذِي كَتَبْتُ لَهُ، قَالَ: أَيْ رَبِّ فَإِنِّي قَدْ جَعَلْتُ لَهُ مِنْ عُمْرِي سِتِّينَ سَنَةً قَالَ: أَنْتَ وَذَاكَ، أُسْكِنَ الْجَنَّةَ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ أُهْبِطَ مِنْهَا فَكَانَ آدَمُ يَعُدُّ لِنَفْسِهِ، قَالَ: فَأَتَاهُ مَلَكُ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُ آدَمُ: قَدْ عَجَّلْتَ، قَدْ كُتِبَ لِي أَلْفُ سَنَةٍ؟ قَالَ: بَلَى وَلَكِنَّكَ قد جَعَلْتَ لِابْنِكِ دَاوُدَ منها سِتِّينَ سَنَةً، فَجَحَدَ فَجَحَدَتْ ذُرِّيَّتُهُ، وَنَسِيَ فَنَسِيَتْ ذُرِّيَّتُهُ، قَالَ: فَمِنْ يَوْمِئِذٍ أُمِرَ بِالْكِتَابِ وَالشُّهُودِ» . ( حب, ك, عا ) صحيح لغيره
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১২৫. আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ যখন আদমের মধ্যে রূহ সঞ্চার করেন, অতঃপর রূহ যখন তার মাথায় পৌঁছে তিনি হাঁচি দেন, তারপর বলেন: الحمدُ لله رَبِّ العَالَمِيْن আল্লাহ তাকে বলেন: يَرْحَمُكَ الله [ইবনু হিব্বান] হাদিসটি সহিহ।
125- عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لمَّا نَفَخَ الله في آدَمْ الرُوْح فَبَلَغَ الرُوحُ رَأْسَهُ عَطَسَ فَقَاَلَ: الحمدُ لله رَبِّ العَالَمِيْن. فَقَاَلَ له تَبَاركْ وتعالى: يَرْحَمُكَ الله». ( حب ) صحيح
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর প্রশংসামূলক কতক বাক্যের ফযিলত
১২৭. আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা’আলা বলেছেন: আমার কোন বান্দার জন্য (বর্ণনাকারী ইবনু মুসান্না বলেছেন: আমার বান্দার জন্য) এমন বলা সমীচীন নয়: আমি ইউনুস ইবনু মাত্তা আলাইহিস সালাম থেকে উত্তম[1]”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।
127- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ( عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ- يَعْنِي: اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى-: «لَا يَنْبَغِي لِعَبْدٍ لِي (و قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى: لِعَبْدِي) أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى عَلَيْهِ السَّلَام» . ( م, خ )صحيح