পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৪/৮. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ অণু পরিমাণও জুলুম করেন না। (সূরাহ আন-নিসা ৪/৪০)

৪৫৮১. আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে একদল লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। গ্রীষ্মের মেঘমুক্ত দুপুরের প্রখর কিরণবিশিষ্ট সূর্য দেখতে তোমরা কি পরস্পর ভিড় করে থাক? তারা বলল, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পূর্ণিমার রাতে মেঘমুক্ত আলো বিশিষ্ট চন্দ্র দেখতে তোমরা কি ভিড় কর? আবার তারা বলল, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এদের কোনটিকে দেখতে যেমন পরস্পর ভিড় কর না; কিয়ামতের দিনও আল্লাহকে দেখতেও তোমরা পরস্পর ভিড় করবে না। ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) যখন আসবে তখন এক ঘোষণাকারী ঘোষণা দেবে।

তখন প্রত্যেকেই আপন আপন উপাস্যের অনুসরণ করবে। আল্লাহ ব্যতীত প্রতিমা ও পাথর ইত্যাদির যারা পূজা করেছে, তারা সকলে জাহান্নামে গিয়ে পড়বে, একজনও বাকী থাকবে না। পুণ্যবান হোক অথবা পাপী, এরা এবং আল্লাহর অবশিষ্ট বিশ্বাসীরা ব্যতীত যখন আর কেউ থাকবে না, তখন ইয়াহূদীদেরকে ডেকে বলা হবে, তোমরা কার ’ইবাদাত করতে? তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র উযাইয়ের ’ইবাদাত করতাম। তাদেরকে বলা হবে যে, তোমরা মিথ্যা বলছ। আল্লাহ স্ত্রীও গ্রহণ করেননি, পুত্রও গ্রহণ করেননি। তোমরা কী চাও? তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তৃষ্ণার্ত, আমাদেরকে পানি পান করান। এরপর তাদেরকে ইশারা করা হবে যে, তোমরা পানির ধারে যাও না কেন?

এরপর তাদেরকে জাহান্নামের দিকে একত্র করা হবে তা যেন মরুভূমির মরীচিকা, এক এক অংশ অন্য অংশকে ভেঙ্গে ফেলছে। অতঃপর তারা সবাই জাহান্নামে পতিত হবে। তারপর নাসারাদেরকে ডাকা হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা কার ’ইবাদাত করতে? তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র মসীহের ’ইবাদাত করতাম। তাদের বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলছ। আল্লাহ স্ত্রীও গ্রহণ করেননি, পুত্রও নয়। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা কী চাও? তারাও প্রথম পক্ষের মতো বলবে এবং তাদের মতো জাহান্নামে নিপতিত হবে। অবশেষে পুণ্যবান হোক কিংবা পাপী হোক আল্লাহর উপাসনাকারী ব্যতীত আর কেউ যখন বাকি থাকবে না, তখন তাদের কাছে পরিচিত রূপের নিকটতম একটি রূপ নিয়ে রাববুল আলামীন তাদের কাছে আবির্ভূত হবেন। এরপর বলা হবে, প্রত্যেক দল নিজ নিজ উপাস্যের অনুসরণ করে চলে গেছে।

তোমরা কিসের অপেক্ষা করছ? তারা বলবে, দুনিয়াতে এ সকল লোকের প্রতি আমাদের অনেক প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও আমরা সেখানে তাদের থেকে আলাদা থেকেছি এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখিনি। এখন আমরা আমাদের প্রতিপালকের অপেক্ষায় আছি, আমরা তাঁর ’ইবাদাত করতাম। এরপর তিনি বলবেন, আমিই তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, আমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করব না। এ কথাটি দু’বার কি তিনবার বলবে। [২২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২২৩)

بَاب قَوْلِهِ :{إِنَّ اللهَ لَا يَظْلِمُ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ} يَعْنِيْ زِنَةَ ذَرَّةٍ

مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ حَدَّثَنَا أَبُوْ عُمَرَ حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ أُنَاسًا فِيْ زَمَنِ النَّبِيِّ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَعَمْ هَلْ تُضَارُّوْنَ فِيْ رُؤْيَةِ الشَّمْسِ بِالظَّهِيْرَةِ ضَوْءٌ لَيْسَ فِيْهَا سَحَابٌ قَالُوْا لَا قَالَ وَهَلْ تُضَارُّوْنَ فِيْ رُؤْيَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ضَوْءٌ لَيْسَ فِيْهَا سَحَابٌ قَالُوْا لَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا تُضَارُوْنَ فِيْ رُؤْيَةِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا كَمَا تُضَارُوْنَ فِيْ رُؤْيَةِ أَحَدِهِمَا إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ أَذَّنَ مُؤَذِّنٌ تَتْبَعُ كُلُّ أُمَّةٍ مَا كَانَتْ تَعْبُدُ فَلَا يَبْقَى مَنْ كَانَ يَعْبُدُ غَيْرَ اللهِ مِنْ الْأَصْنَامِ وَالأَنْصَابِ إِلَّا يَتَسَاقَطُوْنَ فِي النَّارِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَبْقَ إِلَّا مَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ بَرٌّ أَوْ فَاجِرٌ وَغُبَّرَاتُ أَهْلِ الْكِتَابِ فَيُدْعَى الْيَهُوْدُ فَيُقَالُ لَهُمْ مَنْ كُنْتُمْ تَعْبُدُوْنَ قَالُوْا كُنَّا نَعْبُدُ عُزَيْرَ ابْنَ اللهِ فَيُقَالُ لَهُمْ كَذَبْتُمْ مَا اتَّخَذَ اللهُ مِنْ صَاحِبَةٍ وَلَا وَلَدٍ فَمَاذَا تَبْغُوْنَ فَقَالُوْا عَطِشْنَا رَبَّنَا فَاسْقِنَا فَيُشَارُ أَلَا تَرِدُوْنَ فَيُحْشَرُوْنَ إِلَى النَّارِ كَأَنَّهَا سَرَابٌ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيَتَسَاقَطُوْنَ فِي النَّارِ ثُمَّ يُدْعَى النَّصَارَى فَيُقَالُ لَهُمْ مَنْ كُنْتُمْ تَعْبُدُوْنَ قَالُوْا كُنَّا نَعْبُدُ الْمَسِيْحَ ابْنَ اللهِ فَيُقَالُ لَهُمْ كَذَبْتُمْ مَا اتَّخَذَ اللهُ مِنْ صَاحِبَةٍ وَلَا وَلَدٍ فَيُقَالُ لَهُمْ مَاذَا تَبْغُوْنَ فَكَذَلِكَ مِثْلَ الْأَوَّلِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَبْقَ إِلَّا مَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ مِنْ بَرٍّ أَوْ فَاجِرٍ أَتَاهُمْ رَبُّ الْعَالَمِيْنَ فِيْ أَدْنَى صُوْرَةٍ مِنْ الَّتِيْ رَأَوْهُ فِيْهَا فَيُقَالُ مَاذَا تَنْتَظِرُوْنَ تَتْبَعُ كُلُّ أُمَّةٍ مَا كَانَتْ تَعْبُدُ قَالُوْا فَارَقْنَا النَّاسَ فِي الدُّنْيَا عَلَى أَفْقَرِ مَا كُنَّا إِلَيْهِمْ وَلَمْ نُصَاحِبْهُمْ وَنَحْنُ نَنْتَظِرُ رَبَّنَا الَّذِيْ كُنَّا نَعْبُدُ فَيَقُوْلُ أَنَا رَبُّكُمْ فَيَقُوْلُوْنَ لَا نُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئًا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا

محمد بن عبد العزيز حدثنا ابو عمر حفص بن ميسرة عن زيد بن اسلم عن عطاء بن يسار عن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه ان اناسا في زمن النبي قالوا يا رسول الله هل نرى ربنا يوم القيامة قال النبي صلى الله عليه وسلم نعم هل تضارون في روية الشمس بالظهيرة ضوء ليس فيها سحاب قالوا لا قال وهل تضارون في روية القمر ليلة البدر ضوء ليس فيها سحاب قالوا لا قال النبي صلى الله عليه وسلم ما تضارون في روية الله عز وجل يوم القيامة الا كما تضارون في روية احدهما اذا كان يوم القيامة اذن موذن تتبع كل امة ما كانت تعبد فلا يبقى من كان يعبد غير الله من الاصنام والانصاب الا يتساقطون في النار حتى اذا لم يبق الا من كان يعبد الله بر او فاجر وغبرات اهل الكتاب فيدعى اليهود فيقال لهم من كنتم تعبدون قالوا كنا نعبد عزير ابن الله فيقال لهم كذبتم ما اتخذ الله من صاحبة ولا ولد فماذا تبغون فقالوا عطشنا ربنا فاسقنا فيشار الا تردون فيحشرون الى النار كانها سراب يحطم بعضها بعضا فيتساقطون في النار ثم يدعى النصارى فيقال لهم من كنتم تعبدون قالوا كنا نعبد المسيح ابن الله فيقال لهم كذبتم ما اتخذ الله من صاحبة ولا ولد فيقال لهم ماذا تبغون فكذلك مثل الاول حتى اذا لم يبق الا من كان يعبد الله من بر او فاجر اتاهم رب العالمين في ادنى صورة من التي راوه فيها فيقال ماذا تنتظرون تتبع كل امة ما كانت تعبد قالوا فارقنا الناس في الدنيا على افقر ما كنا اليهم ولم نصاحبهم ونحن ننتظر ربنا الذي كنا نعبد فيقول انا ربكم فيقولون لا نشرك بالله شيىا مرتين او ثلاثا


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

During the lifetime of the Prophet (ﷺ) some people said, : O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall we see our Lord on the Day of Resurrection?" The Prophet (ﷺ) said, "Yes; do you have any difficulty in seeing the sun at midday when it is bright and there is no cloud in the sky?" They replied, "No." He said, "Do you have any difficulty in seeing the moon on a full moon night when it is bright and there is no cloud in the sky?" They replied, "No." The Prophet (ﷺ) said, "(Similarly) you will have no difficulty in seeing Allah on the Day of Resurrection as you have no difficulty in seeing either of them. On the Day of Resurrection, a call-maker will announce, "Let every nation follow that which they used to worship." Then none of those who used to worship anything other than Allah like idols and other deities but will fall in Hell (Fire), till there will remain none but those who used to worship Allah, both those who were obedient (i.e. good) and those who were disobedient (i.e. bad) and the remaining party of the people of the Scripture. Then the Jews will be called upon and it will be said to them, 'Who do you use to worship?' They will say, 'We used to worship Ezra, the son of Allah.' It will be said to them, 'You are liars, for Allah has never taken anyone as a wife or a son. What do you want now?' They will say, 'O our Lord! We are thirsty, so give us something to drink.' They will be directed and addressed thus, 'Will you drink,' whereupon they will be gathered unto Hell (Fire) which will look like a mirage whose different sides will be destroying each other. Then they will fall into the Fire. Afterwards the Christians will be called upon and it will be said to them, 'Who do you use to worship?' They will say, 'We used to worship Jesus, the son of Allah.' It will be said to them, 'You are liars, for Allah has never taken anyone as a wife or a son,' Then it will be said to them, 'What do you want?' They will say what the former people have said. Then, when there remain (in the gathering) none but those who used to worship Allah (Alone, the real Lord of the Worlds) whether they were obedient or disobedient. Then (Allah) the Lord of the worlds will come to them in a shape nearest to the picture they had in their minds about Him. It will be said, 'What are you waiting for?' Every nation have followed what they used to worship.' They will reply, 'We left the people in the world when we were in great need of them and we did not take them as friends. Now we are waiting for our Lord Whom we used to worship.' Allah will say, 'I am your Lord.' They will say twice or thrice, 'We do not worship any besides Allah.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير) 65/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet (pbuh)